চাকুরির প্রস্তুতি

বাংলা ব্যাকরণের উল্লেখযোগ্য কঠিন টপিক গুলোর মধ্যে প্রকৃতি প্রত্যয় অন্যতম। কিন্তু আসলেই কি প্রকৃতি প্রত্যয় কঠিন? উত্তর হচ্ছে প্রকৃতি প্রত্যয় সব থেকে সহজ একটি টপিক। আজকের ব্লগে পুরো বিষয়টি আপনাদের সাথে উদাহরণ এবং ব্যাখ্যা সহ তুলে ধরা হবে। পড়তে থাকুন ইনশা-আল্লাহ।

প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে কি কি শিখবো?

১) প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

২) প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

৩) কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়?

৪) প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

৫) বিগত সালের পরিক্ষায় প্রকৃতি প্রত্যয়

শুরু করার আগে আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ যদি আমাদের লিখা ব্লগ গুলো ভালো লাগে তবে জ্ঞান প্রচারের লক্ষ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

ধাতু বা শব্দ যার সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে যে মূল অংশের নাম প্রকৃতি। যেমন: মিঠা + আই = মিঠাই। এখানে ‘মিঠা’ হচ্ছে প্রকৃতি, এর সঙ্গে ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ‘মিঠাই’ শব্দটি গঠিত হয়েছে। এভাবে শব্দের বিশ্লেষণ করলে প্রকৃতি ও প্রত্যয় পাওয়া যায়।

উপরের ব্যাপারটি কঠিন মনে হলে চলেন এইবার একটু ইনফরমাল আলোচনা করা যাক যেন কোন দিন আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে সংশয়ে না পড়েন।

যা মনে রাখবেনঃ

– প্রত্যয় সব সময় শব্দের বা ধাতুর পরে বসে।

– পরে বসে কি করে? নাচানাচি করে কি? না। তা নতুন শব্দ গঠন করে। যেমনঃ শীতল। এটি একটি শব্দ। যার দুটি অংশ আছে। শীত + ল। এখানে পরে কি যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “ল” তাই এটি প্রত্যয়।

এখন “ল” কিসের সাথে যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “শীত” এর সাথে? তাই এটি প্রকৃতি।

নিচের উদহরণগুলো দেখুনঃ

ক) লাজুক= লাজ+ উক

এখানে “লাজ” হচ্ছে প্রকৃতি এবং “উক” হচ্ছে প্রত্যয়

খ) চলন্ত = চল + অন্ত

এখানে “চল” হচ্ছে প্রকৃতি এবং ” অন্ত ” হচ্ছে প্রত্যয়

এইবার আমরা ধরেই নিতে পারি আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় চিনে গেছেন।

প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

সহজ ভাষায় প্রকৃতি এবং প্রত্যয় উভয়ই দুই প্রকার।

প্রকৃতির প্রকারভেদঃ

১) ক্রিয়া প্রকৃতি

২) নাম প্রকৃতি বা শব্দ প্রকৃতি

প্রত্যয়ের প্রকারভেদঃ

১) কৃৎ প্রত্যয়

২) তদ্ধিত প্রত্যয়

কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়

প্রকৃতি প্রত্যয় চিনার জন্য আপনাকে শব্দটি কে বিশ্লেষন করতে হবে তারপর দেখতে হবে কোন অংশটি আর আগে সেটি হবে প্রকৃতি এবং যে অংশটি পরে সেটি নিশ্চিতভাবেই প্রত্যয়।

প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

১. অ-প্রত্যয় : ‘প্রবণতা, ঈষদ্ভাব প্রায় কিন্তু পূর্ণ নয়’ এমন ভাব প্রকাশ করতে ধাতুর উত্তর (পরে) অ (উ, ও) প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং দ্বিত্ব প্রয়োগ হয়। যেমন:

√কাঁদ + অ : কাঁদ + অ = কাঁদ কাঁদ

√ডুব + অ : ডুব + অ = ডুব ডুব (ডুবু ডুবু)

√পড় + অ : পড় + অ = পড় পড় (পড়ো পড়ো)

√মার + অ : মার + অ = মার মার

২. আ-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর পরে আ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + আ = ঝরা

√হাস + আ = হাসা

√খা + আ = খাওয়া

√শোন + আ = শোনা

√ভর + আ = ভরা

√কাঁচ + আ = কাঁচা

√কাট + আ = কাটা

√র্ম + আ = মরা

√ছাড় + আ = ছাড়া

√জান + আ = জানা

৩. অন-প্রত্যয় : অন-প্রত্যয়ান্ত শব্দগুলো সাধারণ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√বাঁধ + অন = বাঁধন

√সাজ্ + অন = সাজন

√হাঁট + অন = হাঁটন

√র্ম + অন = মরণ

√নাচ + অন = নাচন

√মাজ + অন = মাজন

√গড় + অন = গড়ন

√জীব + অন = জীবন

√কাঁদ + অন = কাঁদন

৪. অক-প্রত্যয় : অক-প্রতায়ান্ত শব্দ সাধারণত বিশেষ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√ফাট্ + অক =ফাটক

√সড় + অক = সড়ক

√নাট + অক = নাটক

√ঝল + অক = ঝলক

√দুল + অক = দোলক

√ঘট্ + অক = ঘটক

√বৈঠ + অক = বৈঠক

√চট্ + অক = চটক

৫. আই-প্রত্যয় : করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ফাড়্ + আই = ফাড়াই

√ছাঁট্ + আই = ছাঁটাই

√যাচ্ + আই = যাচাই

√খোদ + আই = খোদাই

√ঢাল্ + আই = ঢালাই

√মাড়্ + আই = মাড়াই

√সিল্ + আই = সেলাই

√লড়্ + আই = লড়াই

৬. উয়া-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য ধাতুর উত্তর ‘উয়া’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। উয়া-প্রত্যয় বিকল্পে ও-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পড়্ + উয়া = পড়-য়া

√চল + উয়া = চলুয়া

√হাল্ + উয়া = হালুয়া

√সাজ + উয়া = সাজুয়া

√খা + উয়া = খাওয়া

√ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া˃ঝড়ো

৭. উ-প্রত্যয় : ‘উ’ প্রত্যয়ান্ত সাধিত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ঢাল্ + উ = ঢালু

√ডাক + উ = ডাকু

√ঝাড় + উ = ঝাড়-

√চাল্ + উ = চালু

√উড় + উ = উড়-

√ডুব + উ = ডুবু

৮. উক-প্রত্যয়ঃ স্বভাব বুঝাতে বিশ্লেষণ পদ গঠনে ‘উক’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পিট + উক = পেটুক

√মিশ + উক = মিশুক

√খা + উক = খাউক

√হিনস + উক = হিংসুক

√নিন্দা + উক = নিন্দুক

√ভা + উক = ভাবুক

৯. ই-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য, অপাদানবাচ্য, অধিকরণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘ই’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + ই = ঝরি

√হাস + ই = হাসি

√কর + ই = করি

√বুল + ই = বুলি

√বেড় + ই = বেড়ি

√হাঁচ + ই = হাঁচি

√খা + ই = খাই

√ভাজ + ই = ভাজি

১০. ইয়া ইয়ে-প্রত্যয় : ‘প্রবীণ বা নিপুণ অর্থে’ কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ইয়া ইয়ে প্রত্যয় হয়। যেমন:

√কাঁদন + ইয়া = কাঁদনিয়া˃কাঁদুনে

√বাজ্ + ইয়ে = বাজিয়ে

√কহ্ + ইয়া = কহহিয়া˃কইয়ে

√খেল + ইয়ে = খেলিয়ে

√গাহ্ + ইয়া = গাহহিয়া˃গাইয়ে

√নাচ + ইয়ে = নাচিয়ে

আবার অসমাপিকা ক্রিয়া বুঝাতেও ‘ইয়া’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পড়্ + ইয়া = পড়িয়া

√বহ্ + ইয়া = বহিয়া

√চল + ইয়া = চলিয়া

√কাঁদ্ + ইয়া = কাঁদিয়া

√হাস + ইয়া = হাসিয়া

√শুন + ইয়া = শুনিয়া

১১. আল-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য ও করণবাচ্যের ধাতুর উত্তর আল-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাখ্ + আল = রাখাল

√মাত্ + আল = মাতাল

√বাচ্ + আল = বাচাল

√ধার + আল = ধারাল

√নাগ্ + আল = নাগাল

√মিশ্ + আল = মিশাল

১২. তি-প্রত্যয়ঃ কর্তৃবাচ্য ও ভাববাছ্যের উত্তর ‘তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কম্ + তি = কমতি

√চল্ + তি = চলতি

√র্ফি + তি = ফিরতি

√উঠ্ + তি = উঠতি

√ঘাট্ + তি = ঘাটতি

√বস্ + তি = বসতি

১৩. না-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘না’ প্রত্যয় যুক্ত হয়্। যেমন:

√শুক + না = শুকনা

√বাট + না = বাটনা

√দুল + না = দোলনা

√ঝর + না = ঝরনা

√রাঁধ + না = রাঁধনা˃রান্না

√ঢাক + না = ঢাকনা

√খেল + না = খেলনা

√মাগ + না = মাগনা

১৪. আনি-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আনি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাঙ + আনি = রাঙানি

√খাট + আনি = খাটানি˃খাটুনি

√শাস + আনি = শাসানি

√চির + আনি = চিরণী˃চিরুণী

√শুন + আনি = শুনানি

√জ্বাল + আনি = জ্বালানি

√উড় + আনি = উড়ানি

√হাঁপ + আনি = হাঁপানি

১৫. আরু-প্রত্যয় : কর্তায় দক্ষতা ও পেশা বুঝাতে কর্তৃবাচ্যের ধাতু উত্তর ‘আরু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডুব + আরু = ডুবারু

√সাঁত + আরু = সাঁতারু

√খোঁজ + আরু = খোঁজারু

১৬. আও-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আও’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাঁচ্ + আও = বাঁচাও

√দুল্ + আও = দোলাও˃দুলাও

√চড়্ + আও = চড়াও

√র্ঘি + আও = ঘিরাও

√র্স + আও = সরাও

√পাকড়্ + আও = পাকড়াও

১৭. আনো-প্রত্যয় : ধাতুর উত্তর ‘আনো’ প্রত্যয় যোগে ক্রিয়াবাচক বা বিশ্লেষন পদ গঠিত হয়। যেমন:

√কামড় + আনো = কামড়ানো

√নাচ + আনো = নাচানো

√বাঁধ + আনো = বাঁধানো

√পাল + আনো = পালানো

√কাঁদ + আনো = কাঁদানো

√দৌড় + আনো = দৌড়ানো

১৮. অল-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অল’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√পিছ্ + অল = পিছল

√ফাট + অল = ফাটল

√জী + অল = জীয়ল˃জীওল

১৯. আইত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আইত’ (আত) প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডাক + আইত = ডাকাইত˃ডাকাত

√সঙ্গ + আইত = সাঙ্গাইত˃সাঙ্গাত

√সেব + আইত = সেবাইত

২০. আন-প্রত্যয় : প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে ‘আন’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ছোড় + আন = ছোড়ান

√দেখ + আন = দেখান

√গড় + আন = গড়ান

√খা + আন = খাওয়ান

√ঠকা + আন = ঠকান

√জান + আন = জানান

২১. অন্ত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অন্ত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√চল + অন্ত = চলন্ত

√ডুব্ + অন্ত = ডুবন্ত

√ঝুল + অন্ত = ঝুলন্ত

√ঘুম + অন্ত = ঘুমন্ত

√ফুট্ + অন্ত = ফুটন্ত

√ফল + অন্ত = ফলন্ত

২২. তা-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত ঞয়। যেমন:

√পড় + তা = পড়তা

√চল্ + তা = চলতা

√জান্ + তা = জান্তা

√ফির + তা = ফিরতা

২৩. অনা- প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে সাধারণত ধাতুর উত্তর ‘অনা’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাজ + অনা = বাজনা

√মাগ্ + অনা = মাগনা

√ঝর + অনা = ঝরনা

√খেল্ + অনা = খেলনা

√বঞ্চ + অনা = বঞ্চনা

√দুল্ + অনা = দোলনা

২৪. অত-প্রত্যয় : বিশেষণ পদ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘অত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বস্ + অত = বসত

√ফির + অত = ফেরত

√মান + অত = মানত

বিদেশী কৃৎ-প্রত্যয় :

ক. সই-প্রত্যয় যোগে; যেমন: মাপ + সই = √মাপসই।

খ. বাজ-প্রত্যয় যোগে; যেমন: চাল + বাজ = √চালবাজ

■ বাংলা কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

কাঁদ্ + অ = কাঁদ

ডুব + আরু = ডুবারু

গুণ্ + তি = গুণতি

সাজ্ + উয়া = সাজোয়া

ডুব্ + অ = ডুব

পড়্ + উয়া = পড়-য়া

নাচ্ + অন = নাচন

গাহ্ + ইয়ে = গাইয়ে

ঝুল + অ = ঝুল

জুত্ + আনো = জুতানো

কাঁদ + অন = কাঁদন

খেল্ + ওয়াড় = খেলোয়ার

নিব্ + অ = নিব

ভাব্ + উক = ভাবুক

খা + অন = খাওন

র্ধ + আ = ধরা

র্ম + অ = মর

বেড়্ + আনো = বেড়ানো

ঝাড়্ + অন = ঝড়ান

পড়্ + আ = পড়া

ছুট + অ = ছুট

ঢাল্ + আই = ঢালাই

কাঁপ + অন = কাঁপন

ঢাল্ + উ = ঢালু

খুঁজ + অন = খোঁজন

যাচ্ + আই = যাচাই

র্ম + অন = মরণ

বাঁধ্ + অন = বাঁধন

চল্ + আ = চলা

সেব্ + আইত = সেবাইত

ফল্ + অন = ফলন

গড়্ + অন = গড়ন

চাহ্ + আ = চাওয়া

পূজ্ + আরী = পূজারী

যোগ্ + অন = যোগান

চাহ্ + নি = চাহনি

পা + আ = পাওয়া

কাঁদ্ + উনে = কাঁদুনে

চড়্ + অক = চড়ক

উড়্ + অন্ত = উড়ন্ত

দেখ্ + আ = দেখা

নাচ্ + ইয়ে = নাচিয়ে

ফাট্ + অক = ফাটক

ভাঙ্ + অন = ভাঙন

ছাড়্ + আ = ছাড়া

মিশ্ + উক = মিশুক

মুড়্ + অক = মোড়ক

ডুব্ + উরী = ডুবুরী

ফুট্ + আ = ফোটা

ঘাট্ + তি = ঘাটতি

ঝল্ + অক = ঝলক

মুচ্ + কি = মুচকি

চুর + ই = চুরি

কুট + না = কুটনা

দে + অনা = দেনা

চাল + আন = চারা

চষ + ই = চষি

জান + আন = জানান

বাজ্ + অনা =বাজনা

উঠ্ + তি = উঠতি

ফির + ই = ফিরি

কাঁদ্ + না = কান্না

পা + অনা = পাওনা

দোল্ + না = দোলনা

হাস্ + ই = হাসি

উড়া + আন = উড়ান

বাট্ + না = বাটনা

ঝলক + আনি = ঝলকানি

কাশ্ + ই = কাশি

ঠকা + আন = ঠকান

খেল্ + না = খেলনা

হিনস্ + উক = হিংসুক

ভাজ্ + ই = ভাজি

কাট্ + আ = কাটা

র্ঝ + ন = ঝরনা

কাচ + আ = কাচা

ডুব্ + উ = ডুবু

বাঁধ + আ = বাধাঁ

কাঁপ্ + অনি = কাঁপনি, কাঁপুনি

ভর + আ = ভরা

র্উ + ও = উড়ো

বাঁচ + ওয়া = বাঁচোয়া

রাঁধ্ + অনি = রাঁধুনি

হাত + আনো = হাতানো

হ + উ = হবু

কাট্ + আরি = কাটারি

ছাঁক্ + অনি = ছাকনি

খুল্ + আ = খোলা

র্ম + ও = মরো

মাজ্ + অন = মাজন

চাল্ + উনি = চালুনি

র্ম + ও = মরো

ঝড়্ + ও = ঝড়ো

টাঙা + আনো = টাঙানো

ছা + উনি = ছাউনি

বাজ্ + ইয়ে = বাজিলে

ভুল্ + ও = ভুলো

চল্ + তি = চলতি

ঝাঁক্ + উনি = ঝাঁকুনি

বাস্ + ই = বাসি

র্ফি + অত = ফিরত

ঝুল + অন = ঝুলন

আট্ + উনি = আঁটুনি

ছাড় + অন = ছাড়ন

মান্ + অত = মানত

খাট্ + ইয়ে = খাটিয়ে

খাট্ + উনি = খাটুনি

কাশ + আ = কাশা

পড়্ + তি = পড়তি

ভাজ + আ = ভাজা

বক্ + উনি = বকুনি

চষ + আ = চষা

কাট্ + তি = কাটতি

ঝাঁক + আ = ঝাঁকা

র্চি + উনি = চিরুনি

পর + আ = পড়া

র্ফি + তি = ফিরতি

ছাঁক + অন = ছাঁকন

বাছ্ + আই = বাছাই

হাস + আ = হাসা

বাড়্ + তি = বাড়তি

ডুব + আ = ডুবা

লড়্ + আই = লড়াই

দেখ + আই = দেখাই

চড়্ +আই = চড়াই

বাঁধ + অন = বাঁধন

জ্বল + অন্ত = জ্বলন্ত

নির + আন = নিড়ান

যাচ্ + আই = যাচাই

খাট + আ = খাটা

জীব্ + অন্ত = জীবন্ত

চড় + আ = চড়া

ডাক্ + আইত = ডাকাত

সাজ + আ = সাজা

মাত্ + আল = মাতাল

ডুব + উরি = ডুবুরি

খুদ + আই = খোদাই

পর + আই = পড়াই

ছাঁট + আই = ছাঁটাই

উড় + আ = উড়া

ঝাল্ + আই = ঝালাই

ভাব + আ = ভাবা

উড়্ + আনি = উড়ানি

ঠক + আ = ঠকা

শুন্ + আনি = শুনানি

নাচ + আ = নাচা

ঝাঁক্ + আনি = ঝাঁকানি

দোল + অন = দোলন

বাঁধ্ + আই = বাঁধাই

ছাড় + অ = ছাড়

চড়্ + আও = চড়াও

মার + অ = মার

ঢাল্ + আও = ঢালাও

বাঁধ + অ = বাঁধ

নিড়্ + আনি = নিড়ানি

বস + অতি = বসতি

সাঁত্ + আরু = সাঁতারু

মান + অত = মানত

জ্বালা + আনি = জ্বালানী

দুল + অ = দোল

পাকড় + আও = পাকড়াও

ঘুর + অন = ঘুরন

খা + ইয়ে = খাইয়ে

সাধ + অন = সাধন

র্ঘি + আও = ঘেরাও

ধর + অন = ধরণ

গাঁথ + অন = গাঁথন

লাঞ্ছ + অনা = লাঞ্ছনা

ভিক্ষ + আরি = তিখারি

পাকড় + আও = পাকড়াও

উঠ + তি = উঠতি

সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়

১. অনট (অন) প্রত্যয় : ‘অনট’ প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘অনট’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথম বর্ণের ‘ঈ’ পরিবর্তন হয় ‘অয়’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ‘ঋ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘অর’ হয়। যেমন:

√কৃ + অনট = করণ

√শী + অনট = শয়ন

√দা + অনট = দান

√গম + অনট = গমন

√স্থান + অনট = স্থান

√পা + অনট = পান

√দৃশ + অনট = দর্শন

√ভ্র + অনট = ভ্রমন

√নী + অনট = নয়ন

√শ্রু + অনট = শ্রবণ

২. ঘঞ (অ) প্রত্যয় : ঘঞ-প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্যে ব্যবহহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘ঘঞ’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথমে বর্ণের ‘অ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘আ’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ধাতুর শেষ বর্ণের ‘চ’ স্থানে ‘ক’, ‘জ, স্থানে ‘গ’ হয়। যেমন:

√শুচ + ঘঞ = শোক

√অদ্ + ঘঞ = ঘা

√ভূ + ঘঞ = ভাব

√বস্ + ঘঞ = বাস

√পচ + ঘঞ = পাক

√তপ + ঘঞ = তাপ

√রুজ + ঘঞ = রোগ

√ত্যজ + ঘঞ = ত্যাগ

৩. তব্য-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষ্যৎ অর্থে কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘তব্য’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কৃ + তব্য = কর্তব্য

√গম + তব্য = গন্তব্য

√জ্ঞা + তব্য = জ্ঞাতব্য

√বচ + তব্য = বক্তব্য

√দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

√পৌ + তব্য = পঠিতব্য

√দান + তব্য = দাতব্য

√মন + তব্য = মন্তব্য

৪. অল (অ) প্রত্যয় : অল-প্রত্যয় ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য পদ গঠনে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ল’ লোপ পেয়ে ‘অ’ থাকে। যেমন:

√জি + অল = জয়

√ভী + অল = ভয়

√ক্রী + অল = ক্রয়

√লুভ + অল = লোভ

৫. ক্ত (ত) প্রত্যয় : অতীতকালে কাজ হয়েছে এ অর্থ প্রকাশের জন্য ‘ক্ত’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। সাধিত পদগুলো বিশ্লষন হয়ে থাকে। প্রতায়ন্ত পদের শেষে ‘ক’ লোপ পেয়ে শুধু ‘ত’ থাকে। যেমন:

√খ্যা + ক্ত = খ্যাত

√শম + ক্ত = শাক্ত

√পত্ + ক্ত = পতিত

√ঘীন + ক্ত = হীন

√জ্ঞান + ক্ত জ্ঞাত

√ক্লম + ক্ত = ক্লান্ত

√গম + ক্ত = গত

√নন + ক্ত = নষ্ট

√দীপ + ক্ত = দীপ্ত

√কৃ + ক্ত = কৃত

৬. ক্তি (তি) প্রত্যয় : ক্রিয়াবাচক বা ভাববাচ্যক বিশেষ্য অর্থে ধাতুর সঙ্গে ‘ক্তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয় দ্বারা শব্দ গঠন কালে ধাতুর প্রথম বর্ণ সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে এবং দ্বিতীয় বর্ণ লোপ পায়। যেমন:

√মুচ্ + ক্তি = মুক্তি

√দৃশ + ক্তি = দৃষ্টি

√কৃৎ + ক্তি = কীর্তি

√কৃষ + ক্তি = কৃষ্টি

√স্মৃতি + ক্তি = স্মৃতি

√সৃজ + ক্তি = সৃষ্টি

√শম + ক্তি = শান্তি

√বচ্ + ক্তি = উক্তি

√ভী + ক্তি = ভীতি

৭. যৎ (য) প্রত্যয় : কোন কিছু করা উচিত বা করার যোগ্য, এ অর্থে ধাতুর সাথে ‘যৎ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো সাধারণত বিশেষণ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পদ্ + যৎ = পদ্য

√জ্ঞান + যৎ = জ্ঞেয়

√সহ্ + যৎ = সহ্য

√দা + যৎ = দেয়

√গ্রহ্ + যৎ = গ্রাহ্য

√মন্ + যৎ = মান্য

√যুজ + যৎ = যোগ্য

√পূজ + যৎ = পূজ্য

√ধূ + যৎ = ধার্য

√পঠ + যৎ = পাঠ্য

৮. শানচ (মান) প্রত্যয় : ক্রিয়ার কাজ চলছে এ অর্থে ধাতুর অর্থে উত্তর কর্তৃ ও কর্মবাচ্যে ‘শানচ’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√চল্ + শানচ = চলমান

√বৃৎ + শানচ = বর্তমান

√বৃধ + শানচ = বর্ধমান

√দীপ + শানচ = দীপ্তমান

√মুহ্ + শানচ = মুহ্যমান

৯. ইষ্ণু-প্রত্যয় : শীলার্থে ধাতুর উত্তর ‘ইষ্ণু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√ক্ষি + ইষ্ণু = ক্ষয়িষ্ণু

√সহ্ + উষ্ণু = সহিষ্ণু

√চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

√বধ্ + ইষ্ণু = বর্ধিষ্ণু

১০. ণক (অক) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যে ‘করেন যিনি’ এ অর্থে ধাতুর উত্তর ‘ণক’ (অক) প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ণ’ লোপ পায় এবং ‘অক’ থাকে এবং প্রত্যয়সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + ণক = কারক

√শাস + ণক = শাসক

√পচ + ণক = পাচক

√যুজ + ণক = যোজক

√পো + ণক = পাবক

√দৃশ + ণক = দর্শক

১১. ণ্যৎ (য) প্রত্যয় : ‘উচিত বা যোগ্য অর্থে’ ঋ-কারান্ত ও ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো প্রধানত বিশেষণ (কখনও কখনও বিশেষ্য) হয়। যেমন:

√ত্যজ + ণ্যৎ = ত্যাজা

√লক্ষ + ণ্যৎ = লক্ষ্য

√গম + ণ্যৎ = গম্য

√কৃ + ণ্যৎ = কার্য

√ভজ + ণ্যৎ = ভাজ্য

√ধৃ + ণ্যৎ = ধার্য

১২. তৃচ, তৃণ (তা) প্রত্যয় : শীলার্থে, সম্যক বা জীবিকা অর্থে ধাতুর পরে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + তৃচ = কর্তা

√মা + তৃচ = মাতা

√ভ্রাজ + তৃচ = ভাতা

√দা + তৃচ = দাতা

√বচ্ + তৃচ = বক্তা

১৩. অনীয়-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষৎ অর্থে ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর অনীয় প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

√শুচ + অনীয় = শোচনীয়

√বৃ + অনীয় = বরণীয়

√দুশ + অনীয় = দর্শনীয়

√গুপ্ + অনীয় = গোপনীয়

√স্মৃ + অনীয় = স্মরণীয়

১৪. বর-প্রত্যয় : ‘শীল’ অর্থে কর্তৃবাচ্যের ‘বর’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ভাস্ + বর = ভাস্বর

√ঈশ্ + বর = ঈশ্বর

√নশ্ + বর = নশ্বর

√স্থা + বর = স্থাবর

১৫. নিন (ইন) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদ গুলো বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

√দা + নিন = দায়ী

√মন্ত্র + নিন = মন্ত্রী

√বদ + নিন = বাদী

√ত্যাগ + নিন = ত্যাগী

√স্থা + নিন = স্থায়ী

√পা + নিন = পায়ী

১৬. শতৃ (অৎ) প্রত্যয় : বর্তমান কালের কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। বাংলা ভাষায় এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√জীব্ + শতৃ = জীবৎ

√অস্ + শতৃ = অসৎ

√জল + শতৃ + জলৎ

√জাগ্ + শতৃ = জাগ্রৎ

√মহ + শতৃ = মহৎ

√চল + শতৃ = চলৎ

■ সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রী + অ = প্রিয়

ভূ + অন = ভবন

গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

গম্+ তি = গতি

পাল্ + ণক = পালক

বৃৎ + শানচ = বর্তমান

দা + তৃচ = দাতা

যাচ্ + আই = যাচাই

জীব্ + অ = জীব

চর + অন = চরণ

জি + ইন = জয়ী

কৃষ + তি = কৃষ্টি

ধূ + ণক = ধারক

দীপ + শানচ = দীপ্যমান

শ্রু + তৃচ = শ্রতা

হিনস্ + আ = হিংসা

পিপাস + অ = পিপাসা

দ্রু + অন = দ্রবণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাগী

দৃশ + তি = দৃষ্টি

পঠ্ + ণক = পাঠক

চল + শানচ = চলমান

যুধ + তৃচ = যোদ্ধা

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

প্র-শনস্ + আ = প্রশংসা

চুম্ব্ + অন = চুম্বন

যুজ্ + ইন = যোজী

সৃজ + তি = সৃষ্টি

হণ + ণক = ঘাতক

শুভ + শানচ = শোভমান

নী + তৃচ = নেতা

প্রচ্ছ + ন = প্রশ্ন

ভিক্ষ + আ = ভিক্ষা

কৃষ + অন = কর্ষণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাজী

শক্ + তি = শক্তি

শাস + ণক = শাসক

গম + তব্য = গন্তব্য

পা + তৃচ = পিতা

কৃ + মন = কর্ম

কথ্ + আ = কথা

শী + অন = শয়ন

দুট্ + ই = দুটি

খ্যা + তি = খ্যাতি

লিখ্ + ণক = লেখক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

লিখ্ + ইত = লিখিত

দৃশ্ + মান = দৃশ্যমান

জন্ + অক = জনক

দা + অন = দান

কৃষ্ + ই = কৃষি

মন + তি = মতি

কৃষ্ + ণক = কৃষক

কৃ + তব্য = কর্তব্য

লভ্ + য = লভ্য

বস্ + ত্র = বস্ত্র

মুড়্ + অক = মোড়ক

জ্ঞা + অন = জ্ঞান

দূষ + ই = দোষী

কৃৎ + তি = কীর্তি

কৃ + ণক = কারক

দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

বচ্ + য = বাচ্য, বাক্য

বৃৎ + মান = বর্তমান

নি + অক = নায়ক

তপ্ + অন = তপন

দীপ + ত = দীপ্ত

গৈ + তি = গীতি

দৃশ + ণক = দর্শক

মন + তব্য = মন্তব্য

হন্ + য = হত্যা

হন + তৃ = হন্তা

নৃৎ + অক = নর্তক

বদ্ + অন = বদন

রমজ্ + ত = রক্ত

কৃ + তি = কৃতি

গৈ + ণক = গায়ক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

সহ্ + য = সহা

অস + শতৃ = অসৎ

গৈ + অক = গায়ক

দৃশ্ + অন = দর্শন

ধৃ + ত = ধৃত

বচ্ + তি = উক্তি

নশ + ণক = নাশক

কৃ + তৃচ্ = কর্তা

হস্ + য = হাস্য

মহ + শতৃ = মহৎ

কৃ + অক = কারক

নী + অন = নয়ন

হন্ + ত = হত

বুধ + তি = বুদ্ধি

মৃ + অনট্ = মরণ

বচ্ + তৃচ = বক্তা

কৃ + য = কার্য

গৈনী + অন = গান

শী + আন = শয়ন

নী + তি = নীতি

কৃ + ত = কৃত

দা + তৃচ = দাতা

স্মৃ + অনট্ = স্মরণ

দয় + আলু = দয়ালু

বাচ্ + মিন = বাগ্মী

বিদ্ + অন = বেদন

শ্রু + অন = শ্রবণ

পচ্ + ণক = পাচক

গম্ + ত = গত

নী + তৃচ = নেতা

গম্ + অনট্ = গমন

দৃশ + অনীয় = দর্শনীয়

চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

পত + অন = পতন

ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত

ক্লিশ্ + ত = ক্লিষ্ট

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

শ্রু + অনট্ = শ্রবণ

ফল্ + অন্ত = ফলন্ত

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

বংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় বহুবিধ। যেমন: অই, অক, অল, আই, আচ, আ, অন, আইত, আরি, আরী, আচি, আর, আরু, আলি, আল, ই, ঈ, ইয়া, (এ), কর, কার, ওয়া, উলি, উকি, গিরি, টিয়া, (ট), টা, জাত, পনা, না, তা, দার, ড়া, ময়, ভর, পানা ইত্যাদি। এগুলো বাংলা মূল শব্দের পরে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

১.অ-প্রত্যয় : অনুকার শব্দের শেষে বা নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা বস্তু বুঝাতে অ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

ঢল + অ = ঢল ˃ ঢলো

শিব + অ = শিব ˃ শিবো

মূল + অ = মূল ˃ মূলো

কাল + অ = কাল ˃ কালো

২. আ-প্রত্যয় : স্বার্থে, আছে অর্থে, জাত বা উৎপন্ন অর্থে, অবজ্ঞা প্রকাশার্থে, বৃহদার্থে ও বিশেষণে পরিণত করতে আ-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চাক + আ = চাকা

চাষ + আ = চাষা

ঘোড় + আ = ঘোড়া

জঙ্গ + আ = জঙ্গলা

জ্বল + আ = জ্বলা

শ্যাম + আ = শ্যামা

চাঁদ + আ = চাঁদা

ঠোঙ + আ = ঠোঙা

চীন + আ = চীনা

ফাঁক + আ = ফাঁকা

৩. অই-প্রত্যয় : পাঁচ থেকে আঠার পর্যন্ত তারিখ বুঝাতে অই-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পাঁচ + অই = পাঁচই

আঠার + অই = আঠারই

সাত + অই = সাতই

তের + অই = তেরই

৪. অট (ট), আটিয়া (টিয়া, টে) প্রত্যয় : সংশ্লিষ্ট বস্তু অর্থে বা সাদৃশ্য অর্থে বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মলা + অট = মলাট

রোগ + টে = রোগেটে

তুলা ˃ তুল + অট = তুলট

তামা + টিয়া = তামাটিয়া ˃ তামাটে

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ভরা + অট = ভরাট

লম্বা + টিয়া = লম্বাটিয়া ˃ লম্বাটে

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

৫. আ আনো-প্রত্যয় : আন আনো প্রত্যয়ান্ত শবদটি বিশেষণ হয়। যেমন:

হাত + আন = হাতান ˃ হাতানো

জুত + আন = জুতান ˃ জুতানো

বেত + আন = বেতান ˃ বেতানো

যোগ + আন = যোগান ˃ যোগানো

৬. আনি-প্রত্যয় : ভাবার্থে, কার্যার্থে, স্বার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষ্য হয়। যেমন:

বক বক + আনি = বকবকানি

তল + আনি = তলানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

কাতর + আনি = কাতরানি

হাঁপ + আনি = হাঁপানি

৭. আই-প্রত্যয় : আই-প্রত্যয় বিভিন্নঅর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ক. বিশেষ্য পদ গঠনে (আদরার্থে) :

নিম + আই = নিমাই

বল + আই = বলাই

কান + আই = কানাই

মধু + আই = মাধাই

খ. বিশেষ্য পদ গঠনে (ভাবার্থে) :

লম্ব + আই = লম্বাই

বড় + আই = বড়াই

চড়া + আই = চড়াই

খাড়া + আই = খাড়াই

গ. বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে (কর্ম অর্থে) :

বাঁধ + আই = বাঁধাই

কাম + আই = কামাই

সাফ + আই = সাফাই

চোর + আই = চোরাই

ঘ. বিশেষ্য পদ গঠনে (উৎপন্ন অর্থে)

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ধান + আই = ধানাই

মোগল + আই = মেগলাই

ঙ. বিশেষ্য পদ গঠনে (সম্বন্ধ অর্থে)

বোন + আই = বোনাই

মিঠা + আই = মিঠাই

ননদ + আই = ননদাই

জেঠা + আই = জেঠাই

৮. আমি (মি) প্রত্যয় : ভাব বা কাজ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

পাক্য + আমি = পাকামি

গোঁড়া + আমি = গোঁড়ামি

পাগল + আমি = পাগলামি

ফাজিল + আমি = ফাজলামি

৯. আলি, আলী-প্রত্যয় : সম্বন্ধ বা সাদৃশ্য অর্থে এবং ভাবার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

চতুর + আলী = চতুরালী

ঘটক + আলি = ঘটকালি

সোনা + আলি = সোনালি

ভাটি + আলি = ভাটিয়ালি

মেয়ে + আলী = মেয়েলী

রূপা + আলি = রূপালি

১০. আচ, আচি-প্রত্যয় : এ প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

বেঙ + অচি = বেঙাচি

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

ধুনা + আচি = ধুনাচি

কান + আচ = কানাচ

১১. আর, আরি, আরী-প্রত্যয় : ব্যবসা, পেশা বা বৃত্তি বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

সুত + আর = সুতার

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

কাট + আরি = কাটারি

ঝি + আরী = জিয়ারী

রকম + আরি = রকমারি

১২. ইয়া এ-প্রত্যয় : সংযোগ বা সম্বন্ধ বুঝাতে ইয়া এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

মোট + ইয়া = মুটিয়া ˃ মুটে

জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

বালি + ইয়া = বালিয়া ˃ বেলে

পাহাড় + ইয়া = পাহাড়িয়া ˃ পাহারে

আষাঢ় + ইয়া = আষাঢ়িয়া ˃ আষাঢ়ে

১৩. ই, ঈ-প্রত্যয় : ভিন্নার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন-

ক. ভাব অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে ঃ

সওদাগর + ই = সওদাগরি

বাহাদুর + ই = বাহাদুরি

উমেদার + ই = উমেদারি

খ. পেশা বা বৃত্তি অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষণ হয়ঃ

চাষ + ঈ = চাষী

ব্যাপর + ঈ = ব্যাপারী

রাখাল + ঈ = রাখালী

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পোদ্ধার + ঈ = পোদ্ধারী

ডাক্তার + ঈ = ডাক্তারী

গ. জাত, আগত, বা সম্বন্ধ অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে

গুজরাট + ঈ = গুজরাটী

বিলাত = ঈ = বিরাতী

পসার + ঈ = পসারী

পাঞ্জাব + ঈ = পাঞ্জাবী

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রেমম + ঈ = রেশমী

ঘ. মালিক অর্থে

দোকান + ঈ = দোকানী

জমিদার + ঈ = জমিদারী

১৪. উয়া ও-প্রত্যয় : বিশেষণার্থে, সম্বন্ধ বা সংযোগ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষন হয়। যেমন:

পট + উয়া = পটুয়া ˃ পটো

মাছ + উযা = মাছুয়া ˃ মেছো

জড় + উয়া = ঝড়-য়া ˃ ঝড়ো

মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

১৫. উ, উক-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

হিংসা + উক = হিংসুক

সাঁতার + উ = সাঁতারু

ভাব + উক = ভাববুক

নীচু + উ = নীচু

মিশ + উক = মিমুক

১৬. উড়িয়া উড়ে প্রত্যয় : প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

খেলা + উড়িয়া = খেলুড়িয়া ˃ খেলুড়ে

হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

চাষা + উড়িয়া = চাষাড়িয়া ˃ চাষাড়ে

১৭. বন্ত, মন্ত-প্রত্যয় : আছে অর্থে ও যুক্ত অর্থে বন্ত, মন্ত প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

শ্রী + মন্ত = শ্রীমন্ত

ভাগ্য + বন্ত = ভাগ্যবন্ত

বুদ্ধি = মন্ত = বুদ্ধিমন্ত

গুণ + বন্ত = গুণবন্ত

পয় + মন্ত = পয়মন্ত

১৮. ভর, ভরা-প্রত্যয় : পূর্ণতা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

দিন + বর = দিনভর

গাল + ভরা = গালভরা

রাত + ভর = রাতভর

১৯. ত, তা, তি- প্রত্যয় : আত্মীয় ও ভাবার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খালা + ত = খালাত

সম + তা = সমতা

মামা + ত = মামাত

চাক + তি = চাকতি

ধর + তা = ধরতা

জাল + তি = জালতি

২০. কা-প্রত্যয় : সাদৃশ্য বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ঘাল + কা = হালকা

দম + কা = দমকা

২১. কার-প্রত্যয় : স্বরবর্ণের চিহ্ন বুঝাতে এবং সম্পর্কিত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

আ + কার = আকার

উপর + কার = উপরকার

উ + কার = উকার

ভিতর + কার = ভিতরকার

২২. পানা, পারা-প্রত্যয় : সাদৃশ হতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

লম্বা + পানা = লম্বাপানা

চাঁদ + পারা = চাঁদপারা

চাঁদ + পানা = চাঁদপানা

পাগল + পারা = পাঘলপারা

কুলো + পনা = কুলোপানা

২৩. পনা-প্রত্যয় : ভাব বা আচরণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সতী + পনা = সতীপনা

দুরন্ত + পনা = দুরন্তপনা

গুন + পনা = গুণপনা

বীর + পনা = বীরপনা

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

গৃহিণী + পনা = গৃহিণীপনা

২৪. টা, টি-প্রত্যয় : নির্দিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

নেং + টা = নেংটা

কলম + টি = কলমটি

ডাল + টা = ডালটা

ছিপ্ + টি = ছিপটি

২৫. ন, না-প্রত্যয় : সম্পর্কীয় এবং বিশিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মিতা + ন = মিতান

ফাৎ + না = ফাৎনা

বেহাই + ন = বেহাইন

দাল + না = দালনা

২৬. উ, উলী-প্রত্যয় : আদর প্রকাশ করতে ও ক্ষুদ্রতা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খোকা + উ = খুকু

আধ + উলী = আধুলী

দুষ্ট + উ = দুষ্টু

হাঁস + উলী = হাঁসুলী

২৭. স, সী-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও সৌন্দর্য অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ফান + স = ফানুস

রূপ + সী = রূপসী

খোল + স = খোলস

২৮. অল-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও স্বার্থে ‘অল’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

হাত + অল = হাতল

বাদ + অল = বাদল

মাথা + অল = মাথাল

তাত + অল = তাতল

২৯. আইত-প্রত্যয় : আছে অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পোয়া + আইত = পোয়াইত

সেবা + আইত = সেবাইত

৩০. ময়-প্রতয় :

ঘর + ময় = ঘরময়

গ্রাম + ময় = গ্রামময়

বাড়ি + ময় = বাড়িময়

শহর + ময় = শহরময়

কাদা + ময় = কাদাময়

জল + ময় = জলময়

৩১. ড়, ড়া, ড়ী-প্রত্যয় :

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

খাগ + ড়া = খাগড়া

আছ + ড় = আছড়

চাম + ড়া = চামড়া

পাগ + ড়ী = পাগড়ী

৩২. ওয়া-প্রত্যয় :

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

পর + ওয়া = পরোয়া

চাঁদ + ওয়া = চাঁদোয়া

■ বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

হাত + আ = হাতা

ধ্রুপদ + ঈ = ধ্রুপদী

ভাটি + আল = ভাটিয়াল

ভিখ + আরী = ভিখারী

পো + লা = পোলা

রাজ + ড়া = রাজড়া

পাত = আ = পাতা

চাষ + ঈ = চাষী

বঙ্গ + আল = বাঙ্গাল

ঝি + আরী = ঝিয়ারী

মঘ + লা = মেঘলা

ফর + সা = ফরসা

পাগল + আ = পাগলা

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রস + আল = রসাল

মাঝ + আরি = মাঝারি

কাম + লা = কামলা

গাছ + ড়া = গাছড়া

চাঁদ + আ = চাঁদা

চালাক + ঈ = চালাকী

ধার + আল = ধারাল

দাপ + অট = দাপট

মি + আলী = মিতালী

লাল + চে = লালচে

এক + আ = একা

মরমা + ঈ = মরমী

নাক + আনি = নাকানি

মলা + অট = মলাট

ঘটক + আলি = ঘটকালী

ঘাম + চি = ঘামাচি

রঙ + আ = রাঙা

শিকার + ঈ = শিকারী

আম + আনি = আমানি

শুখা + টি = শুখটি ˃ শুটকি

জল + ওয়া = জলো

বেঙ + চি = বেঙাচি

চাকর + ই = চাকরি

খোকা + উ = খুকু

বড় + আই = বড়াই

নেহ + টা = নেহটা

গাঁ + ওয়া = গাঁওয়া ˃ গেঁয়ো

জন + পিছু = জনপিছু

গোল + ই = গুলি

চাল + উ = চালু

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ঘোলা + টে = ঘোলাটে

টাক + ওয়া = টেকো

গো + রু = গোরু

ছোরা + ই = ছুরি

সাঁতার + উ = সাঁতারু

মিঠা + আই = মিঠাই

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

বোম + আরু = বোমারু

কাঠ + ই = কাঠি

হাত + অল = হাতল

চোর + আই = চোরাই

খে + টা = খেমটা

বন + উয়া = বুনো

ছাত + আ = ছাতা

চালাক + ই = চালাকি

লাঠি + আল = লাঠিয়াল

আঠার + অই = আঠারই

হিম + এল = হিমেল

লাজ + উক = লাজুক

পিছ + অন = পিছন

বাঙ্গল + ই = বাঙ্গালি

দুধ + আল = দুধাল

পেট + উক = পেটুক

সুর + এলা = সুরেলা

দিন + ভর = দিনভর

এক + হারা = একহারা

পশম + ই = পশমী

আড় + আল = আড়াল

ছেলে + আমি = ছেলেমি

ঝাম + এলা = ঝামেলা

রাত + বর = রাতভর

মানান + সই = মানানসই

পোঁথা + ই = পুঁথি

দাঁত + আল = দাঁতাল

বোকা + আমি = বোকামি

আগ + ল = আগল

পান + ওয়ালা = পানওয়ালা

পাত + লা = পাতলা

দালাল + ই = দালালি

ধার + অল = ধারাল

ঘর + আমি + ঘরামি

হাট + উড়িয়া = হাটুড়িয়া

বাড়ি + ওয়ালা = বাড়িওয়ালা

কোঠ + রী = কোঠরী

জমিদার + ই = জমিদারি

গাজ + অর = গাজর

পাগল + আমি = পাগলামি

সাব + আড় = সাবাড়

শহর + ইয়া বা এ = শহুরে

মাসী + তুত = মাসতুত

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পেচা + আন = পেচান

আমোদ + এ = আমুদে

ভাগ + আড় = ভাগাড়

দরদ + ঈ = দরদী

সতী + ন = সতীন

দুষ্ট + আমি = দুষ্টামি

জুতা + আনো = জুতানো

জেঠা + ত = জেঠাত

কাঠ + আমো = কাঠামো

রাখাল + ঈ = রাখালী

মাতা + পিছু = মাথাপিছু

চাম + আর = চামার

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

মামা + ত = মামাত

বোমা + আরু = বোমারু

দেশ + ঈ = দেশী

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

সোনা + আর = সোনার

সেবা + ইত = সেবাইত

বীর + পনা = বীরপনা

চমক + ইত = মেকিত

করাত + ঈ = করাতী

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

ভাঁড় + আর = ভাড়ার

হাত + ইয়ার = হাতিয়ার

ঢোল + ক = ঢোলক

কালা + গোছের = কালাগোছের

দর্শন + ঈ = দর্শনী

দেশ + ময় = দেশময়

সুতা + আর = সুতার

কুঠি + ইয়াল = কুঠিয়াল

দম + কা = দমকা

গুদাম + জাত = গুদামজাত

হিসাব + ঈ = হিসাবী

পেট + রা = পেটরা

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

লাঠি + ইয়াল = লাঠিয়াল

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া

দোকান + ঈ = দোকানী

তবলা + চী = তবলচী

পূজা + আরী = পূজারী

কুঁচ + কে = কুঁচকে

জুয়া + ড়ি = জুয়াড়ি

বই + ঠা = বইঠা

শান্তিপুর + ঈ = শান্তিপুরী

নেশা + খোর = নেশাখোর

মশা + আরি = মশারী

শত + কিয়া = শতকিয়া

মুখ + স = মুখশ ˃ মুখোশ

চাচা + ত = চাচাত

চাল + তি = চলতি

সওদা + গর = সওদাগর

হুকুম + নামা = হুকুমনামা

বিতর + কার = ভিতরকার

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

ষ, ষিক, ইমন, ইলচ, ইন, ষ্ণীয়, তা, ত্ব, তর, তম, ঈয়স, ইষ্ট, বতুপ, মতুপ, বিন, ও, ষ্ণ্য, লচ, আলু ইত্যাদি প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। এ প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত মূল শব্দে পরে বসে। যেমন:

১. ষ (অ) প্রত্যয় : ষ-প্রত্যয় যে শব্দের সাথে যুক্ত হয়, তার মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়:

ক. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘অ’ স্থানে ‘আ’ হয়। যেমন:

বস্তু + ষ্ণ = বাস্তব

মনু + ষ্ণ = মানব

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

যদু + ষ্ণ = যাদব

ভরত + ষ্ণ = ভারত

শরৎ + ষ্ণ = শারদ

খ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ই, ঈ এ স্থানে ঐ হয়। যেমন:

হেম + ষ্ণ = হৈম

স্ত্রী + ষ্ণ = স্ত্রৈণ

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

গ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘ঋ’ স্থানে ‘আর’ হয়। যেমন:

ঋষি + ষ্ণ = আর্য

ঘ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে উ, ঊ , ও স্থানে ঔ হয়। যেমন:

চোর + ষ্ণ = চৌর

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

বুদ্ধ + ষ্ণ = বৌদ্ধ

গরু + ষ্ণ = গৌরব

২. ষ্ণি (ই) প্রত্যয় : ‘ই’ যোগ হয় এবং মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যেমন:

দশরথ + ষ্ণি = দাশরথি (অ-স্থলে আ)

সুমিত্রা + ষ্ণি = সৌমিত্রি (উ-স্থলে ঔ)

৩. ষ্ণিক (ইক) প্রত্যয় : দক্ষ বা সম্বন্ধীয় অর্থে বিশেষ্যের উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ পদ গঠিত হয় এবং মূল স্বর বৃদ্ধি পায়। যেমন:

বেদ + ষ্ণিক = বৈদিক (এ স্থলে ঐ)

বচন + ষ্ণিক = বাচনিক (অ স্থলে আ)

বিমান + ষ্ণিক = বৈমানিক (ই স্থলে ঐ)

বেতন + ষ্ণিক = বৈতনিক (এ স্থলে ঐ)

৪. ইমন (ইমা) প্রত্যয় : ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নীল + ইমন = নীলিমা

কাল + ইমন = কালিমা

চন্দ্র + ইমন = চন্দ্রিমা

রক্ত + ইমন = রক্তিমা

৫. ইন্ (ঈ) প্রত্যয় : সাধারণত বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমণ:

জ্ঞান + ইন্ = জ্ঞানী

গুণ + ইন = গুণী

মান + ইন = মানী

প্রাণ + ইন = প্রণী

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কর্তৃকারকের এক বচনে ইন্-প্রত্যয় ‘ঈ’ রূপ গ্রহণ করে।

৬. ষ্ণেয় (এয়) প্রত্যয় : অপত্য ও ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অগ্নি + ষ্ণেয় = আগ্নেয়

ভাগনী + ষ্ণেয় = ভাগ্নেয়

পথ + ষ্ণেয় = পাথেয়

গঙ্গা + ষ্ণেয় = গাঙ্গেয়

৭. ষ্ণীয় (ঈয়) প্রত্যয় : সম্বন্ধ অর্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

স্বর্গ + ষ্ণীয় = স্বর্গীয়

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

দল + ষ্ণীয় = দলীয়

৮. ইতচ (ইত) প্রত্যয় : ‘আছে’ ও ‘জাত’ অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

মূর্ছা + ইতচ্ = মূর্ছিত

নিদ্রা + ইতচ্ = নিদ্রিত

লজ্জা + ইতচ্ = লজ্জিত

কুসুম + ইতচ্ = কুসুমিত

৯. ইলচ (ইল) প্রত্যয় : উপকরণ জাত অর্থে ইলচ (ইল) প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

সর্প + ইলচ = সর্পিল

উর্মি + ইলচ = উর্মিল

কুট + ইলচ = কুটিল

পঙ্ক + ইলচ = পঙ্কিল

১০. ষ্ণ্য (য) প্রত্যয় : ‘য’ যোগ হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

কুমার + ষ্ণ্য = কৌমার্য (উ স্থলে ঔ)

ধীর + ষ্ণ্য = ধৈর্য (ঈ স্থলে ঐ)

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য (ই স্থলে ঔ)

স্থির + ষ্ণ্য = স্থৈর্য ( ই স্থলে ঐ)

১১.আলু-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে বিশেষ্যের সঙ্গে আলু প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ গঠিত হয়। যেমন:

দয়া + আলু = দয়ালু

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

ভাব + আলু = ভাবালু

স্বপ্ন + আলু = স্বপ্নালু

১২. ঈন-প্রত্যয় : ভাব অর্থে ‘ঈন’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অভ্যন্তর + ঈন = অভ্যন্তরীণ

তৎকাল + ঈন = তৎকালীন

সম্মুখ + ঈন = সম্মুখীন

নব = ঈন = নবীন

১৩. লচ (ল) প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং ‘লচ’ প্রত্যয়ের ‘ল’ যোগ হয়। যেমন:

পিঙ্গ + লচ = পিঙ্গল

শ্যাম + লচ = শ্যামল

কুশ + লচ = কুশল

মাংস + লচ = মাংসল

শীত + লচ = শীতল

বৎস + লচ = বৎসল

১৪. বতুপ, মাতুপ-প্রত্যয় : বতুপ (বৎ) এবং মাতুপ (মৎ) প্রত্যয় প্রথমার একবচনে যথাক্রমে ‘বা’ ও ‘মান’ হয়। বিশেষণ গঠনে বতুপ ও মাতুপ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ভাগ্য + বতুপ = ভাগ্যবান

বুদ্ধি + বতুপ = বুদ্ধিমান

ধন + বতুপ = ধনবান

শ্রী + মতুপ = শ্রীমান

পুণ্য + বতুপ = পুণ্যবান

শক্তি + মতুপ = শক্তিমান

১৫. তর, তম-প্রত্যয়ঃ অতিশায়নে ‘তর’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমনÑ

প্রিয় + তর = প্রিয়তর

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

অধিক + তম = অধিকতম

১৬. বিন (বী) প্রত্যয়ঃ এ প্রত্যয় বিশেষণ গঠনে যুক্ত হয়। যেমনÑ

মায়া + বিন = মায়াবী

যশস্ + বিন = যশস্বী

তপস্ + বিন = তপস্বী

মেধা + বিন = মেধাবী

তেজস্ + বিন = তেজস্বী

মনস + বিন = মনস্বী

১৭. ঈয়স, ইষ্ঠ-প্রত্যয়ঃ দুয়ের মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ঈয়স’ এবং বহুর মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ইষ্ঠ’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

লঘু + ঈয়স = লঘীমান

বল + ইষ্ঠ = বলিষ্ঠ

গুরু + ঈয়স = গরীয়ান

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ট

১৮. র-প্রত্যয়ঃ আছে অর্থে ‘র’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রথ্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন

নখ + র = নখর

মুখ + র = মুখর

শিখ + র = শিখর

কুঞ্জ + র = কুঞ্জর

উষ + র = উষরমধু + র = মধুর

১৯. ত্ব-প্রত্যয়ঃ ভাব বা গুণ বুঝাতে বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমনÑ

সতী + ত্ব = সতীত্ব

স্বল্প + ত্ব = স্বল্পত্ব

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

মহৎ + ত্ব = মহত্ত্ব

পশু + ত্ব = পশুত্ব

দাস + ত্ব = দাসত্ব

২০. তা-প্রত্যয়: ভাব, গুণ, বৃত্তি অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

জন + তা = জনতা

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সাধু + তা = সাধুতা

অলস + তা = অলসতা

সচল = তা = সচলতা

সৎ + তা = সততা

চঞ্চল + তা = চঞ্চলতা

প্রাচীন + তা = প্রাচীনতা

জটিল + তা = জটিলতা

■ সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়ের উদাহরণ

প্রকৃতি ও প্রত্যয় = শব্দ

মানব + ষ্ণ = মানব

সময় + ষ্ণিক = সাময়িক

পল্লব + ইত = পল্লবিত

দুগিত্ব + ষ্ণ = দৌহিত্র

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

ফেন + ইল = ফেনিল

বস্ত + ষ্ণ = বাস্তব

মানস + ষ্ণিক = মানসিক

পঙ্ক + ইল = পঙ্কিল

নিশা + ষ্ণ = নৈশ

ধর্ম + ষ্ণিক = ধার্মিক

অদঃ + তন = অধস্তন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

সময় + ষ্ণক = সাময়িক

ঊর্ধ্ব + তণ = ঊর্ধ্বতন

অলস + ষ্ণ = আলসা

লোক + ষ্ণিক = লৌকিক

পুরা + তন = পুরাতন

বন + ষ্ণ = বন্যা

নীতি + ষ্ণিক = নৈতিক

প্রাক + তন = প্রাক্তন

পুত্র + ষ্ণ = পৌত্র

মানব + ষ্ণিক = মাববিক

বিজ্ঞান + ইক = বৈজ্ঞানিক

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

সাধু + তা = সাধুতা

প্রাচ + যক = প্রাচ্য

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সেনা + য = সৈন্য

গম্ভীর + ষ্ণ = গাম্ভীর্য

মম + তা = মমতা

তালু + যক = তালব্য

সখা + ষ্ণ = সখ্য

অলস + তা = অলসতা

জল + ময় = জলময়

ছাত্র + ষ্ণ = ছাত্র

দৃঢ় + তা = দৃঢ়তা

বাক + ময় = বাক্সময়

মুনি + ষ্ণ = মৌন

বক্তৃ + তা = বক্তৃতা

লৌহ + ময় = লৌহময়

দনু + ষ্ণ = দানব

লঘু + তা = লঘুতা

মৃদ + ময় = মৃন্ময়

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য

ভদ্র + তা = ভদ্রতা

চিৎ + ময় = চিন্ময়

গ্রাম + ষ্ণ = গ্রাম্য

নীচ + তা = নীচতা

গুণ + ময়ট্ = গুণময়

মধুর + ষ্ণ = মাধুর্য

এক + তা = একতা

তদ্ + ময় = তন্ময়

তিল + ষ্ণ = তৈল

কবি + তা = কবিতা

পথ + এয় = পাথের

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

স্বাধীন + তা = স্বাধীনতা

গুরু + ইমন = গরীমা

পৃথিবী + ষ্ণ = পার্থিব

নেতৃ + ত্ব = নেতৃত্ব

লঘু + ইমন = লঘিমা

কিশোর + ষ্ণ = কৈশোর

স্ব + ত্ব = স্বত্ব

নীল + ইমন = নীলিমা

বার্ধক + ষ্ণ = বার্ধক্য

মম + ত্ব = মমত্ব

জ্ঞান + বতুপ = জ্ঞানবান

সভা + ষ্ণ = সভ্য

কৃতি + ত্ব = কৃতিত্ব

বুদ্ধি + মতুপ = বুদ্ধিমান

ভাস্কর + ষ্ণ = ভাস্কর্য

বীর + ত্ব = বীরত্ব

গুণ + বতুপ = গুণবান

দশরথ + ষ্ণ = দাশরথি

এক + ত্ব = একত্ব

শীত + ল = শীতল

লঘু + ষ্ণ = লাঘব

ব্যাক্তি + ত্ব = ব্যক্তিত্ব

নব + ঈন = নবীন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

বিমাতা + ষ্ণেয় = বৈমাত্রেয়

সুজন + ষ্ণ = সৌজন্য

বন্ধু + ত্ব = বন্ধুত্ব

স্ব + ঈয় = স্বীয়

মনু + ষ্ণ = মনুষ্য

বৃহৎ + তর = বৃহত্তর

মধু + র = মধুর

প্রমাণ + ষ্ণ = প্রামাণ্য

লঘু + তর = লঘুতর

আদি + যক = আদ্য

রাবণ + ষ্ণ = রাবণি

উচ্চ + তর = উচ্চতর

আত্ম + বৎ = আত্মবৎ

চক্ষু + ষ্ণ = চাক্ষুস

অন্য + তম = অন্যতম

ক্ষুধা + ইত = ক্ষুধিত

স্থির + ষ্ণ = স্থৈর্য

দ্রুত + তম = দ্রুততম

শ্রেয়স + ইষ্ঠ = শ্রেষ্ঠ

ধীর + ষ্ণ = ধৈর্য

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

রোম + শ = রোমশ

সেনা + ষ্ণ = সৈন্য

গ্রাম + ইন = গ্রামীণ

মেধা + বিন = মেধাবী

নগর + ষ্ণিক = নাগরিক

কিম + চিত = কিঞ্চিত

দেহ + ষ্ণীয় = দৈহিক

রোগ + ইন = রোগী

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

বর্ষ + ষ্ণীয় = বার্ষিক

পক্ষ + ইন = পক্ষী

গুণ + ইন = গুণী

দেহ + ষ্ণীয় = দৈনিক

কুল + ঈন = পাখি

লজ্জা + ইন = লজ্জিত

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

জটা + ইল = জটিল

মাংসা + ল = মাংসল

লোক + ষ্ণীয় = লৌকিক

রোগ + ইন = রোগী

বল + বাল = বলবান

দীর্ঘ + তম = দীর্ঘতম

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ঠ

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

বৃহৎ + তম = বৃহত্তম

মুখ + র = মুখর

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

সর্ব + দা = সর্বদা

মধু + র = মধুর

শ্যাম + ল = শ্যামল

দয়া + আলু = দয়ালু

পিতৃ + বৎ = পিতৃব্য

বাঙ্গাল + ই = বাঙ্গালি

রোম + শ = রোমশ

মধ্য + ম = মধ্যম

মনস + ঈষা = মনীষা

কর্ক + শ = কর্কশ

এক + দা = একদা

লঘু + ইষ্ঠ = লঘিষ্ঠ

লোক + শ = লোমশ

আদি + ম = আদিম

বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়

বিদেশী প্রত্যয় বলতে বিশেষত ফারসি ভাষা থেকে আগত প্রত্যয়গুলোকেই বুঝায়। আনা, ওয়ালা, নবীশ, সই, দান (দানী),খানা, আনি, ওয়ান, গিরি, বন্দী, নামা, বাজ, প্রত্যয়সমূহই বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়। নিচে বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ দেওয়া হল ঃ

১. আনা -প্রত্যয়ঃ ভাব বা সম্পর্কীয় মুদ্রা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

গরিব + আনা = গরিবানা

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

মুন্সি + আনা = মুন্সিয়ানা

মালিক + আনা = মালিকানা

নজর + আনা = নজরানা

মোহর + আনা = মোহরানা

২. আনি-প্রত্যয়ঃ ভাব ও কার্য বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কাতর + আনি = কাতরানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

তল + আনি = তলানি

৩. ওয়ান-প্রত্যয়ঃ কার্য বা পেশা বুঝাতে ‘ওয়ান’ প্রত্যয় ব্যহৃত হয়। যেমন:

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

(দ্বার) দার + ওয়ান = দারোয়ান

কোচ + ওয়ান = কোচোয়ান

পাল + ওয়ান = পালোয়ান

৪. ওয়ালা-প্রত্যয়ঃ মালিকানা অর্থে এ প্রত্যয়ের ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চুড়ি + ওয়ালা = চুড়িুয়ালা

দুধ + ওয়ালা = দুধওয়ালা

ফেরি + ওয়ালা = ফেরিওয়ালা

গাড়ি + ওয়ালা = গাড়িওয়ালা

৫. খানা-প্রত্যয়ঃ স্থান বা দোকান বোঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চিড়িয়া + খানা = চিড়িয়াখানা

কয়েদ + খানা = কয়েদখানা

বৈঠক + খানা = বৈঠকখানা

কসাই + খানা = কসাইখানা

ছাপা + খান = ছাপাখানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

৬. গর-প্রত্যয়ঃ নির্মাণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সওদা + গর = সওদাগর

বাজি + গর = বাজিগর

কারি + গর = কারিগর

৭. গিরি-প্রত্যয়ঃ ভাব বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

গোয়েন্দা + গিরি = গোয়েন্দাগিরি

বাবু + গিরি = বাবুগিরি

মুটে + গিরি = মুটেগিরি

৮. খোর-প্রত্যয়ঃ নিন্দিত দ্রব্য সেবনকারী বা গ্রহণকারী অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নেশা + খোর = নেশাখোর

চশম + খোর = চশমখোর

হারাম + খোর = হারামখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

৯. বাজ, বাজি-প্রত্যয়ঃ অভ্যস্থ বা নিন্দিত কার্য অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

ধোঁকা + বাজ = ধোঁকাবাজ

গলা + বাজ = গলাবাজ

গল্প + বাজ = গল্পবাজ

আপ্পা + বাজি = ধাপ্পাবাজি

নকল + বাজ = নকলবাজ

গুন্ডা + বাজি = গুন্ডাবাজি

১০. নার, নারি-প্রত্যয়ঃ মালিকানা, ব্যবসায় বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা কখনও কখনও বিশেষণও হয়। যেমন:

চৌকি + দার = চৌকিদার

দোকান + দারি = দোকানদারি

চটক + দার = চটকদার

জমি + দারি = জমিদারি

পেশা + দার = পেশাদার

তালুক + দারি = তালুকদারি

১১. চা-প্রত্যয়ঃ ক্ষুদ্র অর্থে ‘চা’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চাম + চা = চামচা

বাগ + চা = বাগচা

নলি + চা = নলিচা

গালি + চা = গালিচা

১২. চি-প্রত্যয়ঃ আধার অর্থে ‘চি’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

মশাল + চি = মশালচি

ধুনা + চি = ধুনাচি

ধুপ + চি = ধুপচি

কলম + চি = কলমচি

১৩. সই-প্রত্যয়ঃ যোগ্য, উপযুক্ত, প্রমাণ ও পরিমাণ অর্থে ‘সই’-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চলন + সই = চলনসই

মানান + সই = মানানসই

টেক + সই = টেকসই

মাপ + সই = মাপসই

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘টিপসই’ ও ‘নামসই’ শব্দ দুটির ‘সই’ শব্দটি প্রত্যয় নয়। কারণ এটি সহি (স্বাক্ষর) শব্দ থেকে উৎপন্ন ‘সই’ হয়।

১৪. দান, দানি-প্রত্যয়: আধার অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

ফুল + দানি = ফুলদানি

বাতি + দান = বাতিদান

ছাই + দান = ছাইদান

আতর + দান = আতরদান

পিক + দান = পিকদান

কলম + দান = কলমদান

১৫. বন্দ, বন্দী-প্রত্যয়ঃ বন্ধ বা গৃহীত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কোমর + বন্দ = কোমরবন্দ

জবান + বন্দী = জবানবন্দী

নজর + বন্দ = নজরবন্দ

বাক্স + বন্দী = বাক্সবন্দী

১৬. নবীশ-প্রত্যয়ঃ অভিজ্ঞ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

হিসাব + নবীশ = হিসাবনবীশ

পত্র + নবীশ = পত্রনবীশ

শিক্ষা + নবীশ = শিক্ষানবীশ

নকল + নবীশ = নকলনবীশ

১৭. নামা-প্রত্যয়ঃ দলিল অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ওকালত + নামা = ওকালতনামা

ওসিয়ত + নামা = ওসিয়তনামা

■ বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

আতর + দান = আতরদান

পাওনা + দার = পাওনাদার

নজর + আনা = নজরানা

গোসল + খানা = গোসলখানা

খবর + দার = খবরদার

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

জেল + খানা = জেলখানা

অংশী + দার = অংশীদার

বিবি + আনা = বিবিয়ানা

ছাপা + খানা = ছাপাখানা

ঠিকা + দার = ঠিকাদার

মোহর + আনা = মোহরানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

মজা + দার = মজাদার

বাতি + দান = বাতিদান

পিল + খানা = পিলখানা

সমঝ + দার = সমঝদার

দপ্তর + খানা = দপ্তরখানা

ডেপুটি + গিরি = ডেপুটিগিরি

চৌকি + দার = চৌকিদার

মুদি + খানা = মুদিখানা

বাজি + গর = বাজিগর ˃ বাজিকর

জমি + দার = জমিদার

পান + দানি = পানদানি

গুরু + গিরি = গুরুগিরি

সুদ + খোর = সুদখোর

বাতি + দান = বাতিদান

কারি + গর = কারিগর

ঘুষ + খোর = ঘুষখোর

পা + দানি = পাদানি

দোকান + দারি = দোকানদারি

মদ + খোর = মদখোর

ফুল + দানি = ফুলদানি

নেতা + গিরি = নেতাগিরি

চশম + খোর = চশমখোর

ছাই + দানি = ছাইদানি

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

তামাক + খোর = তামাকখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

মামলা + বাজ = মামলাবাজ

কেমন + তর = কেমনতর

জুত + সই = জুতসই

উকিল + নবিশ = উকিলনবিশ

বহু + তর = বহুতর

পছন্দ + সই = পছন্দসই

শিক্ষা + নবিশ = শিক্ষানবিশ

চিলম + চি = চিলমচি

প্রমাণ + সই = প্রমাণসই

জমা + নবিশ = জমানবিশ

বাগ + চা = বাগচা ˃ বাগিচা

মানান + সই = মানানসই

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

চাম্ + চা = চামচা

দশা+ সই = দশাসই

মজুদ + দার = মজুতদার

মশাল + চি = মশালচি

ধোঁকা + বাজি = ধোঁকাবাজ

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

নজর + বন্দী = নজনবন্দী

ফাঁকি + বাজ = ফাঁকিবাজ

দখল + নামা= দখলনামা

গৃহ + বন্দী = গৃহবন্দী

চাল + বাজ = চালবাজ

দ্বার + আনা = দারোয়ান

কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়

প্রদত্ত শব্দ প্রকৃতি + প্রত্যয়

প্রত্যয়ের নাম

অংশীদার = অংশী + দার

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

অতিথি = অত + ইথিন্

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অন্তিম = অন্ত + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অভাব = অ + ভূ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অচেনা = অ + চিন + আ

কৃৎ প্রত্যয়

অধ্যয়ন = অধি + ই + অন

কৃৎ প্রত্যয়

অনুজ = অনু + জন্ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অগ্রিম = অগ্র + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অজানা = অ + জান্ + আ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অর্ঘ = অর্ঘ + ষ্ণ্য

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আদুরে = আদর + ইয়া = আদরিয়া ˃ আদুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

আর্থিক = অর্থ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

আড়তদার = আড়ত + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

আঠাল = আঠা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

আধুলি = আধ্ + উলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

আগ্নেয় = অগ্নি + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

আকস্মিক = অকস্মাৎ + ষ্ণিক

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আভিজাত্য = অভিজাত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ই, ঈ

ইতরামি = ইতর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ইচ্ছুক = ইচ্ছা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঈশ্বর = ঈশ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

উপ্ত = বপ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উঠতি = উঠ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উক্ত = বচ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উক্তি = বচ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উড়ন্ত = উড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

উজান = উজ্ + আন

কৃৎ প্রত্যয়

এ, ঐ, ও

এঁটেল = আঠা + ল = আঠাল ˃ এঁটেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

একলা = এক + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐতিহাসিক = ইতিহাস + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐহিক = ইহ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐন্দ্রজালিক = ইন্দ্রজাল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওকালতি = ওকালত + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওড়না = ওড় + না

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঁদুনে = কাঁদ + উনে

তদ্ধিত প্রত্যয়

করমদানি = কলম + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কর্তব্য = কৃ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

কর্তা = কৃ + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

করণীয় = কৃ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

কমতি = কম + তি

কৃৎ প্রত্যয়

করা = কর + আ

কৃৎ প্রত্যয়

কৌশল = কুশল + অ (অণ্)

তদ্ধিত প্রত্যয়

কৌশিক = কুশিক + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ক্রেতা = ক্রী + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁদন = কাঁদ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁন্না = কাঁদ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

কারক = কৃ + অক (নক)

কৃৎ প্রত্যয়

কৃপণ = কৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কৃষক = কৃষ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁসারি = কাঁসা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাব্য = কবি + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

কারিগর = কারি + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরিয়া = কাঠ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরে = কাঠ + উড়িয়া = কাঠুরিয়া ˃ কাঠুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুলীন = কুল + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

কেজো = কাজ + উয়া = কাজুয়া ˃ কেজো

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুঠিয়াল = কুঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

খ্যাতি = খ্যা + তি

কৃৎ প্রত্যয়

খেকো = খা + উকা = খাউকা ˃ খেকো

কৃৎ প্রত্যয়

খোদাই = খোদ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

খাইয়ে = খা + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

খাওয়া = খা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

খেলোয়ার = খেল্ + ওয়াড়

কৃৎ প্রত্যয়

খেলনা = খেল্ + অনা

কৃৎ প্রত্যয়

খেচর = খে + চর

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

গত = গম + ত

কৃৎ প্রত্যয়

গামন = গম্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

গন্তব্য = গম + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

গায়ক = গৈ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

গরিমা = গুরু + ইমন্

তদ্ধিত প্রত্যয়

গারবিনী = গরব্ + ইনী

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাড়োয়ান = গাড়ি + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

গম্য = গম্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

গালিচা = গালা + ইচা

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাইয়ে = গাহ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

গেঁয়ো = গাঁ + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেছো = গাছ + উয়া = গাছুয়া ˃ গেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেলামি = গোলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাছটি = গাছ + টি

তদ্ধিত প্রত্যয়

গণন = গণ + না

কৃৎ প্রত্যয়

গোলাপী = গোলাপ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গোয়াল = গোয়াল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রাম্য = গ্রাম + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রামীণ = গ্রাম + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

গৃহস্থলি = গৃহস্থ + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরামি = ঘর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরোয়া = ঘর + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘাটতি = ঘাট্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাতক = হন্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাপলা = ঘাপ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘুমন্ত = ঘুম + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ঘুষখোর = ঘুষ + খোর

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘেরাও = ঘির + আও

কৃৎ প্রত্যয়

ঘোলাটে = ঘোলা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘামাচি = ঘাম + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটকালি = ঘটক + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটক = ঘট্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

চীনা = চীন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চড়াই = চড় + আই

কৃৎ প্রত্যয়

চড়াও = চড়্ + আও

কৃৎ প্রত্যয়

চলন = চল্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

চলন্ত = চল্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

চলতি = চল্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

চাপাবাজি = চাপা + বাজি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চলনসই = চলন + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালুনি = চাল্ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাকুরি = চাকর + উরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকুরে = চাকর + ইয়া = চাকরিয়া ˃চাকুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামার = চাম + আর

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামড়া = চাম + ড়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাটাই = চাটা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদা = চাঁদ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদিমা = চাঁদ + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদপনা = চাঁদ + পনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকা = চাক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদোয়া = চাঁদ + ওয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালাকি = চালাক + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিরুনি = চির + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাউনি = চাহ্ + অনি

কৃৎ প্রত্যয়

চৈতালি = চৈত + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিন্ময় = চিৎ + ময়

কৃৎ প্রত্যয়

চোরাই = চোর + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চৌকিদার = চৌকি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

চতুরালি = চতুর + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাপাখানা = ছাপা + খানা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছেলেমি = ছেলে + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছুটি = ছুট্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটে = ছটফট্ + ইয়া = ছটফটিয়া ˃ ছটফটে

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটানি = ছটফট্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাউনি = ছা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাত্র = ছত্র + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাঁটাই = ছাঁট + আই

কৃৎ প্রত্যয়

জয়ী = জি + ইন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমাট = জমা + আট্

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাতীয় = জাতি + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্বলন্ত = জল্ব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জীবন্ত = জীব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জয় = জি + অ

কৃৎ প্রত্যয়

জলা = জল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলো = জলা + উয়া = জলোয়া ˃ জলো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলীয় = জল + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জটিল = জটা + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

জনতা = জন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জালিয়া = জাল + ইয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

জেলে = জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমানো = জম + আনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জবানবন্দি = জবান + বন্দি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জুয়াড়ি = জুয়া + আড়ি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্যাঠামি = জ্যাঠা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাঁকাল = জাঁক + আল

কৃৎ প্রত্যয়

জটলা = জট + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমিদার = জমি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝরনা = র্ঝ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঝলক = ঝল্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়ন = ঝাড় + অন

কৃৎ প্রত্যয়

ঝগড়াটে = ঝগড়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝড়ো = ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া ˃ ঝড়ো

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়-দার = ঝাড়- + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝিয়ারি = ঝি + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝুলন = ঝুল্ + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্ঞানী = জ্ঞান + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ট, ঠ, ড, ঢ

টেকো = টেকো + উয়া = টাকুয়া ˃ টেকো

তদ্ধিত প্রত্যয়

টেকসই = টেক + সই

কৃৎ প্রত্যয়

ঠকা = ঠক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঠ্যাঙ্গাড়ে = ঠ্যাঙ্গা + ড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডাকু = ডাক্ + উ

কৃৎ প্রত্যয়

ডাকাত = ডাক্ + আইত = ডাকাইত ˃ ডাকাত

কৃৎ প্রত্যয়

ডাক্তারি = ডাক্তার + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডিঙ্গা = ডিঙ্গি + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডুবুরি = ডুব্ + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ডুবন্ত = ডুব্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ডেকচি = ডেক্ + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকনা = ঢাক্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঢাকনি = ঢাক্ + নি

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালাই = ঢাল্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালু = ঢাল্ + উ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকাই = ঢাকা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত, থ, দ

তবলচি = তবল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

তৈল = তিল + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত্যাগ = ত্যজ্ + অ (ঘঞ)

কৃৎ প্রত্যয়

তামাটে = তামা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

তাত্ত্বিক = তত্ত্ব + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

তালব্য = তালু + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দ্রাঘিমা = দ্রাঘি + ইমন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশি = দিশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দর্পণ = দৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

দৈন্য = দিন + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাতা = দা + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শন = দৃশ্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শনীয় = দৃশ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

দৃশ্য = দৃশ্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দ্রষ্টব্য = দৃশ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শক = দৃশ্ + অক্

কৃৎ প্রত্যয়

দাপট = দাপ + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাগি = দাগ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দামি = দাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দানব = দনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দালালি = দালাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঁতাল = দাঁত + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাবাড়- = দাবা + উড়িয়া = দাবাড়িয়া ˃ দাবাড়-

তদ্ধিত প্রত্যয়

দার্শনিক = দর্শন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দারোয়ান = দ্বার দার + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঙ্গাবাজ = দাঙ্গা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশারী = দিশ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

দুগ্ধ = দুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

দুধাল = দুধ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুধেল = দুধ + আল = দুধাল ˃ দুধেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেনাদার = দেনা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশী = দেশ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানদার = দোকান + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানি = দোকান + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোলনা = দুল্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

দীঘল = দীর্ঘ + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুষ্টামি = দুষ্ট + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

দৈনিক = দিন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দয়ালু = দয়া + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুঃখিত = দুঃখ + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশীয় = দেশ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিব্য = দিব্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দৈত্য = দিতি + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধ, ন

ধার্মিক = ধর্ম + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধারাল = ধার + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধনুরি = ধনু + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ধোঁয়াটে = ধোঁয়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধৈর্য = ধীর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধেনো = ধান + উয়া = ধানুয়া ˃ ধেনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

নোনতা = নুন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নবীন = নব + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নয়ন = নী + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

নায়ক = নী + অক

কৃৎ প্রত্যয়

নেয়ে = নাও + উয়া = নউয়া ˃ নেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাবিক = নৌ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাগরিক = নগর + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাচিয়ে = নাচ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

নেতা = নী + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

নিড়ানি = নিড়্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

নিদ্রালু = নিদ্রা + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

নীলিমা = নীল + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নজরানা = নজর + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নকলনবীশ = নকল + নবীশ

তদ্ধিত প্রত্যয়

নশ্বর = নশ্ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

পা-ব = পা- + অ (অন)

তদ্ধিত প্রত্যয়

পড়-য়া = পড়্ + উয়া

কৃৎ প্রত্যয়

পড়ন্ত = পড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

পশমি = পশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পঙ্কিল = পঙ্ক + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

পথিক = পথ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাঠক = পাঠ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

পানীয় = পান + ঈয়

কৃৎ প্রত্যয়

পার্থিব = পৃথিবী + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পান্তা = পানি + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসা = পানি + সা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসে = পানি + সা = পানসা ˃ পানসে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাওনা = পাও + না

কৃৎ প্রত্যয়

পাথুরে = পাথর + ইয়া = পাথরিয়া ˃ পাথুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পায়া = পা + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাকামো = পাকা + আমো

তদ্ধিত প্রত্যয়

প-িত = প-া + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রচলিত = প্রচলন + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

পিপাসা = পিপাসা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

পাগলামি = পাগল + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজনীয় = পূজ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

পিছল = পিছ্ + অল

কৃৎ প্রত্যয়

পিকদানি = পিক + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রাচ্য = প্রাচ্ + ষ্ণ্য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেনিল = ফেন্ + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেরতা = ফির + তা

কৃৎ প্রত্যয়

ফেরত = ফির + অত

কৃৎ প্রত্যয়

ফুটন্ত = ফুট্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ফোটা = ফুট্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলেল = ফুল + এল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফাটল = ফাট + ল

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলদানি = ফুল + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফলন্ত = ফল + অন্ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোম্বাই = বোম্বে + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বিজ্ঞান = বি + জ্ঞা + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বারমেসে = বারমাস + এ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বক্তব্য = বচ্ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

বক্তা = বচ্ + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

বর্ষণ = বৃষ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বর্গাদার = বর্গা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

বহতা = বহ্ + তা

কৃৎ প্রত্যয়

বড়াই = বড় + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঘা = বাঘ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাটনা = বাট্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজনা = বাজ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজিয়ে = বাজ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধন = বাঁধ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধাই = বাঁধ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁশি = বাঁশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁশরি = বাঁশ + রি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বন্দিনী = বন্দি + নী

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদলা = বাদল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসত = বস + ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুগিরি = বাবু + গিরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদামি = বাদাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাগিচা = বাগ + চা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙ্গাল = বঙ্গ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙালি = বাঙাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাড়ন্ত = বাড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাড়তি = বাড় + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বকুনি = বকা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

বার্ষিক = বর্ষ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁদরামি = বাঁদও + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসতি = বস + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বাছাই = বাছ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুর্চি = বাবু + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাবুয়ানা = বাবু + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাহাদুরি = বাহাদুর + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেগুনে = বেগুন + ইয়া = বেগুনিয়া ˃ বেগুন

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেঙাচি = বেঙ + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈজ্ঞানিক = বিজ্ঞান + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈঠক = বৈঠ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

বৈমাত্রেয় = বিমাতা + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈধ = বিধি + ঞ্চ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈচিত্র্য = বিচিত্র + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেকামি = বোকা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোমারু = বোমা + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

বুনো = বন + উয়া = বনোয়া ˃ বুনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোনাই = বোন + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভিখারি = ভিখ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

ভৌগোলিক = ভূগোল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভোজ্য = ভোজ্ + আমি

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়ামি = ভাড় + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভয় = ভী + অয়

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়াটে = ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাতুরে = ভাত + উড়িয়া = ভাতুরিয়া ˃ ভাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভেতো = ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাজি = ভাজ্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ভাবুক = ভাব + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মানত = মান + ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৃন্ময় = মৃদ্ + ময়

তদ্ধিত প্রত্যয়

মহিমা = মহৎ + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মন্ত্রী = মন্ত্র + ইমন

কৃৎ প্রত্যয়

মড়ক = মড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মোড়ক = মুড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মশারি = মশা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মলাট = মলা + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাংসল = মাংস + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাথাল = মাথা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাধুর্য = মধুর + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানব = মনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানানসই = মানান + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মামলাবাজ = মামলা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মশালচি = মশাল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মুক্ত = মুচ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মুক্তি = মুচ্ + ক্তি

কৃৎ প্রত্যয়

মুগ্ধ = মুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মিশুক = মিশ্ + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মিথ্যুক = মিথ্যা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিশাল = মিশ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

মিতালী = মিতা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিঠাই = মিঠা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেটে = মাটি + ইয়া = মাটিয়া ˃ মেটো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঠো = মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেছো = মাছ + উয়া = মাছুয়া ˃ মেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঘলা = মেঘ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেধাবী = মেধা + বিন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়ে = মা + ইয়া = মইয়া ˃ মেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়েলি = মেয়ে + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মোগলাই = মোগল + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৌখিক = মুখ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

য, র, ল

যাচাই = যাচ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

যৌবন = যুব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

রুষ্ট = রুষ্ + ত (ক্ত)

কৃৎ প্রত্যয়

রোগাটে = রোগা + টিয়া = রোগাটিয়া ˃ রোগাটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাঁধা = রাঁধ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

রাঁধুনি = রাঁধ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

রান্না = রাঁধ + না

কৃৎ প্রত্যয়

রমণীয় = রমণ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাখাল = রাখ্ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

রসাল = রস + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

রেশমি = রেশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

রোগা = রোগ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লঘিমা = লঘু + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

লবণ = লো + অন

কৃৎ প্রত্যয়

লেখক = লিখ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

রাজুক = লাজ + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালচে = লাল + চে

তদ্ধিত প্রত্যয়

লাঠিয়াল = লাঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লেঠেল = লাঠি + আল = লাঠিয়াল ˃ লেঠেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লৌকিক = লোক + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

লোনা = লনু + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালিমা = লাল + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোনা = শোন্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

শয়ন = শে + অনট্

কৃৎ প্রত্যয়

শহুরে = শহর + ইয়া = শহরিয়া ˃ শহুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

শাঁখারি = শাঁখা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্যামলা = শ্যাম + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শীতল = শীত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

শিক্ষক = শিক্ষা + অক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্রবণ = শ্রু + অন

কৃৎ প্রত্যয়

শারীরিক = শরীর + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শৈল্পিক = শিল্প + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোচনীয় = শুচ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

শৈব = শিব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স¤্রাট = সম + রাজ + ক্বিপ

কৃৎ প্রত্যয়

সওদাগার = সাওদা + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

সর্পিল = সর্প + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়ে = সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়িয়া = সাপ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাঁতারু = সাঁতারু + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাধুতা = সাধু + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপ্তাহিক = সপ্তাহ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাংবাদিক = সংবাদ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্য = সাহিত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্যিক = সাহিত্য + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সামাজিক = সমাজ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

সূর্য = সৃ + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌর = সূর্য + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌন্দর্য = সুন্দর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সোনালি = সোনা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেলামি = সেলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেবাইত = সেবা + আইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

সত্তা = সৎ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স্বপ্নিল = স্বপ্ন + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৃষ্টি = সৃজ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

হাঁচি = হাঁচ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হত্যা = হন্ + ক্যাপ

কৃৎ প্রত্যয়

হলদে = হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতল = হাত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতুড়ে = হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাটুরে = হাট + উড়িয়া = হাটুরিয়া ˃ হাটুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাসি = হাস্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হিমেল = হিম + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতানন = হাত + আন

তদ্ধিত প্রত্যয়

উপসর্গ: যে সকল অব্যয়সুচক শব্দাংশ স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না কিন্তু অন্য শব্দের আগে বসে শব্দটির অর্থের পরিবর্তন সাধন করে, তাকে উপসর্গ বলে। উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলে এদের অর্থদ্যোতকাতা বা নতুন শব্দ সৃজনের ক্ষমতা থাকে।

বাংলা ভাষায় তিন প্রকার উপসর্গ আছে:

১. খাটি বাংলা উপসর্গ ২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ ৩. বিদেশী উপসর্গ

খাটি বাংলা উপসর্গ (২১ টি)

২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ (২০ টি)

বিদেশী উপসর্গ (এখনো নির্নীত হয় নি)

অ, অঘা, অজ, অনা

আ, আড়, আন, আব

ইতি, ঊন, কদ, কু

নি, পাতি, বি, ভর

রাম, স, সা, সু

হা = ২১টি

প্র, পরা, অপ, সম্, নি

অব, অনু, নির, দূর, বি

সু, উত্, অধি, পরি, প্রতি

উপ, আ, অপি, অভি, অতি =২০টি

ফারসি উপসর্গ: কার্, দর্, না, নিম্, ফি, বদ্, বে, বর্, ব্, কম্

আরবি উপসর্গ: আম্, খাস, লা, গর্

ইংরেজি উপসর্গ: ফুল, হাফ, হেড, সাব

উর্দু-হিন্দি উপসর্গ: হর

চারটি উপসর্গ যথা: সু, বি, নি, আ খাটি বাংলা এবং তত্সম উভয়ক্ষেত্রে দেখা যায়।

প্রত্যয়: যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দ (প্রাতিপাদিক) এর পর যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার: কৃত্ প্রত্যয় (বাংলা এবং সংস্কৃত) এবং তদ্ধিত প্রত্যয় (বাংলা, সংস্কৃত এবং বিদেশী)।

প্রকৃতি: কোনো মেৌলিক শব্দের যে অংশকে আর কোনোভাবেই বিভক্ত বা বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে। প্রকৃতি দুই প্রকার: যথা: ক্রিয়া প্রকৃতি এবং নাম প্রকৃতি।

পদ প্রকরণ: বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক একটি পদ। বিভক্তিযুক্ত শব্দ এবং ধাতুই পদ। পদ মোট ৫ প্রকার: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া এবং অব্যয়।

চাকুরির প্রস্তুতি

বাংলা ব্যাকরণের উল্লেখযোগ্য কঠিন টপিক গুলোর মধ্যে প্রকৃতি প্রত্যয় অন্যতম। কিন্তু আসলেই কি প্রকৃতি প্রত্যয় কঠিন? উত্তর হচ্ছে প্রকৃতি প্রত্যয় সব থেকে সহজ একটি টপিক। আজকের ব্লগে পুরো বিষয়টি আপনাদের সাথে উদাহরণ এবং ব্যাখ্যা সহ তুলে ধরা হবে। পড়তে থাকুন ইনশা-আল্লাহ।

প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে কি কি শিখবো?

১) প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

২) প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

৩) কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়?

৪) প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

৫) বিগত সালের পরিক্ষায় প্রকৃতি প্রত্যয়

শুরু করার আগে আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ যদি আমাদের লিখা ব্লগ গুলো ভালো লাগে তবে জ্ঞান প্রচারের লক্ষ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

ধাতু বা শব্দ যার সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে যে মূল অংশের নাম প্রকৃতি। যেমন: মিঠা + আই = মিঠাই। এখানে ‘মিঠা’ হচ্ছে প্রকৃতি, এর সঙ্গে ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ‘মিঠাই’ শব্দটি গঠিত হয়েছে। এভাবে শব্দের বিশ্লেষণ করলে প্রকৃতি ও প্রত্যয় পাওয়া যায়।

উপরের ব্যাপারটি কঠিন মনে হলে চলেন এইবার একটু ইনফরমাল আলোচনা করা যাক যেন কোন দিন আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে সংশয়ে না পড়েন।

যা মনে রাখবেনঃ

– প্রত্যয় সব সময় শব্দের বা ধাতুর পরে বসে।

– পরে বসে কি করে? নাচানাচি করে কি? না। তা নতুন শব্দ গঠন করে। যেমনঃ শীতল। এটি একটি শব্দ। যার দুটি অংশ আছে। শীত + ল। এখানে পরে কি যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “ল” তাই এটি প্রত্যয়।

এখন “ল” কিসের সাথে যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “শীত” এর সাথে? তাই এটি প্রকৃতি।

নিচের উদহরণগুলো দেখুনঃ

ক) লাজুক= লাজ+ উক

এখানে “লাজ” হচ্ছে প্রকৃতি এবং “উক” হচ্ছে প্রত্যয়

খ) চলন্ত = চল + অন্ত

এখানে “চল” হচ্ছে প্রকৃতি এবং ” অন্ত ” হচ্ছে প্রত্যয়

এইবার আমরা ধরেই নিতে পারি আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় চিনে গেছেন।

প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

সহজ ভাষায় প্রকৃতি এবং প্রত্যয় উভয়ই দুই প্রকার।

প্রকৃতির প্রকারভেদঃ

১) ক্রিয়া প্রকৃতি

২) নাম প্রকৃতি বা শব্দ প্রকৃতি

প্রত্যয়ের প্রকারভেদঃ

১) কৃৎ প্রত্যয়

২) তদ্ধিত প্রত্যয়

কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়

প্রকৃতি প্রত্যয় চিনার জন্য আপনাকে শব্দটি কে বিশ্লেষন করতে হবে তারপর দেখতে হবে কোন অংশটি আর আগে সেটি হবে প্রকৃতি এবং যে অংশটি পরে সেটি নিশ্চিতভাবেই প্রত্যয়।

প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

১. অ-প্রত্যয় : ‘প্রবণতা, ঈষদ্ভাব প্রায় কিন্তু পূর্ণ নয়’ এমন ভাব প্রকাশ করতে ধাতুর উত্তর (পরে) অ (উ, ও) প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং দ্বিত্ব প্রয়োগ হয়। যেমন:

√কাঁদ + অ : কাঁদ + অ = কাঁদ কাঁদ

√ডুব + অ : ডুব + অ = ডুব ডুব (ডুবু ডুবু)

√পড় + অ : পড় + অ = পড় পড় (পড়ো পড়ো)

√মার + অ : মার + অ = মার মার

২. আ-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর পরে আ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + আ = ঝরা

√হাস + আ = হাসা

√খা + আ = খাওয়া

√শোন + আ = শোনা

√ভর + আ = ভরা

√কাঁচ + আ = কাঁচা

√কাট + আ = কাটা

√র্ম + আ = মরা

√ছাড় + আ = ছাড়া

√জান + আ = জানা

৩. অন-প্রত্যয় : অন-প্রত্যয়ান্ত শব্দগুলো সাধারণ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√বাঁধ + অন = বাঁধন

√সাজ্ + অন = সাজন

√হাঁট + অন = হাঁটন

√র্ম + অন = মরণ

√নাচ + অন = নাচন

√মাজ + অন = মাজন

√গড় + অন = গড়ন

√জীব + অন = জীবন

√কাঁদ + অন = কাঁদন

৪. অক-প্রত্যয় : অক-প্রতায়ান্ত শব্দ সাধারণত বিশেষ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√ফাট্ + অক =ফাটক

√সড় + অক = সড়ক

√নাট + অক = নাটক

√ঝল + অক = ঝলক

√দুল + অক = দোলক

√ঘট্ + অক = ঘটক

√বৈঠ + অক = বৈঠক

√চট্ + অক = চটক

৫. আই-প্রত্যয় : করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ফাড়্ + আই = ফাড়াই

√ছাঁট্ + আই = ছাঁটাই

√যাচ্ + আই = যাচাই

√খোদ + আই = খোদাই

√ঢাল্ + আই = ঢালাই

√মাড়্ + আই = মাড়াই

√সিল্ + আই = সেলাই

√লড়্ + আই = লড়াই

৬. উয়া-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য ধাতুর উত্তর ‘উয়া’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। উয়া-প্রত্যয় বিকল্পে ও-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পড়্ + উয়া = পড়-য়া

√চল + উয়া = চলুয়া

√হাল্ + উয়া = হালুয়া

√সাজ + উয়া = সাজুয়া

√খা + উয়া = খাওয়া

√ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া˃ঝড়ো

৭. উ-প্রত্যয় : ‘উ’ প্রত্যয়ান্ত সাধিত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ঢাল্ + উ = ঢালু

√ডাক + উ = ডাকু

√ঝাড় + উ = ঝাড়-

√চাল্ + উ = চালু

√উড় + উ = উড়-

√ডুব + উ = ডুবু

৮. উক-প্রত্যয়ঃ স্বভাব বুঝাতে বিশ্লেষণ পদ গঠনে ‘উক’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পিট + উক = পেটুক

√মিশ + উক = মিশুক

√খা + উক = খাউক

√হিনস + উক = হিংসুক

√নিন্দা + উক = নিন্দুক

√ভা + উক = ভাবুক

৯. ই-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য, অপাদানবাচ্য, অধিকরণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘ই’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + ই = ঝরি

√হাস + ই = হাসি

√কর + ই = করি

√বুল + ই = বুলি

√বেড় + ই = বেড়ি

√হাঁচ + ই = হাঁচি

√খা + ই = খাই

√ভাজ + ই = ভাজি

১০. ইয়া ইয়ে-প্রত্যয় : ‘প্রবীণ বা নিপুণ অর্থে’ কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ইয়া ইয়ে প্রত্যয় হয়। যেমন:

√কাঁদন + ইয়া = কাঁদনিয়া˃কাঁদুনে

√বাজ্ + ইয়ে = বাজিয়ে

√কহ্ + ইয়া = কহহিয়া˃কইয়ে

√খেল + ইয়ে = খেলিয়ে

√গাহ্ + ইয়া = গাহহিয়া˃গাইয়ে

√নাচ + ইয়ে = নাচিয়ে

আবার অসমাপিকা ক্রিয়া বুঝাতেও ‘ইয়া’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পড়্ + ইয়া = পড়িয়া

√বহ্ + ইয়া = বহিয়া

√চল + ইয়া = চলিয়া

√কাঁদ্ + ইয়া = কাঁদিয়া

√হাস + ইয়া = হাসিয়া

√শুন + ইয়া = শুনিয়া

১১. আল-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য ও করণবাচ্যের ধাতুর উত্তর আল-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাখ্ + আল = রাখাল

√মাত্ + আল = মাতাল

√বাচ্ + আল = বাচাল

√ধার + আল = ধারাল

√নাগ্ + আল = নাগাল

√মিশ্ + আল = মিশাল

১২. তি-প্রত্যয়ঃ কর্তৃবাচ্য ও ভাববাছ্যের উত্তর ‘তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কম্ + তি = কমতি

√চল্ + তি = চলতি

√র্ফি + তি = ফিরতি

√উঠ্ + তি = উঠতি

√ঘাট্ + তি = ঘাটতি

√বস্ + তি = বসতি

১৩. না-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘না’ প্রত্যয় যুক্ত হয়্। যেমন:

√শুক + না = শুকনা

√বাট + না = বাটনা

√দুল + না = দোলনা

√ঝর + না = ঝরনা

√রাঁধ + না = রাঁধনা˃রান্না

√ঢাক + না = ঢাকনা

√খেল + না = খেলনা

√মাগ + না = মাগনা

১৪. আনি-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আনি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাঙ + আনি = রাঙানি

√খাট + আনি = খাটানি˃খাটুনি

√শাস + আনি = শাসানি

√চির + আনি = চিরণী˃চিরুণী

√শুন + আনি = শুনানি

√জ্বাল + আনি = জ্বালানি

√উড় + আনি = উড়ানি

√হাঁপ + আনি = হাঁপানি

১৫. আরু-প্রত্যয় : কর্তায় দক্ষতা ও পেশা বুঝাতে কর্তৃবাচ্যের ধাতু উত্তর ‘আরু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডুব + আরু = ডুবারু

√সাঁত + আরু = সাঁতারু

√খোঁজ + আরু = খোঁজারু

১৬. আও-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আও’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাঁচ্ + আও = বাঁচাও

√দুল্ + আও = দোলাও˃দুলাও

√চড়্ + আও = চড়াও

√র্ঘি + আও = ঘিরাও

√র্স + আও = সরাও

√পাকড়্ + আও = পাকড়াও

১৭. আনো-প্রত্যয় : ধাতুর উত্তর ‘আনো’ প্রত্যয় যোগে ক্রিয়াবাচক বা বিশ্লেষন পদ গঠিত হয়। যেমন:

√কামড় + আনো = কামড়ানো

√নাচ + আনো = নাচানো

√বাঁধ + আনো = বাঁধানো

√পাল + আনো = পালানো

√কাঁদ + আনো = কাঁদানো

√দৌড় + আনো = দৌড়ানো

১৮. অল-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অল’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√পিছ্ + অল = পিছল

√ফাট + অল = ফাটল

√জী + অল = জীয়ল˃জীওল

১৯. আইত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আইত’ (আত) প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডাক + আইত = ডাকাইত˃ডাকাত

√সঙ্গ + আইত = সাঙ্গাইত˃সাঙ্গাত

√সেব + আইত = সেবাইত

২০. আন-প্রত্যয় : প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে ‘আন’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ছোড় + আন = ছোড়ান

√দেখ + আন = দেখান

√গড় + আন = গড়ান

√খা + আন = খাওয়ান

√ঠকা + আন = ঠকান

√জান + আন = জানান

২১. অন্ত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অন্ত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√চল + অন্ত = চলন্ত

√ডুব্ + অন্ত = ডুবন্ত

√ঝুল + অন্ত = ঝুলন্ত

√ঘুম + অন্ত = ঘুমন্ত

√ফুট্ + অন্ত = ফুটন্ত

√ফল + অন্ত = ফলন্ত

২২. তা-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত ঞয়। যেমন:

√পড় + তা = পড়তা

√চল্ + তা = চলতা

√জান্ + তা = জান্তা

√ফির + তা = ফিরতা

২৩. অনা- প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে সাধারণত ধাতুর উত্তর ‘অনা’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাজ + অনা = বাজনা

√মাগ্ + অনা = মাগনা

√ঝর + অনা = ঝরনা

√খেল্ + অনা = খেলনা

√বঞ্চ + অনা = বঞ্চনা

√দুল্ + অনা = দোলনা

২৪. অত-প্রত্যয় : বিশেষণ পদ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘অত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বস্ + অত = বসত

√ফির + অত = ফেরত

√মান + অত = মানত

বিদেশী কৃৎ-প্রত্যয় :

ক. সই-প্রত্যয় যোগে; যেমন: মাপ + সই = √মাপসই।

খ. বাজ-প্রত্যয় যোগে; যেমন: চাল + বাজ = √চালবাজ

■ বাংলা কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

কাঁদ্ + অ = কাঁদ

ডুব + আরু = ডুবারু

গুণ্ + তি = গুণতি

সাজ্ + উয়া = সাজোয়া

ডুব্ + অ = ডুব

পড়্ + উয়া = পড়-য়া

নাচ্ + অন = নাচন

গাহ্ + ইয়ে = গাইয়ে

ঝুল + অ = ঝুল

জুত্ + আনো = জুতানো

কাঁদ + অন = কাঁদন

খেল্ + ওয়াড় = খেলোয়ার

নিব্ + অ = নিব

ভাব্ + উক = ভাবুক

খা + অন = খাওন

র্ধ + আ = ধরা

র্ম + অ = মর

বেড়্ + আনো = বেড়ানো

ঝাড়্ + অন = ঝড়ান

পড়্ + আ = পড়া

ছুট + অ = ছুট

ঢাল্ + আই = ঢালাই

কাঁপ + অন = কাঁপন

ঢাল্ + উ = ঢালু

খুঁজ + অন = খোঁজন

যাচ্ + আই = যাচাই

র্ম + অন = মরণ

বাঁধ্ + অন = বাঁধন

চল্ + আ = চলা

সেব্ + আইত = সেবাইত

ফল্ + অন = ফলন

গড়্ + অন = গড়ন

চাহ্ + আ = চাওয়া

পূজ্ + আরী = পূজারী

যোগ্ + অন = যোগান

চাহ্ + নি = চাহনি

পা + আ = পাওয়া

কাঁদ্ + উনে = কাঁদুনে

চড়্ + অক = চড়ক

উড়্ + অন্ত = উড়ন্ত

দেখ্ + আ = দেখা

নাচ্ + ইয়ে = নাচিয়ে

ফাট্ + অক = ফাটক

ভাঙ্ + অন = ভাঙন

ছাড়্ + আ = ছাড়া

মিশ্ + উক = মিশুক

মুড়্ + অক = মোড়ক

ডুব্ + উরী = ডুবুরী

ফুট্ + আ = ফোটা

ঘাট্ + তি = ঘাটতি

ঝল্ + অক = ঝলক

মুচ্ + কি = মুচকি

চুর + ই = চুরি

কুট + না = কুটনা

দে + অনা = দেনা

চাল + আন = চারা

চষ + ই = চষি

জান + আন = জানান

বাজ্ + অনা =বাজনা

উঠ্ + তি = উঠতি

ফির + ই = ফিরি

কাঁদ্ + না = কান্না

পা + অনা = পাওনা

দোল্ + না = দোলনা

হাস্ + ই = হাসি

উড়া + আন = উড়ান

বাট্ + না = বাটনা

ঝলক + আনি = ঝলকানি

কাশ্ + ই = কাশি

ঠকা + আন = ঠকান

খেল্ + না = খেলনা

হিনস্ + উক = হিংসুক

ভাজ্ + ই = ভাজি

কাট্ + আ = কাটা

র্ঝ + ন = ঝরনা

কাচ + আ = কাচা

ডুব্ + উ = ডুবু

বাঁধ + আ = বাধাঁ

কাঁপ্ + অনি = কাঁপনি, কাঁপুনি

ভর + আ = ভরা

র্উ + ও = উড়ো

বাঁচ + ওয়া = বাঁচোয়া

রাঁধ্ + অনি = রাঁধুনি

হাত + আনো = হাতানো

হ + উ = হবু

কাট্ + আরি = কাটারি

ছাঁক্ + অনি = ছাকনি

খুল্ + আ = খোলা

র্ম + ও = মরো

মাজ্ + অন = মাজন

চাল্ + উনি = চালুনি

র্ম + ও = মরো

ঝড়্ + ও = ঝড়ো

টাঙা + আনো = টাঙানো

ছা + উনি = ছাউনি

বাজ্ + ইয়ে = বাজিলে

ভুল্ + ও = ভুলো

চল্ + তি = চলতি

ঝাঁক্ + উনি = ঝাঁকুনি

বাস্ + ই = বাসি

র্ফি + অত = ফিরত

ঝুল + অন = ঝুলন

আট্ + উনি = আঁটুনি

ছাড় + অন = ছাড়ন

মান্ + অত = মানত

খাট্ + ইয়ে = খাটিয়ে

খাট্ + উনি = খাটুনি

কাশ + আ = কাশা

পড়্ + তি = পড়তি

ভাজ + আ = ভাজা

বক্ + উনি = বকুনি

চষ + আ = চষা

কাট্ + তি = কাটতি

ঝাঁক + আ = ঝাঁকা

র্চি + উনি = চিরুনি

পর + আ = পড়া

র্ফি + তি = ফিরতি

ছাঁক + অন = ছাঁকন

বাছ্ + আই = বাছাই

হাস + আ = হাসা

বাড়্ + তি = বাড়তি

ডুব + আ = ডুবা

লড়্ + আই = লড়াই

দেখ + আই = দেখাই

চড়্ +আই = চড়াই

বাঁধ + অন = বাঁধন

জ্বল + অন্ত = জ্বলন্ত

নির + আন = নিড়ান

যাচ্ + আই = যাচাই

খাট + আ = খাটা

জীব্ + অন্ত = জীবন্ত

চড় + আ = চড়া

ডাক্ + আইত = ডাকাত

সাজ + আ = সাজা

মাত্ + আল = মাতাল

ডুব + উরি = ডুবুরি

খুদ + আই = খোদাই

পর + আই = পড়াই

ছাঁট + আই = ছাঁটাই

উড় + আ = উড়া

ঝাল্ + আই = ঝালাই

ভাব + আ = ভাবা

উড়্ + আনি = উড়ানি

ঠক + আ = ঠকা

শুন্ + আনি = শুনানি

নাচ + আ = নাচা

ঝাঁক্ + আনি = ঝাঁকানি

দোল + অন = দোলন

বাঁধ্ + আই = বাঁধাই

ছাড় + অ = ছাড়

চড়্ + আও = চড়াও

মার + অ = মার

ঢাল্ + আও = ঢালাও

বাঁধ + অ = বাঁধ

নিড়্ + আনি = নিড়ানি

বস + অতি = বসতি

সাঁত্ + আরু = সাঁতারু

মান + অত = মানত

জ্বালা + আনি = জ্বালানী

দুল + অ = দোল

পাকড় + আও = পাকড়াও

ঘুর + অন = ঘুরন

খা + ইয়ে = খাইয়ে

সাধ + অন = সাধন

র্ঘি + আও = ঘেরাও

ধর + অন = ধরণ

গাঁথ + অন = গাঁথন

লাঞ্ছ + অনা = লাঞ্ছনা

ভিক্ষ + আরি = তিখারি

পাকড় + আও = পাকড়াও

উঠ + তি = উঠতি

সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়

১. অনট (অন) প্রত্যয় : ‘অনট’ প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘অনট’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথম বর্ণের ‘ঈ’ পরিবর্তন হয় ‘অয়’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ‘ঋ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘অর’ হয়। যেমন:

√কৃ + অনট = করণ

√শী + অনট = শয়ন

√দা + অনট = দান

√গম + অনট = গমন

√স্থান + অনট = স্থান

√পা + অনট = পান

√দৃশ + অনট = দর্শন

√ভ্র + অনট = ভ্রমন

√নী + অনট = নয়ন

√শ্রু + অনট = শ্রবণ

২. ঘঞ (অ) প্রত্যয় : ঘঞ-প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্যে ব্যবহহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘ঘঞ’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথমে বর্ণের ‘অ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘আ’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ধাতুর শেষ বর্ণের ‘চ’ স্থানে ‘ক’, ‘জ, স্থানে ‘গ’ হয়। যেমন:

√শুচ + ঘঞ = শোক

√অদ্ + ঘঞ = ঘা

√ভূ + ঘঞ = ভাব

√বস্ + ঘঞ = বাস

√পচ + ঘঞ = পাক

√তপ + ঘঞ = তাপ

√রুজ + ঘঞ = রোগ

√ত্যজ + ঘঞ = ত্যাগ

৩. তব্য-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষ্যৎ অর্থে কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘তব্য’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কৃ + তব্য = কর্তব্য

√গম + তব্য = গন্তব্য

√জ্ঞা + তব্য = জ্ঞাতব্য

√বচ + তব্য = বক্তব্য

√দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

√পৌ + তব্য = পঠিতব্য

√দান + তব্য = দাতব্য

√মন + তব্য = মন্তব্য

৪. অল (অ) প্রত্যয় : অল-প্রত্যয় ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য পদ গঠনে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ল’ লোপ পেয়ে ‘অ’ থাকে। যেমন:

√জি + অল = জয়

√ভী + অল = ভয়

√ক্রী + অল = ক্রয়

√লুভ + অল = লোভ

৫. ক্ত (ত) প্রত্যয় : অতীতকালে কাজ হয়েছে এ অর্থ প্রকাশের জন্য ‘ক্ত’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। সাধিত পদগুলো বিশ্লষন হয়ে থাকে। প্রতায়ন্ত পদের শেষে ‘ক’ লোপ পেয়ে শুধু ‘ত’ থাকে। যেমন:

√খ্যা + ক্ত = খ্যাত

√শম + ক্ত = শাক্ত

√পত্ + ক্ত = পতিত

√ঘীন + ক্ত = হীন

√জ্ঞান + ক্ত জ্ঞাত

√ক্লম + ক্ত = ক্লান্ত

√গম + ক্ত = গত

√নন + ক্ত = নষ্ট

√দীপ + ক্ত = দীপ্ত

√কৃ + ক্ত = কৃত

৬. ক্তি (তি) প্রত্যয় : ক্রিয়াবাচক বা ভাববাচ্যক বিশেষ্য অর্থে ধাতুর সঙ্গে ‘ক্তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয় দ্বারা শব্দ গঠন কালে ধাতুর প্রথম বর্ণ সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে এবং দ্বিতীয় বর্ণ লোপ পায়। যেমন:

√মুচ্ + ক্তি = মুক্তি

√দৃশ + ক্তি = দৃষ্টি

√কৃৎ + ক্তি = কীর্তি

√কৃষ + ক্তি = কৃষ্টি

√স্মৃতি + ক্তি = স্মৃতি

√সৃজ + ক্তি = সৃষ্টি

√শম + ক্তি = শান্তি

√বচ্ + ক্তি = উক্তি

√ভী + ক্তি = ভীতি

৭. যৎ (য) প্রত্যয় : কোন কিছু করা উচিত বা করার যোগ্য, এ অর্থে ধাতুর সাথে ‘যৎ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো সাধারণত বিশেষণ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পদ্ + যৎ = পদ্য

√জ্ঞান + যৎ = জ্ঞেয়

√সহ্ + যৎ = সহ্য

√দা + যৎ = দেয়

√গ্রহ্ + যৎ = গ্রাহ্য

√মন্ + যৎ = মান্য

√যুজ + যৎ = যোগ্য

√পূজ + যৎ = পূজ্য

√ধূ + যৎ = ধার্য

√পঠ + যৎ = পাঠ্য

৮. শানচ (মান) প্রত্যয় : ক্রিয়ার কাজ চলছে এ অর্থে ধাতুর অর্থে উত্তর কর্তৃ ও কর্মবাচ্যে ‘শানচ’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√চল্ + শানচ = চলমান

√বৃৎ + শানচ = বর্তমান

√বৃধ + শানচ = বর্ধমান

√দীপ + শানচ = দীপ্তমান

√মুহ্ + শানচ = মুহ্যমান

৯. ইষ্ণু-প্রত্যয় : শীলার্থে ধাতুর উত্তর ‘ইষ্ণু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√ক্ষি + ইষ্ণু = ক্ষয়িষ্ণু

√সহ্ + উষ্ণু = সহিষ্ণু

√চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

√বধ্ + ইষ্ণু = বর্ধিষ্ণু

১০. ণক (অক) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যে ‘করেন যিনি’ এ অর্থে ধাতুর উত্তর ‘ণক’ (অক) প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ণ’ লোপ পায় এবং ‘অক’ থাকে এবং প্রত্যয়সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + ণক = কারক

√শাস + ণক = শাসক

√পচ + ণক = পাচক

√যুজ + ণক = যোজক

√পো + ণক = পাবক

√দৃশ + ণক = দর্শক

১১. ণ্যৎ (য) প্রত্যয় : ‘উচিত বা যোগ্য অর্থে’ ঋ-কারান্ত ও ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো প্রধানত বিশেষণ (কখনও কখনও বিশেষ্য) হয়। যেমন:

√ত্যজ + ণ্যৎ = ত্যাজা

√লক্ষ + ণ্যৎ = লক্ষ্য

√গম + ণ্যৎ = গম্য

√কৃ + ণ্যৎ = কার্য

√ভজ + ণ্যৎ = ভাজ্য

√ধৃ + ণ্যৎ = ধার্য

১২. তৃচ, তৃণ (তা) প্রত্যয় : শীলার্থে, সম্যক বা জীবিকা অর্থে ধাতুর পরে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + তৃচ = কর্তা

√মা + তৃচ = মাতা

√ভ্রাজ + তৃচ = ভাতা

√দা + তৃচ = দাতা

√বচ্ + তৃচ = বক্তা

১৩. অনীয়-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষৎ অর্থে ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর অনীয় প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

√শুচ + অনীয় = শোচনীয়

√বৃ + অনীয় = বরণীয়

√দুশ + অনীয় = দর্শনীয়

√গুপ্ + অনীয় = গোপনীয়

√স্মৃ + অনীয় = স্মরণীয়

১৪. বর-প্রত্যয় : ‘শীল’ অর্থে কর্তৃবাচ্যের ‘বর’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ভাস্ + বর = ভাস্বর

√ঈশ্ + বর = ঈশ্বর

√নশ্ + বর = নশ্বর

√স্থা + বর = স্থাবর

১৫. নিন (ইন) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদ গুলো বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

√দা + নিন = দায়ী

√মন্ত্র + নিন = মন্ত্রী

√বদ + নিন = বাদী

√ত্যাগ + নিন = ত্যাগী

√স্থা + নিন = স্থায়ী

√পা + নিন = পায়ী

১৬. শতৃ (অৎ) প্রত্যয় : বর্তমান কালের কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। বাংলা ভাষায় এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√জীব্ + শতৃ = জীবৎ

√অস্ + শতৃ = অসৎ

√জল + শতৃ + জলৎ

√জাগ্ + শতৃ = জাগ্রৎ

√মহ + শতৃ = মহৎ

√চল + শতৃ = চলৎ

■ সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রী + অ = প্রিয়

ভূ + অন = ভবন

গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

গম্+ তি = গতি

পাল্ + ণক = পালক

বৃৎ + শানচ = বর্তমান

দা + তৃচ = দাতা

যাচ্ + আই = যাচাই

জীব্ + অ = জীব

চর + অন = চরণ

জি + ইন = জয়ী

কৃষ + তি = কৃষ্টি

ধূ + ণক = ধারক

দীপ + শানচ = দীপ্যমান

শ্রু + তৃচ = শ্রতা

হিনস্ + আ = হিংসা

পিপাস + অ = পিপাসা

দ্রু + অন = দ্রবণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাগী

দৃশ + তি = দৃষ্টি

পঠ্ + ণক = পাঠক

চল + শানচ = চলমান

যুধ + তৃচ = যোদ্ধা

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

প্র-শনস্ + আ = প্রশংসা

চুম্ব্ + অন = চুম্বন

যুজ্ + ইন = যোজী

সৃজ + তি = সৃষ্টি

হণ + ণক = ঘাতক

শুভ + শানচ = শোভমান

নী + তৃচ = নেতা

প্রচ্ছ + ন = প্রশ্ন

ভিক্ষ + আ = ভিক্ষা

কৃষ + অন = কর্ষণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাজী

শক্ + তি = শক্তি

শাস + ণক = শাসক

গম + তব্য = গন্তব্য

পা + তৃচ = পিতা

কৃ + মন = কর্ম

কথ্ + আ = কথা

শী + অন = শয়ন

দুট্ + ই = দুটি

খ্যা + তি = খ্যাতি

লিখ্ + ণক = লেখক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

লিখ্ + ইত = লিখিত

দৃশ্ + মান = দৃশ্যমান

জন্ + অক = জনক

দা + অন = দান

কৃষ্ + ই = কৃষি

মন + তি = মতি

কৃষ্ + ণক = কৃষক

কৃ + তব্য = কর্তব্য

লভ্ + য = লভ্য

বস্ + ত্র = বস্ত্র

মুড়্ + অক = মোড়ক

জ্ঞা + অন = জ্ঞান

দূষ + ই = দোষী

কৃৎ + তি = কীর্তি

কৃ + ণক = কারক

দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

বচ্ + য = বাচ্য, বাক্য

বৃৎ + মান = বর্তমান

নি + অক = নায়ক

তপ্ + অন = তপন

দীপ + ত = দীপ্ত

গৈ + তি = গীতি

দৃশ + ণক = দর্শক

মন + তব্য = মন্তব্য

হন্ + য = হত্যা

হন + তৃ = হন্তা

নৃৎ + অক = নর্তক

বদ্ + অন = বদন

রমজ্ + ত = রক্ত

কৃ + তি = কৃতি

গৈ + ণক = গায়ক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

সহ্ + য = সহা

অস + শতৃ = অসৎ

গৈ + অক = গায়ক

দৃশ্ + অন = দর্শন

ধৃ + ত = ধৃত

বচ্ + তি = উক্তি

নশ + ণক = নাশক

কৃ + তৃচ্ = কর্তা

হস্ + য = হাস্য

মহ + শতৃ = মহৎ

কৃ + অক = কারক

নী + অন = নয়ন

হন্ + ত = হত

বুধ + তি = বুদ্ধি

মৃ + অনট্ = মরণ

বচ্ + তৃচ = বক্তা

কৃ + য = কার্য

গৈনী + অন = গান

শী + আন = শয়ন

নী + তি = নীতি

কৃ + ত = কৃত

দা + তৃচ = দাতা

স্মৃ + অনট্ = স্মরণ

দয় + আলু = দয়ালু

বাচ্ + মিন = বাগ্মী

বিদ্ + অন = বেদন

শ্রু + অন = শ্রবণ

পচ্ + ণক = পাচক

গম্ + ত = গত

নী + তৃচ = নেতা

গম্ + অনট্ = গমন

দৃশ + অনীয় = দর্শনীয়

চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

পত + অন = পতন

ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত

ক্লিশ্ + ত = ক্লিষ্ট

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

শ্রু + অনট্ = শ্রবণ

ফল্ + অন্ত = ফলন্ত

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

বংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় বহুবিধ। যেমন: অই, অক, অল, আই, আচ, আ, অন, আইত, আরি, আরী, আচি, আর, আরু, আলি, আল, ই, ঈ, ইয়া, (এ), কর, কার, ওয়া, উলি, উকি, গিরি, টিয়া, (ট), টা, জাত, পনা, না, তা, দার, ড়া, ময়, ভর, পানা ইত্যাদি। এগুলো বাংলা মূল শব্দের পরে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

১.অ-প্রত্যয় : অনুকার শব্দের শেষে বা নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা বস্তু বুঝাতে অ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

ঢল + অ = ঢল ˃ ঢলো

শিব + অ = শিব ˃ শিবো

মূল + অ = মূল ˃ মূলো

কাল + অ = কাল ˃ কালো

২. আ-প্রত্যয় : স্বার্থে, আছে অর্থে, জাত বা উৎপন্ন অর্থে, অবজ্ঞা প্রকাশার্থে, বৃহদার্থে ও বিশেষণে পরিণত করতে আ-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চাক + আ = চাকা

চাষ + আ = চাষা

ঘোড় + আ = ঘোড়া

জঙ্গ + আ = জঙ্গলা

জ্বল + আ = জ্বলা

শ্যাম + আ = শ্যামা

চাঁদ + আ = চাঁদা

ঠোঙ + আ = ঠোঙা

চীন + আ = চীনা

ফাঁক + আ = ফাঁকা

৩. অই-প্রত্যয় : পাঁচ থেকে আঠার পর্যন্ত তারিখ বুঝাতে অই-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পাঁচ + অই = পাঁচই

আঠার + অই = আঠারই

সাত + অই = সাতই

তের + অই = তেরই

৪. অট (ট), আটিয়া (টিয়া, টে) প্রত্যয় : সংশ্লিষ্ট বস্তু অর্থে বা সাদৃশ্য অর্থে বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মলা + অট = মলাট

রোগ + টে = রোগেটে

তুলা ˃ তুল + অট = তুলট

তামা + টিয়া = তামাটিয়া ˃ তামাটে

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ভরা + অট = ভরাট

লম্বা + টিয়া = লম্বাটিয়া ˃ লম্বাটে

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

৫. আ আনো-প্রত্যয় : আন আনো প্রত্যয়ান্ত শবদটি বিশেষণ হয়। যেমন:

হাত + আন = হাতান ˃ হাতানো

জুত + আন = জুতান ˃ জুতানো

বেত + আন = বেতান ˃ বেতানো

যোগ + আন = যোগান ˃ যোগানো

৬. আনি-প্রত্যয় : ভাবার্থে, কার্যার্থে, স্বার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষ্য হয়। যেমন:

বক বক + আনি = বকবকানি

তল + আনি = তলানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

কাতর + আনি = কাতরানি

হাঁপ + আনি = হাঁপানি

৭. আই-প্রত্যয় : আই-প্রত্যয় বিভিন্নঅর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ক. বিশেষ্য পদ গঠনে (আদরার্থে) :

নিম + আই = নিমাই

বল + আই = বলাই

কান + আই = কানাই

মধু + আই = মাধাই

খ. বিশেষ্য পদ গঠনে (ভাবার্থে) :

লম্ব + আই = লম্বাই

বড় + আই = বড়াই

চড়া + আই = চড়াই

খাড়া + আই = খাড়াই

গ. বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে (কর্ম অর্থে) :

বাঁধ + আই = বাঁধাই

কাম + আই = কামাই

সাফ + আই = সাফাই

চোর + আই = চোরাই

ঘ. বিশেষ্য পদ গঠনে (উৎপন্ন অর্থে)

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ধান + আই = ধানাই

মোগল + আই = মেগলাই

ঙ. বিশেষ্য পদ গঠনে (সম্বন্ধ অর্থে)

বোন + আই = বোনাই

মিঠা + আই = মিঠাই

ননদ + আই = ননদাই

জেঠা + আই = জেঠাই

৮. আমি (মি) প্রত্যয় : ভাব বা কাজ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

পাক্য + আমি = পাকামি

গোঁড়া + আমি = গোঁড়ামি

পাগল + আমি = পাগলামি

ফাজিল + আমি = ফাজলামি

৯. আলি, আলী-প্রত্যয় : সম্বন্ধ বা সাদৃশ্য অর্থে এবং ভাবার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

চতুর + আলী = চতুরালী

ঘটক + আলি = ঘটকালি

সোনা + আলি = সোনালি

ভাটি + আলি = ভাটিয়ালি

মেয়ে + আলী = মেয়েলী

রূপা + আলি = রূপালি

১০. আচ, আচি-প্রত্যয় : এ প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

বেঙ + অচি = বেঙাচি

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

ধুনা + আচি = ধুনাচি

কান + আচ = কানাচ

১১. আর, আরি, আরী-প্রত্যয় : ব্যবসা, পেশা বা বৃত্তি বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

সুত + আর = সুতার

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

কাট + আরি = কাটারি

ঝি + আরী = জিয়ারী

রকম + আরি = রকমারি

১২. ইয়া এ-প্রত্যয় : সংযোগ বা সম্বন্ধ বুঝাতে ইয়া এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

মোট + ইয়া = মুটিয়া ˃ মুটে

জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

বালি + ইয়া = বালিয়া ˃ বেলে

পাহাড় + ইয়া = পাহাড়িয়া ˃ পাহারে

আষাঢ় + ইয়া = আষাঢ়িয়া ˃ আষাঢ়ে

১৩. ই, ঈ-প্রত্যয় : ভিন্নার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন-

ক. ভাব অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে ঃ

সওদাগর + ই = সওদাগরি

বাহাদুর + ই = বাহাদুরি

উমেদার + ই = উমেদারি

খ. পেশা বা বৃত্তি অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষণ হয়ঃ

চাষ + ঈ = চাষী

ব্যাপর + ঈ = ব্যাপারী

রাখাল + ঈ = রাখালী

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পোদ্ধার + ঈ = পোদ্ধারী

ডাক্তার + ঈ = ডাক্তারী

গ. জাত, আগত, বা সম্বন্ধ অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে

গুজরাট + ঈ = গুজরাটী

বিলাত = ঈ = বিরাতী

পসার + ঈ = পসারী

পাঞ্জাব + ঈ = পাঞ্জাবী

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রেমম + ঈ = রেশমী

ঘ. মালিক অর্থে

দোকান + ঈ = দোকানী

জমিদার + ঈ = জমিদারী

১৪. উয়া ও-প্রত্যয় : বিশেষণার্থে, সম্বন্ধ বা সংযোগ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষন হয়। যেমন:

পট + উয়া = পটুয়া ˃ পটো

মাছ + উযা = মাছুয়া ˃ মেছো

জড় + উয়া = ঝড়-য়া ˃ ঝড়ো

মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

১৫. উ, উক-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

হিংসা + উক = হিংসুক

সাঁতার + উ = সাঁতারু

ভাব + উক = ভাববুক

নীচু + উ = নীচু

মিশ + উক = মিমুক

১৬. উড়িয়া উড়ে প্রত্যয় : প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

খেলা + উড়িয়া = খেলুড়িয়া ˃ খেলুড়ে

হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

চাষা + উড়িয়া = চাষাড়িয়া ˃ চাষাড়ে

১৭. বন্ত, মন্ত-প্রত্যয় : আছে অর্থে ও যুক্ত অর্থে বন্ত, মন্ত প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

শ্রী + মন্ত = শ্রীমন্ত

ভাগ্য + বন্ত = ভাগ্যবন্ত

বুদ্ধি = মন্ত = বুদ্ধিমন্ত

গুণ + বন্ত = গুণবন্ত

পয় + মন্ত = পয়মন্ত

১৮. ভর, ভরা-প্রত্যয় : পূর্ণতা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

দিন + বর = দিনভর

গাল + ভরা = গালভরা

রাত + ভর = রাতভর

১৯. ত, তা, তি- প্রত্যয় : আত্মীয় ও ভাবার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খালা + ত = খালাত

সম + তা = সমতা

মামা + ত = মামাত

চাক + তি = চাকতি

ধর + তা = ধরতা

জাল + তি = জালতি

২০. কা-প্রত্যয় : সাদৃশ্য বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ঘাল + কা = হালকা

দম + কা = দমকা

২১. কার-প্রত্যয় : স্বরবর্ণের চিহ্ন বুঝাতে এবং সম্পর্কিত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

আ + কার = আকার

উপর + কার = উপরকার

উ + কার = উকার

ভিতর + কার = ভিতরকার

২২. পানা, পারা-প্রত্যয় : সাদৃশ হতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

লম্বা + পানা = লম্বাপানা

চাঁদ + পারা = চাঁদপারা

চাঁদ + পানা = চাঁদপানা

পাগল + পারা = পাঘলপারা

কুলো + পনা = কুলোপানা

২৩. পনা-প্রত্যয় : ভাব বা আচরণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সতী + পনা = সতীপনা

দুরন্ত + পনা = দুরন্তপনা

গুন + পনা = গুণপনা

বীর + পনা = বীরপনা

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

গৃহিণী + পনা = গৃহিণীপনা

২৪. টা, টি-প্রত্যয় : নির্দিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

নেং + টা = নেংটা

কলম + টি = কলমটি

ডাল + টা = ডালটা

ছিপ্ + টি = ছিপটি

২৫. ন, না-প্রত্যয় : সম্পর্কীয় এবং বিশিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মিতা + ন = মিতান

ফাৎ + না = ফাৎনা

বেহাই + ন = বেহাইন

দাল + না = দালনা

২৬. উ, উলী-প্রত্যয় : আদর প্রকাশ করতে ও ক্ষুদ্রতা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খোকা + উ = খুকু

আধ + উলী = আধুলী

দুষ্ট + উ = দুষ্টু

হাঁস + উলী = হাঁসুলী

২৭. স, সী-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও সৌন্দর্য অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ফান + স = ফানুস

রূপ + সী = রূপসী

খোল + স = খোলস

২৮. অল-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও স্বার্থে ‘অল’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

হাত + অল = হাতল

বাদ + অল = বাদল

মাথা + অল = মাথাল

তাত + অল = তাতল

২৯. আইত-প্রত্যয় : আছে অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পোয়া + আইত = পোয়াইত

সেবা + আইত = সেবাইত

৩০. ময়-প্রতয় :

ঘর + ময় = ঘরময়

গ্রাম + ময় = গ্রামময়

বাড়ি + ময় = বাড়িময়

শহর + ময় = শহরময়

কাদা + ময় = কাদাময়

জল + ময় = জলময়

৩১. ড়, ড়া, ড়ী-প্রত্যয় :

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

খাগ + ড়া = খাগড়া

আছ + ড় = আছড়

চাম + ড়া = চামড়া

পাগ + ড়ী = পাগড়ী

৩২. ওয়া-প্রত্যয় :

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

পর + ওয়া = পরোয়া

চাঁদ + ওয়া = চাঁদোয়া

■ বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

হাত + আ = হাতা

ধ্রুপদ + ঈ = ধ্রুপদী

ভাটি + আল = ভাটিয়াল

ভিখ + আরী = ভিখারী

পো + লা = পোলা

রাজ + ড়া = রাজড়া

পাত = আ = পাতা

চাষ + ঈ = চাষী

বঙ্গ + আল = বাঙ্গাল

ঝি + আরী = ঝিয়ারী

মঘ + লা = মেঘলা

ফর + সা = ফরসা

পাগল + আ = পাগলা

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রস + আল = রসাল

মাঝ + আরি = মাঝারি

কাম + লা = কামলা

গাছ + ড়া = গাছড়া

চাঁদ + আ = চাঁদা

চালাক + ঈ = চালাকী

ধার + আল = ধারাল

দাপ + অট = দাপট

মি + আলী = মিতালী

লাল + চে = লালচে

এক + আ = একা

মরমা + ঈ = মরমী

নাক + আনি = নাকানি

মলা + অট = মলাট

ঘটক + আলি = ঘটকালী

ঘাম + চি = ঘামাচি

রঙ + আ = রাঙা

শিকার + ঈ = শিকারী

আম + আনি = আমানি

শুখা + টি = শুখটি ˃ শুটকি

জল + ওয়া = জলো

বেঙ + চি = বেঙাচি

চাকর + ই = চাকরি

খোকা + উ = খুকু

বড় + আই = বড়াই

নেহ + টা = নেহটা

গাঁ + ওয়া = গাঁওয়া ˃ গেঁয়ো

জন + পিছু = জনপিছু

গোল + ই = গুলি

চাল + উ = চালু

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ঘোলা + টে = ঘোলাটে

টাক + ওয়া = টেকো

গো + রু = গোরু

ছোরা + ই = ছুরি

সাঁতার + উ = সাঁতারু

মিঠা + আই = মিঠাই

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

বোম + আরু = বোমারু

কাঠ + ই = কাঠি

হাত + অল = হাতল

চোর + আই = চোরাই

খে + টা = খেমটা

বন + উয়া = বুনো

ছাত + আ = ছাতা

চালাক + ই = চালাকি

লাঠি + আল = লাঠিয়াল

আঠার + অই = আঠারই

হিম + এল = হিমেল

লাজ + উক = লাজুক

পিছ + অন = পিছন

বাঙ্গল + ই = বাঙ্গালি

দুধ + আল = দুধাল

পেট + উক = পেটুক

সুর + এলা = সুরেলা

দিন + ভর = দিনভর

এক + হারা = একহারা

পশম + ই = পশমী

আড় + আল = আড়াল

ছেলে + আমি = ছেলেমি

ঝাম + এলা = ঝামেলা

রাত + বর = রাতভর

মানান + সই = মানানসই

পোঁথা + ই = পুঁথি

দাঁত + আল = দাঁতাল

বোকা + আমি = বোকামি

আগ + ল = আগল

পান + ওয়ালা = পানওয়ালা

পাত + লা = পাতলা

দালাল + ই = দালালি

ধার + অল = ধারাল

ঘর + আমি + ঘরামি

হাট + উড়িয়া = হাটুড়িয়া

বাড়ি + ওয়ালা = বাড়িওয়ালা

কোঠ + রী = কোঠরী

জমিদার + ই = জমিদারি

গাজ + অর = গাজর

পাগল + আমি = পাগলামি

সাব + আড় = সাবাড়

শহর + ইয়া বা এ = শহুরে

মাসী + তুত = মাসতুত

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পেচা + আন = পেচান

আমোদ + এ = আমুদে

ভাগ + আড় = ভাগাড়

দরদ + ঈ = দরদী

সতী + ন = সতীন

দুষ্ট + আমি = দুষ্টামি

জুতা + আনো = জুতানো

জেঠা + ত = জেঠাত

কাঠ + আমো = কাঠামো

রাখাল + ঈ = রাখালী

মাতা + পিছু = মাথাপিছু

চাম + আর = চামার

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

মামা + ত = মামাত

বোমা + আরু = বোমারু

দেশ + ঈ = দেশী

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

সোনা + আর = সোনার

সেবা + ইত = সেবাইত

বীর + পনা = বীরপনা

চমক + ইত = মেকিত

করাত + ঈ = করাতী

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

ভাঁড় + আর = ভাড়ার

হাত + ইয়ার = হাতিয়ার

ঢোল + ক = ঢোলক

কালা + গোছের = কালাগোছের

দর্শন + ঈ = দর্শনী

দেশ + ময় = দেশময়

সুতা + আর = সুতার

কুঠি + ইয়াল = কুঠিয়াল

দম + কা = দমকা

গুদাম + জাত = গুদামজাত

হিসাব + ঈ = হিসাবী

পেট + রা = পেটরা

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

লাঠি + ইয়াল = লাঠিয়াল

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া

দোকান + ঈ = দোকানী

তবলা + চী = তবলচী

পূজা + আরী = পূজারী

কুঁচ + কে = কুঁচকে

জুয়া + ড়ি = জুয়াড়ি

বই + ঠা = বইঠা

শান্তিপুর + ঈ = শান্তিপুরী

নেশা + খোর = নেশাখোর

মশা + আরি = মশারী

শত + কিয়া = শতকিয়া

মুখ + স = মুখশ ˃ মুখোশ

চাচা + ত = চাচাত

চাল + তি = চলতি

সওদা + গর = সওদাগর

হুকুম + নামা = হুকুমনামা

বিতর + কার = ভিতরকার

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

ষ, ষিক, ইমন, ইলচ, ইন, ষ্ণীয়, তা, ত্ব, তর, তম, ঈয়স, ইষ্ট, বতুপ, মতুপ, বিন, ও, ষ্ণ্য, লচ, আলু ইত্যাদি প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। এ প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত মূল শব্দে পরে বসে। যেমন:

১. ষ (অ) প্রত্যয় : ষ-প্রত্যয় যে শব্দের সাথে যুক্ত হয়, তার মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়:

ক. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘অ’ স্থানে ‘আ’ হয়। যেমন:

বস্তু + ষ্ণ = বাস্তব

মনু + ষ্ণ = মানব

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

যদু + ষ্ণ = যাদব

ভরত + ষ্ণ = ভারত

শরৎ + ষ্ণ = শারদ

খ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ই, ঈ এ স্থানে ঐ হয়। যেমন:

হেম + ষ্ণ = হৈম

স্ত্রী + ষ্ণ = স্ত্রৈণ

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

গ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘ঋ’ স্থানে ‘আর’ হয়। যেমন:

ঋষি + ষ্ণ = আর্য

ঘ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে উ, ঊ , ও স্থানে ঔ হয়। যেমন:

চোর + ষ্ণ = চৌর

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

বুদ্ধ + ষ্ণ = বৌদ্ধ

গরু + ষ্ণ = গৌরব

২. ষ্ণি (ই) প্রত্যয় : ‘ই’ যোগ হয় এবং মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যেমন:

দশরথ + ষ্ণি = দাশরথি (অ-স্থলে আ)

সুমিত্রা + ষ্ণি = সৌমিত্রি (উ-স্থলে ঔ)

৩. ষ্ণিক (ইক) প্রত্যয় : দক্ষ বা সম্বন্ধীয় অর্থে বিশেষ্যের উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ পদ গঠিত হয় এবং মূল স্বর বৃদ্ধি পায়। যেমন:

বেদ + ষ্ণিক = বৈদিক (এ স্থলে ঐ)

বচন + ষ্ণিক = বাচনিক (অ স্থলে আ)

বিমান + ষ্ণিক = বৈমানিক (ই স্থলে ঐ)

বেতন + ষ্ণিক = বৈতনিক (এ স্থলে ঐ)

৪. ইমন (ইমা) প্রত্যয় : ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নীল + ইমন = নীলিমা

কাল + ইমন = কালিমা

চন্দ্র + ইমন = চন্দ্রিমা

রক্ত + ইমন = রক্তিমা

৫. ইন্ (ঈ) প্রত্যয় : সাধারণত বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমণ:

জ্ঞান + ইন্ = জ্ঞানী

গুণ + ইন = গুণী

মান + ইন = মানী

প্রাণ + ইন = প্রণী

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কর্তৃকারকের এক বচনে ইন্-প্রত্যয় ‘ঈ’ রূপ গ্রহণ করে।

৬. ষ্ণেয় (এয়) প্রত্যয় : অপত্য ও ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অগ্নি + ষ্ণেয় = আগ্নেয়

ভাগনী + ষ্ণেয় = ভাগ্নেয়

পথ + ষ্ণেয় = পাথেয়

গঙ্গা + ষ্ণেয় = গাঙ্গেয়

৭. ষ্ণীয় (ঈয়) প্রত্যয় : সম্বন্ধ অর্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

স্বর্গ + ষ্ণীয় = স্বর্গীয়

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

দল + ষ্ণীয় = দলীয়

৮. ইতচ (ইত) প্রত্যয় : ‘আছে’ ও ‘জাত’ অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

মূর্ছা + ইতচ্ = মূর্ছিত

নিদ্রা + ইতচ্ = নিদ্রিত

লজ্জা + ইতচ্ = লজ্জিত

কুসুম + ইতচ্ = কুসুমিত

৯. ইলচ (ইল) প্রত্যয় : উপকরণ জাত অর্থে ইলচ (ইল) প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

সর্প + ইলচ = সর্পিল

উর্মি + ইলচ = উর্মিল

কুট + ইলচ = কুটিল

পঙ্ক + ইলচ = পঙ্কিল

১০. ষ্ণ্য (য) প্রত্যয় : ‘য’ যোগ হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

কুমার + ষ্ণ্য = কৌমার্য (উ স্থলে ঔ)

ধীর + ষ্ণ্য = ধৈর্য (ঈ স্থলে ঐ)

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য (ই স্থলে ঔ)

স্থির + ষ্ণ্য = স্থৈর্য ( ই স্থলে ঐ)

১১.আলু-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে বিশেষ্যের সঙ্গে আলু প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ গঠিত হয়। যেমন:

দয়া + আলু = দয়ালু

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

ভাব + আলু = ভাবালু

স্বপ্ন + আলু = স্বপ্নালু

১২. ঈন-প্রত্যয় : ভাব অর্থে ‘ঈন’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অভ্যন্তর + ঈন = অভ্যন্তরীণ

তৎকাল + ঈন = তৎকালীন

সম্মুখ + ঈন = সম্মুখীন

নব = ঈন = নবীন

১৩. লচ (ল) প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং ‘লচ’ প্রত্যয়ের ‘ল’ যোগ হয়। যেমন:

পিঙ্গ + লচ = পিঙ্গল

শ্যাম + লচ = শ্যামল

কুশ + লচ = কুশল

মাংস + লচ = মাংসল

শীত + লচ = শীতল

বৎস + লচ = বৎসল

১৪. বতুপ, মাতুপ-প্রত্যয় : বতুপ (বৎ) এবং মাতুপ (মৎ) প্রত্যয় প্রথমার একবচনে যথাক্রমে ‘বা’ ও ‘মান’ হয়। বিশেষণ গঠনে বতুপ ও মাতুপ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ভাগ্য + বতুপ = ভাগ্যবান

বুদ্ধি + বতুপ = বুদ্ধিমান

ধন + বতুপ = ধনবান

শ্রী + মতুপ = শ্রীমান

পুণ্য + বতুপ = পুণ্যবান

শক্তি + মতুপ = শক্তিমান

১৫. তর, তম-প্রত্যয়ঃ অতিশায়নে ‘তর’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমনÑ

প্রিয় + তর = প্রিয়তর

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

অধিক + তম = অধিকতম

১৬. বিন (বী) প্রত্যয়ঃ এ প্রত্যয় বিশেষণ গঠনে যুক্ত হয়। যেমনÑ

মায়া + বিন = মায়াবী

যশস্ + বিন = যশস্বী

তপস্ + বিন = তপস্বী

মেধা + বিন = মেধাবী

তেজস্ + বিন = তেজস্বী

মনস + বিন = মনস্বী

১৭. ঈয়স, ইষ্ঠ-প্রত্যয়ঃ দুয়ের মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ঈয়স’ এবং বহুর মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ইষ্ঠ’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

লঘু + ঈয়স = লঘীমান

বল + ইষ্ঠ = বলিষ্ঠ

গুরু + ঈয়স = গরীয়ান

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ট

১৮. র-প্রত্যয়ঃ আছে অর্থে ‘র’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রথ্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন

নখ + র = নখর

মুখ + র = মুখর

শিখ + র = শিখর

কুঞ্জ + র = কুঞ্জর

উষ + র = উষরমধু + র = মধুর

১৯. ত্ব-প্রত্যয়ঃ ভাব বা গুণ বুঝাতে বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমনÑ

সতী + ত্ব = সতীত্ব

স্বল্প + ত্ব = স্বল্পত্ব

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

মহৎ + ত্ব = মহত্ত্ব

পশু + ত্ব = পশুত্ব

দাস + ত্ব = দাসত্ব

২০. তা-প্রত্যয়: ভাব, গুণ, বৃত্তি অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

জন + তা = জনতা

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সাধু + তা = সাধুতা

অলস + তা = অলসতা

সচল = তা = সচলতা

সৎ + তা = সততা

চঞ্চল + তা = চঞ্চলতা

প্রাচীন + তা = প্রাচীনতা

জটিল + তা = জটিলতা

■ সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়ের উদাহরণ

প্রকৃতি ও প্রত্যয় = শব্দ

মানব + ষ্ণ = মানব

সময় + ষ্ণিক = সাময়িক

পল্লব + ইত = পল্লবিত

দুগিত্ব + ষ্ণ = দৌহিত্র

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

ফেন + ইল = ফেনিল

বস্ত + ষ্ণ = বাস্তব

মানস + ষ্ণিক = মানসিক

পঙ্ক + ইল = পঙ্কিল

নিশা + ষ্ণ = নৈশ

ধর্ম + ষ্ণিক = ধার্মিক

অদঃ + তন = অধস্তন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

সময় + ষ্ণক = সাময়িক

ঊর্ধ্ব + তণ = ঊর্ধ্বতন

অলস + ষ্ণ = আলসা

লোক + ষ্ণিক = লৌকিক

পুরা + তন = পুরাতন

বন + ষ্ণ = বন্যা

নীতি + ষ্ণিক = নৈতিক

প্রাক + তন = প্রাক্তন

পুত্র + ষ্ণ = পৌত্র

মানব + ষ্ণিক = মাববিক

বিজ্ঞান + ইক = বৈজ্ঞানিক

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

সাধু + তা = সাধুতা

প্রাচ + যক = প্রাচ্য

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সেনা + য = সৈন্য

গম্ভীর + ষ্ণ = গাম্ভীর্য

মম + তা = মমতা

তালু + যক = তালব্য

সখা + ষ্ণ = সখ্য

অলস + তা = অলসতা

জল + ময় = জলময়

ছাত্র + ষ্ণ = ছাত্র

দৃঢ় + তা = দৃঢ়তা

বাক + ময় = বাক্সময়

মুনি + ষ্ণ = মৌন

বক্তৃ + তা = বক্তৃতা

লৌহ + ময় = লৌহময়

দনু + ষ্ণ = দানব

লঘু + তা = লঘুতা

মৃদ + ময় = মৃন্ময়

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য

ভদ্র + তা = ভদ্রতা

চিৎ + ময় = চিন্ময়

গ্রাম + ষ্ণ = গ্রাম্য

নীচ + তা = নীচতা

গুণ + ময়ট্ = গুণময়

মধুর + ষ্ণ = মাধুর্য

এক + তা = একতা

তদ্ + ময় = তন্ময়

তিল + ষ্ণ = তৈল

কবি + তা = কবিতা

পথ + এয় = পাথের

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

স্বাধীন + তা = স্বাধীনতা

গুরু + ইমন = গরীমা

পৃথিবী + ষ্ণ = পার্থিব

নেতৃ + ত্ব = নেতৃত্ব

লঘু + ইমন = লঘিমা

কিশোর + ষ্ণ = কৈশোর

স্ব + ত্ব = স্বত্ব

নীল + ইমন = নীলিমা

বার্ধক + ষ্ণ = বার্ধক্য

মম + ত্ব = মমত্ব

জ্ঞান + বতুপ = জ্ঞানবান

সভা + ষ্ণ = সভ্য

কৃতি + ত্ব = কৃতিত্ব

বুদ্ধি + মতুপ = বুদ্ধিমান

ভাস্কর + ষ্ণ = ভাস্কর্য

বীর + ত্ব = বীরত্ব

গুণ + বতুপ = গুণবান

দশরথ + ষ্ণ = দাশরথি

এক + ত্ব = একত্ব

শীত + ল = শীতল

লঘু + ষ্ণ = লাঘব

ব্যাক্তি + ত্ব = ব্যক্তিত্ব

নব + ঈন = নবীন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

বিমাতা + ষ্ণেয় = বৈমাত্রেয়

সুজন + ষ্ণ = সৌজন্য

বন্ধু + ত্ব = বন্ধুত্ব

স্ব + ঈয় = স্বীয়

মনু + ষ্ণ = মনুষ্য

বৃহৎ + তর = বৃহত্তর

মধু + র = মধুর

প্রমাণ + ষ্ণ = প্রামাণ্য

লঘু + তর = লঘুতর

আদি + যক = আদ্য

রাবণ + ষ্ণ = রাবণি

উচ্চ + তর = উচ্চতর

আত্ম + বৎ = আত্মবৎ

চক্ষু + ষ্ণ = চাক্ষুস

অন্য + তম = অন্যতম

ক্ষুধা + ইত = ক্ষুধিত

স্থির + ষ্ণ = স্থৈর্য

দ্রুত + তম = দ্রুততম

শ্রেয়স + ইষ্ঠ = শ্রেষ্ঠ

ধীর + ষ্ণ = ধৈর্য

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

রোম + শ = রোমশ

সেনা + ষ্ণ = সৈন্য

গ্রাম + ইন = গ্রামীণ

মেধা + বিন = মেধাবী

নগর + ষ্ণিক = নাগরিক

কিম + চিত = কিঞ্চিত

দেহ + ষ্ণীয় = দৈহিক

রোগ + ইন = রোগী

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

বর্ষ + ষ্ণীয় = বার্ষিক

পক্ষ + ইন = পক্ষী

গুণ + ইন = গুণী

দেহ + ষ্ণীয় = দৈনিক

কুল + ঈন = পাখি

লজ্জা + ইন = লজ্জিত

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

জটা + ইল = জটিল

মাংসা + ল = মাংসল

লোক + ষ্ণীয় = লৌকিক

রোগ + ইন = রোগী

বল + বাল = বলবান

দীর্ঘ + তম = দীর্ঘতম

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ঠ

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

বৃহৎ + তম = বৃহত্তম

মুখ + র = মুখর

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

সর্ব + দা = সর্বদা

মধু + র = মধুর

শ্যাম + ল = শ্যামল

দয়া + আলু = দয়ালু

পিতৃ + বৎ = পিতৃব্য

বাঙ্গাল + ই = বাঙ্গালি

রোম + শ = রোমশ

মধ্য + ম = মধ্যম

মনস + ঈষা = মনীষা

কর্ক + শ = কর্কশ

এক + দা = একদা

লঘু + ইষ্ঠ = লঘিষ্ঠ

লোক + শ = লোমশ

আদি + ম = আদিম

বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়

বিদেশী প্রত্যয় বলতে বিশেষত ফারসি ভাষা থেকে আগত প্রত্যয়গুলোকেই বুঝায়। আনা, ওয়ালা, নবীশ, সই, দান (দানী),খানা, আনি, ওয়ান, গিরি, বন্দী, নামা, বাজ, প্রত্যয়সমূহই বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়। নিচে বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ দেওয়া হল ঃ

১. আনা -প্রত্যয়ঃ ভাব বা সম্পর্কীয় মুদ্রা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

গরিব + আনা = গরিবানা

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

মুন্সি + আনা = মুন্সিয়ানা

মালিক + আনা = মালিকানা

নজর + আনা = নজরানা

মোহর + আনা = মোহরানা

২. আনি-প্রত্যয়ঃ ভাব ও কার্য বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কাতর + আনি = কাতরানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

তল + আনি = তলানি

৩. ওয়ান-প্রত্যয়ঃ কার্য বা পেশা বুঝাতে ‘ওয়ান’ প্রত্যয় ব্যহৃত হয়। যেমন:

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

(দ্বার) দার + ওয়ান = দারোয়ান

কোচ + ওয়ান = কোচোয়ান

পাল + ওয়ান = পালোয়ান

৪. ওয়ালা-প্রত্যয়ঃ মালিকানা অর্থে এ প্রত্যয়ের ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চুড়ি + ওয়ালা = চুড়িুয়ালা

দুধ + ওয়ালা = দুধওয়ালা

ফেরি + ওয়ালা = ফেরিওয়ালা

গাড়ি + ওয়ালা = গাড়িওয়ালা

৫. খানা-প্রত্যয়ঃ স্থান বা দোকান বোঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চিড়িয়া + খানা = চিড়িয়াখানা

কয়েদ + খানা = কয়েদখানা

বৈঠক + খানা = বৈঠকখানা

কসাই + খানা = কসাইখানা

ছাপা + খান = ছাপাখানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

৬. গর-প্রত্যয়ঃ নির্মাণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সওদা + গর = সওদাগর

বাজি + গর = বাজিগর

কারি + গর = কারিগর

৭. গিরি-প্রত্যয়ঃ ভাব বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

গোয়েন্দা + গিরি = গোয়েন্দাগিরি

বাবু + গিরি = বাবুগিরি

মুটে + গিরি = মুটেগিরি

৮. খোর-প্রত্যয়ঃ নিন্দিত দ্রব্য সেবনকারী বা গ্রহণকারী অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নেশা + খোর = নেশাখোর

চশম + খোর = চশমখোর

হারাম + খোর = হারামখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

৯. বাজ, বাজি-প্রত্যয়ঃ অভ্যস্থ বা নিন্দিত কার্য অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

ধোঁকা + বাজ = ধোঁকাবাজ

গলা + বাজ = গলাবাজ

গল্প + বাজ = গল্পবাজ

আপ্পা + বাজি = ধাপ্পাবাজি

নকল + বাজ = নকলবাজ

গুন্ডা + বাজি = গুন্ডাবাজি

১০. নার, নারি-প্রত্যয়ঃ মালিকানা, ব্যবসায় বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা কখনও কখনও বিশেষণও হয়। যেমন:

চৌকি + দার = চৌকিদার

দোকান + দারি = দোকানদারি

চটক + দার = চটকদার

জমি + দারি = জমিদারি

পেশা + দার = পেশাদার

তালুক + দারি = তালুকদারি

১১. চা-প্রত্যয়ঃ ক্ষুদ্র অর্থে ‘চা’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চাম + চা = চামচা

বাগ + চা = বাগচা

নলি + চা = নলিচা

গালি + চা = গালিচা

১২. চি-প্রত্যয়ঃ আধার অর্থে ‘চি’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

মশাল + চি = মশালচি

ধুনা + চি = ধুনাচি

ধুপ + চি = ধুপচি

কলম + চি = কলমচি

১৩. সই-প্রত্যয়ঃ যোগ্য, উপযুক্ত, প্রমাণ ও পরিমাণ অর্থে ‘সই’-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চলন + সই = চলনসই

মানান + সই = মানানসই

টেক + সই = টেকসই

মাপ + সই = মাপসই

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘টিপসই’ ও ‘নামসই’ শব্দ দুটির ‘সই’ শব্দটি প্রত্যয় নয়। কারণ এটি সহি (স্বাক্ষর) শব্দ থেকে উৎপন্ন ‘সই’ হয়।

১৪. দান, দানি-প্রত্যয়: আধার অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

ফুল + দানি = ফুলদানি

বাতি + দান = বাতিদান

ছাই + দান = ছাইদান

আতর + দান = আতরদান

পিক + দান = পিকদান

কলম + দান = কলমদান

১৫. বন্দ, বন্দী-প্রত্যয়ঃ বন্ধ বা গৃহীত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কোমর + বন্দ = কোমরবন্দ

জবান + বন্দী = জবানবন্দী

নজর + বন্দ = নজরবন্দ

বাক্স + বন্দী = বাক্সবন্দী

১৬. নবীশ-প্রত্যয়ঃ অভিজ্ঞ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

হিসাব + নবীশ = হিসাবনবীশ

পত্র + নবীশ = পত্রনবীশ

শিক্ষা + নবীশ = শিক্ষানবীশ

নকল + নবীশ = নকলনবীশ

১৭. নামা-প্রত্যয়ঃ দলিল অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ওকালত + নামা = ওকালতনামা

ওসিয়ত + নামা = ওসিয়তনামা

■ বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

আতর + দান = আতরদান

পাওনা + দার = পাওনাদার

নজর + আনা = নজরানা

গোসল + খানা = গোসলখানা

খবর + দার = খবরদার

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

জেল + খানা = জেলখানা

অংশী + দার = অংশীদার

বিবি + আনা = বিবিয়ানা

ছাপা + খানা = ছাপাখানা

ঠিকা + দার = ঠিকাদার

মোহর + আনা = মোহরানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

মজা + দার = মজাদার

বাতি + দান = বাতিদান

পিল + খানা = পিলখানা

সমঝ + দার = সমঝদার

দপ্তর + খানা = দপ্তরখানা

ডেপুটি + গিরি = ডেপুটিগিরি

চৌকি + দার = চৌকিদার

মুদি + খানা = মুদিখানা

বাজি + গর = বাজিগর ˃ বাজিকর

জমি + দার = জমিদার

পান + দানি = পানদানি

গুরু + গিরি = গুরুগিরি

সুদ + খোর = সুদখোর

বাতি + দান = বাতিদান

কারি + গর = কারিগর

ঘুষ + খোর = ঘুষখোর

পা + দানি = পাদানি

দোকান + দারি = দোকানদারি

মদ + খোর = মদখোর

ফুল + দানি = ফুলদানি

নেতা + গিরি = নেতাগিরি

চশম + খোর = চশমখোর

ছাই + দানি = ছাইদানি

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

তামাক + খোর = তামাকখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

মামলা + বাজ = মামলাবাজ

কেমন + তর = কেমনতর

জুত + সই = জুতসই

উকিল + নবিশ = উকিলনবিশ

বহু + তর = বহুতর

পছন্দ + সই = পছন্দসই

শিক্ষা + নবিশ = শিক্ষানবিশ

চিলম + চি = চিলমচি

প্রমাণ + সই = প্রমাণসই

জমা + নবিশ = জমানবিশ

বাগ + চা = বাগচা ˃ বাগিচা

মানান + সই = মানানসই

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

চাম্ + চা = চামচা

দশা+ সই = দশাসই

মজুদ + দার = মজুতদার

মশাল + চি = মশালচি

ধোঁকা + বাজি = ধোঁকাবাজ

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

নজর + বন্দী = নজনবন্দী

ফাঁকি + বাজ = ফাঁকিবাজ

দখল + নামা= দখলনামা

গৃহ + বন্দী = গৃহবন্দী

চাল + বাজ = চালবাজ

দ্বার + আনা = দারোয়ান

কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়

প্রদত্ত শব্দ প্রকৃতি + প্রত্যয়

প্রত্যয়ের নাম

অংশীদার = অংশী + দার

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

অতিথি = অত + ইথিন্

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অন্তিম = অন্ত + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অভাব = অ + ভূ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অচেনা = অ + চিন + আ

কৃৎ প্রত্যয়

অধ্যয়ন = অধি + ই + অন

কৃৎ প্রত্যয়

অনুজ = অনু + জন্ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অগ্রিম = অগ্র + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অজানা = অ + জান্ + আ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অর্ঘ = অর্ঘ + ষ্ণ্য

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আদুরে = আদর + ইয়া = আদরিয়া ˃ আদুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

আর্থিক = অর্থ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

আড়তদার = আড়ত + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

আঠাল = আঠা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

আধুলি = আধ্ + উলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

আগ্নেয় = অগ্নি + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

আকস্মিক = অকস্মাৎ + ষ্ণিক

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আভিজাত্য = অভিজাত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ই, ঈ

ইতরামি = ইতর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ইচ্ছুক = ইচ্ছা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঈশ্বর = ঈশ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

উপ্ত = বপ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উঠতি = উঠ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উক্ত = বচ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উক্তি = বচ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উড়ন্ত = উড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

উজান = উজ্ + আন

কৃৎ প্রত্যয়

এ, ঐ, ও

এঁটেল = আঠা + ল = আঠাল ˃ এঁটেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

একলা = এক + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐতিহাসিক = ইতিহাস + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐহিক = ইহ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐন্দ্রজালিক = ইন্দ্রজাল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওকালতি = ওকালত + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওড়না = ওড় + না

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঁদুনে = কাঁদ + উনে

তদ্ধিত প্রত্যয়

করমদানি = কলম + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কর্তব্য = কৃ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

কর্তা = কৃ + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

করণীয় = কৃ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

কমতি = কম + তি

কৃৎ প্রত্যয়

করা = কর + আ

কৃৎ প্রত্যয়

কৌশল = কুশল + অ (অণ্)

তদ্ধিত প্রত্যয়

কৌশিক = কুশিক + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ক্রেতা = ক্রী + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁদন = কাঁদ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁন্না = কাঁদ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

কারক = কৃ + অক (নক)

কৃৎ প্রত্যয়

কৃপণ = কৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কৃষক = কৃষ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁসারি = কাঁসা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাব্য = কবি + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

কারিগর = কারি + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরিয়া = কাঠ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরে = কাঠ + উড়িয়া = কাঠুরিয়া ˃ কাঠুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুলীন = কুল + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

কেজো = কাজ + উয়া = কাজুয়া ˃ কেজো

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুঠিয়াল = কুঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

খ্যাতি = খ্যা + তি

কৃৎ প্রত্যয়

খেকো = খা + উকা = খাউকা ˃ খেকো

কৃৎ প্রত্যয়

খোদাই = খোদ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

খাইয়ে = খা + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

খাওয়া = খা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

খেলোয়ার = খেল্ + ওয়াড়

কৃৎ প্রত্যয়

খেলনা = খেল্ + অনা

কৃৎ প্রত্যয়

খেচর = খে + চর

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

গত = গম + ত

কৃৎ প্রত্যয়

গামন = গম্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

গন্তব্য = গম + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

গায়ক = গৈ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

গরিমা = গুরু + ইমন্

তদ্ধিত প্রত্যয়

গারবিনী = গরব্ + ইনী

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাড়োয়ান = গাড়ি + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

গম্য = গম্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

গালিচা = গালা + ইচা

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাইয়ে = গাহ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

গেঁয়ো = গাঁ + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেছো = গাছ + উয়া = গাছুয়া ˃ গেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেলামি = গোলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাছটি = গাছ + টি

তদ্ধিত প্রত্যয়

গণন = গণ + না

কৃৎ প্রত্যয়

গোলাপী = গোলাপ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গোয়াল = গোয়াল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রাম্য = গ্রাম + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রামীণ = গ্রাম + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

গৃহস্থলি = গৃহস্থ + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরামি = ঘর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরোয়া = ঘর + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘাটতি = ঘাট্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাতক = হন্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাপলা = ঘাপ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘুমন্ত = ঘুম + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ঘুষখোর = ঘুষ + খোর

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘেরাও = ঘির + আও

কৃৎ প্রত্যয়

ঘোলাটে = ঘোলা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘামাচি = ঘাম + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটকালি = ঘটক + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটক = ঘট্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

চীনা = চীন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চড়াই = চড় + আই

কৃৎ প্রত্যয়

চড়াও = চড়্ + আও

কৃৎ প্রত্যয়

চলন = চল্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

চলন্ত = চল্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

চলতি = চল্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

চাপাবাজি = চাপা + বাজি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চলনসই = চলন + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালুনি = চাল্ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাকুরি = চাকর + উরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকুরে = চাকর + ইয়া = চাকরিয়া ˃চাকুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামার = চাম + আর

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামড়া = চাম + ড়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাটাই = চাটা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদা = চাঁদ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদিমা = চাঁদ + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদপনা = চাঁদ + পনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকা = চাক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদোয়া = চাঁদ + ওয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালাকি = চালাক + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিরুনি = চির + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাউনি = চাহ্ + অনি

কৃৎ প্রত্যয়

চৈতালি = চৈত + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিন্ময় = চিৎ + ময়

কৃৎ প্রত্যয়

চোরাই = চোর + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চৌকিদার = চৌকি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

চতুরালি = চতুর + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাপাখানা = ছাপা + খানা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছেলেমি = ছেলে + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছুটি = ছুট্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটে = ছটফট্ + ইয়া = ছটফটিয়া ˃ ছটফটে

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটানি = ছটফট্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাউনি = ছা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাত্র = ছত্র + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাঁটাই = ছাঁট + আই

কৃৎ প্রত্যয়

জয়ী = জি + ইন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমাট = জমা + আট্

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাতীয় = জাতি + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্বলন্ত = জল্ব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জীবন্ত = জীব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জয় = জি + অ

কৃৎ প্রত্যয়

জলা = জল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলো = জলা + উয়া = জলোয়া ˃ জলো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলীয় = জল + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জটিল = জটা + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

জনতা = জন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জালিয়া = জাল + ইয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

জেলে = জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমানো = জম + আনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জবানবন্দি = জবান + বন্দি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জুয়াড়ি = জুয়া + আড়ি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্যাঠামি = জ্যাঠা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাঁকাল = জাঁক + আল

কৃৎ প্রত্যয়

জটলা = জট + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমিদার = জমি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝরনা = র্ঝ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঝলক = ঝল্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়ন = ঝাড় + অন

কৃৎ প্রত্যয়

ঝগড়াটে = ঝগড়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝড়ো = ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া ˃ ঝড়ো

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়-দার = ঝাড়- + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝিয়ারি = ঝি + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝুলন = ঝুল্ + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্ঞানী = জ্ঞান + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ট, ঠ, ড, ঢ

টেকো = টেকো + উয়া = টাকুয়া ˃ টেকো

তদ্ধিত প্রত্যয়

টেকসই = টেক + সই

কৃৎ প্রত্যয়

ঠকা = ঠক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঠ্যাঙ্গাড়ে = ঠ্যাঙ্গা + ড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডাকু = ডাক্ + উ

কৃৎ প্রত্যয়

ডাকাত = ডাক্ + আইত = ডাকাইত ˃ ডাকাত

কৃৎ প্রত্যয়

ডাক্তারি = ডাক্তার + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডিঙ্গা = ডিঙ্গি + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডুবুরি = ডুব্ + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ডুবন্ত = ডুব্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ডেকচি = ডেক্ + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকনা = ঢাক্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঢাকনি = ঢাক্ + নি

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালাই = ঢাল্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালু = ঢাল্ + উ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকাই = ঢাকা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত, থ, দ

তবলচি = তবল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

তৈল = তিল + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত্যাগ = ত্যজ্ + অ (ঘঞ)

কৃৎ প্রত্যয়

তামাটে = তামা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

তাত্ত্বিক = তত্ত্ব + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

তালব্য = তালু + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দ্রাঘিমা = দ্রাঘি + ইমন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশি = দিশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দর্পণ = দৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

দৈন্য = দিন + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাতা = দা + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শন = দৃশ্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শনীয় = দৃশ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

দৃশ্য = দৃশ্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দ্রষ্টব্য = দৃশ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শক = দৃশ্ + অক্

কৃৎ প্রত্যয়

দাপট = দাপ + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাগি = দাগ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দামি = দাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দানব = দনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দালালি = দালাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঁতাল = দাঁত + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাবাড়- = দাবা + উড়িয়া = দাবাড়িয়া ˃ দাবাড়-

তদ্ধিত প্রত্যয়

দার্শনিক = দর্শন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দারোয়ান = দ্বার দার + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঙ্গাবাজ = দাঙ্গা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশারী = দিশ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

দুগ্ধ = দুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

দুধাল = দুধ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুধেল = দুধ + আল = দুধাল ˃ দুধেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেনাদার = দেনা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশী = দেশ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানদার = দোকান + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানি = দোকান + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোলনা = দুল্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

দীঘল = দীর্ঘ + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুষ্টামি = দুষ্ট + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

দৈনিক = দিন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দয়ালু = দয়া + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুঃখিত = দুঃখ + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশীয় = দেশ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিব্য = দিব্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দৈত্য = দিতি + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধ, ন

ধার্মিক = ধর্ম + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধারাল = ধার + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধনুরি = ধনু + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ধোঁয়াটে = ধোঁয়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধৈর্য = ধীর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধেনো = ধান + উয়া = ধানুয়া ˃ ধেনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

নোনতা = নুন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নবীন = নব + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নয়ন = নী + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

নায়ক = নী + অক

কৃৎ প্রত্যয়

নেয়ে = নাও + উয়া = নউয়া ˃ নেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাবিক = নৌ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাগরিক = নগর + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাচিয়ে = নাচ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

নেতা = নী + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

নিড়ানি = নিড়্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

নিদ্রালু = নিদ্রা + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

নীলিমা = নীল + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নজরানা = নজর + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নকলনবীশ = নকল + নবীশ

তদ্ধিত প্রত্যয়

নশ্বর = নশ্ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

পা-ব = পা- + অ (অন)

তদ্ধিত প্রত্যয়

পড়-য়া = পড়্ + উয়া

কৃৎ প্রত্যয়

পড়ন্ত = পড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

পশমি = পশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পঙ্কিল = পঙ্ক + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

পথিক = পথ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাঠক = পাঠ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

পানীয় = পান + ঈয়

কৃৎ প্রত্যয়

পার্থিব = পৃথিবী + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পান্তা = পানি + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসা = পানি + সা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসে = পানি + সা = পানসা ˃ পানসে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাওনা = পাও + না

কৃৎ প্রত্যয়

পাথুরে = পাথর + ইয়া = পাথরিয়া ˃ পাথুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পায়া = পা + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাকামো = পাকা + আমো

তদ্ধিত প্রত্যয়

প-িত = প-া + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রচলিত = প্রচলন + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

পিপাসা = পিপাসা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

পাগলামি = পাগল + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজনীয় = পূজ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

পিছল = পিছ্ + অল

কৃৎ প্রত্যয়

পিকদানি = পিক + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রাচ্য = প্রাচ্ + ষ্ণ্য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেনিল = ফেন্ + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেরতা = ফির + তা

কৃৎ প্রত্যয়

ফেরত = ফির + অত

কৃৎ প্রত্যয়

ফুটন্ত = ফুট্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ফোটা = ফুট্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলেল = ফুল + এল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফাটল = ফাট + ল

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলদানি = ফুল + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফলন্ত = ফল + অন্ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোম্বাই = বোম্বে + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বিজ্ঞান = বি + জ্ঞা + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বারমেসে = বারমাস + এ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বক্তব্য = বচ্ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

বক্তা = বচ্ + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

বর্ষণ = বৃষ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বর্গাদার = বর্গা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

বহতা = বহ্ + তা

কৃৎ প্রত্যয়

বড়াই = বড় + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঘা = বাঘ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাটনা = বাট্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজনা = বাজ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজিয়ে = বাজ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধন = বাঁধ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধাই = বাঁধ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁশি = বাঁশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁশরি = বাঁশ + রি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বন্দিনী = বন্দি + নী

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদলা = বাদল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসত = বস + ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুগিরি = বাবু + গিরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদামি = বাদাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাগিচা = বাগ + চা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙ্গাল = বঙ্গ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙালি = বাঙাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাড়ন্ত = বাড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাড়তি = বাড় + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বকুনি = বকা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

বার্ষিক = বর্ষ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁদরামি = বাঁদও + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসতি = বস + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বাছাই = বাছ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুর্চি = বাবু + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাবুয়ানা = বাবু + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাহাদুরি = বাহাদুর + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেগুনে = বেগুন + ইয়া = বেগুনিয়া ˃ বেগুন

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেঙাচি = বেঙ + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈজ্ঞানিক = বিজ্ঞান + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈঠক = বৈঠ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

বৈমাত্রেয় = বিমাতা + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈধ = বিধি + ঞ্চ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈচিত্র্য = বিচিত্র + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেকামি = বোকা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোমারু = বোমা + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

বুনো = বন + উয়া = বনোয়া ˃ বুনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোনাই = বোন + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভিখারি = ভিখ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

ভৌগোলিক = ভূগোল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভোজ্য = ভোজ্ + আমি

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়ামি = ভাড় + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভয় = ভী + অয়

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়াটে = ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাতুরে = ভাত + উড়িয়া = ভাতুরিয়া ˃ ভাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভেতো = ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাজি = ভাজ্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ভাবুক = ভাব + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মানত = মান + ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৃন্ময় = মৃদ্ + ময়

তদ্ধিত প্রত্যয়

মহিমা = মহৎ + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মন্ত্রী = মন্ত্র + ইমন

কৃৎ প্রত্যয়

মড়ক = মড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মোড়ক = মুড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মশারি = মশা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মলাট = মলা + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাংসল = মাংস + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাথাল = মাথা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাধুর্য = মধুর + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানব = মনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানানসই = মানান + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মামলাবাজ = মামলা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মশালচি = মশাল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মুক্ত = মুচ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মুক্তি = মুচ্ + ক্তি

কৃৎ প্রত্যয়

মুগ্ধ = মুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মিশুক = মিশ্ + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মিথ্যুক = মিথ্যা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিশাল = মিশ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

মিতালী = মিতা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিঠাই = মিঠা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেটে = মাটি + ইয়া = মাটিয়া ˃ মেটো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঠো = মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেছো = মাছ + উয়া = মাছুয়া ˃ মেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঘলা = মেঘ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেধাবী = মেধা + বিন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়ে = মা + ইয়া = মইয়া ˃ মেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়েলি = মেয়ে + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মোগলাই = মোগল + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৌখিক = মুখ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

য, র, ল

যাচাই = যাচ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

যৌবন = যুব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

রুষ্ট = রুষ্ + ত (ক্ত)

কৃৎ প্রত্যয়

রোগাটে = রোগা + টিয়া = রোগাটিয়া ˃ রোগাটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাঁধা = রাঁধ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

রাঁধুনি = রাঁধ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

রান্না = রাঁধ + না

কৃৎ প্রত্যয়

রমণীয় = রমণ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাখাল = রাখ্ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

রসাল = রস + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

রেশমি = রেশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

রোগা = রোগ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লঘিমা = লঘু + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

লবণ = লো + অন

কৃৎ প্রত্যয়

লেখক = লিখ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

রাজুক = লাজ + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালচে = লাল + চে

তদ্ধিত প্রত্যয়

লাঠিয়াল = লাঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লেঠেল = লাঠি + আল = লাঠিয়াল ˃ লেঠেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লৌকিক = লোক + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

লোনা = লনু + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালিমা = লাল + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোনা = শোন্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

শয়ন = শে + অনট্

কৃৎ প্রত্যয়

শহুরে = শহর + ইয়া = শহরিয়া ˃ শহুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

শাঁখারি = শাঁখা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্যামলা = শ্যাম + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শীতল = শীত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

শিক্ষক = শিক্ষা + অক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্রবণ = শ্রু + অন

কৃৎ প্রত্যয়

শারীরিক = শরীর + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শৈল্পিক = শিল্প + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোচনীয় = শুচ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

শৈব = শিব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স¤্রাট = সম + রাজ + ক্বিপ

কৃৎ প্রত্যয়

সওদাগার = সাওদা + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

সর্পিল = সর্প + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়ে = সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়িয়া = সাপ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাঁতারু = সাঁতারু + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাধুতা = সাধু + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপ্তাহিক = সপ্তাহ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাংবাদিক = সংবাদ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্য = সাহিত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্যিক = সাহিত্য + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সামাজিক = সমাজ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

সূর্য = সৃ + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌর = সূর্য + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌন্দর্য = সুন্দর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সোনালি = সোনা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেলামি = সেলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেবাইত = সেবা + আইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

সত্তা = সৎ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স্বপ্নিল = স্বপ্ন + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৃষ্টি = সৃজ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

হাঁচি = হাঁচ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হত্যা = হন্ + ক্যাপ

কৃৎ প্রত্যয়

হলদে = হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতল = হাত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতুড়ে = হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাটুরে = হাট + উড়িয়া = হাটুরিয়া ˃ হাটুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাসি = হাস্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হিমেল = হিম + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতানন = হাত + আন

তদ্ধিত প্রত্যয়

উপসর্গ: যে সকল অব্যয়সুচক শব্দাংশ স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না কিন্তু অন্য শব্দের আগে বসে শব্দটির অর্থের পরিবর্তন সাধন করে, তাকে উপসর্গ বলে। উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলে এদের অর্থদ্যোতকাতা বা নতুন শব্দ সৃজনের ক্ষমতা থাকে।

বাংলা ভাষায় তিন প্রকার উপসর্গ আছে:

১. খাটি বাংলা উপসর্গ ২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ ৩. বিদেশী উপসর্গ

খাটি বাংলা উপসর্গ (২১ টি)

২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ (২০ টি)

বিদেশী উপসর্গ (এখনো নির্নীত হয় নি)

অ, অঘা, অজ, অনা

আ, আড়, আন, আব

ইতি, ঊন, কদ, কু

নি, পাতি, বি, ভর

রাম, স, সা, সু

হা = ২১টি

প্র, পরা, অপ, সম্, নি

অব, অনু, নির, দূর, বি

সু, উত্, অধি, পরি, প্রতি

উপ, আ, অপি, অভি, অতি =২০টি

ফারসি উপসর্গ: কার্, দর্, না, নিম্, ফি, বদ্, বে, বর্, ব্, কম্

আরবি উপসর্গ: আম্, খাস, লা, গর্

ইংরেজি উপসর্গ: ফুল, হাফ, হেড, সাব

উর্দু-হিন্দি উপসর্গ: হর

চারটি উপসর্গ যথা: সু, বি, নি, আ খাটি বাংলা এবং তত্সম উভয়ক্ষেত্রে দেখা যায়।

প্রত্যয়: যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দ (প্রাতিপাদিক) এর পর যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার: কৃত্ প্রত্যয় (বাংলা এবং সংস্কৃত) এবং তদ্ধিত প্রত্যয় (বাংলা, সংস্কৃত এবং বিদেশী)।

প্রকৃতি: কোনো মেৌলিক শব্দের যে অংশকে আর কোনোভাবেই বিভক্ত বা বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে। প্রকৃতি দুই প্রকার: যথা: ক্রিয়া প্রকৃতি এবং নাম প্রকৃতি।

পদ প্রকরণ: বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক একটি পদ। বিভক্তিযুক্ত শব্দ এবং ধাতুই পদ। পদ মোট ৫ প্রকার: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া এবং অব্যয়।

চাকুরির প্রস্তুতি

বাংলা ব্যাকরণের উল্লেখযোগ্য কঠিন টপিক গুলোর মধ্যে প্রকৃতি প্রত্যয় অন্যতম। কিন্তু আসলেই কি প্রকৃতি প্রত্যয় কঠিন? উত্তর হচ্ছে প্রকৃতি প্রত্যয় সব থেকে সহজ একটি টপিক। আজকের ব্লগে পুরো বিষয়টি আপনাদের সাথে উদাহরণ এবং ব্যাখ্যা সহ তুলে ধরা হবে। পড়তে থাকুন ইনশা-আল্লাহ।

প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে কি কি শিখবো?

১) প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

২) প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

৩) কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়?

৪) প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

৫) বিগত সালের পরিক্ষায় প্রকৃতি প্রত্যয়

শুরু করার আগে আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ যদি আমাদের লিখা ব্লগ গুলো ভালো লাগে তবে জ্ঞান প্রচারের লক্ষ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

ধাতু বা শব্দ যার সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে যে মূল অংশের নাম প্রকৃতি। যেমন: মিঠা + আই = মিঠাই। এখানে ‘মিঠা’ হচ্ছে প্রকৃতি, এর সঙ্গে ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ‘মিঠাই’ শব্দটি গঠিত হয়েছে। এভাবে শব্দের বিশ্লেষণ করলে প্রকৃতি ও প্রত্যয় পাওয়া যায়।

উপরের ব্যাপারটি কঠিন মনে হলে চলেন এইবার একটু ইনফরমাল আলোচনা করা যাক যেন কোন দিন আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে সংশয়ে না পড়েন।

যা মনে রাখবেনঃ

– প্রত্যয় সব সময় শব্দের বা ধাতুর পরে বসে।

– পরে বসে কি করে? নাচানাচি করে কি? না। তা নতুন শব্দ গঠন করে। যেমনঃ শীতল। এটি একটি শব্দ। যার দুটি অংশ আছে। শীত + ল। এখানে পরে কি যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “ল” তাই এটি প্রত্যয়।

এখন “ল” কিসের সাথে যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “শীত” এর সাথে? তাই এটি প্রকৃতি।

নিচের উদহরণগুলো দেখুনঃ

ক) লাজুক= লাজ+ উক

এখানে “লাজ” হচ্ছে প্রকৃতি এবং “উক” হচ্ছে প্রত্যয়

খ) চলন্ত = চল + অন্ত

এখানে “চল” হচ্ছে প্রকৃতি এবং ” অন্ত ” হচ্ছে প্রত্যয়

এইবার আমরা ধরেই নিতে পারি আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় চিনে গেছেন।

প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

সহজ ভাষায় প্রকৃতি এবং প্রত্যয় উভয়ই দুই প্রকার।

প্রকৃতির প্রকারভেদঃ

১) ক্রিয়া প্রকৃতি

২) নাম প্রকৃতি বা শব্দ প্রকৃতি

প্রত্যয়ের প্রকারভেদঃ

১) কৃৎ প্রত্যয়

২) তদ্ধিত প্রত্যয়

কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়

প্রকৃতি প্রত্যয় চিনার জন্য আপনাকে শব্দটি কে বিশ্লেষন করতে হবে তারপর দেখতে হবে কোন অংশটি আর আগে সেটি হবে প্রকৃতি এবং যে অংশটি পরে সেটি নিশ্চিতভাবেই প্রত্যয়।

প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

১. অ-প্রত্যয় : ‘প্রবণতা, ঈষদ্ভাব প্রায় কিন্তু পূর্ণ নয়’ এমন ভাব প্রকাশ করতে ধাতুর উত্তর (পরে) অ (উ, ও) প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং দ্বিত্ব প্রয়োগ হয়। যেমন:

√কাঁদ + অ : কাঁদ + অ = কাঁদ কাঁদ

√ডুব + অ : ডুব + অ = ডুব ডুব (ডুবু ডুবু)

√পড় + অ : পড় + অ = পড় পড় (পড়ো পড়ো)

√মার + অ : মার + অ = মার মার

২. আ-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর পরে আ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + আ = ঝরা

√হাস + আ = হাসা

√খা + আ = খাওয়া

√শোন + আ = শোনা

√ভর + আ = ভরা

√কাঁচ + আ = কাঁচা

√কাট + আ = কাটা

√র্ম + আ = মরা

√ছাড় + আ = ছাড়া

√জান + আ = জানা

৩. অন-প্রত্যয় : অন-প্রত্যয়ান্ত শব্দগুলো সাধারণ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√বাঁধ + অন = বাঁধন

√সাজ্ + অন = সাজন

√হাঁট + অন = হাঁটন

√র্ম + অন = মরণ

√নাচ + অন = নাচন

√মাজ + অন = মাজন

√গড় + অন = গড়ন

√জীব + অন = জীবন

√কাঁদ + অন = কাঁদন

৪. অক-প্রত্যয় : অক-প্রতায়ান্ত শব্দ সাধারণত বিশেষ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√ফাট্ + অক =ফাটক

√সড় + অক = সড়ক

√নাট + অক = নাটক

√ঝল + অক = ঝলক

√দুল + অক = দোলক

√ঘট্ + অক = ঘটক

√বৈঠ + অক = বৈঠক

√চট্ + অক = চটক

৫. আই-প্রত্যয় : করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ফাড়্ + আই = ফাড়াই

√ছাঁট্ + আই = ছাঁটাই

√যাচ্ + আই = যাচাই

√খোদ + আই = খোদাই

√ঢাল্ + আই = ঢালাই

√মাড়্ + আই = মাড়াই

√সিল্ + আই = সেলাই

√লড়্ + আই = লড়াই

৬. উয়া-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য ধাতুর উত্তর ‘উয়া’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। উয়া-প্রত্যয় বিকল্পে ও-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পড়্ + উয়া = পড়-য়া

√চল + উয়া = চলুয়া

√হাল্ + উয়া = হালুয়া

√সাজ + উয়া = সাজুয়া

√খা + উয়া = খাওয়া

√ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া˃ঝড়ো

৭. উ-প্রত্যয় : ‘উ’ প্রত্যয়ান্ত সাধিত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ঢাল্ + উ = ঢালু

√ডাক + উ = ডাকু

√ঝাড় + উ = ঝাড়-

√চাল্ + উ = চালু

√উড় + উ = উড়-

√ডুব + উ = ডুবু

৮. উক-প্রত্যয়ঃ স্বভাব বুঝাতে বিশ্লেষণ পদ গঠনে ‘উক’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পিট + উক = পেটুক

√মিশ + উক = মিশুক

√খা + উক = খাউক

√হিনস + উক = হিংসুক

√নিন্দা + উক = নিন্দুক

√ভা + উক = ভাবুক

৯. ই-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য, অপাদানবাচ্য, অধিকরণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘ই’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + ই = ঝরি

√হাস + ই = হাসি

√কর + ই = করি

√বুল + ই = বুলি

√বেড় + ই = বেড়ি

√হাঁচ + ই = হাঁচি

√খা + ই = খাই

√ভাজ + ই = ভাজি

১০. ইয়া ইয়ে-প্রত্যয় : ‘প্রবীণ বা নিপুণ অর্থে’ কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ইয়া ইয়ে প্রত্যয় হয়। যেমন:

√কাঁদন + ইয়া = কাঁদনিয়া˃কাঁদুনে

√বাজ্ + ইয়ে = বাজিয়ে

√কহ্ + ইয়া = কহহিয়া˃কইয়ে

√খেল + ইয়ে = খেলিয়ে

√গাহ্ + ইয়া = গাহহিয়া˃গাইয়ে

√নাচ + ইয়ে = নাচিয়ে

আবার অসমাপিকা ক্রিয়া বুঝাতেও ‘ইয়া’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পড়্ + ইয়া = পড়িয়া

√বহ্ + ইয়া = বহিয়া

√চল + ইয়া = চলিয়া

√কাঁদ্ + ইয়া = কাঁদিয়া

√হাস + ইয়া = হাসিয়া

√শুন + ইয়া = শুনিয়া

১১. আল-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য ও করণবাচ্যের ধাতুর উত্তর আল-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাখ্ + আল = রাখাল

√মাত্ + আল = মাতাল

√বাচ্ + আল = বাচাল

√ধার + আল = ধারাল

√নাগ্ + আল = নাগাল

√মিশ্ + আল = মিশাল

১২. তি-প্রত্যয়ঃ কর্তৃবাচ্য ও ভাববাছ্যের উত্তর ‘তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কম্ + তি = কমতি

√চল্ + তি = চলতি

√র্ফি + তি = ফিরতি

√উঠ্ + তি = উঠতি

√ঘাট্ + তি = ঘাটতি

√বস্ + তি = বসতি

১৩. না-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘না’ প্রত্যয় যুক্ত হয়্। যেমন:

√শুক + না = শুকনা

√বাট + না = বাটনা

√দুল + না = দোলনা

√ঝর + না = ঝরনা

√রাঁধ + না = রাঁধনা˃রান্না

√ঢাক + না = ঢাকনা

√খেল + না = খেলনা

√মাগ + না = মাগনা

১৪. আনি-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আনি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাঙ + আনি = রাঙানি

√খাট + আনি = খাটানি˃খাটুনি

√শাস + আনি = শাসানি

√চির + আনি = চিরণী˃চিরুণী

√শুন + আনি = শুনানি

√জ্বাল + আনি = জ্বালানি

√উড় + আনি = উড়ানি

√হাঁপ + আনি = হাঁপানি

১৫. আরু-প্রত্যয় : কর্তায় দক্ষতা ও পেশা বুঝাতে কর্তৃবাচ্যের ধাতু উত্তর ‘আরু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডুব + আরু = ডুবারু

√সাঁত + আরু = সাঁতারু

√খোঁজ + আরু = খোঁজারু

১৬. আও-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আও’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাঁচ্ + আও = বাঁচাও

√দুল্ + আও = দোলাও˃দুলাও

√চড়্ + আও = চড়াও

√র্ঘি + আও = ঘিরাও

√র্স + আও = সরাও

√পাকড়্ + আও = পাকড়াও

১৭. আনো-প্রত্যয় : ধাতুর উত্তর ‘আনো’ প্রত্যয় যোগে ক্রিয়াবাচক বা বিশ্লেষন পদ গঠিত হয়। যেমন:

√কামড় + আনো = কামড়ানো

√নাচ + আনো = নাচানো

√বাঁধ + আনো = বাঁধানো

√পাল + আনো = পালানো

√কাঁদ + আনো = কাঁদানো

√দৌড় + আনো = দৌড়ানো

১৮. অল-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অল’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√পিছ্ + অল = পিছল

√ফাট + অল = ফাটল

√জী + অল = জীয়ল˃জীওল

১৯. আইত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আইত’ (আত) প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডাক + আইত = ডাকাইত˃ডাকাত

√সঙ্গ + আইত = সাঙ্গাইত˃সাঙ্গাত

√সেব + আইত = সেবাইত

২০. আন-প্রত্যয় : প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে ‘আন’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ছোড় + আন = ছোড়ান

√দেখ + আন = দেখান

√গড় + আন = গড়ান

√খা + আন = খাওয়ান

√ঠকা + আন = ঠকান

√জান + আন = জানান

২১. অন্ত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অন্ত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√চল + অন্ত = চলন্ত

√ডুব্ + অন্ত = ডুবন্ত

√ঝুল + অন্ত = ঝুলন্ত

√ঘুম + অন্ত = ঘুমন্ত

√ফুট্ + অন্ত = ফুটন্ত

√ফল + অন্ত = ফলন্ত

২২. তা-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত ঞয়। যেমন:

√পড় + তা = পড়তা

√চল্ + তা = চলতা

√জান্ + তা = জান্তা

√ফির + তা = ফিরতা

২৩. অনা- প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে সাধারণত ধাতুর উত্তর ‘অনা’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাজ + অনা = বাজনা

√মাগ্ + অনা = মাগনা

√ঝর + অনা = ঝরনা

√খেল্ + অনা = খেলনা

√বঞ্চ + অনা = বঞ্চনা

√দুল্ + অনা = দোলনা

২৪. অত-প্রত্যয় : বিশেষণ পদ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘অত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বস্ + অত = বসত

√ফির + অত = ফেরত

√মান + অত = মানত

বিদেশী কৃৎ-প্রত্যয় :

ক. সই-প্রত্যয় যোগে; যেমন: মাপ + সই = √মাপসই।

খ. বাজ-প্রত্যয় যোগে; যেমন: চাল + বাজ = √চালবাজ

■ বাংলা কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

কাঁদ্ + অ = কাঁদ

ডুব + আরু = ডুবারু

গুণ্ + তি = গুণতি

সাজ্ + উয়া = সাজোয়া

ডুব্ + অ = ডুব

পড়্ + উয়া = পড়-য়া

নাচ্ + অন = নাচন

গাহ্ + ইয়ে = গাইয়ে

ঝুল + অ = ঝুল

জুত্ + আনো = জুতানো

কাঁদ + অন = কাঁদন

খেল্ + ওয়াড় = খেলোয়ার

নিব্ + অ = নিব

ভাব্ + উক = ভাবুক

খা + অন = খাওন

র্ধ + আ = ধরা

র্ম + অ = মর

বেড়্ + আনো = বেড়ানো

ঝাড়্ + অন = ঝড়ান

পড়্ + আ = পড়া

ছুট + অ = ছুট

ঢাল্ + আই = ঢালাই

কাঁপ + অন = কাঁপন

ঢাল্ + উ = ঢালু

খুঁজ + অন = খোঁজন

যাচ্ + আই = যাচাই

র্ম + অন = মরণ

বাঁধ্ + অন = বাঁধন

চল্ + আ = চলা

সেব্ + আইত = সেবাইত

ফল্ + অন = ফলন

গড়্ + অন = গড়ন

চাহ্ + আ = চাওয়া

পূজ্ + আরী = পূজারী

যোগ্ + অন = যোগান

চাহ্ + নি = চাহনি

পা + আ = পাওয়া

কাঁদ্ + উনে = কাঁদুনে

চড়্ + অক = চড়ক

উড়্ + অন্ত = উড়ন্ত

দেখ্ + আ = দেখা

নাচ্ + ইয়ে = নাচিয়ে

ফাট্ + অক = ফাটক

ভাঙ্ + অন = ভাঙন

ছাড়্ + আ = ছাড়া

মিশ্ + উক = মিশুক

মুড়্ + অক = মোড়ক

ডুব্ + উরী = ডুবুরী

ফুট্ + আ = ফোটা

ঘাট্ + তি = ঘাটতি

ঝল্ + অক = ঝলক

মুচ্ + কি = মুচকি

চুর + ই = চুরি

কুট + না = কুটনা

দে + অনা = দেনা

চাল + আন = চারা

চষ + ই = চষি

জান + আন = জানান

বাজ্ + অনা =বাজনা

উঠ্ + তি = উঠতি

ফির + ই = ফিরি

কাঁদ্ + না = কান্না

পা + অনা = পাওনা

দোল্ + না = দোলনা

হাস্ + ই = হাসি

উড়া + আন = উড়ান

বাট্ + না = বাটনা

ঝলক + আনি = ঝলকানি

কাশ্ + ই = কাশি

ঠকা + আন = ঠকান

খেল্ + না = খেলনা

হিনস্ + উক = হিংসুক

ভাজ্ + ই = ভাজি

কাট্ + আ = কাটা

র্ঝ + ন = ঝরনা

কাচ + আ = কাচা

ডুব্ + উ = ডুবু

বাঁধ + আ = বাধাঁ

কাঁপ্ + অনি = কাঁপনি, কাঁপুনি

ভর + আ = ভরা

র্উ + ও = উড়ো

বাঁচ + ওয়া = বাঁচোয়া

রাঁধ্ + অনি = রাঁধুনি

হাত + আনো = হাতানো

হ + উ = হবু

কাট্ + আরি = কাটারি

ছাঁক্ + অনি = ছাকনি

খুল্ + আ = খোলা

র্ম + ও = মরো

মাজ্ + অন = মাজন

চাল্ + উনি = চালুনি

র্ম + ও = মরো

ঝড়্ + ও = ঝড়ো

টাঙা + আনো = টাঙানো

ছা + উনি = ছাউনি

বাজ্ + ইয়ে = বাজিলে

ভুল্ + ও = ভুলো

চল্ + তি = চলতি

ঝাঁক্ + উনি = ঝাঁকুনি

বাস্ + ই = বাসি

র্ফি + অত = ফিরত

ঝুল + অন = ঝুলন

আট্ + উনি = আঁটুনি

ছাড় + অন = ছাড়ন

মান্ + অত = মানত

খাট্ + ইয়ে = খাটিয়ে

খাট্ + উনি = খাটুনি

কাশ + আ = কাশা

পড়্ + তি = পড়তি

ভাজ + আ = ভাজা

বক্ + উনি = বকুনি

চষ + আ = চষা

কাট্ + তি = কাটতি

ঝাঁক + আ = ঝাঁকা

র্চি + উনি = চিরুনি

পর + আ = পড়া

র্ফি + তি = ফিরতি

ছাঁক + অন = ছাঁকন

বাছ্ + আই = বাছাই

হাস + আ = হাসা

বাড়্ + তি = বাড়তি

ডুব + আ = ডুবা

লড়্ + আই = লড়াই

দেখ + আই = দেখাই

চড়্ +আই = চড়াই

বাঁধ + অন = বাঁধন

জ্বল + অন্ত = জ্বলন্ত

নির + আন = নিড়ান

যাচ্ + আই = যাচাই

খাট + আ = খাটা

জীব্ + অন্ত = জীবন্ত

চড় + আ = চড়া

ডাক্ + আইত = ডাকাত

সাজ + আ = সাজা

মাত্ + আল = মাতাল

ডুব + উরি = ডুবুরি

খুদ + আই = খোদাই

পর + আই = পড়াই

ছাঁট + আই = ছাঁটাই

উড় + আ = উড়া

ঝাল্ + আই = ঝালাই

ভাব + আ = ভাবা

উড়্ + আনি = উড়ানি

ঠক + আ = ঠকা

শুন্ + আনি = শুনানি

নাচ + আ = নাচা

ঝাঁক্ + আনি = ঝাঁকানি

দোল + অন = দোলন

বাঁধ্ + আই = বাঁধাই

ছাড় + অ = ছাড়

চড়্ + আও = চড়াও

মার + অ = মার

ঢাল্ + আও = ঢালাও

বাঁধ + অ = বাঁধ

নিড়্ + আনি = নিড়ানি

বস + অতি = বসতি

সাঁত্ + আরু = সাঁতারু

মান + অত = মানত

জ্বালা + আনি = জ্বালানী

দুল + অ = দোল

পাকড় + আও = পাকড়াও

ঘুর + অন = ঘুরন

খা + ইয়ে = খাইয়ে

সাধ + অন = সাধন

র্ঘি + আও = ঘেরাও

ধর + অন = ধরণ

গাঁথ + অন = গাঁথন

লাঞ্ছ + অনা = লাঞ্ছনা

ভিক্ষ + আরি = তিখারি

পাকড় + আও = পাকড়াও

উঠ + তি = উঠতি

সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়

১. অনট (অন) প্রত্যয় : ‘অনট’ প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘অনট’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথম বর্ণের ‘ঈ’ পরিবর্তন হয় ‘অয়’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ‘ঋ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘অর’ হয়। যেমন:

√কৃ + অনট = করণ

√শী + অনট = শয়ন

√দা + অনট = দান

√গম + অনট = গমন

√স্থান + অনট = স্থান

√পা + অনট = পান

√দৃশ + অনট = দর্শন

√ভ্র + অনট = ভ্রমন

√নী + অনট = নয়ন

√শ্রু + অনট = শ্রবণ

২. ঘঞ (অ) প্রত্যয় : ঘঞ-প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্যে ব্যবহহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘ঘঞ’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথমে বর্ণের ‘অ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘আ’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ধাতুর শেষ বর্ণের ‘চ’ স্থানে ‘ক’, ‘জ, স্থানে ‘গ’ হয়। যেমন:

√শুচ + ঘঞ = শোক

√অদ্ + ঘঞ = ঘা

√ভূ + ঘঞ = ভাব

√বস্ + ঘঞ = বাস

√পচ + ঘঞ = পাক

√তপ + ঘঞ = তাপ

√রুজ + ঘঞ = রোগ

√ত্যজ + ঘঞ = ত্যাগ

৩. তব্য-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষ্যৎ অর্থে কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘তব্য’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কৃ + তব্য = কর্তব্য

√গম + তব্য = গন্তব্য

√জ্ঞা + তব্য = জ্ঞাতব্য

√বচ + তব্য = বক্তব্য

√দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

√পৌ + তব্য = পঠিতব্য

√দান + তব্য = দাতব্য

√মন + তব্য = মন্তব্য

৪. অল (অ) প্রত্যয় : অল-প্রত্যয় ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য পদ গঠনে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ল’ লোপ পেয়ে ‘অ’ থাকে। যেমন:

√জি + অল = জয়

√ভী + অল = ভয়

√ক্রী + অল = ক্রয়

√লুভ + অল = লোভ

৫. ক্ত (ত) প্রত্যয় : অতীতকালে কাজ হয়েছে এ অর্থ প্রকাশের জন্য ‘ক্ত’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। সাধিত পদগুলো বিশ্লষন হয়ে থাকে। প্রতায়ন্ত পদের শেষে ‘ক’ লোপ পেয়ে শুধু ‘ত’ থাকে। যেমন:

√খ্যা + ক্ত = খ্যাত

√শম + ক্ত = শাক্ত

√পত্ + ক্ত = পতিত

√ঘীন + ক্ত = হীন

√জ্ঞান + ক্ত জ্ঞাত

√ক্লম + ক্ত = ক্লান্ত

√গম + ক্ত = গত

√নন + ক্ত = নষ্ট

√দীপ + ক্ত = দীপ্ত

√কৃ + ক্ত = কৃত

৬. ক্তি (তি) প্রত্যয় : ক্রিয়াবাচক বা ভাববাচ্যক বিশেষ্য অর্থে ধাতুর সঙ্গে ‘ক্তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয় দ্বারা শব্দ গঠন কালে ধাতুর প্রথম বর্ণ সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে এবং দ্বিতীয় বর্ণ লোপ পায়। যেমন:

√মুচ্ + ক্তি = মুক্তি

√দৃশ + ক্তি = দৃষ্টি

√কৃৎ + ক্তি = কীর্তি

√কৃষ + ক্তি = কৃষ্টি

√স্মৃতি + ক্তি = স্মৃতি

√সৃজ + ক্তি = সৃষ্টি

√শম + ক্তি = শান্তি

√বচ্ + ক্তি = উক্তি

√ভী + ক্তি = ভীতি

৭. যৎ (য) প্রত্যয় : কোন কিছু করা উচিত বা করার যোগ্য, এ অর্থে ধাতুর সাথে ‘যৎ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো সাধারণত বিশেষণ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পদ্ + যৎ = পদ্য

√জ্ঞান + যৎ = জ্ঞেয়

√সহ্ + যৎ = সহ্য

√দা + যৎ = দেয়

√গ্রহ্ + যৎ = গ্রাহ্য

√মন্ + যৎ = মান্য

√যুজ + যৎ = যোগ্য

√পূজ + যৎ = পূজ্য

√ধূ + যৎ = ধার্য

√পঠ + যৎ = পাঠ্য

৮. শানচ (মান) প্রত্যয় : ক্রিয়ার কাজ চলছে এ অর্থে ধাতুর অর্থে উত্তর কর্তৃ ও কর্মবাচ্যে ‘শানচ’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√চল্ + শানচ = চলমান

√বৃৎ + শানচ = বর্তমান

√বৃধ + শানচ = বর্ধমান

√দীপ + শানচ = দীপ্তমান

√মুহ্ + শানচ = মুহ্যমান

৯. ইষ্ণু-প্রত্যয় : শীলার্থে ধাতুর উত্তর ‘ইষ্ণু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√ক্ষি + ইষ্ণু = ক্ষয়িষ্ণু

√সহ্ + উষ্ণু = সহিষ্ণু

√চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

√বধ্ + ইষ্ণু = বর্ধিষ্ণু

১০. ণক (অক) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যে ‘করেন যিনি’ এ অর্থে ধাতুর উত্তর ‘ণক’ (অক) প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ণ’ লোপ পায় এবং ‘অক’ থাকে এবং প্রত্যয়সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + ণক = কারক

√শাস + ণক = শাসক

√পচ + ণক = পাচক

√যুজ + ণক = যোজক

√পো + ণক = পাবক

√দৃশ + ণক = দর্শক

১১. ণ্যৎ (য) প্রত্যয় : ‘উচিত বা যোগ্য অর্থে’ ঋ-কারান্ত ও ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো প্রধানত বিশেষণ (কখনও কখনও বিশেষ্য) হয়। যেমন:

√ত্যজ + ণ্যৎ = ত্যাজা

√লক্ষ + ণ্যৎ = লক্ষ্য

√গম + ণ্যৎ = গম্য

√কৃ + ণ্যৎ = কার্য

√ভজ + ণ্যৎ = ভাজ্য

√ধৃ + ণ্যৎ = ধার্য

১২. তৃচ, তৃণ (তা) প্রত্যয় : শীলার্থে, সম্যক বা জীবিকা অর্থে ধাতুর পরে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + তৃচ = কর্তা

√মা + তৃচ = মাতা

√ভ্রাজ + তৃচ = ভাতা

√দা + তৃচ = দাতা

√বচ্ + তৃচ = বক্তা

১৩. অনীয়-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষৎ অর্থে ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর অনীয় প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

√শুচ + অনীয় = শোচনীয়

√বৃ + অনীয় = বরণীয়

√দুশ + অনীয় = দর্শনীয়

√গুপ্ + অনীয় = গোপনীয়

√স্মৃ + অনীয় = স্মরণীয়

১৪. বর-প্রত্যয় : ‘শীল’ অর্থে কর্তৃবাচ্যের ‘বর’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ভাস্ + বর = ভাস্বর

√ঈশ্ + বর = ঈশ্বর

√নশ্ + বর = নশ্বর

√স্থা + বর = স্থাবর

১৫. নিন (ইন) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদ গুলো বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

√দা + নিন = দায়ী

√মন্ত্র + নিন = মন্ত্রী

√বদ + নিন = বাদী

√ত্যাগ + নিন = ত্যাগী

√স্থা + নিন = স্থায়ী

√পা + নিন = পায়ী

১৬. শতৃ (অৎ) প্রত্যয় : বর্তমান কালের কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। বাংলা ভাষায় এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√জীব্ + শতৃ = জীবৎ

√অস্ + শতৃ = অসৎ

√জল + শতৃ + জলৎ

√জাগ্ + শতৃ = জাগ্রৎ

√মহ + শতৃ = মহৎ

√চল + শতৃ = চলৎ

■ সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রী + অ = প্রিয়

ভূ + অন = ভবন

গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

গম্+ তি = গতি

পাল্ + ণক = পালক

বৃৎ + শানচ = বর্তমান

দা + তৃচ = দাতা

যাচ্ + আই = যাচাই

জীব্ + অ = জীব

চর + অন = চরণ

জি + ইন = জয়ী

কৃষ + তি = কৃষ্টি

ধূ + ণক = ধারক

দীপ + শানচ = দীপ্যমান

শ্রু + তৃচ = শ্রতা

হিনস্ + আ = হিংসা

পিপাস + অ = পিপাসা

দ্রু + অন = দ্রবণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাগী

দৃশ + তি = দৃষ্টি

পঠ্ + ণক = পাঠক

চল + শানচ = চলমান

যুধ + তৃচ = যোদ্ধা

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

প্র-শনস্ + আ = প্রশংসা

চুম্ব্ + অন = চুম্বন

যুজ্ + ইন = যোজী

সৃজ + তি = সৃষ্টি

হণ + ণক = ঘাতক

শুভ + শানচ = শোভমান

নী + তৃচ = নেতা

প্রচ্ছ + ন = প্রশ্ন

ভিক্ষ + আ = ভিক্ষা

কৃষ + অন = কর্ষণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাজী

শক্ + তি = শক্তি

শাস + ণক = শাসক

গম + তব্য = গন্তব্য

পা + তৃচ = পিতা

কৃ + মন = কর্ম

কথ্ + আ = কথা

শী + অন = শয়ন

দুট্ + ই = দুটি

খ্যা + তি = খ্যাতি

লিখ্ + ণক = লেখক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

লিখ্ + ইত = লিখিত

দৃশ্ + মান = দৃশ্যমান

জন্ + অক = জনক

দা + অন = দান

কৃষ্ + ই = কৃষি

মন + তি = মতি

কৃষ্ + ণক = কৃষক

কৃ + তব্য = কর্তব্য

লভ্ + য = লভ্য

বস্ + ত্র = বস্ত্র

মুড়্ + অক = মোড়ক

জ্ঞা + অন = জ্ঞান

দূষ + ই = দোষী

কৃৎ + তি = কীর্তি

কৃ + ণক = কারক

দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

বচ্ + য = বাচ্য, বাক্য

বৃৎ + মান = বর্তমান

নি + অক = নায়ক

তপ্ + অন = তপন

দীপ + ত = দীপ্ত

গৈ + তি = গীতি

দৃশ + ণক = দর্শক

মন + তব্য = মন্তব্য

হন্ + য = হত্যা

হন + তৃ = হন্তা

নৃৎ + অক = নর্তক

বদ্ + অন = বদন

রমজ্ + ত = রক্ত

কৃ + তি = কৃতি

গৈ + ণক = গায়ক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

সহ্ + য = সহা

অস + শতৃ = অসৎ

গৈ + অক = গায়ক

দৃশ্ + অন = দর্শন

ধৃ + ত = ধৃত

বচ্ + তি = উক্তি

নশ + ণক = নাশক

কৃ + তৃচ্ = কর্তা

হস্ + য = হাস্য

মহ + শতৃ = মহৎ

কৃ + অক = কারক

নী + অন = নয়ন

হন্ + ত = হত

বুধ + তি = বুদ্ধি

মৃ + অনট্ = মরণ

বচ্ + তৃচ = বক্তা

কৃ + য = কার্য

গৈনী + অন = গান

শী + আন = শয়ন

নী + তি = নীতি

কৃ + ত = কৃত

দা + তৃচ = দাতা

স্মৃ + অনট্ = স্মরণ

দয় + আলু = দয়ালু

বাচ্ + মিন = বাগ্মী

বিদ্ + অন = বেদন

শ্রু + অন = শ্রবণ

পচ্ + ণক = পাচক

গম্ + ত = গত

নী + তৃচ = নেতা

গম্ + অনট্ = গমন

দৃশ + অনীয় = দর্শনীয়

চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

পত + অন = পতন

ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত

ক্লিশ্ + ত = ক্লিষ্ট

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

শ্রু + অনট্ = শ্রবণ

ফল্ + অন্ত = ফলন্ত

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

বংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় বহুবিধ। যেমন: অই, অক, অল, আই, আচ, আ, অন, আইত, আরি, আরী, আচি, আর, আরু, আলি, আল, ই, ঈ, ইয়া, (এ), কর, কার, ওয়া, উলি, উকি, গিরি, টিয়া, (ট), টা, জাত, পনা, না, তা, দার, ড়া, ময়, ভর, পানা ইত্যাদি। এগুলো বাংলা মূল শব্দের পরে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

১.অ-প্রত্যয় : অনুকার শব্দের শেষে বা নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা বস্তু বুঝাতে অ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

ঢল + অ = ঢল ˃ ঢলো

শিব + অ = শিব ˃ শিবো

মূল + অ = মূল ˃ মূলো

কাল + অ = কাল ˃ কালো

২. আ-প্রত্যয় : স্বার্থে, আছে অর্থে, জাত বা উৎপন্ন অর্থে, অবজ্ঞা প্রকাশার্থে, বৃহদার্থে ও বিশেষণে পরিণত করতে আ-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চাক + আ = চাকা

চাষ + আ = চাষা

ঘোড় + আ = ঘোড়া

জঙ্গ + আ = জঙ্গলা

জ্বল + আ = জ্বলা

শ্যাম + আ = শ্যামা

চাঁদ + আ = চাঁদা

ঠোঙ + আ = ঠোঙা

চীন + আ = চীনা

ফাঁক + আ = ফাঁকা

৩. অই-প্রত্যয় : পাঁচ থেকে আঠার পর্যন্ত তারিখ বুঝাতে অই-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পাঁচ + অই = পাঁচই

আঠার + অই = আঠারই

সাত + অই = সাতই

তের + অই = তেরই

৪. অট (ট), আটিয়া (টিয়া, টে) প্রত্যয় : সংশ্লিষ্ট বস্তু অর্থে বা সাদৃশ্য অর্থে বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মলা + অট = মলাট

রোগ + টে = রোগেটে

তুলা ˃ তুল + অট = তুলট

তামা + টিয়া = তামাটিয়া ˃ তামাটে

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ভরা + অট = ভরাট

লম্বা + টিয়া = লম্বাটিয়া ˃ লম্বাটে

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

৫. আ আনো-প্রত্যয় : আন আনো প্রত্যয়ান্ত শবদটি বিশেষণ হয়। যেমন:

হাত + আন = হাতান ˃ হাতানো

জুত + আন = জুতান ˃ জুতানো

বেত + আন = বেতান ˃ বেতানো

যোগ + আন = যোগান ˃ যোগানো

৬. আনি-প্রত্যয় : ভাবার্থে, কার্যার্থে, স্বার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষ্য হয়। যেমন:

বক বক + আনি = বকবকানি

তল + আনি = তলানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

কাতর + আনি = কাতরানি

হাঁপ + আনি = হাঁপানি

৭. আই-প্রত্যয় : আই-প্রত্যয় বিভিন্নঅর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ক. বিশেষ্য পদ গঠনে (আদরার্থে) :

নিম + আই = নিমাই

বল + আই = বলাই

কান + আই = কানাই

মধু + আই = মাধাই

খ. বিশেষ্য পদ গঠনে (ভাবার্থে) :

লম্ব + আই = লম্বাই

বড় + আই = বড়াই

চড়া + আই = চড়াই

খাড়া + আই = খাড়াই

গ. বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে (কর্ম অর্থে) :

বাঁধ + আই = বাঁধাই

কাম + আই = কামাই

সাফ + আই = সাফাই

চোর + আই = চোরাই

ঘ. বিশেষ্য পদ গঠনে (উৎপন্ন অর্থে)

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ধান + আই = ধানাই

মোগল + আই = মেগলাই

ঙ. বিশেষ্য পদ গঠনে (সম্বন্ধ অর্থে)

বোন + আই = বোনাই

মিঠা + আই = মিঠাই

ননদ + আই = ননদাই

জেঠা + আই = জেঠাই

৮. আমি (মি) প্রত্যয় : ভাব বা কাজ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

পাক্য + আমি = পাকামি

গোঁড়া + আমি = গোঁড়ামি

পাগল + আমি = পাগলামি

ফাজিল + আমি = ফাজলামি

৯. আলি, আলী-প্রত্যয় : সম্বন্ধ বা সাদৃশ্য অর্থে এবং ভাবার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

চতুর + আলী = চতুরালী

ঘটক + আলি = ঘটকালি

সোনা + আলি = সোনালি

ভাটি + আলি = ভাটিয়ালি

মেয়ে + আলী = মেয়েলী

রূপা + আলি = রূপালি

১০. আচ, আচি-প্রত্যয় : এ প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

বেঙ + অচি = বেঙাচি

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

ধুনা + আচি = ধুনাচি

কান + আচ = কানাচ

১১. আর, আরি, আরী-প্রত্যয় : ব্যবসা, পেশা বা বৃত্তি বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

সুত + আর = সুতার

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

কাট + আরি = কাটারি

ঝি + আরী = জিয়ারী

রকম + আরি = রকমারি

১২. ইয়া এ-প্রত্যয় : সংযোগ বা সম্বন্ধ বুঝাতে ইয়া এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

মোট + ইয়া = মুটিয়া ˃ মুটে

জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

বালি + ইয়া = বালিয়া ˃ বেলে

পাহাড় + ইয়া = পাহাড়িয়া ˃ পাহারে

আষাঢ় + ইয়া = আষাঢ়িয়া ˃ আষাঢ়ে

১৩. ই, ঈ-প্রত্যয় : ভিন্নার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন-

ক. ভাব অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে ঃ

সওদাগর + ই = সওদাগরি

বাহাদুর + ই = বাহাদুরি

উমেদার + ই = উমেদারি

খ. পেশা বা বৃত্তি অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষণ হয়ঃ

চাষ + ঈ = চাষী

ব্যাপর + ঈ = ব্যাপারী

রাখাল + ঈ = রাখালী

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পোদ্ধার + ঈ = পোদ্ধারী

ডাক্তার + ঈ = ডাক্তারী

গ. জাত, আগত, বা সম্বন্ধ অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে

গুজরাট + ঈ = গুজরাটী

বিলাত = ঈ = বিরাতী

পসার + ঈ = পসারী

পাঞ্জাব + ঈ = পাঞ্জাবী

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রেমম + ঈ = রেশমী

ঘ. মালিক অর্থে

দোকান + ঈ = দোকানী

জমিদার + ঈ = জমিদারী

১৪. উয়া ও-প্রত্যয় : বিশেষণার্থে, সম্বন্ধ বা সংযোগ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষন হয়। যেমন:

পট + উয়া = পটুয়া ˃ পটো

মাছ + উযা = মাছুয়া ˃ মেছো

জড় + উয়া = ঝড়-য়া ˃ ঝড়ো

মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

১৫. উ, উক-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

হিংসা + উক = হিংসুক

সাঁতার + উ = সাঁতারু

ভাব + উক = ভাববুক

নীচু + উ = নীচু

মিশ + উক = মিমুক

১৬. উড়িয়া উড়ে প্রত্যয় : প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

খেলা + উড়িয়া = খেলুড়িয়া ˃ খেলুড়ে

হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

চাষা + উড়িয়া = চাষাড়িয়া ˃ চাষাড়ে

১৭. বন্ত, মন্ত-প্রত্যয় : আছে অর্থে ও যুক্ত অর্থে বন্ত, মন্ত প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

শ্রী + মন্ত = শ্রীমন্ত

ভাগ্য + বন্ত = ভাগ্যবন্ত

বুদ্ধি = মন্ত = বুদ্ধিমন্ত

গুণ + বন্ত = গুণবন্ত

পয় + মন্ত = পয়মন্ত

১৮. ভর, ভরা-প্রত্যয় : পূর্ণতা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

দিন + বর = দিনভর

গাল + ভরা = গালভরা

রাত + ভর = রাতভর

১৯. ত, তা, তি- প্রত্যয় : আত্মীয় ও ভাবার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খালা + ত = খালাত

সম + তা = সমতা

মামা + ত = মামাত

চাক + তি = চাকতি

ধর + তা = ধরতা

জাল + তি = জালতি

২০. কা-প্রত্যয় : সাদৃশ্য বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ঘাল + কা = হালকা

দম + কা = দমকা

২১. কার-প্রত্যয় : স্বরবর্ণের চিহ্ন বুঝাতে এবং সম্পর্কিত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

আ + কার = আকার

উপর + কার = উপরকার

উ + কার = উকার

ভিতর + কার = ভিতরকার

২২. পানা, পারা-প্রত্যয় : সাদৃশ হতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

লম্বা + পানা = লম্বাপানা

চাঁদ + পারা = চাঁদপারা

চাঁদ + পানা = চাঁদপানা

পাগল + পারা = পাঘলপারা

কুলো + পনা = কুলোপানা

২৩. পনা-প্রত্যয় : ভাব বা আচরণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সতী + পনা = সতীপনা

দুরন্ত + পনা = দুরন্তপনা

গুন + পনা = গুণপনা

বীর + পনা = বীরপনা

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

গৃহিণী + পনা = গৃহিণীপনা

২৪. টা, টি-প্রত্যয় : নির্দিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

নেং + টা = নেংটা

কলম + টি = কলমটি

ডাল + টা = ডালটা

ছিপ্ + টি = ছিপটি

২৫. ন, না-প্রত্যয় : সম্পর্কীয় এবং বিশিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মিতা + ন = মিতান

ফাৎ + না = ফাৎনা

বেহাই + ন = বেহাইন

দাল + না = দালনা

২৬. উ, উলী-প্রত্যয় : আদর প্রকাশ করতে ও ক্ষুদ্রতা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খোকা + উ = খুকু

আধ + উলী = আধুলী

দুষ্ট + উ = দুষ্টু

হাঁস + উলী = হাঁসুলী

২৭. স, সী-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও সৌন্দর্য অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ফান + স = ফানুস

রূপ + সী = রূপসী

খোল + স = খোলস

২৮. অল-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও স্বার্থে ‘অল’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

হাত + অল = হাতল

বাদ + অল = বাদল

মাথা + অল = মাথাল

তাত + অল = তাতল

২৯. আইত-প্রত্যয় : আছে অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পোয়া + আইত = পোয়াইত

সেবা + আইত = সেবাইত

৩০. ময়-প্রতয় :

ঘর + ময় = ঘরময়

গ্রাম + ময় = গ্রামময়

বাড়ি + ময় = বাড়িময়

শহর + ময় = শহরময়

কাদা + ময় = কাদাময়

জল + ময় = জলময়

৩১. ড়, ড়া, ড়ী-প্রত্যয় :

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

খাগ + ড়া = খাগড়া

আছ + ড় = আছড়

চাম + ড়া = চামড়া

পাগ + ড়ী = পাগড়ী

৩২. ওয়া-প্রত্যয় :

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

পর + ওয়া = পরোয়া

চাঁদ + ওয়া = চাঁদোয়া

■ বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

হাত + আ = হাতা

ধ্রুপদ + ঈ = ধ্রুপদী

ভাটি + আল = ভাটিয়াল

ভিখ + আরী = ভিখারী

পো + লা = পোলা

রাজ + ড়া = রাজড়া

পাত = আ = পাতা

চাষ + ঈ = চাষী

বঙ্গ + আল = বাঙ্গাল

ঝি + আরী = ঝিয়ারী

মঘ + লা = মেঘলা

ফর + সা = ফরসা

পাগল + আ = পাগলা

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রস + আল = রসাল

মাঝ + আরি = মাঝারি

কাম + লা = কামলা

গাছ + ড়া = গাছড়া

চাঁদ + আ = চাঁদা

চালাক + ঈ = চালাকী

ধার + আল = ধারাল

দাপ + অট = দাপট

মি + আলী = মিতালী

লাল + চে = লালচে

এক + আ = একা

মরমা + ঈ = মরমী

নাক + আনি = নাকানি

মলা + অট = মলাট

ঘটক + আলি = ঘটকালী

ঘাম + চি = ঘামাচি

রঙ + আ = রাঙা

শিকার + ঈ = শিকারী

আম + আনি = আমানি

শুখা + টি = শুখটি ˃ শুটকি

জল + ওয়া = জলো

বেঙ + চি = বেঙাচি

চাকর + ই = চাকরি

খোকা + উ = খুকু

বড় + আই = বড়াই

নেহ + টা = নেহটা

গাঁ + ওয়া = গাঁওয়া ˃ গেঁয়ো

জন + পিছু = জনপিছু

গোল + ই = গুলি

চাল + উ = চালু

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ঘোলা + টে = ঘোলাটে

টাক + ওয়া = টেকো

গো + রু = গোরু

ছোরা + ই = ছুরি

সাঁতার + উ = সাঁতারু

মিঠা + আই = মিঠাই

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

বোম + আরু = বোমারু

কাঠ + ই = কাঠি

হাত + অল = হাতল

চোর + আই = চোরাই

খে + টা = খেমটা

বন + উয়া = বুনো

ছাত + আ = ছাতা

চালাক + ই = চালাকি

লাঠি + আল = লাঠিয়াল

আঠার + অই = আঠারই

হিম + এল = হিমেল

লাজ + উক = লাজুক

পিছ + অন = পিছন

বাঙ্গল + ই = বাঙ্গালি

দুধ + আল = দুধাল

পেট + উক = পেটুক

সুর + এলা = সুরেলা

দিন + ভর = দিনভর

এক + হারা = একহারা

পশম + ই = পশমী

আড় + আল = আড়াল

ছেলে + আমি = ছেলেমি

ঝাম + এলা = ঝামেলা

রাত + বর = রাতভর

মানান + সই = মানানসই

পোঁথা + ই = পুঁথি

দাঁত + আল = দাঁতাল

বোকা + আমি = বোকামি

আগ + ল = আগল

পান + ওয়ালা = পানওয়ালা

পাত + লা = পাতলা

দালাল + ই = দালালি

ধার + অল = ধারাল

ঘর + আমি + ঘরামি

হাট + উড়িয়া = হাটুড়িয়া

বাড়ি + ওয়ালা = বাড়িওয়ালা

কোঠ + রী = কোঠরী

জমিদার + ই = জমিদারি

গাজ + অর = গাজর

পাগল + আমি = পাগলামি

সাব + আড় = সাবাড়

শহর + ইয়া বা এ = শহুরে

মাসী + তুত = মাসতুত

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পেচা + আন = পেচান

আমোদ + এ = আমুদে

ভাগ + আড় = ভাগাড়

দরদ + ঈ = দরদী

সতী + ন = সতীন

দুষ্ট + আমি = দুষ্টামি

জুতা + আনো = জুতানো

জেঠা + ত = জেঠাত

কাঠ + আমো = কাঠামো

রাখাল + ঈ = রাখালী

মাতা + পিছু = মাথাপিছু

চাম + আর = চামার

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

মামা + ত = মামাত

বোমা + আরু = বোমারু

দেশ + ঈ = দেশী

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

সোনা + আর = সোনার

সেবা + ইত = সেবাইত

বীর + পনা = বীরপনা

চমক + ইত = মেকিত

করাত + ঈ = করাতী

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

ভাঁড় + আর = ভাড়ার

হাত + ইয়ার = হাতিয়ার

ঢোল + ক = ঢোলক

কালা + গোছের = কালাগোছের

দর্শন + ঈ = দর্শনী

দেশ + ময় = দেশময়

সুতা + আর = সুতার

কুঠি + ইয়াল = কুঠিয়াল

দম + কা = দমকা

গুদাম + জাত = গুদামজাত

হিসাব + ঈ = হিসাবী

পেট + রা = পেটরা

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

লাঠি + ইয়াল = লাঠিয়াল

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া

দোকান + ঈ = দোকানী

তবলা + চী = তবলচী

পূজা + আরী = পূজারী

কুঁচ + কে = কুঁচকে

জুয়া + ড়ি = জুয়াড়ি

বই + ঠা = বইঠা

শান্তিপুর + ঈ = শান্তিপুরী

নেশা + খোর = নেশাখোর

মশা + আরি = মশারী

শত + কিয়া = শতকিয়া

মুখ + স = মুখশ ˃ মুখোশ

চাচা + ত = চাচাত

চাল + তি = চলতি

সওদা + গর = সওদাগর

হুকুম + নামা = হুকুমনামা

বিতর + কার = ভিতরকার

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

ষ, ষিক, ইমন, ইলচ, ইন, ষ্ণীয়, তা, ত্ব, তর, তম, ঈয়স, ইষ্ট, বতুপ, মতুপ, বিন, ও, ষ্ণ্য, লচ, আলু ইত্যাদি প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। এ প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত মূল শব্দে পরে বসে। যেমন:

১. ষ (অ) প্রত্যয় : ষ-প্রত্যয় যে শব্দের সাথে যুক্ত হয়, তার মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়:

ক. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘অ’ স্থানে ‘আ’ হয়। যেমন:

বস্তু + ষ্ণ = বাস্তব

মনু + ষ্ণ = মানব

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

যদু + ষ্ণ = যাদব

ভরত + ষ্ণ = ভারত

শরৎ + ষ্ণ = শারদ

খ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ই, ঈ এ স্থানে ঐ হয়। যেমন:

হেম + ষ্ণ = হৈম

স্ত্রী + ষ্ণ = স্ত্রৈণ

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

গ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘ঋ’ স্থানে ‘আর’ হয়। যেমন:

ঋষি + ষ্ণ = আর্য

ঘ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে উ, ঊ , ও স্থানে ঔ হয়। যেমন:

চোর + ষ্ণ = চৌর

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

বুদ্ধ + ষ্ণ = বৌদ্ধ

গরু + ষ্ণ = গৌরব

২. ষ্ণি (ই) প্রত্যয় : ‘ই’ যোগ হয় এবং মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যেমন:

দশরথ + ষ্ণি = দাশরথি (অ-স্থলে আ)

সুমিত্রা + ষ্ণি = সৌমিত্রি (উ-স্থলে ঔ)

৩. ষ্ণিক (ইক) প্রত্যয় : দক্ষ বা সম্বন্ধীয় অর্থে বিশেষ্যের উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ পদ গঠিত হয় এবং মূল স্বর বৃদ্ধি পায়। যেমন:

বেদ + ষ্ণিক = বৈদিক (এ স্থলে ঐ)

বচন + ষ্ণিক = বাচনিক (অ স্থলে আ)

বিমান + ষ্ণিক = বৈমানিক (ই স্থলে ঐ)

বেতন + ষ্ণিক = বৈতনিক (এ স্থলে ঐ)

৪. ইমন (ইমা) প্রত্যয় : ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নীল + ইমন = নীলিমা

কাল + ইমন = কালিমা

চন্দ্র + ইমন = চন্দ্রিমা

রক্ত + ইমন = রক্তিমা

৫. ইন্ (ঈ) প্রত্যয় : সাধারণত বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমণ:

জ্ঞান + ইন্ = জ্ঞানী

গুণ + ইন = গুণী

মান + ইন = মানী

প্রাণ + ইন = প্রণী

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কর্তৃকারকের এক বচনে ইন্-প্রত্যয় ‘ঈ’ রূপ গ্রহণ করে।

৬. ষ্ণেয় (এয়) প্রত্যয় : অপত্য ও ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অগ্নি + ষ্ণেয় = আগ্নেয়

ভাগনী + ষ্ণেয় = ভাগ্নেয়

পথ + ষ্ণেয় = পাথেয়

গঙ্গা + ষ্ণেয় = গাঙ্গেয়

৭. ষ্ণীয় (ঈয়) প্রত্যয় : সম্বন্ধ অর্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

স্বর্গ + ষ্ণীয় = স্বর্গীয়

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

দল + ষ্ণীয় = দলীয়

৮. ইতচ (ইত) প্রত্যয় : ‘আছে’ ও ‘জাত’ অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

মূর্ছা + ইতচ্ = মূর্ছিত

নিদ্রা + ইতচ্ = নিদ্রিত

লজ্জা + ইতচ্ = লজ্জিত

কুসুম + ইতচ্ = কুসুমিত

৯. ইলচ (ইল) প্রত্যয় : উপকরণ জাত অর্থে ইলচ (ইল) প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

সর্প + ইলচ = সর্পিল

উর্মি + ইলচ = উর্মিল

কুট + ইলচ = কুটিল

পঙ্ক + ইলচ = পঙ্কিল

১০. ষ্ণ্য (য) প্রত্যয় : ‘য’ যোগ হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

কুমার + ষ্ণ্য = কৌমার্য (উ স্থলে ঔ)

ধীর + ষ্ণ্য = ধৈর্য (ঈ স্থলে ঐ)

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য (ই স্থলে ঔ)

স্থির + ষ্ণ্য = স্থৈর্য ( ই স্থলে ঐ)

১১.আলু-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে বিশেষ্যের সঙ্গে আলু প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ গঠিত হয়। যেমন:

দয়া + আলু = দয়ালু

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

ভাব + আলু = ভাবালু

স্বপ্ন + আলু = স্বপ্নালু

১২. ঈন-প্রত্যয় : ভাব অর্থে ‘ঈন’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অভ্যন্তর + ঈন = অভ্যন্তরীণ

তৎকাল + ঈন = তৎকালীন

সম্মুখ + ঈন = সম্মুখীন

নব = ঈন = নবীন

১৩. লচ (ল) প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং ‘লচ’ প্রত্যয়ের ‘ল’ যোগ হয়। যেমন:

পিঙ্গ + লচ = পিঙ্গল

শ্যাম + লচ = শ্যামল

কুশ + লচ = কুশল

মাংস + লচ = মাংসল

শীত + লচ = শীতল

বৎস + লচ = বৎসল

১৪. বতুপ, মাতুপ-প্রত্যয় : বতুপ (বৎ) এবং মাতুপ (মৎ) প্রত্যয় প্রথমার একবচনে যথাক্রমে ‘বা’ ও ‘মান’ হয়। বিশেষণ গঠনে বতুপ ও মাতুপ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ভাগ্য + বতুপ = ভাগ্যবান

বুদ্ধি + বতুপ = বুদ্ধিমান

ধন + বতুপ = ধনবান

শ্রী + মতুপ = শ্রীমান

পুণ্য + বতুপ = পুণ্যবান

শক্তি + মতুপ = শক্তিমান

১৫. তর, তম-প্রত্যয়ঃ অতিশায়নে ‘তর’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমনÑ

প্রিয় + তর = প্রিয়তর

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

অধিক + তম = অধিকতম

১৬. বিন (বী) প্রত্যয়ঃ এ প্রত্যয় বিশেষণ গঠনে যুক্ত হয়। যেমনÑ

মায়া + বিন = মায়াবী

যশস্ + বিন = যশস্বী

তপস্ + বিন = তপস্বী

মেধা + বিন = মেধাবী

তেজস্ + বিন = তেজস্বী

মনস + বিন = মনস্বী

১৭. ঈয়স, ইষ্ঠ-প্রত্যয়ঃ দুয়ের মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ঈয়স’ এবং বহুর মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ইষ্ঠ’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

লঘু + ঈয়স = লঘীমান

বল + ইষ্ঠ = বলিষ্ঠ

গুরু + ঈয়স = গরীয়ান

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ট

১৮. র-প্রত্যয়ঃ আছে অর্থে ‘র’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রথ্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন

নখ + র = নখর

মুখ + র = মুখর

শিখ + র = শিখর

কুঞ্জ + র = কুঞ্জর

উষ + র = উষরমধু + র = মধুর

১৯. ত্ব-প্রত্যয়ঃ ভাব বা গুণ বুঝাতে বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমনÑ

সতী + ত্ব = সতীত্ব

স্বল্প + ত্ব = স্বল্পত্ব

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

মহৎ + ত্ব = মহত্ত্ব

পশু + ত্ব = পশুত্ব

দাস + ত্ব = দাসত্ব

২০. তা-প্রত্যয়: ভাব, গুণ, বৃত্তি অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

জন + তা = জনতা

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সাধু + তা = সাধুতা

অলস + তা = অলসতা

সচল = তা = সচলতা

সৎ + তা = সততা

চঞ্চল + তা = চঞ্চলতা

প্রাচীন + তা = প্রাচীনতা

জটিল + তা = জটিলতা

■ সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়ের উদাহরণ

প্রকৃতি ও প্রত্যয় = শব্দ

মানব + ষ্ণ = মানব

সময় + ষ্ণিক = সাময়িক

পল্লব + ইত = পল্লবিত

দুগিত্ব + ষ্ণ = দৌহিত্র

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

ফেন + ইল = ফেনিল

বস্ত + ষ্ণ = বাস্তব

মানস + ষ্ণিক = মানসিক

পঙ্ক + ইল = পঙ্কিল

নিশা + ষ্ণ = নৈশ

ধর্ম + ষ্ণিক = ধার্মিক

অদঃ + তন = অধস্তন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

সময় + ষ্ণক = সাময়িক

ঊর্ধ্ব + তণ = ঊর্ধ্বতন

অলস + ষ্ণ = আলসা

লোক + ষ্ণিক = লৌকিক

পুরা + তন = পুরাতন

বন + ষ্ণ = বন্যা

নীতি + ষ্ণিক = নৈতিক

প্রাক + তন = প্রাক্তন

পুত্র + ষ্ণ = পৌত্র

মানব + ষ্ণিক = মাববিক

বিজ্ঞান + ইক = বৈজ্ঞানিক

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

সাধু + তা = সাধুতা

প্রাচ + যক = প্রাচ্য

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সেনা + য = সৈন্য

গম্ভীর + ষ্ণ = গাম্ভীর্য

মম + তা = মমতা

তালু + যক = তালব্য

সখা + ষ্ণ = সখ্য

অলস + তা = অলসতা

জল + ময় = জলময়

ছাত্র + ষ্ণ = ছাত্র

দৃঢ় + তা = দৃঢ়তা

বাক + ময় = বাক্সময়

মুনি + ষ্ণ = মৌন

বক্তৃ + তা = বক্তৃতা

লৌহ + ময় = লৌহময়

দনু + ষ্ণ = দানব

লঘু + তা = লঘুতা

মৃদ + ময় = মৃন্ময়

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য

ভদ্র + তা = ভদ্রতা

চিৎ + ময় = চিন্ময়

গ্রাম + ষ্ণ = গ্রাম্য

নীচ + তা = নীচতা

গুণ + ময়ট্ = গুণময়

মধুর + ষ্ণ = মাধুর্য

এক + তা = একতা

তদ্ + ময় = তন্ময়

তিল + ষ্ণ = তৈল

কবি + তা = কবিতা

পথ + এয় = পাথের

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

স্বাধীন + তা = স্বাধীনতা

গুরু + ইমন = গরীমা

পৃথিবী + ষ্ণ = পার্থিব

নেতৃ + ত্ব = নেতৃত্ব

লঘু + ইমন = লঘিমা

কিশোর + ষ্ণ = কৈশোর

স্ব + ত্ব = স্বত্ব

নীল + ইমন = নীলিমা

বার্ধক + ষ্ণ = বার্ধক্য

মম + ত্ব = মমত্ব

জ্ঞান + বতুপ = জ্ঞানবান

সভা + ষ্ণ = সভ্য

কৃতি + ত্ব = কৃতিত্ব

বুদ্ধি + মতুপ = বুদ্ধিমান

ভাস্কর + ষ্ণ = ভাস্কর্য

বীর + ত্ব = বীরত্ব

গুণ + বতুপ = গুণবান

দশরথ + ষ্ণ = দাশরথি

এক + ত্ব = একত্ব

শীত + ল = শীতল

লঘু + ষ্ণ = লাঘব

ব্যাক্তি + ত্ব = ব্যক্তিত্ব

নব + ঈন = নবীন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

বিমাতা + ষ্ণেয় = বৈমাত্রেয়

সুজন + ষ্ণ = সৌজন্য

বন্ধু + ত্ব = বন্ধুত্ব

স্ব + ঈয় = স্বীয়

মনু + ষ্ণ = মনুষ্য

বৃহৎ + তর = বৃহত্তর

মধু + র = মধুর

প্রমাণ + ষ্ণ = প্রামাণ্য

লঘু + তর = লঘুতর

আদি + যক = আদ্য

রাবণ + ষ্ণ = রাবণি

উচ্চ + তর = উচ্চতর

আত্ম + বৎ = আত্মবৎ

চক্ষু + ষ্ণ = চাক্ষুস

অন্য + তম = অন্যতম

ক্ষুধা + ইত = ক্ষুধিত

স্থির + ষ্ণ = স্থৈর্য

দ্রুত + তম = দ্রুততম

শ্রেয়স + ইষ্ঠ = শ্রেষ্ঠ

ধীর + ষ্ণ = ধৈর্য

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

রোম + শ = রোমশ

সেনা + ষ্ণ = সৈন্য

গ্রাম + ইন = গ্রামীণ

মেধা + বিন = মেধাবী

নগর + ষ্ণিক = নাগরিক

কিম + চিত = কিঞ্চিত

দেহ + ষ্ণীয় = দৈহিক

রোগ + ইন = রোগী

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

বর্ষ + ষ্ণীয় = বার্ষিক

পক্ষ + ইন = পক্ষী

গুণ + ইন = গুণী

দেহ + ষ্ণীয় = দৈনিক

কুল + ঈন = পাখি

লজ্জা + ইন = লজ্জিত

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

জটা + ইল = জটিল

মাংসা + ল = মাংসল

লোক + ষ্ণীয় = লৌকিক

রোগ + ইন = রোগী

বল + বাল = বলবান

দীর্ঘ + তম = দীর্ঘতম

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ঠ

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

বৃহৎ + তম = বৃহত্তম

মুখ + র = মুখর

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

সর্ব + দা = সর্বদা

মধু + র = মধুর

শ্যাম + ল = শ্যামল

দয়া + আলু = দয়ালু

পিতৃ + বৎ = পিতৃব্য

বাঙ্গাল + ই = বাঙ্গালি

রোম + শ = রোমশ

মধ্য + ম = মধ্যম

মনস + ঈষা = মনীষা

কর্ক + শ = কর্কশ

এক + দা = একদা

লঘু + ইষ্ঠ = লঘিষ্ঠ

লোক + শ = লোমশ

আদি + ম = আদিম

বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়

বিদেশী প্রত্যয় বলতে বিশেষত ফারসি ভাষা থেকে আগত প্রত্যয়গুলোকেই বুঝায়। আনা, ওয়ালা, নবীশ, সই, দান (দানী),খানা, আনি, ওয়ান, গিরি, বন্দী, নামা, বাজ, প্রত্যয়সমূহই বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়। নিচে বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ দেওয়া হল ঃ

১. আনা -প্রত্যয়ঃ ভাব বা সম্পর্কীয় মুদ্রা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

গরিব + আনা = গরিবানা

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

মুন্সি + আনা = মুন্সিয়ানা

মালিক + আনা = মালিকানা

নজর + আনা = নজরানা

মোহর + আনা = মোহরানা

২. আনি-প্রত্যয়ঃ ভাব ও কার্য বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কাতর + আনি = কাতরানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

তল + আনি = তলানি

৩. ওয়ান-প্রত্যয়ঃ কার্য বা পেশা বুঝাতে ‘ওয়ান’ প্রত্যয় ব্যহৃত হয়। যেমন:

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

(দ্বার) দার + ওয়ান = দারোয়ান

কোচ + ওয়ান = কোচোয়ান

পাল + ওয়ান = পালোয়ান

৪. ওয়ালা-প্রত্যয়ঃ মালিকানা অর্থে এ প্রত্যয়ের ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চুড়ি + ওয়ালা = চুড়িুয়ালা

দুধ + ওয়ালা = দুধওয়ালা

ফেরি + ওয়ালা = ফেরিওয়ালা

গাড়ি + ওয়ালা = গাড়িওয়ালা

৫. খানা-প্রত্যয়ঃ স্থান বা দোকান বোঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চিড়িয়া + খানা = চিড়িয়াখানা

কয়েদ + খানা = কয়েদখানা

বৈঠক + খানা = বৈঠকখানা

কসাই + খানা = কসাইখানা

ছাপা + খান = ছাপাখানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

৬. গর-প্রত্যয়ঃ নির্মাণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সওদা + গর = সওদাগর

বাজি + গর = বাজিগর

কারি + গর = কারিগর

৭. গিরি-প্রত্যয়ঃ ভাব বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

গোয়েন্দা + গিরি = গোয়েন্দাগিরি

বাবু + গিরি = বাবুগিরি

মুটে + গিরি = মুটেগিরি

৮. খোর-প্রত্যয়ঃ নিন্দিত দ্রব্য সেবনকারী বা গ্রহণকারী অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নেশা + খোর = নেশাখোর

চশম + খোর = চশমখোর

হারাম + খোর = হারামখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

৯. বাজ, বাজি-প্রত্যয়ঃ অভ্যস্থ বা নিন্দিত কার্য অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

ধোঁকা + বাজ = ধোঁকাবাজ

গলা + বাজ = গলাবাজ

গল্প + বাজ = গল্পবাজ

আপ্পা + বাজি = ধাপ্পাবাজি

নকল + বাজ = নকলবাজ

গুন্ডা + বাজি = গুন্ডাবাজি

১০. নার, নারি-প্রত্যয়ঃ মালিকানা, ব্যবসায় বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা কখনও কখনও বিশেষণও হয়। যেমন:

চৌকি + দার = চৌকিদার

দোকান + দারি = দোকানদারি

চটক + দার = চটকদার

জমি + দারি = জমিদারি

পেশা + দার = পেশাদার

তালুক + দারি = তালুকদারি

১১. চা-প্রত্যয়ঃ ক্ষুদ্র অর্থে ‘চা’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চাম + চা = চামচা

বাগ + চা = বাগচা

নলি + চা = নলিচা

গালি + চা = গালিচা

১২. চি-প্রত্যয়ঃ আধার অর্থে ‘চি’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

মশাল + চি = মশালচি

ধুনা + চি = ধুনাচি

ধুপ + চি = ধুপচি

কলম + চি = কলমচি

১৩. সই-প্রত্যয়ঃ যোগ্য, উপযুক্ত, প্রমাণ ও পরিমাণ অর্থে ‘সই’-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চলন + সই = চলনসই

মানান + সই = মানানসই

টেক + সই = টেকসই

মাপ + সই = মাপসই

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘টিপসই’ ও ‘নামসই’ শব্দ দুটির ‘সই’ শব্দটি প্রত্যয় নয়। কারণ এটি সহি (স্বাক্ষর) শব্দ থেকে উৎপন্ন ‘সই’ হয়।

১৪. দান, দানি-প্রত্যয়: আধার অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

ফুল + দানি = ফুলদানি

বাতি + দান = বাতিদান

ছাই + দান = ছাইদান

আতর + দান = আতরদান

পিক + দান = পিকদান

কলম + দান = কলমদান

১৫. বন্দ, বন্দী-প্রত্যয়ঃ বন্ধ বা গৃহীত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কোমর + বন্দ = কোমরবন্দ

জবান + বন্দী = জবানবন্দী

নজর + বন্দ = নজরবন্দ

বাক্স + বন্দী = বাক্সবন্দী

১৬. নবীশ-প্রত্যয়ঃ অভিজ্ঞ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

হিসাব + নবীশ = হিসাবনবীশ

পত্র + নবীশ = পত্রনবীশ

শিক্ষা + নবীশ = শিক্ষানবীশ

নকল + নবীশ = নকলনবীশ

১৭. নামা-প্রত্যয়ঃ দলিল অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ওকালত + নামা = ওকালতনামা

ওসিয়ত + নামা = ওসিয়তনামা

■ বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

আতর + দান = আতরদান

পাওনা + দার = পাওনাদার

নজর + আনা = নজরানা

গোসল + খানা = গোসলখানা

খবর + দার = খবরদার

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

জেল + খানা = জেলখানা

অংশী + দার = অংশীদার

বিবি + আনা = বিবিয়ানা

ছাপা + খানা = ছাপাখানা

ঠিকা + দার = ঠিকাদার

মোহর + আনা = মোহরানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

মজা + দার = মজাদার

বাতি + দান = বাতিদান

পিল + খানা = পিলখানা

সমঝ + দার = সমঝদার

দপ্তর + খানা = দপ্তরখানা

ডেপুটি + গিরি = ডেপুটিগিরি

চৌকি + দার = চৌকিদার

মুদি + খানা = মুদিখানা

বাজি + গর = বাজিগর ˃ বাজিকর

জমি + দার = জমিদার

পান + দানি = পানদানি

গুরু + গিরি = গুরুগিরি

সুদ + খোর = সুদখোর

বাতি + দান = বাতিদান

কারি + গর = কারিগর

ঘুষ + খোর = ঘুষখোর

পা + দানি = পাদানি

দোকান + দারি = দোকানদারি

মদ + খোর = মদখোর

ফুল + দানি = ফুলদানি

নেতা + গিরি = নেতাগিরি

চশম + খোর = চশমখোর

ছাই + দানি = ছাইদানি

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

তামাক + খোর = তামাকখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

মামলা + বাজ = মামলাবাজ

কেমন + তর = কেমনতর

জুত + সই = জুতসই

উকিল + নবিশ = উকিলনবিশ

বহু + তর = বহুতর

পছন্দ + সই = পছন্দসই

শিক্ষা + নবিশ = শিক্ষানবিশ

চিলম + চি = চিলমচি

প্রমাণ + সই = প্রমাণসই

জমা + নবিশ = জমানবিশ

বাগ + চা = বাগচা ˃ বাগিচা

মানান + সই = মানানসই

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

চাম্ + চা = চামচা

দশা+ সই = দশাসই

মজুদ + দার = মজুতদার

মশাল + চি = মশালচি

ধোঁকা + বাজি = ধোঁকাবাজ

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

নজর + বন্দী = নজনবন্দী

ফাঁকি + বাজ = ফাঁকিবাজ

দখল + নামা= দখলনামা

গৃহ + বন্দী = গৃহবন্দী

চাল + বাজ = চালবাজ

দ্বার + আনা = দারোয়ান

কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়

প্রদত্ত শব্দ প্রকৃতি + প্রত্যয়

প্রত্যয়ের নাম

অংশীদার = অংশী + দার

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

অতিথি = অত + ইথিন্

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অন্তিম = অন্ত + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অভাব = অ + ভূ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অচেনা = অ + চিন + আ

কৃৎ প্রত্যয়

অধ্যয়ন = অধি + ই + অন

কৃৎ প্রত্যয়

অনুজ = অনু + জন্ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অগ্রিম = অগ্র + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অজানা = অ + জান্ + আ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অর্ঘ = অর্ঘ + ষ্ণ্য

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আদুরে = আদর + ইয়া = আদরিয়া ˃ আদুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

আর্থিক = অর্থ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

আড়তদার = আড়ত + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

আঠাল = আঠা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

আধুলি = আধ্ + উলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

আগ্নেয় = অগ্নি + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

আকস্মিক = অকস্মাৎ + ষ্ণিক

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আভিজাত্য = অভিজাত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ই, ঈ

ইতরামি = ইতর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ইচ্ছুক = ইচ্ছা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঈশ্বর = ঈশ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

উপ্ত = বপ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উঠতি = উঠ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উক্ত = বচ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উক্তি = বচ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উড়ন্ত = উড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

উজান = উজ্ + আন

কৃৎ প্রত্যয়

এ, ঐ, ও

এঁটেল = আঠা + ল = আঠাল ˃ এঁটেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

একলা = এক + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐতিহাসিক = ইতিহাস + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐহিক = ইহ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐন্দ্রজালিক = ইন্দ্রজাল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওকালতি = ওকালত + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওড়না = ওড় + না

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঁদুনে = কাঁদ + উনে

তদ্ধিত প্রত্যয়

করমদানি = কলম + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কর্তব্য = কৃ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

কর্তা = কৃ + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

করণীয় = কৃ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

কমতি = কম + তি

কৃৎ প্রত্যয়

করা = কর + আ

কৃৎ প্রত্যয়

কৌশল = কুশল + অ (অণ্)

তদ্ধিত প্রত্যয়

কৌশিক = কুশিক + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ক্রেতা = ক্রী + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁদন = কাঁদ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁন্না = কাঁদ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

কারক = কৃ + অক (নক)

কৃৎ প্রত্যয়

কৃপণ = কৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কৃষক = কৃষ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁসারি = কাঁসা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাব্য = কবি + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

কারিগর = কারি + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরিয়া = কাঠ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরে = কাঠ + উড়িয়া = কাঠুরিয়া ˃ কাঠুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুলীন = কুল + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

কেজো = কাজ + উয়া = কাজুয়া ˃ কেজো

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুঠিয়াল = কুঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

খ্যাতি = খ্যা + তি

কৃৎ প্রত্যয়

খেকো = খা + উকা = খাউকা ˃ খেকো

কৃৎ প্রত্যয়

খোদাই = খোদ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

খাইয়ে = খা + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

খাওয়া = খা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

খেলোয়ার = খেল্ + ওয়াড়

কৃৎ প্রত্যয়

খেলনা = খেল্ + অনা

কৃৎ প্রত্যয়

খেচর = খে + চর

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

গত = গম + ত

কৃৎ প্রত্যয়

গামন = গম্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

গন্তব্য = গম + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

গায়ক = গৈ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

গরিমা = গুরু + ইমন্

তদ্ধিত প্রত্যয়

গারবিনী = গরব্ + ইনী

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাড়োয়ান = গাড়ি + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

গম্য = গম্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

গালিচা = গালা + ইচা

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাইয়ে = গাহ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

গেঁয়ো = গাঁ + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেছো = গাছ + উয়া = গাছুয়া ˃ গেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেলামি = গোলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাছটি = গাছ + টি

তদ্ধিত প্রত্যয়

গণন = গণ + না

কৃৎ প্রত্যয়

গোলাপী = গোলাপ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গোয়াল = গোয়াল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রাম্য = গ্রাম + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রামীণ = গ্রাম + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

গৃহস্থলি = গৃহস্থ + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরামি = ঘর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরোয়া = ঘর + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘাটতি = ঘাট্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাতক = হন্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাপলা = ঘাপ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘুমন্ত = ঘুম + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ঘুষখোর = ঘুষ + খোর

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘেরাও = ঘির + আও

কৃৎ প্রত্যয়

ঘোলাটে = ঘোলা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘামাচি = ঘাম + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটকালি = ঘটক + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটক = ঘট্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

চীনা = চীন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চড়াই = চড় + আই

কৃৎ প্রত্যয়

চড়াও = চড়্ + আও

কৃৎ প্রত্যয়

চলন = চল্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

চলন্ত = চল্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

চলতি = চল্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

চাপাবাজি = চাপা + বাজি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চলনসই = চলন + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালুনি = চাল্ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাকুরি = চাকর + উরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকুরে = চাকর + ইয়া = চাকরিয়া ˃চাকুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামার = চাম + আর

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামড়া = চাম + ড়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাটাই = চাটা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদা = চাঁদ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদিমা = চাঁদ + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদপনা = চাঁদ + পনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকা = চাক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদোয়া = চাঁদ + ওয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালাকি = চালাক + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিরুনি = চির + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাউনি = চাহ্ + অনি

কৃৎ প্রত্যয়

চৈতালি = চৈত + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিন্ময় = চিৎ + ময়

কৃৎ প্রত্যয়

চোরাই = চোর + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চৌকিদার = চৌকি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

চতুরালি = চতুর + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাপাখানা = ছাপা + খানা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছেলেমি = ছেলে + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছুটি = ছুট্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটে = ছটফট্ + ইয়া = ছটফটিয়া ˃ ছটফটে

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটানি = ছটফট্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাউনি = ছা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাত্র = ছত্র + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাঁটাই = ছাঁট + আই

কৃৎ প্রত্যয়

জয়ী = জি + ইন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমাট = জমা + আট্

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাতীয় = জাতি + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্বলন্ত = জল্ব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জীবন্ত = জীব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জয় = জি + অ

কৃৎ প্রত্যয়

জলা = জল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলো = জলা + উয়া = জলোয়া ˃ জলো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলীয় = জল + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জটিল = জটা + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

জনতা = জন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জালিয়া = জাল + ইয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

জেলে = জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমানো = জম + আনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জবানবন্দি = জবান + বন্দি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জুয়াড়ি = জুয়া + আড়ি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্যাঠামি = জ্যাঠা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাঁকাল = জাঁক + আল

কৃৎ প্রত্যয়

জটলা = জট + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমিদার = জমি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝরনা = র্ঝ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঝলক = ঝল্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়ন = ঝাড় + অন

কৃৎ প্রত্যয়

ঝগড়াটে = ঝগড়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝড়ো = ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া ˃ ঝড়ো

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়-দার = ঝাড়- + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝিয়ারি = ঝি + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝুলন = ঝুল্ + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্ঞানী = জ্ঞান + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ট, ঠ, ড, ঢ

টেকো = টেকো + উয়া = টাকুয়া ˃ টেকো

তদ্ধিত প্রত্যয়

টেকসই = টেক + সই

কৃৎ প্রত্যয়

ঠকা = ঠক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঠ্যাঙ্গাড়ে = ঠ্যাঙ্গা + ড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডাকু = ডাক্ + উ

কৃৎ প্রত্যয়

ডাকাত = ডাক্ + আইত = ডাকাইত ˃ ডাকাত

কৃৎ প্রত্যয়

ডাক্তারি = ডাক্তার + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডিঙ্গা = ডিঙ্গি + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডুবুরি = ডুব্ + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ডুবন্ত = ডুব্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ডেকচি = ডেক্ + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকনা = ঢাক্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঢাকনি = ঢাক্ + নি

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালাই = ঢাল্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালু = ঢাল্ + উ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকাই = ঢাকা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত, থ, দ

তবলচি = তবল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

তৈল = তিল + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত্যাগ = ত্যজ্ + অ (ঘঞ)

কৃৎ প্রত্যয়

তামাটে = তামা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

তাত্ত্বিক = তত্ত্ব + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

তালব্য = তালু + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দ্রাঘিমা = দ্রাঘি + ইমন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশি = দিশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দর্পণ = দৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

দৈন্য = দিন + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাতা = দা + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শন = দৃশ্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শনীয় = দৃশ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

দৃশ্য = দৃশ্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দ্রষ্টব্য = দৃশ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শক = দৃশ্ + অক্

কৃৎ প্রত্যয়

দাপট = দাপ + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাগি = দাগ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দামি = দাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দানব = দনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দালালি = দালাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঁতাল = দাঁত + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাবাড়- = দাবা + উড়িয়া = দাবাড়িয়া ˃ দাবাড়-

তদ্ধিত প্রত্যয়

দার্শনিক = দর্শন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দারোয়ান = দ্বার দার + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঙ্গাবাজ = দাঙ্গা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশারী = দিশ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

দুগ্ধ = দুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

দুধাল = দুধ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুধেল = দুধ + আল = দুধাল ˃ দুধেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেনাদার = দেনা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশী = দেশ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানদার = দোকান + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানি = দোকান + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোলনা = দুল্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

দীঘল = দীর্ঘ + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুষ্টামি = দুষ্ট + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

দৈনিক = দিন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দয়ালু = দয়া + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুঃখিত = দুঃখ + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশীয় = দেশ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিব্য = দিব্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দৈত্য = দিতি + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধ, ন

ধার্মিক = ধর্ম + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধারাল = ধার + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধনুরি = ধনু + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ধোঁয়াটে = ধোঁয়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধৈর্য = ধীর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধেনো = ধান + উয়া = ধানুয়া ˃ ধেনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

নোনতা = নুন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নবীন = নব + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নয়ন = নী + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

নায়ক = নী + অক

কৃৎ প্রত্যয়

নেয়ে = নাও + উয়া = নউয়া ˃ নেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাবিক = নৌ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাগরিক = নগর + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাচিয়ে = নাচ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

নেতা = নী + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

নিড়ানি = নিড়্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

নিদ্রালু = নিদ্রা + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

নীলিমা = নীল + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নজরানা = নজর + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নকলনবীশ = নকল + নবীশ

তদ্ধিত প্রত্যয়

নশ্বর = নশ্ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

পা-ব = পা- + অ (অন)

তদ্ধিত প্রত্যয়

পড়-য়া = পড়্ + উয়া

কৃৎ প্রত্যয়

পড়ন্ত = পড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

পশমি = পশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পঙ্কিল = পঙ্ক + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

পথিক = পথ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাঠক = পাঠ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

পানীয় = পান + ঈয়

কৃৎ প্রত্যয়

পার্থিব = পৃথিবী + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পান্তা = পানি + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসা = পানি + সা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসে = পানি + সা = পানসা ˃ পানসে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাওনা = পাও + না

কৃৎ প্রত্যয়

পাথুরে = পাথর + ইয়া = পাথরিয়া ˃ পাথুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পায়া = পা + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাকামো = পাকা + আমো

তদ্ধিত প্রত্যয়

প-িত = প-া + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রচলিত = প্রচলন + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

পিপাসা = পিপাসা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

পাগলামি = পাগল + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজনীয় = পূজ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

পিছল = পিছ্ + অল

কৃৎ প্রত্যয়

পিকদানি = পিক + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রাচ্য = প্রাচ্ + ষ্ণ্য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেনিল = ফেন্ + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেরতা = ফির + তা

কৃৎ প্রত্যয়

ফেরত = ফির + অত

কৃৎ প্রত্যয়

ফুটন্ত = ফুট্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ফোটা = ফুট্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলেল = ফুল + এল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফাটল = ফাট + ল

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলদানি = ফুল + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফলন্ত = ফল + অন্ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোম্বাই = বোম্বে + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বিজ্ঞান = বি + জ্ঞা + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বারমেসে = বারমাস + এ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বক্তব্য = বচ্ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

বক্তা = বচ্ + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

বর্ষণ = বৃষ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বর্গাদার = বর্গা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

বহতা = বহ্ + তা

কৃৎ প্রত্যয়

বড়াই = বড় + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঘা = বাঘ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাটনা = বাট্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজনা = বাজ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজিয়ে = বাজ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধন = বাঁধ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধাই = বাঁধ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁশি = বাঁশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁশরি = বাঁশ + রি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বন্দিনী = বন্দি + নী

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদলা = বাদল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসত = বস + ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুগিরি = বাবু + গিরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদামি = বাদাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাগিচা = বাগ + চা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙ্গাল = বঙ্গ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙালি = বাঙাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাড়ন্ত = বাড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাড়তি = বাড় + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বকুনি = বকা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

বার্ষিক = বর্ষ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁদরামি = বাঁদও + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসতি = বস + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বাছাই = বাছ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুর্চি = বাবু + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাবুয়ানা = বাবু + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাহাদুরি = বাহাদুর + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেগুনে = বেগুন + ইয়া = বেগুনিয়া ˃ বেগুন

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেঙাচি = বেঙ + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈজ্ঞানিক = বিজ্ঞান + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈঠক = বৈঠ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

বৈমাত্রেয় = বিমাতা + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈধ = বিধি + ঞ্চ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈচিত্র্য = বিচিত্র + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেকামি = বোকা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোমারু = বোমা + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

বুনো = বন + উয়া = বনোয়া ˃ বুনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোনাই = বোন + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভিখারি = ভিখ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

ভৌগোলিক = ভূগোল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভোজ্য = ভোজ্ + আমি

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়ামি = ভাড় + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভয় = ভী + অয়

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়াটে = ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাতুরে = ভাত + উড়িয়া = ভাতুরিয়া ˃ ভাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভেতো = ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাজি = ভাজ্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ভাবুক = ভাব + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মানত = মান + ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৃন্ময় = মৃদ্ + ময়

তদ্ধিত প্রত্যয়

মহিমা = মহৎ + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মন্ত্রী = মন্ত্র + ইমন

কৃৎ প্রত্যয়

মড়ক = মড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মোড়ক = মুড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মশারি = মশা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মলাট = মলা + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাংসল = মাংস + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাথাল = মাথা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাধুর্য = মধুর + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানব = মনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানানসই = মানান + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মামলাবাজ = মামলা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মশালচি = মশাল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মুক্ত = মুচ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মুক্তি = মুচ্ + ক্তি

কৃৎ প্রত্যয়

মুগ্ধ = মুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মিশুক = মিশ্ + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মিথ্যুক = মিথ্যা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিশাল = মিশ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

মিতালী = মিতা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিঠাই = মিঠা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেটে = মাটি + ইয়া = মাটিয়া ˃ মেটো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঠো = মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেছো = মাছ + উয়া = মাছুয়া ˃ মেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঘলা = মেঘ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেধাবী = মেধা + বিন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়ে = মা + ইয়া = মইয়া ˃ মেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়েলি = মেয়ে + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মোগলাই = মোগল + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৌখিক = মুখ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

য, র, ল

যাচাই = যাচ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

যৌবন = যুব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

রুষ্ট = রুষ্ + ত (ক্ত)

কৃৎ প্রত্যয়

রোগাটে = রোগা + টিয়া = রোগাটিয়া ˃ রোগাটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাঁধা = রাঁধ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

রাঁধুনি = রাঁধ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

রান্না = রাঁধ + না

কৃৎ প্রত্যয়

রমণীয় = রমণ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাখাল = রাখ্ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

রসাল = রস + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

রেশমি = রেশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

রোগা = রোগ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লঘিমা = লঘু + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

লবণ = লো + অন

কৃৎ প্রত্যয়

লেখক = লিখ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

রাজুক = লাজ + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালচে = লাল + চে

তদ্ধিত প্রত্যয়

লাঠিয়াল = লাঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লেঠেল = লাঠি + আল = লাঠিয়াল ˃ লেঠেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লৌকিক = লোক + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

লোনা = লনু + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালিমা = লাল + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোনা = শোন্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

শয়ন = শে + অনট্

কৃৎ প্রত্যয়

শহুরে = শহর + ইয়া = শহরিয়া ˃ শহুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

শাঁখারি = শাঁখা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্যামলা = শ্যাম + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শীতল = শীত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

শিক্ষক = শিক্ষা + অক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্রবণ = শ্রু + অন

কৃৎ প্রত্যয়

শারীরিক = শরীর + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শৈল্পিক = শিল্প + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোচনীয় = শুচ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

শৈব = শিব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স¤্রাট = সম + রাজ + ক্বিপ

কৃৎ প্রত্যয়

সওদাগার = সাওদা + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

সর্পিল = সর্প + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়ে = সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়িয়া = সাপ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাঁতারু = সাঁতারু + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাধুতা = সাধু + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপ্তাহিক = সপ্তাহ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাংবাদিক = সংবাদ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্য = সাহিত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্যিক = সাহিত্য + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সামাজিক = সমাজ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

সূর্য = সৃ + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌর = সূর্য + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌন্দর্য = সুন্দর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সোনালি = সোনা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেলামি = সেলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেবাইত = সেবা + আইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

সত্তা = সৎ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স্বপ্নিল = স্বপ্ন + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৃষ্টি = সৃজ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

হাঁচি = হাঁচ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হত্যা = হন্ + ক্যাপ

কৃৎ প্রত্যয়

হলদে = হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতল = হাত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতুড়ে = হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাটুরে = হাট + উড়িয়া = হাটুরিয়া ˃ হাটুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাসি = হাস্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হিমেল = হিম + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতানন = হাত + আন

তদ্ধিত প্রত্যয়

উপসর্গ: যে সকল অব্যয়সুচক শব্দাংশ স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না কিন্তু অন্য শব্দের আগে বসে শব্দটির অর্থের পরিবর্তন সাধন করে, তাকে উপসর্গ বলে। উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলে এদের অর্থদ্যোতকাতা বা নতুন শব্দ সৃজনের ক্ষমতা থাকে।

বাংলা ভাষায় তিন প্রকার উপসর্গ আছে:

১. খাটি বাংলা উপসর্গ ২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ ৩. বিদেশী উপসর্গ

খাটি বাংলা উপসর্গ (২১ টি)

২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ (২০ টি)

বিদেশী উপসর্গ (এখনো নির্নীত হয় নি)

অ, অঘা, অজ, অনা

আ, আড়, আন, আব

ইতি, ঊন, কদ, কু

নি, পাতি, বি, ভর

রাম, স, সা, সু

হা = ২১টি

প্র, পরা, অপ, সম্, নি

অব, অনু, নির, দূর, বি

সু, উত্, অধি, পরি, প্রতি

উপ, আ, অপি, অভি, অতি =২০টি

ফারসি উপসর্গ: কার্, দর্, না, নিম্, ফি, বদ্, বে, বর্, ব্, কম্

আরবি উপসর্গ: আম্, খাস, লা, গর্

ইংরেজি উপসর্গ: ফুল, হাফ, হেড, সাব

উর্দু-হিন্দি উপসর্গ: হর

চারটি উপসর্গ যথা: সু, বি, নি, আ খাটি বাংলা এবং তত্সম উভয়ক্ষেত্রে দেখা যায়।

প্রত্যয়: যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দ (প্রাতিপাদিক) এর পর যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার: কৃত্ প্রত্যয় (বাংলা এবং সংস্কৃত) এবং তদ্ধিত প্রত্যয় (বাংলা, সংস্কৃত এবং বিদেশী)।

প্রকৃতি: কোনো মেৌলিক শব্দের যে অংশকে আর কোনোভাবেই বিভক্ত বা বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে। প্রকৃতি দুই প্রকার: যথা: ক্রিয়া প্রকৃতি এবং নাম প্রকৃতি।

পদ প্রকরণ: বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক একটি পদ। বিভক্তিযুক্ত শব্দ এবং ধাতুই পদ। পদ মোট ৫ প্রকার: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া এবং অব্যয়।

চাকুরির প্রস্তুতি

বাংলা ব্যাকরণের উল্লেখযোগ্য কঠিন টপিক গুলোর মধ্যে প্রকৃতি প্রত্যয় অন্যতম। কিন্তু আসলেই কি প্রকৃতি প্রত্যয় কঠিন? উত্তর হচ্ছে প্রকৃতি প্রত্যয় সব থেকে সহজ একটি টপিক। আজকের ব্লগে পুরো বিষয়টি আপনাদের সাথে উদাহরণ এবং ব্যাখ্যা সহ তুলে ধরা হবে। পড়তে থাকুন ইনশা-আল্লাহ।

প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে কি কি শিখবো?

১) প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

২) প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

৩) কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়?

৪) প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

৫) বিগত সালের পরিক্ষায় প্রকৃতি প্রত্যয়

শুরু করার আগে আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ যদি আমাদের লিখা ব্লগ গুলো ভালো লাগে তবে জ্ঞান প্রচারের লক্ষ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

ধাতু বা শব্দ যার সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে যে মূল অংশের নাম প্রকৃতি। যেমন: মিঠা + আই = মিঠাই। এখানে ‘মিঠা’ হচ্ছে প্রকৃতি, এর সঙ্গে ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ‘মিঠাই’ শব্দটি গঠিত হয়েছে। এভাবে শব্দের বিশ্লেষণ করলে প্রকৃতি ও প্রত্যয় পাওয়া যায়।

উপরের ব্যাপারটি কঠিন মনে হলে চলেন এইবার একটু ইনফরমাল আলোচনা করা যাক যেন কোন দিন আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে সংশয়ে না পড়েন।

যা মনে রাখবেনঃ

– প্রত্যয় সব সময় শব্দের বা ধাতুর পরে বসে।

– পরে বসে কি করে? নাচানাচি করে কি? না। তা নতুন শব্দ গঠন করে। যেমনঃ শীতল। এটি একটি শব্দ। যার দুটি অংশ আছে। শীত + ল। এখানে পরে কি যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “ল” তাই এটি প্রত্যয়।

এখন “ল” কিসের সাথে যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “শীত” এর সাথে? তাই এটি প্রকৃতি।

নিচের উদহরণগুলো দেখুনঃ

ক) লাজুক= লাজ+ উক

এখানে “লাজ” হচ্ছে প্রকৃতি এবং “উক” হচ্ছে প্রত্যয়

খ) চলন্ত = চল + অন্ত

এখানে “চল” হচ্ছে প্রকৃতি এবং ” অন্ত ” হচ্ছে প্রত্যয়

এইবার আমরা ধরেই নিতে পারি আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় চিনে গেছেন।

প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

সহজ ভাষায় প্রকৃতি এবং প্রত্যয় উভয়ই দুই প্রকার।

প্রকৃতির প্রকারভেদঃ

১) ক্রিয়া প্রকৃতি

২) নাম প্রকৃতি বা শব্দ প্রকৃতি

প্রত্যয়ের প্রকারভেদঃ

১) কৃৎ প্রত্যয়

২) তদ্ধিত প্রত্যয়

কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়

প্রকৃতি প্রত্যয় চিনার জন্য আপনাকে শব্দটি কে বিশ্লেষন করতে হবে তারপর দেখতে হবে কোন অংশটি আর আগে সেটি হবে প্রকৃতি এবং যে অংশটি পরে সেটি নিশ্চিতভাবেই প্রত্যয়।

প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

১. অ-প্রত্যয় : ‘প্রবণতা, ঈষদ্ভাব প্রায় কিন্তু পূর্ণ নয়’ এমন ভাব প্রকাশ করতে ধাতুর উত্তর (পরে) অ (উ, ও) প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং দ্বিত্ব প্রয়োগ হয়। যেমন:

√কাঁদ + অ : কাঁদ + অ = কাঁদ কাঁদ

√ডুব + অ : ডুব + অ = ডুব ডুব (ডুবু ডুবু)

√পড় + অ : পড় + অ = পড় পড় (পড়ো পড়ো)

√মার + অ : মার + অ = মার মার

২. আ-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর পরে আ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + আ = ঝরা

√হাস + আ = হাসা

√খা + আ = খাওয়া

√শোন + আ = শোনা

√ভর + আ = ভরা

√কাঁচ + আ = কাঁচা

√কাট + আ = কাটা

√র্ম + আ = মরা

√ছাড় + আ = ছাড়া

√জান + আ = জানা

৩. অন-প্রত্যয় : অন-প্রত্যয়ান্ত শব্দগুলো সাধারণ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√বাঁধ + অন = বাঁধন

√সাজ্ + অন = সাজন

√হাঁট + অন = হাঁটন

√র্ম + অন = মরণ

√নাচ + অন = নাচন

√মাজ + অন = মাজন

√গড় + অন = গড়ন

√জীব + অন = জীবন

√কাঁদ + অন = কাঁদন

৪. অক-প্রত্যয় : অক-প্রতায়ান্ত শব্দ সাধারণত বিশেষ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√ফাট্ + অক =ফাটক

√সড় + অক = সড়ক

√নাট + অক = নাটক

√ঝল + অক = ঝলক

√দুল + অক = দোলক

√ঘট্ + অক = ঘটক

√বৈঠ + অক = বৈঠক

√চট্ + অক = চটক

৫. আই-প্রত্যয় : করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ফাড়্ + আই = ফাড়াই

√ছাঁট্ + আই = ছাঁটাই

√যাচ্ + আই = যাচাই

√খোদ + আই = খোদাই

√ঢাল্ + আই = ঢালাই

√মাড়্ + আই = মাড়াই

√সিল্ + আই = সেলাই

√লড়্ + আই = লড়াই

৬. উয়া-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য ধাতুর উত্তর ‘উয়া’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। উয়া-প্রত্যয় বিকল্পে ও-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পড়্ + উয়া = পড়-য়া

√চল + উয়া = চলুয়া

√হাল্ + উয়া = হালুয়া

√সাজ + উয়া = সাজুয়া

√খা + উয়া = খাওয়া

√ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া˃ঝড়ো

৭. উ-প্রত্যয় : ‘উ’ প্রত্যয়ান্ত সাধিত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ঢাল্ + উ = ঢালু

√ডাক + উ = ডাকু

√ঝাড় + উ = ঝাড়-

√চাল্ + উ = চালু

√উড় + উ = উড়-

√ডুব + উ = ডুবু

৮. উক-প্রত্যয়ঃ স্বভাব বুঝাতে বিশ্লেষণ পদ গঠনে ‘উক’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পিট + উক = পেটুক

√মিশ + উক = মিশুক

√খা + উক = খাউক

√হিনস + উক = হিংসুক

√নিন্দা + উক = নিন্দুক

√ভা + উক = ভাবুক

৯. ই-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য, অপাদানবাচ্য, অধিকরণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘ই’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + ই = ঝরি

√হাস + ই = হাসি

√কর + ই = করি

√বুল + ই = বুলি

√বেড় + ই = বেড়ি

√হাঁচ + ই = হাঁচি

√খা + ই = খাই

√ভাজ + ই = ভাজি

১০. ইয়া ইয়ে-প্রত্যয় : ‘প্রবীণ বা নিপুণ অর্থে’ কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ইয়া ইয়ে প্রত্যয় হয়। যেমন:

√কাঁদন + ইয়া = কাঁদনিয়া˃কাঁদুনে

√বাজ্ + ইয়ে = বাজিয়ে

√কহ্ + ইয়া = কহহিয়া˃কইয়ে

√খেল + ইয়ে = খেলিয়ে

√গাহ্ + ইয়া = গাহহিয়া˃গাইয়ে

√নাচ + ইয়ে = নাচিয়ে

আবার অসমাপিকা ক্রিয়া বুঝাতেও ‘ইয়া’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পড়্ + ইয়া = পড়িয়া

√বহ্ + ইয়া = বহিয়া

√চল + ইয়া = চলিয়া

√কাঁদ্ + ইয়া = কাঁদিয়া

√হাস + ইয়া = হাসিয়া

√শুন + ইয়া = শুনিয়া

১১. আল-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য ও করণবাচ্যের ধাতুর উত্তর আল-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাখ্ + আল = রাখাল

√মাত্ + আল = মাতাল

√বাচ্ + আল = বাচাল

√ধার + আল = ধারাল

√নাগ্ + আল = নাগাল

√মিশ্ + আল = মিশাল

১২. তি-প্রত্যয়ঃ কর্তৃবাচ্য ও ভাববাছ্যের উত্তর ‘তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কম্ + তি = কমতি

√চল্ + তি = চলতি

√র্ফি + তি = ফিরতি

√উঠ্ + তি = উঠতি

√ঘাট্ + তি = ঘাটতি

√বস্ + তি = বসতি

১৩. না-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘না’ প্রত্যয় যুক্ত হয়্। যেমন:

√শুক + না = শুকনা

√বাট + না = বাটনা

√দুল + না = দোলনা

√ঝর + না = ঝরনা

√রাঁধ + না = রাঁধনা˃রান্না

√ঢাক + না = ঢাকনা

√খেল + না = খেলনা

√মাগ + না = মাগনা

১৪. আনি-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আনি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাঙ + আনি = রাঙানি

√খাট + আনি = খাটানি˃খাটুনি

√শাস + আনি = শাসানি

√চির + আনি = চিরণী˃চিরুণী

√শুন + আনি = শুনানি

√জ্বাল + আনি = জ্বালানি

√উড় + আনি = উড়ানি

√হাঁপ + আনি = হাঁপানি

১৫. আরু-প্রত্যয় : কর্তায় দক্ষতা ও পেশা বুঝাতে কর্তৃবাচ্যের ধাতু উত্তর ‘আরু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডুব + আরু = ডুবারু

√সাঁত + আরু = সাঁতারু

√খোঁজ + আরু = খোঁজারু

১৬. আও-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আও’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাঁচ্ + আও = বাঁচাও

√দুল্ + আও = দোলাও˃দুলাও

√চড়্ + আও = চড়াও

√র্ঘি + আও = ঘিরাও

√র্স + আও = সরাও

√পাকড়্ + আও = পাকড়াও

১৭. আনো-প্রত্যয় : ধাতুর উত্তর ‘আনো’ প্রত্যয় যোগে ক্রিয়াবাচক বা বিশ্লেষন পদ গঠিত হয়। যেমন:

√কামড় + আনো = কামড়ানো

√নাচ + আনো = নাচানো

√বাঁধ + আনো = বাঁধানো

√পাল + আনো = পালানো

√কাঁদ + আনো = কাঁদানো

√দৌড় + আনো = দৌড়ানো

১৮. অল-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অল’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√পিছ্ + অল = পিছল

√ফাট + অল = ফাটল

√জী + অল = জীয়ল˃জীওল

১৯. আইত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আইত’ (আত) প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডাক + আইত = ডাকাইত˃ডাকাত

√সঙ্গ + আইত = সাঙ্গাইত˃সাঙ্গাত

√সেব + আইত = সেবাইত

২০. আন-প্রত্যয় : প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে ‘আন’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ছোড় + আন = ছোড়ান

√দেখ + আন = দেখান

√গড় + আন = গড়ান

√খা + আন = খাওয়ান

√ঠকা + আন = ঠকান

√জান + আন = জানান

২১. অন্ত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অন্ত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√চল + অন্ত = চলন্ত

√ডুব্ + অন্ত = ডুবন্ত

√ঝুল + অন্ত = ঝুলন্ত

√ঘুম + অন্ত = ঘুমন্ত

√ফুট্ + অন্ত = ফুটন্ত

√ফল + অন্ত = ফলন্ত

২২. তা-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত ঞয়। যেমন:

√পড় + তা = পড়তা

√চল্ + তা = চলতা

√জান্ + তা = জান্তা

√ফির + তা = ফিরতা

২৩. অনা- প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে সাধারণত ধাতুর উত্তর ‘অনা’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাজ + অনা = বাজনা

√মাগ্ + অনা = মাগনা

√ঝর + অনা = ঝরনা

√খেল্ + অনা = খেলনা

√বঞ্চ + অনা = বঞ্চনা

√দুল্ + অনা = দোলনা

২৪. অত-প্রত্যয় : বিশেষণ পদ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘অত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বস্ + অত = বসত

√ফির + অত = ফেরত

√মান + অত = মানত

বিদেশী কৃৎ-প্রত্যয় :

ক. সই-প্রত্যয় যোগে; যেমন: মাপ + সই = √মাপসই।

খ. বাজ-প্রত্যয় যোগে; যেমন: চাল + বাজ = √চালবাজ

■ বাংলা কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

কাঁদ্ + অ = কাঁদ

ডুব + আরু = ডুবারু

গুণ্ + তি = গুণতি

সাজ্ + উয়া = সাজোয়া

ডুব্ + অ = ডুব

পড়্ + উয়া = পড়-য়া

নাচ্ + অন = নাচন

গাহ্ + ইয়ে = গাইয়ে

ঝুল + অ = ঝুল

জুত্ + আনো = জুতানো

কাঁদ + অন = কাঁদন

খেল্ + ওয়াড় = খেলোয়ার

নিব্ + অ = নিব

ভাব্ + উক = ভাবুক

খা + অন = খাওন

র্ধ + আ = ধরা

র্ম + অ = মর

বেড়্ + আনো = বেড়ানো

ঝাড়্ + অন = ঝড়ান

পড়্ + আ = পড়া

ছুট + অ = ছুট

ঢাল্ + আই = ঢালাই

কাঁপ + অন = কাঁপন

ঢাল্ + উ = ঢালু

খুঁজ + অন = খোঁজন

যাচ্ + আই = যাচাই

র্ম + অন = মরণ

বাঁধ্ + অন = বাঁধন

চল্ + আ = চলা

সেব্ + আইত = সেবাইত

ফল্ + অন = ফলন

গড়্ + অন = গড়ন

চাহ্ + আ = চাওয়া

পূজ্ + আরী = পূজারী

যোগ্ + অন = যোগান

চাহ্ + নি = চাহনি

পা + আ = পাওয়া

কাঁদ্ + উনে = কাঁদুনে

চড়্ + অক = চড়ক

উড়্ + অন্ত = উড়ন্ত

দেখ্ + আ = দেখা

নাচ্ + ইয়ে = নাচিয়ে

ফাট্ + অক = ফাটক

ভাঙ্ + অন = ভাঙন

ছাড়্ + আ = ছাড়া

মিশ্ + উক = মিশুক

মুড়্ + অক = মোড়ক

ডুব্ + উরী = ডুবুরী

ফুট্ + আ = ফোটা

ঘাট্ + তি = ঘাটতি

ঝল্ + অক = ঝলক

মুচ্ + কি = মুচকি

চুর + ই = চুরি

কুট + না = কুটনা

দে + অনা = দেনা

চাল + আন = চারা

চষ + ই = চষি

জান + আন = জানান

বাজ্ + অনা =বাজনা

উঠ্ + তি = উঠতি

ফির + ই = ফিরি

কাঁদ্ + না = কান্না

পা + অনা = পাওনা

দোল্ + না = দোলনা

হাস্ + ই = হাসি

উড়া + আন = উড়ান

বাট্ + না = বাটনা

ঝলক + আনি = ঝলকানি

কাশ্ + ই = কাশি

ঠকা + আন = ঠকান

খেল্ + না = খেলনা

হিনস্ + উক = হিংসুক

ভাজ্ + ই = ভাজি

কাট্ + আ = কাটা

র্ঝ + ন = ঝরনা

কাচ + আ = কাচা

ডুব্ + উ = ডুবু

বাঁধ + আ = বাধাঁ

কাঁপ্ + অনি = কাঁপনি, কাঁপুনি

ভর + আ = ভরা

র্উ + ও = উড়ো

বাঁচ + ওয়া = বাঁচোয়া

রাঁধ্ + অনি = রাঁধুনি

হাত + আনো = হাতানো

হ + উ = হবু

কাট্ + আরি = কাটারি

ছাঁক্ + অনি = ছাকনি

খুল্ + আ = খোলা

র্ম + ও = মরো

মাজ্ + অন = মাজন

চাল্ + উনি = চালুনি

র্ম + ও = মরো

ঝড়্ + ও = ঝড়ো

টাঙা + আনো = টাঙানো

ছা + উনি = ছাউনি

বাজ্ + ইয়ে = বাজিলে

ভুল্ + ও = ভুলো

চল্ + তি = চলতি

ঝাঁক্ + উনি = ঝাঁকুনি

বাস্ + ই = বাসি

র্ফি + অত = ফিরত

ঝুল + অন = ঝুলন

আট্ + উনি = আঁটুনি

ছাড় + অন = ছাড়ন

মান্ + অত = মানত

খাট্ + ইয়ে = খাটিয়ে

খাট্ + উনি = খাটুনি

কাশ + আ = কাশা

পড়্ + তি = পড়তি

ভাজ + আ = ভাজা

বক্ + উনি = বকুনি

চষ + আ = চষা

কাট্ + তি = কাটতি

ঝাঁক + আ = ঝাঁকা

র্চি + উনি = চিরুনি

পর + আ = পড়া

র্ফি + তি = ফিরতি

ছাঁক + অন = ছাঁকন

বাছ্ + আই = বাছাই

হাস + আ = হাসা

বাড়্ + তি = বাড়তি

ডুব + আ = ডুবা

লড়্ + আই = লড়াই

দেখ + আই = দেখাই

চড়্ +আই = চড়াই

বাঁধ + অন = বাঁধন

জ্বল + অন্ত = জ্বলন্ত

নির + আন = নিড়ান

যাচ্ + আই = যাচাই

খাট + আ = খাটা

জীব্ + অন্ত = জীবন্ত

চড় + আ = চড়া

ডাক্ + আইত = ডাকাত

সাজ + আ = সাজা

মাত্ + আল = মাতাল

ডুব + উরি = ডুবুরি

খুদ + আই = খোদাই

পর + আই = পড়াই

ছাঁট + আই = ছাঁটাই

উড় + আ = উড়া

ঝাল্ + আই = ঝালাই

ভাব + আ = ভাবা

উড়্ + আনি = উড়ানি

ঠক + আ = ঠকা

শুন্ + আনি = শুনানি

নাচ + আ = নাচা

ঝাঁক্ + আনি = ঝাঁকানি

দোল + অন = দোলন

বাঁধ্ + আই = বাঁধাই

ছাড় + অ = ছাড়

চড়্ + আও = চড়াও

মার + অ = মার

ঢাল্ + আও = ঢালাও

বাঁধ + অ = বাঁধ

নিড়্ + আনি = নিড়ানি

বস + অতি = বসতি

সাঁত্ + আরু = সাঁতারু

মান + অত = মানত

জ্বালা + আনি = জ্বালানী

দুল + অ = দোল

পাকড় + আও = পাকড়াও

ঘুর + অন = ঘুরন

খা + ইয়ে = খাইয়ে

সাধ + অন = সাধন

র্ঘি + আও = ঘেরাও

ধর + অন = ধরণ

গাঁথ + অন = গাঁথন

লাঞ্ছ + অনা = লাঞ্ছনা

ভিক্ষ + আরি = তিখারি

পাকড় + আও = পাকড়াও

উঠ + তি = উঠতি

সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়

১. অনট (অন) প্রত্যয় : ‘অনট’ প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘অনট’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথম বর্ণের ‘ঈ’ পরিবর্তন হয় ‘অয়’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ‘ঋ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘অর’ হয়। যেমন:

√কৃ + অনট = করণ

√শী + অনট = শয়ন

√দা + অনট = দান

√গম + অনট = গমন

√স্থান + অনট = স্থান

√পা + অনট = পান

√দৃশ + অনট = দর্শন

√ভ্র + অনট = ভ্রমন

√নী + অনট = নয়ন

√শ্রু + অনট = শ্রবণ

২. ঘঞ (অ) প্রত্যয় : ঘঞ-প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্যে ব্যবহহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘ঘঞ’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথমে বর্ণের ‘অ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘আ’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ধাতুর শেষ বর্ণের ‘চ’ স্থানে ‘ক’, ‘জ, স্থানে ‘গ’ হয়। যেমন:

√শুচ + ঘঞ = শোক

√অদ্ + ঘঞ = ঘা

√ভূ + ঘঞ = ভাব

√বস্ + ঘঞ = বাস

√পচ + ঘঞ = পাক

√তপ + ঘঞ = তাপ

√রুজ + ঘঞ = রোগ

√ত্যজ + ঘঞ = ত্যাগ

৩. তব্য-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষ্যৎ অর্থে কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘তব্য’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কৃ + তব্য = কর্তব্য

√গম + তব্য = গন্তব্য

√জ্ঞা + তব্য = জ্ঞাতব্য

√বচ + তব্য = বক্তব্য

√দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

√পৌ + তব্য = পঠিতব্য

√দান + তব্য = দাতব্য

√মন + তব্য = মন্তব্য

৪. অল (অ) প্রত্যয় : অল-প্রত্যয় ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য পদ গঠনে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ল’ লোপ পেয়ে ‘অ’ থাকে। যেমন:

√জি + অল = জয়

√ভী + অল = ভয়

√ক্রী + অল = ক্রয়

√লুভ + অল = লোভ

৫. ক্ত (ত) প্রত্যয় : অতীতকালে কাজ হয়েছে এ অর্থ প্রকাশের জন্য ‘ক্ত’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। সাধিত পদগুলো বিশ্লষন হয়ে থাকে। প্রতায়ন্ত পদের শেষে ‘ক’ লোপ পেয়ে শুধু ‘ত’ থাকে। যেমন:

√খ্যা + ক্ত = খ্যাত

√শম + ক্ত = শাক্ত

√পত্ + ক্ত = পতিত

√ঘীন + ক্ত = হীন

√জ্ঞান + ক্ত জ্ঞাত

√ক্লম + ক্ত = ক্লান্ত

√গম + ক্ত = গত

√নন + ক্ত = নষ্ট

√দীপ + ক্ত = দীপ্ত

√কৃ + ক্ত = কৃত

৬. ক্তি (তি) প্রত্যয় : ক্রিয়াবাচক বা ভাববাচ্যক বিশেষ্য অর্থে ধাতুর সঙ্গে ‘ক্তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয় দ্বারা শব্দ গঠন কালে ধাতুর প্রথম বর্ণ সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে এবং দ্বিতীয় বর্ণ লোপ পায়। যেমন:

√মুচ্ + ক্তি = মুক্তি

√দৃশ + ক্তি = দৃষ্টি

√কৃৎ + ক্তি = কীর্তি

√কৃষ + ক্তি = কৃষ্টি

√স্মৃতি + ক্তি = স্মৃতি

√সৃজ + ক্তি = সৃষ্টি

√শম + ক্তি = শান্তি

√বচ্ + ক্তি = উক্তি

√ভী + ক্তি = ভীতি

৭. যৎ (য) প্রত্যয় : কোন কিছু করা উচিত বা করার যোগ্য, এ অর্থে ধাতুর সাথে ‘যৎ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো সাধারণত বিশেষণ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পদ্ + যৎ = পদ্য

√জ্ঞান + যৎ = জ্ঞেয়

√সহ্ + যৎ = সহ্য

√দা + যৎ = দেয়

√গ্রহ্ + যৎ = গ্রাহ্য

√মন্ + যৎ = মান্য

√যুজ + যৎ = যোগ্য

√পূজ + যৎ = পূজ্য

√ধূ + যৎ = ধার্য

√পঠ + যৎ = পাঠ্য

৮. শানচ (মান) প্রত্যয় : ক্রিয়ার কাজ চলছে এ অর্থে ধাতুর অর্থে উত্তর কর্তৃ ও কর্মবাচ্যে ‘শানচ’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√চল্ + শানচ = চলমান

√বৃৎ + শানচ = বর্তমান

√বৃধ + শানচ = বর্ধমান

√দীপ + শানচ = দীপ্তমান

√মুহ্ + শানচ = মুহ্যমান

৯. ইষ্ণু-প্রত্যয় : শীলার্থে ধাতুর উত্তর ‘ইষ্ণু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√ক্ষি + ইষ্ণু = ক্ষয়িষ্ণু

√সহ্ + উষ্ণু = সহিষ্ণু

√চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

√বধ্ + ইষ্ণু = বর্ধিষ্ণু

১০. ণক (অক) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যে ‘করেন যিনি’ এ অর্থে ধাতুর উত্তর ‘ণক’ (অক) প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ণ’ লোপ পায় এবং ‘অক’ থাকে এবং প্রত্যয়সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + ণক = কারক

√শাস + ণক = শাসক

√পচ + ণক = পাচক

√যুজ + ণক = যোজক

√পো + ণক = পাবক

√দৃশ + ণক = দর্শক

১১. ণ্যৎ (য) প্রত্যয় : ‘উচিত বা যোগ্য অর্থে’ ঋ-কারান্ত ও ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো প্রধানত বিশেষণ (কখনও কখনও বিশেষ্য) হয়। যেমন:

√ত্যজ + ণ্যৎ = ত্যাজা

√লক্ষ + ণ্যৎ = লক্ষ্য

√গম + ণ্যৎ = গম্য

√কৃ + ণ্যৎ = কার্য

√ভজ + ণ্যৎ = ভাজ্য

√ধৃ + ণ্যৎ = ধার্য

১২. তৃচ, তৃণ (তা) প্রত্যয় : শীলার্থে, সম্যক বা জীবিকা অর্থে ধাতুর পরে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + তৃচ = কর্তা

√মা + তৃচ = মাতা

√ভ্রাজ + তৃচ = ভাতা

√দা + তৃচ = দাতা

√বচ্ + তৃচ = বক্তা

১৩. অনীয়-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষৎ অর্থে ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর অনীয় প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

√শুচ + অনীয় = শোচনীয়

√বৃ + অনীয় = বরণীয়

√দুশ + অনীয় = দর্শনীয়

√গুপ্ + অনীয় = গোপনীয়

√স্মৃ + অনীয় = স্মরণীয়

১৪. বর-প্রত্যয় : ‘শীল’ অর্থে কর্তৃবাচ্যের ‘বর’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ভাস্ + বর = ভাস্বর

√ঈশ্ + বর = ঈশ্বর

√নশ্ + বর = নশ্বর

√স্থা + বর = স্থাবর

১৫. নিন (ইন) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদ গুলো বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

√দা + নিন = দায়ী

√মন্ত্র + নিন = মন্ত্রী

√বদ + নিন = বাদী

√ত্যাগ + নিন = ত্যাগী

√স্থা + নিন = স্থায়ী

√পা + নিন = পায়ী

১৬. শতৃ (অৎ) প্রত্যয় : বর্তমান কালের কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। বাংলা ভাষায় এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√জীব্ + শতৃ = জীবৎ

√অস্ + শতৃ = অসৎ

√জল + শতৃ + জলৎ

√জাগ্ + শতৃ = জাগ্রৎ

√মহ + শতৃ = মহৎ

√চল + শতৃ = চলৎ

■ সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রী + অ = প্রিয়

ভূ + অন = ভবন

গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

গম্+ তি = গতি

পাল্ + ণক = পালক

বৃৎ + শানচ = বর্তমান

দা + তৃচ = দাতা

যাচ্ + আই = যাচাই

জীব্ + অ = জীব

চর + অন = চরণ

জি + ইন = জয়ী

কৃষ + তি = কৃষ্টি

ধূ + ণক = ধারক

দীপ + শানচ = দীপ্যমান

শ্রু + তৃচ = শ্রতা

হিনস্ + আ = হিংসা

পিপাস + অ = পিপাসা

দ্রু + অন = দ্রবণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাগী

দৃশ + তি = দৃষ্টি

পঠ্ + ণক = পাঠক

চল + শানচ = চলমান

যুধ + তৃচ = যোদ্ধা

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

প্র-শনস্ + আ = প্রশংসা

চুম্ব্ + অন = চুম্বন

যুজ্ + ইন = যোজী

সৃজ + তি = সৃষ্টি

হণ + ণক = ঘাতক

শুভ + শানচ = শোভমান

নী + তৃচ = নেতা

প্রচ্ছ + ন = প্রশ্ন

ভিক্ষ + আ = ভিক্ষা

কৃষ + অন = কর্ষণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাজী

শক্ + তি = শক্তি

শাস + ণক = শাসক

গম + তব্য = গন্তব্য

পা + তৃচ = পিতা

কৃ + মন = কর্ম

কথ্ + আ = কথা

শী + অন = শয়ন

দুট্ + ই = দুটি

খ্যা + তি = খ্যাতি

লিখ্ + ণক = লেখক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

লিখ্ + ইত = লিখিত

দৃশ্ + মান = দৃশ্যমান

জন্ + অক = জনক

দা + অন = দান

কৃষ্ + ই = কৃষি

মন + তি = মতি

কৃষ্ + ণক = কৃষক

কৃ + তব্য = কর্তব্য

লভ্ + য = লভ্য

বস্ + ত্র = বস্ত্র

মুড়্ + অক = মোড়ক

জ্ঞা + অন = জ্ঞান

দূষ + ই = দোষী

কৃৎ + তি = কীর্তি

কৃ + ণক = কারক

দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

বচ্ + য = বাচ্য, বাক্য

বৃৎ + মান = বর্তমান

নি + অক = নায়ক

তপ্ + অন = তপন

দীপ + ত = দীপ্ত

গৈ + তি = গীতি

দৃশ + ণক = দর্শক

মন + তব্য = মন্তব্য

হন্ + য = হত্যা

হন + তৃ = হন্তা

নৃৎ + অক = নর্তক

বদ্ + অন = বদন

রমজ্ + ত = রক্ত

কৃ + তি = কৃতি

গৈ + ণক = গায়ক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

সহ্ + য = সহা

অস + শতৃ = অসৎ

গৈ + অক = গায়ক

দৃশ্ + অন = দর্শন

ধৃ + ত = ধৃত

বচ্ + তি = উক্তি

নশ + ণক = নাশক

কৃ + তৃচ্ = কর্তা

হস্ + য = হাস্য

মহ + শতৃ = মহৎ

কৃ + অক = কারক

নী + অন = নয়ন

হন্ + ত = হত

বুধ + তি = বুদ্ধি

মৃ + অনট্ = মরণ

বচ্ + তৃচ = বক্তা

কৃ + য = কার্য

গৈনী + অন = গান

শী + আন = শয়ন

নী + তি = নীতি

কৃ + ত = কৃত

দা + তৃচ = দাতা

স্মৃ + অনট্ = স্মরণ

দয় + আলু = দয়ালু

বাচ্ + মিন = বাগ্মী

বিদ্ + অন = বেদন

শ্রু + অন = শ্রবণ

পচ্ + ণক = পাচক

গম্ + ত = গত

নী + তৃচ = নেতা

গম্ + অনট্ = গমন

দৃশ + অনীয় = দর্শনীয়

চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

পত + অন = পতন

ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত

ক্লিশ্ + ত = ক্লিষ্ট

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

শ্রু + অনট্ = শ্রবণ

ফল্ + অন্ত = ফলন্ত

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

বংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় বহুবিধ। যেমন: অই, অক, অল, আই, আচ, আ, অন, আইত, আরি, আরী, আচি, আর, আরু, আলি, আল, ই, ঈ, ইয়া, (এ), কর, কার, ওয়া, উলি, উকি, গিরি, টিয়া, (ট), টা, জাত, পনা, না, তা, দার, ড়া, ময়, ভর, পানা ইত্যাদি। এগুলো বাংলা মূল শব্দের পরে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

১.অ-প্রত্যয় : অনুকার শব্দের শেষে বা নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা বস্তু বুঝাতে অ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

ঢল + অ = ঢল ˃ ঢলো

শিব + অ = শিব ˃ শিবো

মূল + অ = মূল ˃ মূলো

কাল + অ = কাল ˃ কালো

২. আ-প্রত্যয় : স্বার্থে, আছে অর্থে, জাত বা উৎপন্ন অর্থে, অবজ্ঞা প্রকাশার্থে, বৃহদার্থে ও বিশেষণে পরিণত করতে আ-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চাক + আ = চাকা

চাষ + আ = চাষা

ঘোড় + আ = ঘোড়া

জঙ্গ + আ = জঙ্গলা

জ্বল + আ = জ্বলা

শ্যাম + আ = শ্যামা

চাঁদ + আ = চাঁদা

ঠোঙ + আ = ঠোঙা

চীন + আ = চীনা

ফাঁক + আ = ফাঁকা

৩. অই-প্রত্যয় : পাঁচ থেকে আঠার পর্যন্ত তারিখ বুঝাতে অই-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পাঁচ + অই = পাঁচই

আঠার + অই = আঠারই

সাত + অই = সাতই

তের + অই = তেরই

৪. অট (ট), আটিয়া (টিয়া, টে) প্রত্যয় : সংশ্লিষ্ট বস্তু অর্থে বা সাদৃশ্য অর্থে বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মলা + অট = মলাট

রোগ + টে = রোগেটে

তুলা ˃ তুল + অট = তুলট

তামা + টিয়া = তামাটিয়া ˃ তামাটে

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ভরা + অট = ভরাট

লম্বা + টিয়া = লম্বাটিয়া ˃ লম্বাটে

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

৫. আ আনো-প্রত্যয় : আন আনো প্রত্যয়ান্ত শবদটি বিশেষণ হয়। যেমন:

হাত + আন = হাতান ˃ হাতানো

জুত + আন = জুতান ˃ জুতানো

বেত + আন = বেতান ˃ বেতানো

যোগ + আন = যোগান ˃ যোগানো

৬. আনি-প্রত্যয় : ভাবার্থে, কার্যার্থে, স্বার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষ্য হয়। যেমন:

বক বক + আনি = বকবকানি

তল + আনি = তলানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

কাতর + আনি = কাতরানি

হাঁপ + আনি = হাঁপানি

৭. আই-প্রত্যয় : আই-প্রত্যয় বিভিন্নঅর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ক. বিশেষ্য পদ গঠনে (আদরার্থে) :

নিম + আই = নিমাই

বল + আই = বলাই

কান + আই = কানাই

মধু + আই = মাধাই

খ. বিশেষ্য পদ গঠনে (ভাবার্থে) :

লম্ব + আই = লম্বাই

বড় + আই = বড়াই

চড়া + আই = চড়াই

খাড়া + আই = খাড়াই

গ. বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে (কর্ম অর্থে) :

বাঁধ + আই = বাঁধাই

কাম + আই = কামাই

সাফ + আই = সাফাই

চোর + আই = চোরাই

ঘ. বিশেষ্য পদ গঠনে (উৎপন্ন অর্থে)

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ধান + আই = ধানাই

মোগল + আই = মেগলাই

ঙ. বিশেষ্য পদ গঠনে (সম্বন্ধ অর্থে)

বোন + আই = বোনাই

মিঠা + আই = মিঠাই

ননদ + আই = ননদাই

জেঠা + আই = জেঠাই

৮. আমি (মি) প্রত্যয় : ভাব বা কাজ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

পাক্য + আমি = পাকামি

গোঁড়া + আমি = গোঁড়ামি

পাগল + আমি = পাগলামি

ফাজিল + আমি = ফাজলামি

৯. আলি, আলী-প্রত্যয় : সম্বন্ধ বা সাদৃশ্য অর্থে এবং ভাবার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

চতুর + আলী = চতুরালী

ঘটক + আলি = ঘটকালি

সোনা + আলি = সোনালি

ভাটি + আলি = ভাটিয়ালি

মেয়ে + আলী = মেয়েলী

রূপা + আলি = রূপালি

১০. আচ, আচি-প্রত্যয় : এ প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

বেঙ + অচি = বেঙাচি

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

ধুনা + আচি = ধুনাচি

কান + আচ = কানাচ

১১. আর, আরি, আরী-প্রত্যয় : ব্যবসা, পেশা বা বৃত্তি বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

সুত + আর = সুতার

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

কাট + আরি = কাটারি

ঝি + আরী = জিয়ারী

রকম + আরি = রকমারি

১২. ইয়া এ-প্রত্যয় : সংযোগ বা সম্বন্ধ বুঝাতে ইয়া এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

মোট + ইয়া = মুটিয়া ˃ মুটে

জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

বালি + ইয়া = বালিয়া ˃ বেলে

পাহাড় + ইয়া = পাহাড়িয়া ˃ পাহারে

আষাঢ় + ইয়া = আষাঢ়িয়া ˃ আষাঢ়ে

১৩. ই, ঈ-প্রত্যয় : ভিন্নার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন-

ক. ভাব অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে ঃ

সওদাগর + ই = সওদাগরি

বাহাদুর + ই = বাহাদুরি

উমেদার + ই = উমেদারি

খ. পেশা বা বৃত্তি অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষণ হয়ঃ

চাষ + ঈ = চাষী

ব্যাপর + ঈ = ব্যাপারী

রাখাল + ঈ = রাখালী

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পোদ্ধার + ঈ = পোদ্ধারী

ডাক্তার + ঈ = ডাক্তারী

গ. জাত, আগত, বা সম্বন্ধ অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে

গুজরাট + ঈ = গুজরাটী

বিলাত = ঈ = বিরাতী

পসার + ঈ = পসারী

পাঞ্জাব + ঈ = পাঞ্জাবী

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রেমম + ঈ = রেশমী

ঘ. মালিক অর্থে

দোকান + ঈ = দোকানী

জমিদার + ঈ = জমিদারী

১৪. উয়া ও-প্রত্যয় : বিশেষণার্থে, সম্বন্ধ বা সংযোগ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষন হয়। যেমন:

পট + উয়া = পটুয়া ˃ পটো

মাছ + উযা = মাছুয়া ˃ মেছো

জড় + উয়া = ঝড়-য়া ˃ ঝড়ো

মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

১৫. উ, উক-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

হিংসা + উক = হিংসুক

সাঁতার + উ = সাঁতারু

ভাব + উক = ভাববুক

নীচু + উ = নীচু

মিশ + উক = মিমুক

১৬. উড়িয়া উড়ে প্রত্যয় : প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

খেলা + উড়িয়া = খেলুড়িয়া ˃ খেলুড়ে

হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

চাষা + উড়িয়া = চাষাড়িয়া ˃ চাষাড়ে

১৭. বন্ত, মন্ত-প্রত্যয় : আছে অর্থে ও যুক্ত অর্থে বন্ত, মন্ত প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

শ্রী + মন্ত = শ্রীমন্ত

ভাগ্য + বন্ত = ভাগ্যবন্ত

বুদ্ধি = মন্ত = বুদ্ধিমন্ত

গুণ + বন্ত = গুণবন্ত

পয় + মন্ত = পয়মন্ত

১৮. ভর, ভরা-প্রত্যয় : পূর্ণতা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

দিন + বর = দিনভর

গাল + ভরা = গালভরা

রাত + ভর = রাতভর

১৯. ত, তা, তি- প্রত্যয় : আত্মীয় ও ভাবার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খালা + ত = খালাত

সম + তা = সমতা

মামা + ত = মামাত

চাক + তি = চাকতি

ধর + তা = ধরতা

জাল + তি = জালতি

২০. কা-প্রত্যয় : সাদৃশ্য বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ঘাল + কা = হালকা

দম + কা = দমকা

২১. কার-প্রত্যয় : স্বরবর্ণের চিহ্ন বুঝাতে এবং সম্পর্কিত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

আ + কার = আকার

উপর + কার = উপরকার

উ + কার = উকার

ভিতর + কার = ভিতরকার

২২. পানা, পারা-প্রত্যয় : সাদৃশ হতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

লম্বা + পানা = লম্বাপানা

চাঁদ + পারা = চাঁদপারা

চাঁদ + পানা = চাঁদপানা

পাগল + পারা = পাঘলপারা

কুলো + পনা = কুলোপানা

২৩. পনা-প্রত্যয় : ভাব বা আচরণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সতী + পনা = সতীপনা

দুরন্ত + পনা = দুরন্তপনা

গুন + পনা = গুণপনা

বীর + পনা = বীরপনা

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

গৃহিণী + পনা = গৃহিণীপনা

২৪. টা, টি-প্রত্যয় : নির্দিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

নেং + টা = নেংটা

কলম + টি = কলমটি

ডাল + টা = ডালটা

ছিপ্ + টি = ছিপটি

২৫. ন, না-প্রত্যয় : সম্পর্কীয় এবং বিশিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মিতা + ন = মিতান

ফাৎ + না = ফাৎনা

বেহাই + ন = বেহাইন

দাল + না = দালনা

২৬. উ, উলী-প্রত্যয় : আদর প্রকাশ করতে ও ক্ষুদ্রতা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খোকা + উ = খুকু

আধ + উলী = আধুলী

দুষ্ট + উ = দুষ্টু

হাঁস + উলী = হাঁসুলী

২৭. স, সী-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও সৌন্দর্য অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ফান + স = ফানুস

রূপ + সী = রূপসী

খোল + স = খোলস

২৮. অল-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও স্বার্থে ‘অল’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

হাত + অল = হাতল

বাদ + অল = বাদল

মাথা + অল = মাথাল

তাত + অল = তাতল

২৯. আইত-প্রত্যয় : আছে অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পোয়া + আইত = পোয়াইত

সেবা + আইত = সেবাইত

৩০. ময়-প্রতয় :

ঘর + ময় = ঘরময়

গ্রাম + ময় = গ্রামময়

বাড়ি + ময় = বাড়িময়

শহর + ময় = শহরময়

কাদা + ময় = কাদাময়

জল + ময় = জলময়

৩১. ড়, ড়া, ড়ী-প্রত্যয় :

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

খাগ + ড়া = খাগড়া

আছ + ড় = আছড়

চাম + ড়া = চামড়া

পাগ + ড়ী = পাগড়ী

৩২. ওয়া-প্রত্যয় :

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

পর + ওয়া = পরোয়া

চাঁদ + ওয়া = চাঁদোয়া

■ বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

হাত + আ = হাতা

ধ্রুপদ + ঈ = ধ্রুপদী

ভাটি + আল = ভাটিয়াল

ভিখ + আরী = ভিখারী

পো + লা = পোলা

রাজ + ড়া = রাজড়া

পাত = আ = পাতা

চাষ + ঈ = চাষী

বঙ্গ + আল = বাঙ্গাল

ঝি + আরী = ঝিয়ারী

মঘ + লা = মেঘলা

ফর + সা = ফরসা

পাগল + আ = পাগলা

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রস + আল = রসাল

মাঝ + আরি = মাঝারি

কাম + লা = কামলা

গাছ + ড়া = গাছড়া

চাঁদ + আ = চাঁদা

চালাক + ঈ = চালাকী

ধার + আল = ধারাল

দাপ + অট = দাপট

মি + আলী = মিতালী

লাল + চে = লালচে

এক + আ = একা

মরমা + ঈ = মরমী

নাক + আনি = নাকানি

মলা + অট = মলাট

ঘটক + আলি = ঘটকালী

ঘাম + চি = ঘামাচি

রঙ + আ = রাঙা

শিকার + ঈ = শিকারী

আম + আনি = আমানি

শুখা + টি = শুখটি ˃ শুটকি

জল + ওয়া = জলো

বেঙ + চি = বেঙাচি

চাকর + ই = চাকরি

খোকা + উ = খুকু

বড় + আই = বড়াই

নেহ + টা = নেহটা

গাঁ + ওয়া = গাঁওয়া ˃ গেঁয়ো

জন + পিছু = জনপিছু

গোল + ই = গুলি

চাল + উ = চালু

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ঘোলা + টে = ঘোলাটে

টাক + ওয়া = টেকো

গো + রু = গোরু

ছোরা + ই = ছুরি

সাঁতার + উ = সাঁতারু

মিঠা + আই = মিঠাই

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

বোম + আরু = বোমারু

কাঠ + ই = কাঠি

হাত + অল = হাতল

চোর + আই = চোরাই

খে + টা = খেমটা

বন + উয়া = বুনো

ছাত + আ = ছাতা

চালাক + ই = চালাকি

লাঠি + আল = লাঠিয়াল

আঠার + অই = আঠারই

হিম + এল = হিমেল

লাজ + উক = লাজুক

পিছ + অন = পিছন

বাঙ্গল + ই = বাঙ্গালি

দুধ + আল = দুধাল

পেট + উক = পেটুক

সুর + এলা = সুরেলা

দিন + ভর = দিনভর

এক + হারা = একহারা

পশম + ই = পশমী

আড় + আল = আড়াল

ছেলে + আমি = ছেলেমি

ঝাম + এলা = ঝামেলা

রাত + বর = রাতভর

মানান + সই = মানানসই

পোঁথা + ই = পুঁথি

দাঁত + আল = দাঁতাল

বোকা + আমি = বোকামি

আগ + ল = আগল

পান + ওয়ালা = পানওয়ালা

পাত + লা = পাতলা

দালাল + ই = দালালি

ধার + অল = ধারাল

ঘর + আমি + ঘরামি

হাট + উড়িয়া = হাটুড়িয়া

বাড়ি + ওয়ালা = বাড়িওয়ালা

কোঠ + রী = কোঠরী

জমিদার + ই = জমিদারি

গাজ + অর = গাজর

পাগল + আমি = পাগলামি

সাব + আড় = সাবাড়

শহর + ইয়া বা এ = শহুরে

মাসী + তুত = মাসতুত

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পেচা + আন = পেচান

আমোদ + এ = আমুদে

ভাগ + আড় = ভাগাড়

দরদ + ঈ = দরদী

সতী + ন = সতীন

দুষ্ট + আমি = দুষ্টামি

জুতা + আনো = জুতানো

জেঠা + ত = জেঠাত

কাঠ + আমো = কাঠামো

রাখাল + ঈ = রাখালী

মাতা + পিছু = মাথাপিছু

চাম + আর = চামার

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

মামা + ত = মামাত

বোমা + আরু = বোমারু

দেশ + ঈ = দেশী

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

সোনা + আর = সোনার

সেবা + ইত = সেবাইত

বীর + পনা = বীরপনা

চমক + ইত = মেকিত

করাত + ঈ = করাতী

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

ভাঁড় + আর = ভাড়ার

হাত + ইয়ার = হাতিয়ার

ঢোল + ক = ঢোলক

কালা + গোছের = কালাগোছের

দর্শন + ঈ = দর্শনী

দেশ + ময় = দেশময়

সুতা + আর = সুতার

কুঠি + ইয়াল = কুঠিয়াল

দম + কা = দমকা

গুদাম + জাত = গুদামজাত

হিসাব + ঈ = হিসাবী

পেট + রা = পেটরা

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

লাঠি + ইয়াল = লাঠিয়াল

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া

দোকান + ঈ = দোকানী

তবলা + চী = তবলচী

পূজা + আরী = পূজারী

কুঁচ + কে = কুঁচকে

জুয়া + ড়ি = জুয়াড়ি

বই + ঠা = বইঠা

শান্তিপুর + ঈ = শান্তিপুরী

নেশা + খোর = নেশাখোর

মশা + আরি = মশারী

শত + কিয়া = শতকিয়া

মুখ + স = মুখশ ˃ মুখোশ

চাচা + ত = চাচাত

চাল + তি = চলতি

সওদা + গর = সওদাগর

হুকুম + নামা = হুকুমনামা

বিতর + কার = ভিতরকার

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

ষ, ষিক, ইমন, ইলচ, ইন, ষ্ণীয়, তা, ত্ব, তর, তম, ঈয়স, ইষ্ট, বতুপ, মতুপ, বিন, ও, ষ্ণ্য, লচ, আলু ইত্যাদি প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। এ প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত মূল শব্দে পরে বসে। যেমন:

১. ষ (অ) প্রত্যয় : ষ-প্রত্যয় যে শব্দের সাথে যুক্ত হয়, তার মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়:

ক. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘অ’ স্থানে ‘আ’ হয়। যেমন:

বস্তু + ষ্ণ = বাস্তব

মনু + ষ্ণ = মানব

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

যদু + ষ্ণ = যাদব

ভরত + ষ্ণ = ভারত

শরৎ + ষ্ণ = শারদ

খ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ই, ঈ এ স্থানে ঐ হয়। যেমন:

হেম + ষ্ণ = হৈম

স্ত্রী + ষ্ণ = স্ত্রৈণ

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

গ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘ঋ’ স্থানে ‘আর’ হয়। যেমন:

ঋষি + ষ্ণ = আর্য

ঘ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে উ, ঊ , ও স্থানে ঔ হয়। যেমন:

চোর + ষ্ণ = চৌর

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

বুদ্ধ + ষ্ণ = বৌদ্ধ

গরু + ষ্ণ = গৌরব

২. ষ্ণি (ই) প্রত্যয় : ‘ই’ যোগ হয় এবং মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যেমন:

দশরথ + ষ্ণি = দাশরথি (অ-স্থলে আ)

সুমিত্রা + ষ্ণি = সৌমিত্রি (উ-স্থলে ঔ)

৩. ষ্ণিক (ইক) প্রত্যয় : দক্ষ বা সম্বন্ধীয় অর্থে বিশেষ্যের উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ পদ গঠিত হয় এবং মূল স্বর বৃদ্ধি পায়। যেমন:

বেদ + ষ্ণিক = বৈদিক (এ স্থলে ঐ)

বচন + ষ্ণিক = বাচনিক (অ স্থলে আ)

বিমান + ষ্ণিক = বৈমানিক (ই স্থলে ঐ)

বেতন + ষ্ণিক = বৈতনিক (এ স্থলে ঐ)

৪. ইমন (ইমা) প্রত্যয় : ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নীল + ইমন = নীলিমা

কাল + ইমন = কালিমা

চন্দ্র + ইমন = চন্দ্রিমা

রক্ত + ইমন = রক্তিমা

৫. ইন্ (ঈ) প্রত্যয় : সাধারণত বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমণ:

জ্ঞান + ইন্ = জ্ঞানী

গুণ + ইন = গুণী

মান + ইন = মানী

প্রাণ + ইন = প্রণী

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কর্তৃকারকের এক বচনে ইন্-প্রত্যয় ‘ঈ’ রূপ গ্রহণ করে।

৬. ষ্ণেয় (এয়) প্রত্যয় : অপত্য ও ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অগ্নি + ষ্ণেয় = আগ্নেয়

ভাগনী + ষ্ণেয় = ভাগ্নেয়

পথ + ষ্ণেয় = পাথেয়

গঙ্গা + ষ্ণেয় = গাঙ্গেয়

৭. ষ্ণীয় (ঈয়) প্রত্যয় : সম্বন্ধ অর্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

স্বর্গ + ষ্ণীয় = স্বর্গীয়

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

দল + ষ্ণীয় = দলীয়

৮. ইতচ (ইত) প্রত্যয় : ‘আছে’ ও ‘জাত’ অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

মূর্ছা + ইতচ্ = মূর্ছিত

নিদ্রা + ইতচ্ = নিদ্রিত

লজ্জা + ইতচ্ = লজ্জিত

কুসুম + ইতচ্ = কুসুমিত

৯. ইলচ (ইল) প্রত্যয় : উপকরণ জাত অর্থে ইলচ (ইল) প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

সর্প + ইলচ = সর্পিল

উর্মি + ইলচ = উর্মিল

কুট + ইলচ = কুটিল

পঙ্ক + ইলচ = পঙ্কিল

১০. ষ্ণ্য (য) প্রত্যয় : ‘য’ যোগ হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

কুমার + ষ্ণ্য = কৌমার্য (উ স্থলে ঔ)

ধীর + ষ্ণ্য = ধৈর্য (ঈ স্থলে ঐ)

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য (ই স্থলে ঔ)

স্থির + ষ্ণ্য = স্থৈর্য ( ই স্থলে ঐ)

১১.আলু-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে বিশেষ্যের সঙ্গে আলু প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ গঠিত হয়। যেমন:

দয়া + আলু = দয়ালু

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

ভাব + আলু = ভাবালু

স্বপ্ন + আলু = স্বপ্নালু

১২. ঈন-প্রত্যয় : ভাব অর্থে ‘ঈন’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অভ্যন্তর + ঈন = অভ্যন্তরীণ

তৎকাল + ঈন = তৎকালীন

সম্মুখ + ঈন = সম্মুখীন

নব = ঈন = নবীন

১৩. লচ (ল) প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং ‘লচ’ প্রত্যয়ের ‘ল’ যোগ হয়। যেমন:

পিঙ্গ + লচ = পিঙ্গল

শ্যাম + লচ = শ্যামল

কুশ + লচ = কুশল

মাংস + লচ = মাংসল

শীত + লচ = শীতল

বৎস + লচ = বৎসল

১৪. বতুপ, মাতুপ-প্রত্যয় : বতুপ (বৎ) এবং মাতুপ (মৎ) প্রত্যয় প্রথমার একবচনে যথাক্রমে ‘বা’ ও ‘মান’ হয়। বিশেষণ গঠনে বতুপ ও মাতুপ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ভাগ্য + বতুপ = ভাগ্যবান

বুদ্ধি + বতুপ = বুদ্ধিমান

ধন + বতুপ = ধনবান

শ্রী + মতুপ = শ্রীমান

পুণ্য + বতুপ = পুণ্যবান

শক্তি + মতুপ = শক্তিমান

১৫. তর, তম-প্রত্যয়ঃ অতিশায়নে ‘তর’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমনÑ

প্রিয় + তর = প্রিয়তর

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

অধিক + তম = অধিকতম

১৬. বিন (বী) প্রত্যয়ঃ এ প্রত্যয় বিশেষণ গঠনে যুক্ত হয়। যেমনÑ

মায়া + বিন = মায়াবী

যশস্ + বিন = যশস্বী

তপস্ + বিন = তপস্বী

মেধা + বিন = মেধাবী

তেজস্ + বিন = তেজস্বী

মনস + বিন = মনস্বী

১৭. ঈয়স, ইষ্ঠ-প্রত্যয়ঃ দুয়ের মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ঈয়স’ এবং বহুর মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ইষ্ঠ’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

লঘু + ঈয়স = লঘীমান

বল + ইষ্ঠ = বলিষ্ঠ

গুরু + ঈয়স = গরীয়ান

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ট

১৮. র-প্রত্যয়ঃ আছে অর্থে ‘র’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রথ্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন

নখ + র = নখর

মুখ + র = মুখর

শিখ + র = শিখর

কুঞ্জ + র = কুঞ্জর

উষ + র = উষরমধু + র = মধুর

১৯. ত্ব-প্রত্যয়ঃ ভাব বা গুণ বুঝাতে বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমনÑ

সতী + ত্ব = সতীত্ব

স্বল্প + ত্ব = স্বল্পত্ব

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

মহৎ + ত্ব = মহত্ত্ব

পশু + ত্ব = পশুত্ব

দাস + ত্ব = দাসত্ব

২০. তা-প্রত্যয়: ভাব, গুণ, বৃত্তি অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

জন + তা = জনতা

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সাধু + তা = সাধুতা

অলস + তা = অলসতা

সচল = তা = সচলতা

সৎ + তা = সততা

চঞ্চল + তা = চঞ্চলতা

প্রাচীন + তা = প্রাচীনতা

জটিল + তা = জটিলতা

■ সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়ের উদাহরণ

প্রকৃতি ও প্রত্যয় = শব্দ

মানব + ষ্ণ = মানব

সময় + ষ্ণিক = সাময়িক

পল্লব + ইত = পল্লবিত

দুগিত্ব + ষ্ণ = দৌহিত্র

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

ফেন + ইল = ফেনিল

বস্ত + ষ্ণ = বাস্তব

মানস + ষ্ণিক = মানসিক

পঙ্ক + ইল = পঙ্কিল

নিশা + ষ্ণ = নৈশ

ধর্ম + ষ্ণিক = ধার্মিক

অদঃ + তন = অধস্তন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

সময় + ষ্ণক = সাময়িক

ঊর্ধ্ব + তণ = ঊর্ধ্বতন

অলস + ষ্ণ = আলসা

লোক + ষ্ণিক = লৌকিক

পুরা + তন = পুরাতন

বন + ষ্ণ = বন্যা

নীতি + ষ্ণিক = নৈতিক

প্রাক + তন = প্রাক্তন

পুত্র + ষ্ণ = পৌত্র

মানব + ষ্ণিক = মাববিক

বিজ্ঞান + ইক = বৈজ্ঞানিক

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

সাধু + তা = সাধুতা

প্রাচ + যক = প্রাচ্য

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সেনা + য = সৈন্য

গম্ভীর + ষ্ণ = গাম্ভীর্য

মম + তা = মমতা

তালু + যক = তালব্য

সখা + ষ্ণ = সখ্য

অলস + তা = অলসতা

জল + ময় = জলময়

ছাত্র + ষ্ণ = ছাত্র

দৃঢ় + তা = দৃঢ়তা

বাক + ময় = বাক্সময়

মুনি + ষ্ণ = মৌন

বক্তৃ + তা = বক্তৃতা

লৌহ + ময় = লৌহময়

দনু + ষ্ণ = দানব

লঘু + তা = লঘুতা

মৃদ + ময় = মৃন্ময়

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য

ভদ্র + তা = ভদ্রতা

চিৎ + ময় = চিন্ময়

গ্রাম + ষ্ণ = গ্রাম্য

নীচ + তা = নীচতা

গুণ + ময়ট্ = গুণময়

মধুর + ষ্ণ = মাধুর্য

এক + তা = একতা

তদ্ + ময় = তন্ময়

তিল + ষ্ণ = তৈল

কবি + তা = কবিতা

পথ + এয় = পাথের

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

স্বাধীন + তা = স্বাধীনতা

গুরু + ইমন = গরীমা

পৃথিবী + ষ্ণ = পার্থিব

নেতৃ + ত্ব = নেতৃত্ব

লঘু + ইমন = লঘিমা

কিশোর + ষ্ণ = কৈশোর

স্ব + ত্ব = স্বত্ব

নীল + ইমন = নীলিমা

বার্ধক + ষ্ণ = বার্ধক্য

মম + ত্ব = মমত্ব

জ্ঞান + বতুপ = জ্ঞানবান

সভা + ষ্ণ = সভ্য

কৃতি + ত্ব = কৃতিত্ব

বুদ্ধি + মতুপ = বুদ্ধিমান

ভাস্কর + ষ্ণ = ভাস্কর্য

বীর + ত্ব = বীরত্ব

গুণ + বতুপ = গুণবান

দশরথ + ষ্ণ = দাশরথি

এক + ত্ব = একত্ব

শীত + ল = শীতল

লঘু + ষ্ণ = লাঘব

ব্যাক্তি + ত্ব = ব্যক্তিত্ব

নব + ঈন = নবীন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

বিমাতা + ষ্ণেয় = বৈমাত্রেয়

সুজন + ষ্ণ = সৌজন্য

বন্ধু + ত্ব = বন্ধুত্ব

স্ব + ঈয় = স্বীয়

মনু + ষ্ণ = মনুষ্য

বৃহৎ + তর = বৃহত্তর

মধু + র = মধুর

প্রমাণ + ষ্ণ = প্রামাণ্য

লঘু + তর = লঘুতর

আদি + যক = আদ্য

রাবণ + ষ্ণ = রাবণি

উচ্চ + তর = উচ্চতর

আত্ম + বৎ = আত্মবৎ

চক্ষু + ষ্ণ = চাক্ষুস

অন্য + তম = অন্যতম

ক্ষুধা + ইত = ক্ষুধিত

স্থির + ষ্ণ = স্থৈর্য

দ্রুত + তম = দ্রুততম

শ্রেয়স + ইষ্ঠ = শ্রেষ্ঠ

ধীর + ষ্ণ = ধৈর্য

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

রোম + শ = রোমশ

সেনা + ষ্ণ = সৈন্য

গ্রাম + ইন = গ্রামীণ

মেধা + বিন = মেধাবী

নগর + ষ্ণিক = নাগরিক

কিম + চিত = কিঞ্চিত

দেহ + ষ্ণীয় = দৈহিক

রোগ + ইন = রোগী

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

বর্ষ + ষ্ণীয় = বার্ষিক

পক্ষ + ইন = পক্ষী

গুণ + ইন = গুণী

দেহ + ষ্ণীয় = দৈনিক

কুল + ঈন = পাখি

লজ্জা + ইন = লজ্জিত

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

জটা + ইল = জটিল

মাংসা + ল = মাংসল

লোক + ষ্ণীয় = লৌকিক

রোগ + ইন = রোগী

বল + বাল = বলবান

দীর্ঘ + তম = দীর্ঘতম

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ঠ

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

বৃহৎ + তম = বৃহত্তম

মুখ + র = মুখর

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

সর্ব + দা = সর্বদা

মধু + র = মধুর

শ্যাম + ল = শ্যামল

দয়া + আলু = দয়ালু

পিতৃ + বৎ = পিতৃব্য

বাঙ্গাল + ই = বাঙ্গালি

রোম + শ = রোমশ

মধ্য + ম = মধ্যম

মনস + ঈষা = মনীষা

কর্ক + শ = কর্কশ

এক + দা = একদা

লঘু + ইষ্ঠ = লঘিষ্ঠ

লোক + শ = লোমশ

আদি + ম = আদিম

বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়

বিদেশী প্রত্যয় বলতে বিশেষত ফারসি ভাষা থেকে আগত প্রত্যয়গুলোকেই বুঝায়। আনা, ওয়ালা, নবীশ, সই, দান (দানী),খানা, আনি, ওয়ান, গিরি, বন্দী, নামা, বাজ, প্রত্যয়সমূহই বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়। নিচে বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ দেওয়া হল ঃ

১. আনা -প্রত্যয়ঃ ভাব বা সম্পর্কীয় মুদ্রা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

গরিব + আনা = গরিবানা

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

মুন্সি + আনা = মুন্সিয়ানা

মালিক + আনা = মালিকানা

নজর + আনা = নজরানা

মোহর + আনা = মোহরানা

২. আনি-প্রত্যয়ঃ ভাব ও কার্য বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কাতর + আনি = কাতরানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

তল + আনি = তলানি

৩. ওয়ান-প্রত্যয়ঃ কার্য বা পেশা বুঝাতে ‘ওয়ান’ প্রত্যয় ব্যহৃত হয়। যেমন:

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

(দ্বার) দার + ওয়ান = দারোয়ান

কোচ + ওয়ান = কোচোয়ান

পাল + ওয়ান = পালোয়ান

৪. ওয়ালা-প্রত্যয়ঃ মালিকানা অর্থে এ প্রত্যয়ের ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চুড়ি + ওয়ালা = চুড়িুয়ালা

দুধ + ওয়ালা = দুধওয়ালা

ফেরি + ওয়ালা = ফেরিওয়ালা

গাড়ি + ওয়ালা = গাড়িওয়ালা

৫. খানা-প্রত্যয়ঃ স্থান বা দোকান বোঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চিড়িয়া + খানা = চিড়িয়াখানা

কয়েদ + খানা = কয়েদখানা

বৈঠক + খানা = বৈঠকখানা

কসাই + খানা = কসাইখানা

ছাপা + খান = ছাপাখানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

৬. গর-প্রত্যয়ঃ নির্মাণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সওদা + গর = সওদাগর

বাজি + গর = বাজিগর

কারি + গর = কারিগর

৭. গিরি-প্রত্যয়ঃ ভাব বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

গোয়েন্দা + গিরি = গোয়েন্দাগিরি

বাবু + গিরি = বাবুগিরি

মুটে + গিরি = মুটেগিরি

৮. খোর-প্রত্যয়ঃ নিন্দিত দ্রব্য সেবনকারী বা গ্রহণকারী অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নেশা + খোর = নেশাখোর

চশম + খোর = চশমখোর

হারাম + খোর = হারামখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

৯. বাজ, বাজি-প্রত্যয়ঃ অভ্যস্থ বা নিন্দিত কার্য অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

ধোঁকা + বাজ = ধোঁকাবাজ

গলা + বাজ = গলাবাজ

গল্প + বাজ = গল্পবাজ

আপ্পা + বাজি = ধাপ্পাবাজি

নকল + বাজ = নকলবাজ

গুন্ডা + বাজি = গুন্ডাবাজি

১০. নার, নারি-প্রত্যয়ঃ মালিকানা, ব্যবসায় বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা কখনও কখনও বিশেষণও হয়। যেমন:

চৌকি + দার = চৌকিদার

দোকান + দারি = দোকানদারি

চটক + দার = চটকদার

জমি + দারি = জমিদারি

পেশা + দার = পেশাদার

তালুক + দারি = তালুকদারি

১১. চা-প্রত্যয়ঃ ক্ষুদ্র অর্থে ‘চা’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চাম + চা = চামচা

বাগ + চা = বাগচা

নলি + চা = নলিচা

গালি + চা = গালিচা

১২. চি-প্রত্যয়ঃ আধার অর্থে ‘চি’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

মশাল + চি = মশালচি

ধুনা + চি = ধুনাচি

ধুপ + চি = ধুপচি

কলম + চি = কলমচি

১৩. সই-প্রত্যয়ঃ যোগ্য, উপযুক্ত, প্রমাণ ও পরিমাণ অর্থে ‘সই’-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চলন + সই = চলনসই

মানান + সই = মানানসই

টেক + সই = টেকসই

মাপ + সই = মাপসই

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘টিপসই’ ও ‘নামসই’ শব্দ দুটির ‘সই’ শব্দটি প্রত্যয় নয়। কারণ এটি সহি (স্বাক্ষর) শব্দ থেকে উৎপন্ন ‘সই’ হয়।

১৪. দান, দানি-প্রত্যয়: আধার অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

ফুল + দানি = ফুলদানি

বাতি + দান = বাতিদান

ছাই + দান = ছাইদান

আতর + দান = আতরদান

পিক + দান = পিকদান

কলম + দান = কলমদান

১৫. বন্দ, বন্দী-প্রত্যয়ঃ বন্ধ বা গৃহীত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কোমর + বন্দ = কোমরবন্দ

জবান + বন্দী = জবানবন্দী

নজর + বন্দ = নজরবন্দ

বাক্স + বন্দী = বাক্সবন্দী

১৬. নবীশ-প্রত্যয়ঃ অভিজ্ঞ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

হিসাব + নবীশ = হিসাবনবীশ

পত্র + নবীশ = পত্রনবীশ

শিক্ষা + নবীশ = শিক্ষানবীশ

নকল + নবীশ = নকলনবীশ

১৭. নামা-প্রত্যয়ঃ দলিল অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ওকালত + নামা = ওকালতনামা

ওসিয়ত + নামা = ওসিয়তনামা

■ বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

আতর + দান = আতরদান

পাওনা + দার = পাওনাদার

নজর + আনা = নজরানা

গোসল + খানা = গোসলখানা

খবর + দার = খবরদার

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

জেল + খানা = জেলখানা

অংশী + দার = অংশীদার

বিবি + আনা = বিবিয়ানা

ছাপা + খানা = ছাপাখানা

ঠিকা + দার = ঠিকাদার

মোহর + আনা = মোহরানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

মজা + দার = মজাদার

বাতি + দান = বাতিদান

পিল + খানা = পিলখানা

সমঝ + দার = সমঝদার

দপ্তর + খানা = দপ্তরখানা

ডেপুটি + গিরি = ডেপুটিগিরি

চৌকি + দার = চৌকিদার

মুদি + খানা = মুদিখানা

বাজি + গর = বাজিগর ˃ বাজিকর

জমি + দার = জমিদার

পান + দানি = পানদানি

গুরু + গিরি = গুরুগিরি

সুদ + খোর = সুদখোর

বাতি + দান = বাতিদান

কারি + গর = কারিগর

ঘুষ + খোর = ঘুষখোর

পা + দানি = পাদানি

দোকান + দারি = দোকানদারি

মদ + খোর = মদখোর

ফুল + দানি = ফুলদানি

নেতা + গিরি = নেতাগিরি

চশম + খোর = চশমখোর

ছাই + দানি = ছাইদানি

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

তামাক + খোর = তামাকখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

মামলা + বাজ = মামলাবাজ

কেমন + তর = কেমনতর

জুত + সই = জুতসই

উকিল + নবিশ = উকিলনবিশ

বহু + তর = বহুতর

পছন্দ + সই = পছন্দসই

শিক্ষা + নবিশ = শিক্ষানবিশ

চিলম + চি = চিলমচি

প্রমাণ + সই = প্রমাণসই

জমা + নবিশ = জমানবিশ

বাগ + চা = বাগচা ˃ বাগিচা

মানান + সই = মানানসই

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

চাম্ + চা = চামচা

দশা+ সই = দশাসই

মজুদ + দার = মজুতদার

মশাল + চি = মশালচি

ধোঁকা + বাজি = ধোঁকাবাজ

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

নজর + বন্দী = নজনবন্দী

ফাঁকি + বাজ = ফাঁকিবাজ

দখল + নামা= দখলনামা

গৃহ + বন্দী = গৃহবন্দী

চাল + বাজ = চালবাজ

দ্বার + আনা = দারোয়ান

কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়

প্রদত্ত শব্দ প্রকৃতি + প্রত্যয়

প্রত্যয়ের নাম

অংশীদার = অংশী + দার

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

অতিথি = অত + ইথিন্

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অন্তিম = অন্ত + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অভাব = অ + ভূ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অচেনা = অ + চিন + আ

কৃৎ প্রত্যয়

অধ্যয়ন = অধি + ই + অন

কৃৎ প্রত্যয়

অনুজ = অনু + জন্ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অগ্রিম = অগ্র + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অজানা = অ + জান্ + আ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অর্ঘ = অর্ঘ + ষ্ণ্য

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আদুরে = আদর + ইয়া = আদরিয়া ˃ আদুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

আর্থিক = অর্থ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

আড়তদার = আড়ত + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

আঠাল = আঠা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

আধুলি = আধ্ + উলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

আগ্নেয় = অগ্নি + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

আকস্মিক = অকস্মাৎ + ষ্ণিক

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আভিজাত্য = অভিজাত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ই, ঈ

ইতরামি = ইতর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ইচ্ছুক = ইচ্ছা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঈশ্বর = ঈশ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

উপ্ত = বপ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উঠতি = উঠ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উক্ত = বচ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উক্তি = বচ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উড়ন্ত = উড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

উজান = উজ্ + আন

কৃৎ প্রত্যয়

এ, ঐ, ও

এঁটেল = আঠা + ল = আঠাল ˃ এঁটেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

একলা = এক + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐতিহাসিক = ইতিহাস + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐহিক = ইহ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐন্দ্রজালিক = ইন্দ্রজাল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওকালতি = ওকালত + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওড়না = ওড় + না

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঁদুনে = কাঁদ + উনে

তদ্ধিত প্রত্যয়

করমদানি = কলম + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কর্তব্য = কৃ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

কর্তা = কৃ + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

করণীয় = কৃ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

কমতি = কম + তি

কৃৎ প্রত্যয়

করা = কর + আ

কৃৎ প্রত্যয়

কৌশল = কুশল + অ (অণ্)

তদ্ধিত প্রত্যয়

কৌশিক = কুশিক + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ক্রেতা = ক্রী + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁদন = কাঁদ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁন্না = কাঁদ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

কারক = কৃ + অক (নক)

কৃৎ প্রত্যয়

কৃপণ = কৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কৃষক = কৃষ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁসারি = কাঁসা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাব্য = কবি + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

কারিগর = কারি + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরিয়া = কাঠ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরে = কাঠ + উড়িয়া = কাঠুরিয়া ˃ কাঠুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুলীন = কুল + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

কেজো = কাজ + উয়া = কাজুয়া ˃ কেজো

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুঠিয়াল = কুঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

খ্যাতি = খ্যা + তি

কৃৎ প্রত্যয়

খেকো = খা + উকা = খাউকা ˃ খেকো

কৃৎ প্রত্যয়

খোদাই = খোদ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

খাইয়ে = খা + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

খাওয়া = খা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

খেলোয়ার = খেল্ + ওয়াড়

কৃৎ প্রত্যয়

খেলনা = খেল্ + অনা

কৃৎ প্রত্যয়

খেচর = খে + চর

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

গত = গম + ত

কৃৎ প্রত্যয়

গামন = গম্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

গন্তব্য = গম + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

গায়ক = গৈ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

গরিমা = গুরু + ইমন্

তদ্ধিত প্রত্যয়

গারবিনী = গরব্ + ইনী

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাড়োয়ান = গাড়ি + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

গম্য = গম্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

গালিচা = গালা + ইচা

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাইয়ে = গাহ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

গেঁয়ো = গাঁ + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেছো = গাছ + উয়া = গাছুয়া ˃ গেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেলামি = গোলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাছটি = গাছ + টি

তদ্ধিত প্রত্যয়

গণন = গণ + না

কৃৎ প্রত্যয়

গোলাপী = গোলাপ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গোয়াল = গোয়াল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রাম্য = গ্রাম + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রামীণ = গ্রাম + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

গৃহস্থলি = গৃহস্থ + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরামি = ঘর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরোয়া = ঘর + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘাটতি = ঘাট্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাতক = হন্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাপলা = ঘাপ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘুমন্ত = ঘুম + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ঘুষখোর = ঘুষ + খোর

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘেরাও = ঘির + আও

কৃৎ প্রত্যয়

ঘোলাটে = ঘোলা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘামাচি = ঘাম + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটকালি = ঘটক + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটক = ঘট্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

চীনা = চীন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চড়াই = চড় + আই

কৃৎ প্রত্যয়

চড়াও = চড়্ + আও

কৃৎ প্রত্যয়

চলন = চল্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

চলন্ত = চল্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

চলতি = চল্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

চাপাবাজি = চাপা + বাজি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চলনসই = চলন + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালুনি = চাল্ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাকুরি = চাকর + উরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকুরে = চাকর + ইয়া = চাকরিয়া ˃চাকুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামার = চাম + আর

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামড়া = চাম + ড়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাটাই = চাটা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদা = চাঁদ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদিমা = চাঁদ + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদপনা = চাঁদ + পনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকা = চাক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদোয়া = চাঁদ + ওয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালাকি = চালাক + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিরুনি = চির + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাউনি = চাহ্ + অনি

কৃৎ প্রত্যয়

চৈতালি = চৈত + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিন্ময় = চিৎ + ময়

কৃৎ প্রত্যয়

চোরাই = চোর + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চৌকিদার = চৌকি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

চতুরালি = চতুর + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাপাখানা = ছাপা + খানা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছেলেমি = ছেলে + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছুটি = ছুট্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটে = ছটফট্ + ইয়া = ছটফটিয়া ˃ ছটফটে

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটানি = ছটফট্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাউনি = ছা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাত্র = ছত্র + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাঁটাই = ছাঁট + আই

কৃৎ প্রত্যয়

জয়ী = জি + ইন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমাট = জমা + আট্

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাতীয় = জাতি + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্বলন্ত = জল্ব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জীবন্ত = জীব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জয় = জি + অ

কৃৎ প্রত্যয়

জলা = জল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলো = জলা + উয়া = জলোয়া ˃ জলো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলীয় = জল + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জটিল = জটা + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

জনতা = জন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জালিয়া = জাল + ইয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

জেলে = জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমানো = জম + আনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জবানবন্দি = জবান + বন্দি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জুয়াড়ি = জুয়া + আড়ি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্যাঠামি = জ্যাঠা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাঁকাল = জাঁক + আল

কৃৎ প্রত্যয়

জটলা = জট + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমিদার = জমি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝরনা = র্ঝ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঝলক = ঝল্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়ন = ঝাড় + অন

কৃৎ প্রত্যয়

ঝগড়াটে = ঝগড়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝড়ো = ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া ˃ ঝড়ো

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়-দার = ঝাড়- + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝিয়ারি = ঝি + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝুলন = ঝুল্ + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্ঞানী = জ্ঞান + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ট, ঠ, ড, ঢ

টেকো = টেকো + উয়া = টাকুয়া ˃ টেকো

তদ্ধিত প্রত্যয়

টেকসই = টেক + সই

কৃৎ প্রত্যয়

ঠকা = ঠক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঠ্যাঙ্গাড়ে = ঠ্যাঙ্গা + ড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডাকু = ডাক্ + উ

কৃৎ প্রত্যয়

ডাকাত = ডাক্ + আইত = ডাকাইত ˃ ডাকাত

কৃৎ প্রত্যয়

ডাক্তারি = ডাক্তার + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডিঙ্গা = ডিঙ্গি + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডুবুরি = ডুব্ + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ডুবন্ত = ডুব্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ডেকচি = ডেক্ + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকনা = ঢাক্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঢাকনি = ঢাক্ + নি

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালাই = ঢাল্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালু = ঢাল্ + উ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকাই = ঢাকা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত, থ, দ

তবলচি = তবল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

তৈল = তিল + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত্যাগ = ত্যজ্ + অ (ঘঞ)

কৃৎ প্রত্যয়

তামাটে = তামা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

তাত্ত্বিক = তত্ত্ব + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

তালব্য = তালু + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দ্রাঘিমা = দ্রাঘি + ইমন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশি = দিশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দর্পণ = দৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

দৈন্য = দিন + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাতা = দা + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শন = দৃশ্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শনীয় = দৃশ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

দৃশ্য = দৃশ্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দ্রষ্টব্য = দৃশ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শক = দৃশ্ + অক্

কৃৎ প্রত্যয়

দাপট = দাপ + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাগি = দাগ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দামি = দাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দানব = দনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দালালি = দালাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঁতাল = দাঁত + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাবাড়- = দাবা + উড়িয়া = দাবাড়িয়া ˃ দাবাড়-

তদ্ধিত প্রত্যয়

দার্শনিক = দর্শন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দারোয়ান = দ্বার দার + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঙ্গাবাজ = দাঙ্গা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশারী = দিশ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

দুগ্ধ = দুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

দুধাল = দুধ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুধেল = দুধ + আল = দুধাল ˃ দুধেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেনাদার = দেনা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশী = দেশ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানদার = দোকান + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানি = দোকান + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোলনা = দুল্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

দীঘল = দীর্ঘ + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুষ্টামি = দুষ্ট + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

দৈনিক = দিন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দয়ালু = দয়া + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুঃখিত = দুঃখ + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশীয় = দেশ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিব্য = দিব্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দৈত্য = দিতি + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধ, ন

ধার্মিক = ধর্ম + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধারাল = ধার + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধনুরি = ধনু + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ধোঁয়াটে = ধোঁয়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধৈর্য = ধীর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধেনো = ধান + উয়া = ধানুয়া ˃ ধেনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

নোনতা = নুন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নবীন = নব + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নয়ন = নী + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

নায়ক = নী + অক

কৃৎ প্রত্যয়

নেয়ে = নাও + উয়া = নউয়া ˃ নেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাবিক = নৌ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাগরিক = নগর + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাচিয়ে = নাচ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

নেতা = নী + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

নিড়ানি = নিড়্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

নিদ্রালু = নিদ্রা + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

নীলিমা = নীল + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নজরানা = নজর + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নকলনবীশ = নকল + নবীশ

তদ্ধিত প্রত্যয়

নশ্বর = নশ্ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

পা-ব = পা- + অ (অন)

তদ্ধিত প্রত্যয়

পড়-য়া = পড়্ + উয়া

কৃৎ প্রত্যয়

পড়ন্ত = পড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

পশমি = পশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পঙ্কিল = পঙ্ক + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

পথিক = পথ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাঠক = পাঠ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

পানীয় = পান + ঈয়

কৃৎ প্রত্যয়

পার্থিব = পৃথিবী + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পান্তা = পানি + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসা = পানি + সা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসে = পানি + সা = পানসা ˃ পানসে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাওনা = পাও + না

কৃৎ প্রত্যয়

পাথুরে = পাথর + ইয়া = পাথরিয়া ˃ পাথুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পায়া = পা + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাকামো = পাকা + আমো

তদ্ধিত প্রত্যয়

প-িত = প-া + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রচলিত = প্রচলন + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

পিপাসা = পিপাসা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

পাগলামি = পাগল + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজনীয় = পূজ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

পিছল = পিছ্ + অল

কৃৎ প্রত্যয়

পিকদানি = পিক + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রাচ্য = প্রাচ্ + ষ্ণ্য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেনিল = ফেন্ + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেরতা = ফির + তা

কৃৎ প্রত্যয়

ফেরত = ফির + অত

কৃৎ প্রত্যয়

ফুটন্ত = ফুট্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ফোটা = ফুট্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলেল = ফুল + এল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফাটল = ফাট + ল

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলদানি = ফুল + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফলন্ত = ফল + অন্ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোম্বাই = বোম্বে + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বিজ্ঞান = বি + জ্ঞা + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বারমেসে = বারমাস + এ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বক্তব্য = বচ্ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

বক্তা = বচ্ + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

বর্ষণ = বৃষ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বর্গাদার = বর্গা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

বহতা = বহ্ + তা

কৃৎ প্রত্যয়

বড়াই = বড় + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঘা = বাঘ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাটনা = বাট্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজনা = বাজ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজিয়ে = বাজ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধন = বাঁধ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধাই = বাঁধ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁশি = বাঁশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁশরি = বাঁশ + রি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বন্দিনী = বন্দি + নী

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদলা = বাদল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসত = বস + ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুগিরি = বাবু + গিরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদামি = বাদাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাগিচা = বাগ + চা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙ্গাল = বঙ্গ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙালি = বাঙাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাড়ন্ত = বাড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাড়তি = বাড় + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বকুনি = বকা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

বার্ষিক = বর্ষ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁদরামি = বাঁদও + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসতি = বস + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বাছাই = বাছ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুর্চি = বাবু + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাবুয়ানা = বাবু + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাহাদুরি = বাহাদুর + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেগুনে = বেগুন + ইয়া = বেগুনিয়া ˃ বেগুন

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেঙাচি = বেঙ + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈজ্ঞানিক = বিজ্ঞান + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈঠক = বৈঠ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

বৈমাত্রেয় = বিমাতা + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈধ = বিধি + ঞ্চ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈচিত্র্য = বিচিত্র + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেকামি = বোকা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোমারু = বোমা + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

বুনো = বন + উয়া = বনোয়া ˃ বুনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোনাই = বোন + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভিখারি = ভিখ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

ভৌগোলিক = ভূগোল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভোজ্য = ভোজ্ + আমি

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়ামি = ভাড় + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভয় = ভী + অয়

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়াটে = ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাতুরে = ভাত + উড়িয়া = ভাতুরিয়া ˃ ভাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভেতো = ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাজি = ভাজ্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ভাবুক = ভাব + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মানত = মান + ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৃন্ময় = মৃদ্ + ময়

তদ্ধিত প্রত্যয়

মহিমা = মহৎ + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মন্ত্রী = মন্ত্র + ইমন

কৃৎ প্রত্যয়

মড়ক = মড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মোড়ক = মুড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মশারি = মশা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মলাট = মলা + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাংসল = মাংস + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাথাল = মাথা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাধুর্য = মধুর + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানব = মনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানানসই = মানান + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মামলাবাজ = মামলা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মশালচি = মশাল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মুক্ত = মুচ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মুক্তি = মুচ্ + ক্তি

কৃৎ প্রত্যয়

মুগ্ধ = মুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মিশুক = মিশ্ + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মিথ্যুক = মিথ্যা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিশাল = মিশ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

মিতালী = মিতা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিঠাই = মিঠা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেটে = মাটি + ইয়া = মাটিয়া ˃ মেটো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঠো = মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেছো = মাছ + উয়া = মাছুয়া ˃ মেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঘলা = মেঘ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেধাবী = মেধা + বিন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়ে = মা + ইয়া = মইয়া ˃ মেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়েলি = মেয়ে + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মোগলাই = মোগল + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৌখিক = মুখ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

য, র, ল

যাচাই = যাচ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

যৌবন = যুব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

রুষ্ট = রুষ্ + ত (ক্ত)

কৃৎ প্রত্যয়

রোগাটে = রোগা + টিয়া = রোগাটিয়া ˃ রোগাটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাঁধা = রাঁধ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

রাঁধুনি = রাঁধ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

রান্না = রাঁধ + না

কৃৎ প্রত্যয়

রমণীয় = রমণ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাখাল = রাখ্ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

রসাল = রস + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

রেশমি = রেশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

রোগা = রোগ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লঘিমা = লঘু + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

লবণ = লো + অন

কৃৎ প্রত্যয়

লেখক = লিখ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

রাজুক = লাজ + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালচে = লাল + চে

তদ্ধিত প্রত্যয়

লাঠিয়াল = লাঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লেঠেল = লাঠি + আল = লাঠিয়াল ˃ লেঠেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লৌকিক = লোক + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

লোনা = লনু + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালিমা = লাল + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোনা = শোন্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

শয়ন = শে + অনট্

কৃৎ প্রত্যয়

শহুরে = শহর + ইয়া = শহরিয়া ˃ শহুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

শাঁখারি = শাঁখা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্যামলা = শ্যাম + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শীতল = শীত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

শিক্ষক = শিক্ষা + অক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্রবণ = শ্রু + অন

কৃৎ প্রত্যয়

শারীরিক = শরীর + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শৈল্পিক = শিল্প + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোচনীয় = শুচ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

শৈব = শিব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স¤্রাট = সম + রাজ + ক্বিপ

কৃৎ প্রত্যয়

সওদাগার = সাওদা + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

সর্পিল = সর্প + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়ে = সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়িয়া = সাপ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাঁতারু = সাঁতারু + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাধুতা = সাধু + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপ্তাহিক = সপ্তাহ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাংবাদিক = সংবাদ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্য = সাহিত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্যিক = সাহিত্য + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সামাজিক = সমাজ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

সূর্য = সৃ + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌর = সূর্য + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌন্দর্য = সুন্দর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সোনালি = সোনা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেলামি = সেলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেবাইত = সেবা + আইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

সত্তা = সৎ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স্বপ্নিল = স্বপ্ন + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৃষ্টি = সৃজ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

হাঁচি = হাঁচ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হত্যা = হন্ + ক্যাপ

কৃৎ প্রত্যয়

হলদে = হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতল = হাত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতুড়ে = হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাটুরে = হাট + উড়িয়া = হাটুরিয়া ˃ হাটুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাসি = হাস্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হিমেল = হিম + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতানন = হাত + আন

তদ্ধিত প্রত্যয়

উপসর্গ: যে সকল অব্যয়সুচক শব্দাংশ স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না কিন্তু অন্য শব্দের আগে বসে শব্দটির অর্থের পরিবর্তন সাধন করে, তাকে উপসর্গ বলে। উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলে এদের অর্থদ্যোতকাতা বা নতুন শব্দ সৃজনের ক্ষমতা থাকে।

বাংলা ভাষায় তিন প্রকার উপসর্গ আছে:

১. খাটি বাংলা উপসর্গ ২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ ৩. বিদেশী উপসর্গ

খাটি বাংলা উপসর্গ (২১ টি)

২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ (২০ টি)

বিদেশী উপসর্গ (এখনো নির্নীত হয় নি)

অ, অঘা, অজ, অনা

আ, আড়, আন, আব

ইতি, ঊন, কদ, কু

নি, পাতি, বি, ভর

রাম, স, সা, সু

হা = ২১টি

প্র, পরা, অপ, সম্, নি

অব, অনু, নির, দূর, বি

সু, উত্, অধি, পরি, প্রতি

উপ, আ, অপি, অভি, অতি =২০টি

ফারসি উপসর্গ: কার্, দর্, না, নিম্, ফি, বদ্, বে, বর্, ব্, কম্

আরবি উপসর্গ: আম্, খাস, লা, গর্

ইংরেজি উপসর্গ: ফুল, হাফ, হেড, সাব

উর্দু-হিন্দি উপসর্গ: হর

চারটি উপসর্গ যথা: সু, বি, নি, আ খাটি বাংলা এবং তত্সম উভয়ক্ষেত্রে দেখা যায়।

প্রত্যয়: যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দ (প্রাতিপাদিক) এর পর যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার: কৃত্ প্রত্যয় (বাংলা এবং সংস্কৃত) এবং তদ্ধিত প্রত্যয় (বাংলা, সংস্কৃত এবং বিদেশী)।

প্রকৃতি: কোনো মেৌলিক শব্দের যে অংশকে আর কোনোভাবেই বিভক্ত বা বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে। প্রকৃতি দুই প্রকার: যথা: ক্রিয়া প্রকৃতি এবং নাম প্রকৃতি।

পদ প্রকরণ: বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক একটি পদ। বিভক্তিযুক্ত শব্দ এবং ধাতুই পদ। পদ মোট ৫ প্রকার: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া এবং অব্যয়।

চাকুরির প্রস্তুতি

বাংলা ব্যাকরণের উল্লেখযোগ্য কঠিন টপিক গুলোর মধ্যে প্রকৃতি প্রত্যয় অন্যতম। কিন্তু আসলেই কি প্রকৃতি প্রত্যয় কঠিন? উত্তর হচ্ছে প্রকৃতি প্রত্যয় সব থেকে সহজ একটি টপিক। আজকের ব্লগে পুরো বিষয়টি আপনাদের সাথে উদাহরণ এবং ব্যাখ্যা সহ তুলে ধরা হবে। পড়তে থাকুন ইনশা-আল্লাহ।

প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে কি কি শিখবো?

১) প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

২) প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

৩) কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়?

৪) প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

৫) বিগত সালের পরিক্ষায় প্রকৃতি প্রত্যয়

শুরু করার আগে আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ যদি আমাদের লিখা ব্লগ গুলো ভালো লাগে তবে জ্ঞান প্রচারের লক্ষ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

ধাতু বা শব্দ যার সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে যে মূল অংশের নাম প্রকৃতি। যেমন: মিঠা + আই = মিঠাই। এখানে ‘মিঠা’ হচ্ছে প্রকৃতি, এর সঙ্গে ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ‘মিঠাই’ শব্দটি গঠিত হয়েছে। এভাবে শব্দের বিশ্লেষণ করলে প্রকৃতি ও প্রত্যয় পাওয়া যায়।

উপরের ব্যাপারটি কঠিন মনে হলে চলেন এইবার একটু ইনফরমাল আলোচনা করা যাক যেন কোন দিন আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে সংশয়ে না পড়েন।

যা মনে রাখবেনঃ

– প্রত্যয় সব সময় শব্দের বা ধাতুর পরে বসে।

– পরে বসে কি করে? নাচানাচি করে কি? না। তা নতুন শব্দ গঠন করে। যেমনঃ শীতল। এটি একটি শব্দ। যার দুটি অংশ আছে। শীত + ল। এখানে পরে কি যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “ল” তাই এটি প্রত্যয়।

এখন “ল” কিসের সাথে যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “শীত” এর সাথে? তাই এটি প্রকৃতি।

নিচের উদহরণগুলো দেখুনঃ

ক) লাজুক= লাজ+ উক

এখানে “লাজ” হচ্ছে প্রকৃতি এবং “উক” হচ্ছে প্রত্যয়

খ) চলন্ত = চল + অন্ত

এখানে “চল” হচ্ছে প্রকৃতি এবং ” অন্ত ” হচ্ছে প্রত্যয়

এইবার আমরা ধরেই নিতে পারি আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় চিনে গেছেন।

প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

সহজ ভাষায় প্রকৃতি এবং প্রত্যয় উভয়ই দুই প্রকার।

প্রকৃতির প্রকারভেদঃ

১) ক্রিয়া প্রকৃতি

২) নাম প্রকৃতি বা শব্দ প্রকৃতি

প্রত্যয়ের প্রকারভেদঃ

১) কৃৎ প্রত্যয়

২) তদ্ধিত প্রত্যয়

কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়

প্রকৃতি প্রত্যয় চিনার জন্য আপনাকে শব্দটি কে বিশ্লেষন করতে হবে তারপর দেখতে হবে কোন অংশটি আর আগে সেটি হবে প্রকৃতি এবং যে অংশটি পরে সেটি নিশ্চিতভাবেই প্রত্যয়।

প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

১. অ-প্রত্যয় : ‘প্রবণতা, ঈষদ্ভাব প্রায় কিন্তু পূর্ণ নয়’ এমন ভাব প্রকাশ করতে ধাতুর উত্তর (পরে) অ (উ, ও) প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং দ্বিত্ব প্রয়োগ হয়। যেমন:

√কাঁদ + অ : কাঁদ + অ = কাঁদ কাঁদ

√ডুব + অ : ডুব + অ = ডুব ডুব (ডুবু ডুবু)

√পড় + অ : পড় + অ = পড় পড় (পড়ো পড়ো)

√মার + অ : মার + অ = মার মার

২. আ-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর পরে আ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + আ = ঝরা

√হাস + আ = হাসা

√খা + আ = খাওয়া

√শোন + আ = শোনা

√ভর + আ = ভরা

√কাঁচ + আ = কাঁচা

√কাট + আ = কাটা

√র্ম + আ = মরা

√ছাড় + আ = ছাড়া

√জান + আ = জানা

৩. অন-প্রত্যয় : অন-প্রত্যয়ান্ত শব্দগুলো সাধারণ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√বাঁধ + অন = বাঁধন

√সাজ্ + অন = সাজন

√হাঁট + অন = হাঁটন

√র্ম + অন = মরণ

√নাচ + অন = নাচন

√মাজ + অন = মাজন

√গড় + অন = গড়ন

√জীব + অন = জীবন

√কাঁদ + অন = কাঁদন

৪. অক-প্রত্যয় : অক-প্রতায়ান্ত শব্দ সাধারণত বিশেষ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√ফাট্ + অক =ফাটক

√সড় + অক = সড়ক

√নাট + অক = নাটক

√ঝল + অক = ঝলক

√দুল + অক = দোলক

√ঘট্ + অক = ঘটক

√বৈঠ + অক = বৈঠক

√চট্ + অক = চটক

৫. আই-প্রত্যয় : করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ফাড়্ + আই = ফাড়াই

√ছাঁট্ + আই = ছাঁটাই

√যাচ্ + আই = যাচাই

√খোদ + আই = খোদাই

√ঢাল্ + আই = ঢালাই

√মাড়্ + আই = মাড়াই

√সিল্ + আই = সেলাই

√লড়্ + আই = লড়াই

৬. উয়া-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য ধাতুর উত্তর ‘উয়া’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। উয়া-প্রত্যয় বিকল্পে ও-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পড়্ + উয়া = পড়-য়া

√চল + উয়া = চলুয়া

√হাল্ + উয়া = হালুয়া

√সাজ + উয়া = সাজুয়া

√খা + উয়া = খাওয়া

√ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া˃ঝড়ো

৭. উ-প্রত্যয় : ‘উ’ প্রত্যয়ান্ত সাধিত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ঢাল্ + উ = ঢালু

√ডাক + উ = ডাকু

√ঝাড় + উ = ঝাড়-

√চাল্ + উ = চালু

√উড় + উ = উড়-

√ডুব + উ = ডুবু

৮. উক-প্রত্যয়ঃ স্বভাব বুঝাতে বিশ্লেষণ পদ গঠনে ‘উক’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পিট + উক = পেটুক

√মিশ + উক = মিশুক

√খা + উক = খাউক

√হিনস + উক = হিংসুক

√নিন্দা + উক = নিন্দুক

√ভা + উক = ভাবুক

৯. ই-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য, অপাদানবাচ্য, অধিকরণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘ই’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + ই = ঝরি

√হাস + ই = হাসি

√কর + ই = করি

√বুল + ই = বুলি

√বেড় + ই = বেড়ি

√হাঁচ + ই = হাঁচি

√খা + ই = খাই

√ভাজ + ই = ভাজি

১০. ইয়া ইয়ে-প্রত্যয় : ‘প্রবীণ বা নিপুণ অর্থে’ কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ইয়া ইয়ে প্রত্যয় হয়। যেমন:

√কাঁদন + ইয়া = কাঁদনিয়া˃কাঁদুনে

√বাজ্ + ইয়ে = বাজিয়ে

√কহ্ + ইয়া = কহহিয়া˃কইয়ে

√খেল + ইয়ে = খেলিয়ে

√গাহ্ + ইয়া = গাহহিয়া˃গাইয়ে

√নাচ + ইয়ে = নাচিয়ে

আবার অসমাপিকা ক্রিয়া বুঝাতেও ‘ইয়া’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পড়্ + ইয়া = পড়িয়া

√বহ্ + ইয়া = বহিয়া

√চল + ইয়া = চলিয়া

√কাঁদ্ + ইয়া = কাঁদিয়া

√হাস + ইয়া = হাসিয়া

√শুন + ইয়া = শুনিয়া

১১. আল-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য ও করণবাচ্যের ধাতুর উত্তর আল-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাখ্ + আল = রাখাল

√মাত্ + আল = মাতাল

√বাচ্ + আল = বাচাল

√ধার + আল = ধারাল

√নাগ্ + আল = নাগাল

√মিশ্ + আল = মিশাল

১২. তি-প্রত্যয়ঃ কর্তৃবাচ্য ও ভাববাছ্যের উত্তর ‘তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কম্ + তি = কমতি

√চল্ + তি = চলতি

√র্ফি + তি = ফিরতি

√উঠ্ + তি = উঠতি

√ঘাট্ + তি = ঘাটতি

√বস্ + তি = বসতি

১৩. না-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘না’ প্রত্যয় যুক্ত হয়্। যেমন:

√শুক + না = শুকনা

√বাট + না = বাটনা

√দুল + না = দোলনা

√ঝর + না = ঝরনা

√রাঁধ + না = রাঁধনা˃রান্না

√ঢাক + না = ঢাকনা

√খেল + না = খেলনা

√মাগ + না = মাগনা

১৪. আনি-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আনি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাঙ + আনি = রাঙানি

√খাট + আনি = খাটানি˃খাটুনি

√শাস + আনি = শাসানি

√চির + আনি = চিরণী˃চিরুণী

√শুন + আনি = শুনানি

√জ্বাল + আনি = জ্বালানি

√উড় + আনি = উড়ানি

√হাঁপ + আনি = হাঁপানি

১৫. আরু-প্রত্যয় : কর্তায় দক্ষতা ও পেশা বুঝাতে কর্তৃবাচ্যের ধাতু উত্তর ‘আরু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডুব + আরু = ডুবারু

√সাঁত + আরু = সাঁতারু

√খোঁজ + আরু = খোঁজারু

১৬. আও-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আও’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাঁচ্ + আও = বাঁচাও

√দুল্ + আও = দোলাও˃দুলাও

√চড়্ + আও = চড়াও

√র্ঘি + আও = ঘিরাও

√র্স + আও = সরাও

√পাকড়্ + আও = পাকড়াও

১৭. আনো-প্রত্যয় : ধাতুর উত্তর ‘আনো’ প্রত্যয় যোগে ক্রিয়াবাচক বা বিশ্লেষন পদ গঠিত হয়। যেমন:

√কামড় + আনো = কামড়ানো

√নাচ + আনো = নাচানো

√বাঁধ + আনো = বাঁধানো

√পাল + আনো = পালানো

√কাঁদ + আনো = কাঁদানো

√দৌড় + আনো = দৌড়ানো

১৮. অল-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অল’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√পিছ্ + অল = পিছল

√ফাট + অল = ফাটল

√জী + অল = জীয়ল˃জীওল

১৯. আইত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আইত’ (আত) প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডাক + আইত = ডাকাইত˃ডাকাত

√সঙ্গ + আইত = সাঙ্গাইত˃সাঙ্গাত

√সেব + আইত = সেবাইত

২০. আন-প্রত্যয় : প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে ‘আন’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ছোড় + আন = ছোড়ান

√দেখ + আন = দেখান

√গড় + আন = গড়ান

√খা + আন = খাওয়ান

√ঠকা + আন = ঠকান

√জান + আন = জানান

২১. অন্ত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অন্ত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√চল + অন্ত = চলন্ত

√ডুব্ + অন্ত = ডুবন্ত

√ঝুল + অন্ত = ঝুলন্ত

√ঘুম + অন্ত = ঘুমন্ত

√ফুট্ + অন্ত = ফুটন্ত

√ফল + অন্ত = ফলন্ত

২২. তা-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত ঞয়। যেমন:

√পড় + তা = পড়তা

√চল্ + তা = চলতা

√জান্ + তা = জান্তা

√ফির + তা = ফিরতা

২৩. অনা- প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে সাধারণত ধাতুর উত্তর ‘অনা’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাজ + অনা = বাজনা

√মাগ্ + অনা = মাগনা

√ঝর + অনা = ঝরনা

√খেল্ + অনা = খেলনা

√বঞ্চ + অনা = বঞ্চনা

√দুল্ + অনা = দোলনা

২৪. অত-প্রত্যয় : বিশেষণ পদ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘অত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বস্ + অত = বসত

√ফির + অত = ফেরত

√মান + অত = মানত

বিদেশী কৃৎ-প্রত্যয় :

ক. সই-প্রত্যয় যোগে; যেমন: মাপ + সই = √মাপসই।

খ. বাজ-প্রত্যয় যোগে; যেমন: চাল + বাজ = √চালবাজ

■ বাংলা কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

কাঁদ্ + অ = কাঁদ

ডুব + আরু = ডুবারু

গুণ্ + তি = গুণতি

সাজ্ + উয়া = সাজোয়া

ডুব্ + অ = ডুব

পড়্ + উয়া = পড়-য়া

নাচ্ + অন = নাচন

গাহ্ + ইয়ে = গাইয়ে

ঝুল + অ = ঝুল

জুত্ + আনো = জুতানো

কাঁদ + অন = কাঁদন

খেল্ + ওয়াড় = খেলোয়ার

নিব্ + অ = নিব

ভাব্ + উক = ভাবুক

খা + অন = খাওন

র্ধ + আ = ধরা

র্ম + অ = মর

বেড়্ + আনো = বেড়ানো

ঝাড়্ + অন = ঝড়ান

পড়্ + আ = পড়া

ছুট + অ = ছুট

ঢাল্ + আই = ঢালাই

কাঁপ + অন = কাঁপন

ঢাল্ + উ = ঢালু

খুঁজ + অন = খোঁজন

যাচ্ + আই = যাচাই

র্ম + অন = মরণ

বাঁধ্ + অন = বাঁধন

চল্ + আ = চলা

সেব্ + আইত = সেবাইত

ফল্ + অন = ফলন

গড়্ + অন = গড়ন

চাহ্ + আ = চাওয়া

পূজ্ + আরী = পূজারী

যোগ্ + অন = যোগান

চাহ্ + নি = চাহনি

পা + আ = পাওয়া

কাঁদ্ + উনে = কাঁদুনে

চড়্ + অক = চড়ক

উড়্ + অন্ত = উড়ন্ত

দেখ্ + আ = দেখা

নাচ্ + ইয়ে = নাচিয়ে

ফাট্ + অক = ফাটক

ভাঙ্ + অন = ভাঙন

ছাড়্ + আ = ছাড়া

মিশ্ + উক = মিশুক

মুড়্ + অক = মোড়ক

ডুব্ + উরী = ডুবুরী

ফুট্ + আ = ফোটা

ঘাট্ + তি = ঘাটতি

ঝল্ + অক = ঝলক

মুচ্ + কি = মুচকি

চুর + ই = চুরি

কুট + না = কুটনা

দে + অনা = দেনা

চাল + আন = চারা

চষ + ই = চষি

জান + আন = জানান

বাজ্ + অনা =বাজনা

উঠ্ + তি = উঠতি

ফির + ই = ফিরি

কাঁদ্ + না = কান্না

পা + অনা = পাওনা

দোল্ + না = দোলনা

হাস্ + ই = হাসি

উড়া + আন = উড়ান

বাট্ + না = বাটনা

ঝলক + আনি = ঝলকানি

কাশ্ + ই = কাশি

ঠকা + আন = ঠকান

খেল্ + না = খেলনা

হিনস্ + উক = হিংসুক

ভাজ্ + ই = ভাজি

কাট্ + আ = কাটা

র্ঝ + ন = ঝরনা

কাচ + আ = কাচা

ডুব্ + উ = ডুবু

বাঁধ + আ = বাধাঁ

কাঁপ্ + অনি = কাঁপনি, কাঁপুনি

ভর + আ = ভরা

র্উ + ও = উড়ো

বাঁচ + ওয়া = বাঁচোয়া

রাঁধ্ + অনি = রাঁধুনি

হাত + আনো = হাতানো

হ + উ = হবু

কাট্ + আরি = কাটারি

ছাঁক্ + অনি = ছাকনি

খুল্ + আ = খোলা

র্ম + ও = মরো

মাজ্ + অন = মাজন

চাল্ + উনি = চালুনি

র্ম + ও = মরো

ঝড়্ + ও = ঝড়ো

টাঙা + আনো = টাঙানো

ছা + উনি = ছাউনি

বাজ্ + ইয়ে = বাজিলে

ভুল্ + ও = ভুলো

চল্ + তি = চলতি

ঝাঁক্ + উনি = ঝাঁকুনি

বাস্ + ই = বাসি

র্ফি + অত = ফিরত

ঝুল + অন = ঝুলন

আট্ + উনি = আঁটুনি

ছাড় + অন = ছাড়ন

মান্ + অত = মানত

খাট্ + ইয়ে = খাটিয়ে

খাট্ + উনি = খাটুনি

কাশ + আ = কাশা

পড়্ + তি = পড়তি

ভাজ + আ = ভাজা

বক্ + উনি = বকুনি

চষ + আ = চষা

কাট্ + তি = কাটতি

ঝাঁক + আ = ঝাঁকা

র্চি + উনি = চিরুনি

পর + আ = পড়া

র্ফি + তি = ফিরতি

ছাঁক + অন = ছাঁকন

বাছ্ + আই = বাছাই

হাস + আ = হাসা

বাড়্ + তি = বাড়তি

ডুব + আ = ডুবা

লড়্ + আই = লড়াই

দেখ + আই = দেখাই

চড়্ +আই = চড়াই

বাঁধ + অন = বাঁধন

জ্বল + অন্ত = জ্বলন্ত

নির + আন = নিড়ান

যাচ্ + আই = যাচাই

খাট + আ = খাটা

জীব্ + অন্ত = জীবন্ত

চড় + আ = চড়া

ডাক্ + আইত = ডাকাত

সাজ + আ = সাজা

মাত্ + আল = মাতাল

ডুব + উরি = ডুবুরি

খুদ + আই = খোদাই

পর + আই = পড়াই

ছাঁট + আই = ছাঁটাই

উড় + আ = উড়া

ঝাল্ + আই = ঝালাই

ভাব + আ = ভাবা

উড়্ + আনি = উড়ানি

ঠক + আ = ঠকা

শুন্ + আনি = শুনানি

নাচ + আ = নাচা

ঝাঁক্ + আনি = ঝাঁকানি

দোল + অন = দোলন

বাঁধ্ + আই = বাঁধাই

ছাড় + অ = ছাড়

চড়্ + আও = চড়াও

মার + অ = মার

ঢাল্ + আও = ঢালাও

বাঁধ + অ = বাঁধ

নিড়্ + আনি = নিড়ানি

বস + অতি = বসতি

সাঁত্ + আরু = সাঁতারু

মান + অত = মানত

জ্বালা + আনি = জ্বালানী

দুল + অ = দোল

পাকড় + আও = পাকড়াও

ঘুর + অন = ঘুরন

খা + ইয়ে = খাইয়ে

সাধ + অন = সাধন

র্ঘি + আও = ঘেরাও

ধর + অন = ধরণ

গাঁথ + অন = গাঁথন

লাঞ্ছ + অনা = লাঞ্ছনা

ভিক্ষ + আরি = তিখারি

পাকড় + আও = পাকড়াও

উঠ + তি = উঠতি

সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়

১. অনট (অন) প্রত্যয় : ‘অনট’ প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘অনট’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথম বর্ণের ‘ঈ’ পরিবর্তন হয় ‘অয়’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ‘ঋ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘অর’ হয়। যেমন:

√কৃ + অনট = করণ

√শী + অনট = শয়ন

√দা + অনট = দান

√গম + অনট = গমন

√স্থান + অনট = স্থান

√পা + অনট = পান

√দৃশ + অনট = দর্শন

√ভ্র + অনট = ভ্রমন

√নী + অনট = নয়ন

√শ্রু + অনট = শ্রবণ

২. ঘঞ (অ) প্রত্যয় : ঘঞ-প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্যে ব্যবহহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘ঘঞ’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথমে বর্ণের ‘অ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘আ’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ধাতুর শেষ বর্ণের ‘চ’ স্থানে ‘ক’, ‘জ, স্থানে ‘গ’ হয়। যেমন:

√শুচ + ঘঞ = শোক

√অদ্ + ঘঞ = ঘা

√ভূ + ঘঞ = ভাব

√বস্ + ঘঞ = বাস

√পচ + ঘঞ = পাক

√তপ + ঘঞ = তাপ

√রুজ + ঘঞ = রোগ

√ত্যজ + ঘঞ = ত্যাগ

৩. তব্য-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষ্যৎ অর্থে কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘তব্য’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কৃ + তব্য = কর্তব্য

√গম + তব্য = গন্তব্য

√জ্ঞা + তব্য = জ্ঞাতব্য

√বচ + তব্য = বক্তব্য

√দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

√পৌ + তব্য = পঠিতব্য

√দান + তব্য = দাতব্য

√মন + তব্য = মন্তব্য

৪. অল (অ) প্রত্যয় : অল-প্রত্যয় ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য পদ গঠনে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ল’ লোপ পেয়ে ‘অ’ থাকে। যেমন:

√জি + অল = জয়

√ভী + অল = ভয়

√ক্রী + অল = ক্রয়

√লুভ + অল = লোভ

৫. ক্ত (ত) প্রত্যয় : অতীতকালে কাজ হয়েছে এ অর্থ প্রকাশের জন্য ‘ক্ত’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। সাধিত পদগুলো বিশ্লষন হয়ে থাকে। প্রতায়ন্ত পদের শেষে ‘ক’ লোপ পেয়ে শুধু ‘ত’ থাকে। যেমন:

√খ্যা + ক্ত = খ্যাত

√শম + ক্ত = শাক্ত

√পত্ + ক্ত = পতিত

√ঘীন + ক্ত = হীন

√জ্ঞান + ক্ত জ্ঞাত

√ক্লম + ক্ত = ক্লান্ত

√গম + ক্ত = গত

√নন + ক্ত = নষ্ট

√দীপ + ক্ত = দীপ্ত

√কৃ + ক্ত = কৃত

৬. ক্তি (তি) প্রত্যয় : ক্রিয়াবাচক বা ভাববাচ্যক বিশেষ্য অর্থে ধাতুর সঙ্গে ‘ক্তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয় দ্বারা শব্দ গঠন কালে ধাতুর প্রথম বর্ণ সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে এবং দ্বিতীয় বর্ণ লোপ পায়। যেমন:

√মুচ্ + ক্তি = মুক্তি

√দৃশ + ক্তি = দৃষ্টি

√কৃৎ + ক্তি = কীর্তি

√কৃষ + ক্তি = কৃষ্টি

√স্মৃতি + ক্তি = স্মৃতি

√সৃজ + ক্তি = সৃষ্টি

√শম + ক্তি = শান্তি

√বচ্ + ক্তি = উক্তি

√ভী + ক্তি = ভীতি

৭. যৎ (য) প্রত্যয় : কোন কিছু করা উচিত বা করার যোগ্য, এ অর্থে ধাতুর সাথে ‘যৎ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো সাধারণত বিশেষণ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পদ্ + যৎ = পদ্য

√জ্ঞান + যৎ = জ্ঞেয়

√সহ্ + যৎ = সহ্য

√দা + যৎ = দেয়

√গ্রহ্ + যৎ = গ্রাহ্য

√মন্ + যৎ = মান্য

√যুজ + যৎ = যোগ্য

√পূজ + যৎ = পূজ্য

√ধূ + যৎ = ধার্য

√পঠ + যৎ = পাঠ্য

৮. শানচ (মান) প্রত্যয় : ক্রিয়ার কাজ চলছে এ অর্থে ধাতুর অর্থে উত্তর কর্তৃ ও কর্মবাচ্যে ‘শানচ’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√চল্ + শানচ = চলমান

√বৃৎ + শানচ = বর্তমান

√বৃধ + শানচ = বর্ধমান

√দীপ + শানচ = দীপ্তমান

√মুহ্ + শানচ = মুহ্যমান

৯. ইষ্ণু-প্রত্যয় : শীলার্থে ধাতুর উত্তর ‘ইষ্ণু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√ক্ষি + ইষ্ণু = ক্ষয়িষ্ণু

√সহ্ + উষ্ণু = সহিষ্ণু

√চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

√বধ্ + ইষ্ণু = বর্ধিষ্ণু

১০. ণক (অক) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যে ‘করেন যিনি’ এ অর্থে ধাতুর উত্তর ‘ণক’ (অক) প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ণ’ লোপ পায় এবং ‘অক’ থাকে এবং প্রত্যয়সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + ণক = কারক

√শাস + ণক = শাসক

√পচ + ণক = পাচক

√যুজ + ণক = যোজক

√পো + ণক = পাবক

√দৃশ + ণক = দর্শক

১১. ণ্যৎ (য) প্রত্যয় : ‘উচিত বা যোগ্য অর্থে’ ঋ-কারান্ত ও ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো প্রধানত বিশেষণ (কখনও কখনও বিশেষ্য) হয়। যেমন:

√ত্যজ + ণ্যৎ = ত্যাজা

√লক্ষ + ণ্যৎ = লক্ষ্য

√গম + ণ্যৎ = গম্য

√কৃ + ণ্যৎ = কার্য

√ভজ + ণ্যৎ = ভাজ্য

√ধৃ + ণ্যৎ = ধার্য

১২. তৃচ, তৃণ (তা) প্রত্যয় : শীলার্থে, সম্যক বা জীবিকা অর্থে ধাতুর পরে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + তৃচ = কর্তা

√মা + তৃচ = মাতা

√ভ্রাজ + তৃচ = ভাতা

√দা + তৃচ = দাতা

√বচ্ + তৃচ = বক্তা

১৩. অনীয়-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষৎ অর্থে ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর অনীয় প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

√শুচ + অনীয় = শোচনীয়

√বৃ + অনীয় = বরণীয়

√দুশ + অনীয় = দর্শনীয়

√গুপ্ + অনীয় = গোপনীয়

√স্মৃ + অনীয় = স্মরণীয়

১৪. বর-প্রত্যয় : ‘শীল’ অর্থে কর্তৃবাচ্যের ‘বর’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ভাস্ + বর = ভাস্বর

√ঈশ্ + বর = ঈশ্বর

√নশ্ + বর = নশ্বর

√স্থা + বর = স্থাবর

১৫. নিন (ইন) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদ গুলো বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

√দা + নিন = দায়ী

√মন্ত্র + নিন = মন্ত্রী

√বদ + নিন = বাদী

√ত্যাগ + নিন = ত্যাগী

√স্থা + নিন = স্থায়ী

√পা + নিন = পায়ী

১৬. শতৃ (অৎ) প্রত্যয় : বর্তমান কালের কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। বাংলা ভাষায় এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√জীব্ + শতৃ = জীবৎ

√অস্ + শতৃ = অসৎ

√জল + শতৃ + জলৎ

√জাগ্ + শতৃ = জাগ্রৎ

√মহ + শতৃ = মহৎ

√চল + শতৃ = চলৎ

■ সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রী + অ = প্রিয়

ভূ + অন = ভবন

গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

গম্+ তি = গতি

পাল্ + ণক = পালক

বৃৎ + শানচ = বর্তমান

দা + তৃচ = দাতা

যাচ্ + আই = যাচাই

জীব্ + অ = জীব

চর + অন = চরণ

জি + ইন = জয়ী

কৃষ + তি = কৃষ্টি

ধূ + ণক = ধারক

দীপ + শানচ = দীপ্যমান

শ্রু + তৃচ = শ্রতা

হিনস্ + আ = হিংসা

পিপাস + অ = পিপাসা

দ্রু + অন = দ্রবণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাগী

দৃশ + তি = দৃষ্টি

পঠ্ + ণক = পাঠক

চল + শানচ = চলমান

যুধ + তৃচ = যোদ্ধা

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

প্র-শনস্ + আ = প্রশংসা

চুম্ব্ + অন = চুম্বন

যুজ্ + ইন = যোজী

সৃজ + তি = সৃষ্টি

হণ + ণক = ঘাতক

শুভ + শানচ = শোভমান

নী + তৃচ = নেতা

প্রচ্ছ + ন = প্রশ্ন

ভিক্ষ + আ = ভিক্ষা

কৃষ + অন = কর্ষণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাজী

শক্ + তি = শক্তি

শাস + ণক = শাসক

গম + তব্য = গন্তব্য

পা + তৃচ = পিতা

কৃ + মন = কর্ম

কথ্ + আ = কথা

শী + অন = শয়ন

দুট্ + ই = দুটি

খ্যা + তি = খ্যাতি

লিখ্ + ণক = লেখক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

লিখ্ + ইত = লিখিত

দৃশ্ + মান = দৃশ্যমান

জন্ + অক = জনক

দা + অন = দান

কৃষ্ + ই = কৃষি

মন + তি = মতি

কৃষ্ + ণক = কৃষক

কৃ + তব্য = কর্তব্য

লভ্ + য = লভ্য

বস্ + ত্র = বস্ত্র

মুড়্ + অক = মোড়ক

জ্ঞা + অন = জ্ঞান

দূষ + ই = দোষী

কৃৎ + তি = কীর্তি

কৃ + ণক = কারক

দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

বচ্ + য = বাচ্য, বাক্য

বৃৎ + মান = বর্তমান

নি + অক = নায়ক

তপ্ + অন = তপন

দীপ + ত = দীপ্ত

গৈ + তি = গীতি

দৃশ + ণক = দর্শক

মন + তব্য = মন্তব্য

হন্ + য = হত্যা

হন + তৃ = হন্তা

নৃৎ + অক = নর্তক

বদ্ + অন = বদন

রমজ্ + ত = রক্ত

কৃ + তি = কৃতি

গৈ + ণক = গায়ক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

সহ্ + য = সহা

অস + শতৃ = অসৎ

গৈ + অক = গায়ক

দৃশ্ + অন = দর্শন

ধৃ + ত = ধৃত

বচ্ + তি = উক্তি

নশ + ণক = নাশক

কৃ + তৃচ্ = কর্তা

হস্ + য = হাস্য

মহ + শতৃ = মহৎ

কৃ + অক = কারক

নী + অন = নয়ন

হন্ + ত = হত

বুধ + তি = বুদ্ধি

মৃ + অনট্ = মরণ

বচ্ + তৃচ = বক্তা

কৃ + য = কার্য

গৈনী + অন = গান

শী + আন = শয়ন

নী + তি = নীতি

কৃ + ত = কৃত

দা + তৃচ = দাতা

স্মৃ + অনট্ = স্মরণ

দয় + আলু = দয়ালু

বাচ্ + মিন = বাগ্মী

বিদ্ + অন = বেদন

শ্রু + অন = শ্রবণ

পচ্ + ণক = পাচক

গম্ + ত = গত

নী + তৃচ = নেতা

গম্ + অনট্ = গমন

দৃশ + অনীয় = দর্শনীয়

চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

পত + অন = পতন

ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত

ক্লিশ্ + ত = ক্লিষ্ট

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

শ্রু + অনট্ = শ্রবণ

ফল্ + অন্ত = ফলন্ত

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

বংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় বহুবিধ। যেমন: অই, অক, অল, আই, আচ, আ, অন, আইত, আরি, আরী, আচি, আর, আরু, আলি, আল, ই, ঈ, ইয়া, (এ), কর, কার, ওয়া, উলি, উকি, গিরি, টিয়া, (ট), টা, জাত, পনা, না, তা, দার, ড়া, ময়, ভর, পানা ইত্যাদি। এগুলো বাংলা মূল শব্দের পরে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

১.অ-প্রত্যয় : অনুকার শব্দের শেষে বা নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা বস্তু বুঝাতে অ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

ঢল + অ = ঢল ˃ ঢলো

শিব + অ = শিব ˃ শিবো

মূল + অ = মূল ˃ মূলো

কাল + অ = কাল ˃ কালো

২. আ-প্রত্যয় : স্বার্থে, আছে অর্থে, জাত বা উৎপন্ন অর্থে, অবজ্ঞা প্রকাশার্থে, বৃহদার্থে ও বিশেষণে পরিণত করতে আ-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চাক + আ = চাকা

চাষ + আ = চাষা

ঘোড় + আ = ঘোড়া

জঙ্গ + আ = জঙ্গলা

জ্বল + আ = জ্বলা

শ্যাম + আ = শ্যামা

চাঁদ + আ = চাঁদা

ঠোঙ + আ = ঠোঙা

চীন + আ = চীনা

ফাঁক + আ = ফাঁকা

৩. অই-প্রত্যয় : পাঁচ থেকে আঠার পর্যন্ত তারিখ বুঝাতে অই-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পাঁচ + অই = পাঁচই

আঠার + অই = আঠারই

সাত + অই = সাতই

তের + অই = তেরই

৪. অট (ট), আটিয়া (টিয়া, টে) প্রত্যয় : সংশ্লিষ্ট বস্তু অর্থে বা সাদৃশ্য অর্থে বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মলা + অট = মলাট

রোগ + টে = রোগেটে

তুলা ˃ তুল + অট = তুলট

তামা + টিয়া = তামাটিয়া ˃ তামাটে

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ভরা + অট = ভরাট

লম্বা + টিয়া = লম্বাটিয়া ˃ লম্বাটে

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

৫. আ আনো-প্রত্যয় : আন আনো প্রত্যয়ান্ত শবদটি বিশেষণ হয়। যেমন:

হাত + আন = হাতান ˃ হাতানো

জুত + আন = জুতান ˃ জুতানো

বেত + আন = বেতান ˃ বেতানো

যোগ + আন = যোগান ˃ যোগানো

৬. আনি-প্রত্যয় : ভাবার্থে, কার্যার্থে, স্বার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষ্য হয়। যেমন:

বক বক + আনি = বকবকানি

তল + আনি = তলানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

কাতর + আনি = কাতরানি

হাঁপ + আনি = হাঁপানি

৭. আই-প্রত্যয় : আই-প্রত্যয় বিভিন্নঅর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ক. বিশেষ্য পদ গঠনে (আদরার্থে) :

নিম + আই = নিমাই

বল + আই = বলাই

কান + আই = কানাই

মধু + আই = মাধাই

খ. বিশেষ্য পদ গঠনে (ভাবার্থে) :

লম্ব + আই = লম্বাই

বড় + আই = বড়াই

চড়া + আই = চড়াই

খাড়া + আই = খাড়াই

গ. বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে (কর্ম অর্থে) :

বাঁধ + আই = বাঁধাই

কাম + আই = কামাই

সাফ + আই = সাফাই

চোর + আই = চোরাই

ঘ. বিশেষ্য পদ গঠনে (উৎপন্ন অর্থে)

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ধান + আই = ধানাই

মোগল + আই = মেগলাই

ঙ. বিশেষ্য পদ গঠনে (সম্বন্ধ অর্থে)

বোন + আই = বোনাই

মিঠা + আই = মিঠাই

ননদ + আই = ননদাই

জেঠা + আই = জেঠাই

৮. আমি (মি) প্রত্যয় : ভাব বা কাজ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

পাক্য + আমি = পাকামি

গোঁড়া + আমি = গোঁড়ামি

পাগল + আমি = পাগলামি

ফাজিল + আমি = ফাজলামি

৯. আলি, আলী-প্রত্যয় : সম্বন্ধ বা সাদৃশ্য অর্থে এবং ভাবার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

চতুর + আলী = চতুরালী

ঘটক + আলি = ঘটকালি

সোনা + আলি = সোনালি

ভাটি + আলি = ভাটিয়ালি

মেয়ে + আলী = মেয়েলী

রূপা + আলি = রূপালি

১০. আচ, আচি-প্রত্যয় : এ প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

বেঙ + অচি = বেঙাচি

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

ধুনা + আচি = ধুনাচি

কান + আচ = কানাচ

১১. আর, আরি, আরী-প্রত্যয় : ব্যবসা, পেশা বা বৃত্তি বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

সুত + আর = সুতার

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

কাট + আরি = কাটারি

ঝি + আরী = জিয়ারী

রকম + আরি = রকমারি

১২. ইয়া এ-প্রত্যয় : সংযোগ বা সম্বন্ধ বুঝাতে ইয়া এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

মোট + ইয়া = মুটিয়া ˃ মুটে

জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

বালি + ইয়া = বালিয়া ˃ বেলে

পাহাড় + ইয়া = পাহাড়িয়া ˃ পাহারে

আষাঢ় + ইয়া = আষাঢ়িয়া ˃ আষাঢ়ে

১৩. ই, ঈ-প্রত্যয় : ভিন্নার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন-

ক. ভাব অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে ঃ

সওদাগর + ই = সওদাগরি

বাহাদুর + ই = বাহাদুরি

উমেদার + ই = উমেদারি

খ. পেশা বা বৃত্তি অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষণ হয়ঃ

চাষ + ঈ = চাষী

ব্যাপর + ঈ = ব্যাপারী

রাখাল + ঈ = রাখালী

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পোদ্ধার + ঈ = পোদ্ধারী

ডাক্তার + ঈ = ডাক্তারী

গ. জাত, আগত, বা সম্বন্ধ অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে

গুজরাট + ঈ = গুজরাটী

বিলাত = ঈ = বিরাতী

পসার + ঈ = পসারী

পাঞ্জাব + ঈ = পাঞ্জাবী

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রেমম + ঈ = রেশমী

ঘ. মালিক অর্থে

দোকান + ঈ = দোকানী

জমিদার + ঈ = জমিদারী

১৪. উয়া ও-প্রত্যয় : বিশেষণার্থে, সম্বন্ধ বা সংযোগ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষন হয়। যেমন:

পট + উয়া = পটুয়া ˃ পটো

মাছ + উযা = মাছুয়া ˃ মেছো

জড় + উয়া = ঝড়-য়া ˃ ঝড়ো

মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

১৫. উ, উক-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

হিংসা + উক = হিংসুক

সাঁতার + উ = সাঁতারু

ভাব + উক = ভাববুক

নীচু + উ = নীচু

মিশ + উক = মিমুক

১৬. উড়িয়া উড়ে প্রত্যয় : প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

খেলা + উড়িয়া = খেলুড়িয়া ˃ খেলুড়ে

হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

চাষা + উড়িয়া = চাষাড়িয়া ˃ চাষাড়ে

১৭. বন্ত, মন্ত-প্রত্যয় : আছে অর্থে ও যুক্ত অর্থে বন্ত, মন্ত প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

শ্রী + মন্ত = শ্রীমন্ত

ভাগ্য + বন্ত = ভাগ্যবন্ত

বুদ্ধি = মন্ত = বুদ্ধিমন্ত

গুণ + বন্ত = গুণবন্ত

পয় + মন্ত = পয়মন্ত

১৮. ভর, ভরা-প্রত্যয় : পূর্ণতা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

দিন + বর = দিনভর

গাল + ভরা = গালভরা

রাত + ভর = রাতভর

১৯. ত, তা, তি- প্রত্যয় : আত্মীয় ও ভাবার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খালা + ত = খালাত

সম + তা = সমতা

মামা + ত = মামাত

চাক + তি = চাকতি

ধর + তা = ধরতা

জাল + তি = জালতি

২০. কা-প্রত্যয় : সাদৃশ্য বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ঘাল + কা = হালকা

দম + কা = দমকা

২১. কার-প্রত্যয় : স্বরবর্ণের চিহ্ন বুঝাতে এবং সম্পর্কিত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

আ + কার = আকার

উপর + কার = উপরকার

উ + কার = উকার

ভিতর + কার = ভিতরকার

২২. পানা, পারা-প্রত্যয় : সাদৃশ হতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

লম্বা + পানা = লম্বাপানা

চাঁদ + পারা = চাঁদপারা

চাঁদ + পানা = চাঁদপানা

পাগল + পারা = পাঘলপারা

কুলো + পনা = কুলোপানা

২৩. পনা-প্রত্যয় : ভাব বা আচরণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সতী + পনা = সতীপনা

দুরন্ত + পনা = দুরন্তপনা

গুন + পনা = গুণপনা

বীর + পনা = বীরপনা

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

গৃহিণী + পনা = গৃহিণীপনা

২৪. টা, টি-প্রত্যয় : নির্দিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

নেং + টা = নেংটা

কলম + টি = কলমটি

ডাল + টা = ডালটা

ছিপ্ + টি = ছিপটি

২৫. ন, না-প্রত্যয় : সম্পর্কীয় এবং বিশিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মিতা + ন = মিতান

ফাৎ + না = ফাৎনা

বেহাই + ন = বেহাইন

দাল + না = দালনা

২৬. উ, উলী-প্রত্যয় : আদর প্রকাশ করতে ও ক্ষুদ্রতা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খোকা + উ = খুকু

আধ + উলী = আধুলী

দুষ্ট + উ = দুষ্টু

হাঁস + উলী = হাঁসুলী

২৭. স, সী-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও সৌন্দর্য অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ফান + স = ফানুস

রূপ + সী = রূপসী

খোল + স = খোলস

২৮. অল-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও স্বার্থে ‘অল’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

হাত + অল = হাতল

বাদ + অল = বাদল

মাথা + অল = মাথাল

তাত + অল = তাতল

২৯. আইত-প্রত্যয় : আছে অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পোয়া + আইত = পোয়াইত

সেবা + আইত = সেবাইত

৩০. ময়-প্রতয় :

ঘর + ময় = ঘরময়

গ্রাম + ময় = গ্রামময়

বাড়ি + ময় = বাড়িময়

শহর + ময় = শহরময়

কাদা + ময় = কাদাময়

জল + ময় = জলময়

৩১. ড়, ড়া, ড়ী-প্রত্যয় :

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

খাগ + ড়া = খাগড়া

আছ + ড় = আছড়

চাম + ড়া = চামড়া

পাগ + ড়ী = পাগড়ী

৩২. ওয়া-প্রত্যয় :

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

পর + ওয়া = পরোয়া

চাঁদ + ওয়া = চাঁদোয়া

■ বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

হাত + আ = হাতা

ধ্রুপদ + ঈ = ধ্রুপদী

ভাটি + আল = ভাটিয়াল

ভিখ + আরী = ভিখারী

পো + লা = পোলা

রাজ + ড়া = রাজড়া

পাত = আ = পাতা

চাষ + ঈ = চাষী

বঙ্গ + আল = বাঙ্গাল

ঝি + আরী = ঝিয়ারী

মঘ + লা = মেঘলা

ফর + সা = ফরসা

পাগল + আ = পাগলা

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রস + আল = রসাল

মাঝ + আরি = মাঝারি

কাম + লা = কামলা

গাছ + ড়া = গাছড়া

চাঁদ + আ = চাঁদা

চালাক + ঈ = চালাকী

ধার + আল = ধারাল

দাপ + অট = দাপট

মি + আলী = মিতালী

লাল + চে = লালচে

এক + আ = একা

মরমা + ঈ = মরমী

নাক + আনি = নাকানি

মলা + অট = মলাট

ঘটক + আলি = ঘটকালী

ঘাম + চি = ঘামাচি

রঙ + আ = রাঙা

শিকার + ঈ = শিকারী

আম + আনি = আমানি

শুখা + টি = শুখটি ˃ শুটকি

জল + ওয়া = জলো

বেঙ + চি = বেঙাচি

চাকর + ই = চাকরি

খোকা + উ = খুকু

বড় + আই = বড়াই

নেহ + টা = নেহটা

গাঁ + ওয়া = গাঁওয়া ˃ গেঁয়ো

জন + পিছু = জনপিছু

গোল + ই = গুলি

চাল + উ = চালু

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ঘোলা + টে = ঘোলাটে

টাক + ওয়া = টেকো

গো + রু = গোরু

ছোরা + ই = ছুরি

সাঁতার + উ = সাঁতারু

মিঠা + আই = মিঠাই

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

বোম + আরু = বোমারু

কাঠ + ই = কাঠি

হাত + অল = হাতল

চোর + আই = চোরাই

খে + টা = খেমটা

বন + উয়া = বুনো

ছাত + আ = ছাতা

চালাক + ই = চালাকি

লাঠি + আল = লাঠিয়াল

আঠার + অই = আঠারই

হিম + এল = হিমেল

লাজ + উক = লাজুক

পিছ + অন = পিছন

বাঙ্গল + ই = বাঙ্গালি

দুধ + আল = দুধাল

পেট + উক = পেটুক

সুর + এলা = সুরেলা

দিন + ভর = দিনভর

এক + হারা = একহারা

পশম + ই = পশমী

আড় + আল = আড়াল

ছেলে + আমি = ছেলেমি

ঝাম + এলা = ঝামেলা

রাত + বর = রাতভর

মানান + সই = মানানসই

পোঁথা + ই = পুঁথি

দাঁত + আল = দাঁতাল

বোকা + আমি = বোকামি

আগ + ল = আগল

পান + ওয়ালা = পানওয়ালা

পাত + লা = পাতলা

দালাল + ই = দালালি

ধার + অল = ধারাল

ঘর + আমি + ঘরামি

হাট + উড়িয়া = হাটুড়িয়া

বাড়ি + ওয়ালা = বাড়িওয়ালা

কোঠ + রী = কোঠরী

জমিদার + ই = জমিদারি

গাজ + অর = গাজর

পাগল + আমি = পাগলামি

সাব + আড় = সাবাড়

শহর + ইয়া বা এ = শহুরে

মাসী + তুত = মাসতুত

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পেচা + আন = পেচান

আমোদ + এ = আমুদে

ভাগ + আড় = ভাগাড়

দরদ + ঈ = দরদী

সতী + ন = সতীন

দুষ্ট + আমি = দুষ্টামি

জুতা + আনো = জুতানো

জেঠা + ত = জেঠাত

কাঠ + আমো = কাঠামো

রাখাল + ঈ = রাখালী

মাতা + পিছু = মাথাপিছু

চাম + আর = চামার

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

মামা + ত = মামাত

বোমা + আরু = বোমারু

দেশ + ঈ = দেশী

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

সোনা + আর = সোনার

সেবা + ইত = সেবাইত

বীর + পনা = বীরপনা

চমক + ইত = মেকিত

করাত + ঈ = করাতী

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

ভাঁড় + আর = ভাড়ার

হাত + ইয়ার = হাতিয়ার

ঢোল + ক = ঢোলক

কালা + গোছের = কালাগোছের

দর্শন + ঈ = দর্শনী

দেশ + ময় = দেশময়

সুতা + আর = সুতার

কুঠি + ইয়াল = কুঠিয়াল

দম + কা = দমকা

গুদাম + জাত = গুদামজাত

হিসাব + ঈ = হিসাবী

পেট + রা = পেটরা

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

লাঠি + ইয়াল = লাঠিয়াল

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া

দোকান + ঈ = দোকানী

তবলা + চী = তবলচী

পূজা + আরী = পূজারী

কুঁচ + কে = কুঁচকে

জুয়া + ড়ি = জুয়াড়ি

বই + ঠা = বইঠা

শান্তিপুর + ঈ = শান্তিপুরী

নেশা + খোর = নেশাখোর

মশা + আরি = মশারী

শত + কিয়া = শতকিয়া

মুখ + স = মুখশ ˃ মুখোশ

চাচা + ত = চাচাত

চাল + তি = চলতি

সওদা + গর = সওদাগর

হুকুম + নামা = হুকুমনামা

বিতর + কার = ভিতরকার

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

ষ, ষিক, ইমন, ইলচ, ইন, ষ্ণীয়, তা, ত্ব, তর, তম, ঈয়স, ইষ্ট, বতুপ, মতুপ, বিন, ও, ষ্ণ্য, লচ, আলু ইত্যাদি প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। এ প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত মূল শব্দে পরে বসে। যেমন:

১. ষ (অ) প্রত্যয় : ষ-প্রত্যয় যে শব্দের সাথে যুক্ত হয়, তার মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়:

ক. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘অ’ স্থানে ‘আ’ হয়। যেমন:

বস্তু + ষ্ণ = বাস্তব

মনু + ষ্ণ = মানব

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

যদু + ষ্ণ = যাদব

ভরত + ষ্ণ = ভারত

শরৎ + ষ্ণ = শারদ

খ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ই, ঈ এ স্থানে ঐ হয়। যেমন:

হেম + ষ্ণ = হৈম

স্ত্রী + ষ্ণ = স্ত্রৈণ

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

গ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘ঋ’ স্থানে ‘আর’ হয়। যেমন:

ঋষি + ষ্ণ = আর্য

ঘ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে উ, ঊ , ও স্থানে ঔ হয়। যেমন:

চোর + ষ্ণ = চৌর

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

বুদ্ধ + ষ্ণ = বৌদ্ধ

গরু + ষ্ণ = গৌরব

২. ষ্ণি (ই) প্রত্যয় : ‘ই’ যোগ হয় এবং মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যেমন:

দশরথ + ষ্ণি = দাশরথি (অ-স্থলে আ)

সুমিত্রা + ষ্ণি = সৌমিত্রি (উ-স্থলে ঔ)

৩. ষ্ণিক (ইক) প্রত্যয় : দক্ষ বা সম্বন্ধীয় অর্থে বিশেষ্যের উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ পদ গঠিত হয় এবং মূল স্বর বৃদ্ধি পায়। যেমন:

বেদ + ষ্ণিক = বৈদিক (এ স্থলে ঐ)

বচন + ষ্ণিক = বাচনিক (অ স্থলে আ)

বিমান + ষ্ণিক = বৈমানিক (ই স্থলে ঐ)

বেতন + ষ্ণিক = বৈতনিক (এ স্থলে ঐ)

৪. ইমন (ইমা) প্রত্যয় : ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নীল + ইমন = নীলিমা

কাল + ইমন = কালিমা

চন্দ্র + ইমন = চন্দ্রিমা

রক্ত + ইমন = রক্তিমা

৫. ইন্ (ঈ) প্রত্যয় : সাধারণত বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমণ:

জ্ঞান + ইন্ = জ্ঞানী

গুণ + ইন = গুণী

মান + ইন = মানী

প্রাণ + ইন = প্রণী

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কর্তৃকারকের এক বচনে ইন্-প্রত্যয় ‘ঈ’ রূপ গ্রহণ করে।

৬. ষ্ণেয় (এয়) প্রত্যয় : অপত্য ও ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অগ্নি + ষ্ণেয় = আগ্নেয়

ভাগনী + ষ্ণেয় = ভাগ্নেয়

পথ + ষ্ণেয় = পাথেয়

গঙ্গা + ষ্ণেয় = গাঙ্গেয়

৭. ষ্ণীয় (ঈয়) প্রত্যয় : সম্বন্ধ অর্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

স্বর্গ + ষ্ণীয় = স্বর্গীয়

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

দল + ষ্ণীয় = দলীয়

৮. ইতচ (ইত) প্রত্যয় : ‘আছে’ ও ‘জাত’ অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

মূর্ছা + ইতচ্ = মূর্ছিত

নিদ্রা + ইতচ্ = নিদ্রিত

লজ্জা + ইতচ্ = লজ্জিত

কুসুম + ইতচ্ = কুসুমিত

৯. ইলচ (ইল) প্রত্যয় : উপকরণ জাত অর্থে ইলচ (ইল) প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

সর্প + ইলচ = সর্পিল

উর্মি + ইলচ = উর্মিল

কুট + ইলচ = কুটিল

পঙ্ক + ইলচ = পঙ্কিল

১০. ষ্ণ্য (য) প্রত্যয় : ‘য’ যোগ হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

কুমার + ষ্ণ্য = কৌমার্য (উ স্থলে ঔ)

ধীর + ষ্ণ্য = ধৈর্য (ঈ স্থলে ঐ)

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য (ই স্থলে ঔ)

স্থির + ষ্ণ্য = স্থৈর্য ( ই স্থলে ঐ)

১১.আলু-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে বিশেষ্যের সঙ্গে আলু প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ গঠিত হয়। যেমন:

দয়া + আলু = দয়ালু

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

ভাব + আলু = ভাবালু

স্বপ্ন + আলু = স্বপ্নালু

১২. ঈন-প্রত্যয় : ভাব অর্থে ‘ঈন’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অভ্যন্তর + ঈন = অভ্যন্তরীণ

তৎকাল + ঈন = তৎকালীন

সম্মুখ + ঈন = সম্মুখীন

নব = ঈন = নবীন

১৩. লচ (ল) প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং ‘লচ’ প্রত্যয়ের ‘ল’ যোগ হয়। যেমন:

পিঙ্গ + লচ = পিঙ্গল

শ্যাম + লচ = শ্যামল

কুশ + লচ = কুশল

মাংস + লচ = মাংসল

শীত + লচ = শীতল

বৎস + লচ = বৎসল

১৪. বতুপ, মাতুপ-প্রত্যয় : বতুপ (বৎ) এবং মাতুপ (মৎ) প্রত্যয় প্রথমার একবচনে যথাক্রমে ‘বা’ ও ‘মান’ হয়। বিশেষণ গঠনে বতুপ ও মাতুপ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ভাগ্য + বতুপ = ভাগ্যবান

বুদ্ধি + বতুপ = বুদ্ধিমান

ধন + বতুপ = ধনবান

শ্রী + মতুপ = শ্রীমান

পুণ্য + বতুপ = পুণ্যবান

শক্তি + মতুপ = শক্তিমান

১৫. তর, তম-প্রত্যয়ঃ অতিশায়নে ‘তর’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমনÑ

প্রিয় + তর = প্রিয়তর

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

অধিক + তম = অধিকতম

১৬. বিন (বী) প্রত্যয়ঃ এ প্রত্যয় বিশেষণ গঠনে যুক্ত হয়। যেমনÑ

মায়া + বিন = মায়াবী

যশস্ + বিন = যশস্বী

তপস্ + বিন = তপস্বী

মেধা + বিন = মেধাবী

তেজস্ + বিন = তেজস্বী

মনস + বিন = মনস্বী

১৭. ঈয়স, ইষ্ঠ-প্রত্যয়ঃ দুয়ের মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ঈয়স’ এবং বহুর মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ইষ্ঠ’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

লঘু + ঈয়স = লঘীমান

বল + ইষ্ঠ = বলিষ্ঠ

গুরু + ঈয়স = গরীয়ান

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ট

১৮. র-প্রত্যয়ঃ আছে অর্থে ‘র’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রথ্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন

নখ + র = নখর

মুখ + র = মুখর

শিখ + র = শিখর

কুঞ্জ + র = কুঞ্জর

উষ + র = উষরমধু + র = মধুর

১৯. ত্ব-প্রত্যয়ঃ ভাব বা গুণ বুঝাতে বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমনÑ

সতী + ত্ব = সতীত্ব

স্বল্প + ত্ব = স্বল্পত্ব

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

মহৎ + ত্ব = মহত্ত্ব

পশু + ত্ব = পশুত্ব

দাস + ত্ব = দাসত্ব

২০. তা-প্রত্যয়: ভাব, গুণ, বৃত্তি অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

জন + তা = জনতা

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সাধু + তা = সাধুতা

অলস + তা = অলসতা

সচল = তা = সচলতা

সৎ + তা = সততা

চঞ্চল + তা = চঞ্চলতা

প্রাচীন + তা = প্রাচীনতা

জটিল + তা = জটিলতা

■ সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়ের উদাহরণ

প্রকৃতি ও প্রত্যয় = শব্দ

মানব + ষ্ণ = মানব

সময় + ষ্ণিক = সাময়িক

পল্লব + ইত = পল্লবিত

দুগিত্ব + ষ্ণ = দৌহিত্র

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

ফেন + ইল = ফেনিল

বস্ত + ষ্ণ = বাস্তব

মানস + ষ্ণিক = মানসিক

পঙ্ক + ইল = পঙ্কিল

নিশা + ষ্ণ = নৈশ

ধর্ম + ষ্ণিক = ধার্মিক

অদঃ + তন = অধস্তন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

সময় + ষ্ণক = সাময়িক

ঊর্ধ্ব + তণ = ঊর্ধ্বতন

অলস + ষ্ণ = আলসা

লোক + ষ্ণিক = লৌকিক

পুরা + তন = পুরাতন

বন + ষ্ণ = বন্যা

নীতি + ষ্ণিক = নৈতিক

প্রাক + তন = প্রাক্তন

পুত্র + ষ্ণ = পৌত্র

মানব + ষ্ণিক = মাববিক

বিজ্ঞান + ইক = বৈজ্ঞানিক

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

সাধু + তা = সাধুতা

প্রাচ + যক = প্রাচ্য

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সেনা + য = সৈন্য

গম্ভীর + ষ্ণ = গাম্ভীর্য

মম + তা = মমতা

তালু + যক = তালব্য

সখা + ষ্ণ = সখ্য

অলস + তা = অলসতা

জল + ময় = জলময়

ছাত্র + ষ্ণ = ছাত্র

দৃঢ় + তা = দৃঢ়তা

বাক + ময় = বাক্সময়

মুনি + ষ্ণ = মৌন

বক্তৃ + তা = বক্তৃতা

লৌহ + ময় = লৌহময়

দনু + ষ্ণ = দানব

লঘু + তা = লঘুতা

মৃদ + ময় = মৃন্ময়

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য

ভদ্র + তা = ভদ্রতা

চিৎ + ময় = চিন্ময়

গ্রাম + ষ্ণ = গ্রাম্য

নীচ + তা = নীচতা

গুণ + ময়ট্ = গুণময়

মধুর + ষ্ণ = মাধুর্য

এক + তা = একতা

তদ্ + ময় = তন্ময়

তিল + ষ্ণ = তৈল

কবি + তা = কবিতা

পথ + এয় = পাথের

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

স্বাধীন + তা = স্বাধীনতা

গুরু + ইমন = গরীমা

পৃথিবী + ষ্ণ = পার্থিব

নেতৃ + ত্ব = নেতৃত্ব

লঘু + ইমন = লঘিমা

কিশোর + ষ্ণ = কৈশোর

স্ব + ত্ব = স্বত্ব

নীল + ইমন = নীলিমা

বার্ধক + ষ্ণ = বার্ধক্য

মম + ত্ব = মমত্ব

জ্ঞান + বতুপ = জ্ঞানবান

সভা + ষ্ণ = সভ্য

কৃতি + ত্ব = কৃতিত্ব

বুদ্ধি + মতুপ = বুদ্ধিমান

ভাস্কর + ষ্ণ = ভাস্কর্য

বীর + ত্ব = বীরত্ব

গুণ + বতুপ = গুণবান

দশরথ + ষ্ণ = দাশরথি

এক + ত্ব = একত্ব

শীত + ল = শীতল

লঘু + ষ্ণ = লাঘব

ব্যাক্তি + ত্ব = ব্যক্তিত্ব

নব + ঈন = নবীন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

বিমাতা + ষ্ণেয় = বৈমাত্রেয়

সুজন + ষ্ণ = সৌজন্য

বন্ধু + ত্ব = বন্ধুত্ব

স্ব + ঈয় = স্বীয়

মনু + ষ্ণ = মনুষ্য

বৃহৎ + তর = বৃহত্তর

মধু + র = মধুর

প্রমাণ + ষ্ণ = প্রামাণ্য

লঘু + তর = লঘুতর

আদি + যক = আদ্য

রাবণ + ষ্ণ = রাবণি

উচ্চ + তর = উচ্চতর

আত্ম + বৎ = আত্মবৎ

চক্ষু + ষ্ণ = চাক্ষুস

অন্য + তম = অন্যতম

ক্ষুধা + ইত = ক্ষুধিত

স্থির + ষ্ণ = স্থৈর্য

দ্রুত + তম = দ্রুততম

শ্রেয়স + ইষ্ঠ = শ্রেষ্ঠ

ধীর + ষ্ণ = ধৈর্য

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

রোম + শ = রোমশ

সেনা + ষ্ণ = সৈন্য

গ্রাম + ইন = গ্রামীণ

মেধা + বিন = মেধাবী

নগর + ষ্ণিক = নাগরিক

কিম + চিত = কিঞ্চিত

দেহ + ষ্ণীয় = দৈহিক

রোগ + ইন = রোগী

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

বর্ষ + ষ্ণীয় = বার্ষিক

পক্ষ + ইন = পক্ষী

গুণ + ইন = গুণী

দেহ + ষ্ণীয় = দৈনিক

কুল + ঈন = পাখি

লজ্জা + ইন = লজ্জিত

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

জটা + ইল = জটিল

মাংসা + ল = মাংসল

লোক + ষ্ণীয় = লৌকিক

রোগ + ইন = রোগী

বল + বাল = বলবান

দীর্ঘ + তম = দীর্ঘতম

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ঠ

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

বৃহৎ + তম = বৃহত্তম

মুখ + র = মুখর

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

সর্ব + দা = সর্বদা

মধু + র = মধুর

শ্যাম + ল = শ্যামল

দয়া + আলু = দয়ালু

পিতৃ + বৎ = পিতৃব্য

বাঙ্গাল + ই = বাঙ্গালি

রোম + শ = রোমশ

মধ্য + ম = মধ্যম

মনস + ঈষা = মনীষা

কর্ক + শ = কর্কশ

এক + দা = একদা

লঘু + ইষ্ঠ = লঘিষ্ঠ

লোক + শ = লোমশ

আদি + ম = আদিম

বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়

বিদেশী প্রত্যয় বলতে বিশেষত ফারসি ভাষা থেকে আগত প্রত্যয়গুলোকেই বুঝায়। আনা, ওয়ালা, নবীশ, সই, দান (দানী),খানা, আনি, ওয়ান, গিরি, বন্দী, নামা, বাজ, প্রত্যয়সমূহই বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়। নিচে বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ দেওয়া হল ঃ

১. আনা -প্রত্যয়ঃ ভাব বা সম্পর্কীয় মুদ্রা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

গরিব + আনা = গরিবানা

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

মুন্সি + আনা = মুন্সিয়ানা

মালিক + আনা = মালিকানা

নজর + আনা = নজরানা

মোহর + আনা = মোহরানা

২. আনি-প্রত্যয়ঃ ভাব ও কার্য বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কাতর + আনি = কাতরানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

তল + আনি = তলানি

৩. ওয়ান-প্রত্যয়ঃ কার্য বা পেশা বুঝাতে ‘ওয়ান’ প্রত্যয় ব্যহৃত হয়। যেমন:

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

(দ্বার) দার + ওয়ান = দারোয়ান

কোচ + ওয়ান = কোচোয়ান

পাল + ওয়ান = পালোয়ান

৪. ওয়ালা-প্রত্যয়ঃ মালিকানা অর্থে এ প্রত্যয়ের ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চুড়ি + ওয়ালা = চুড়িুয়ালা

দুধ + ওয়ালা = দুধওয়ালা

ফেরি + ওয়ালা = ফেরিওয়ালা

গাড়ি + ওয়ালা = গাড়িওয়ালা

৫. খানা-প্রত্যয়ঃ স্থান বা দোকান বোঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চিড়িয়া + খানা = চিড়িয়াখানা

কয়েদ + খানা = কয়েদখানা

বৈঠক + খানা = বৈঠকখানা

কসাই + খানা = কসাইখানা

ছাপা + খান = ছাপাখানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

৬. গর-প্রত্যয়ঃ নির্মাণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সওদা + গর = সওদাগর

বাজি + গর = বাজিগর

কারি + গর = কারিগর

৭. গিরি-প্রত্যয়ঃ ভাব বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

গোয়েন্দা + গিরি = গোয়েন্দাগিরি

বাবু + গিরি = বাবুগিরি

মুটে + গিরি = মুটেগিরি

৮. খোর-প্রত্যয়ঃ নিন্দিত দ্রব্য সেবনকারী বা গ্রহণকারী অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নেশা + খোর = নেশাখোর

চশম + খোর = চশমখোর

হারাম + খোর = হারামখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

৯. বাজ, বাজি-প্রত্যয়ঃ অভ্যস্থ বা নিন্দিত কার্য অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

ধোঁকা + বাজ = ধোঁকাবাজ

গলা + বাজ = গলাবাজ

গল্প + বাজ = গল্পবাজ

আপ্পা + বাজি = ধাপ্পাবাজি

নকল + বাজ = নকলবাজ

গুন্ডা + বাজি = গুন্ডাবাজি

১০. নার, নারি-প্রত্যয়ঃ মালিকানা, ব্যবসায় বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা কখনও কখনও বিশেষণও হয়। যেমন:

চৌকি + দার = চৌকিদার

দোকান + দারি = দোকানদারি

চটক + দার = চটকদার

জমি + দারি = জমিদারি

পেশা + দার = পেশাদার

তালুক + দারি = তালুকদারি

১১. চা-প্রত্যয়ঃ ক্ষুদ্র অর্থে ‘চা’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চাম + চা = চামচা

বাগ + চা = বাগচা

নলি + চা = নলিচা

গালি + চা = গালিচা

১২. চি-প্রত্যয়ঃ আধার অর্থে ‘চি’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

মশাল + চি = মশালচি

ধুনা + চি = ধুনাচি

ধুপ + চি = ধুপচি

কলম + চি = কলমচি

১৩. সই-প্রত্যয়ঃ যোগ্য, উপযুক্ত, প্রমাণ ও পরিমাণ অর্থে ‘সই’-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চলন + সই = চলনসই

মানান + সই = মানানসই

টেক + সই = টেকসই

মাপ + সই = মাপসই

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘টিপসই’ ও ‘নামসই’ শব্দ দুটির ‘সই’ শব্দটি প্রত্যয় নয়। কারণ এটি সহি (স্বাক্ষর) শব্দ থেকে উৎপন্ন ‘সই’ হয়।

১৪. দান, দানি-প্রত্যয়: আধার অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

ফুল + দানি = ফুলদানি

বাতি + দান = বাতিদান

ছাই + দান = ছাইদান

আতর + দান = আতরদান

পিক + দান = পিকদান

কলম + দান = কলমদান

১৫. বন্দ, বন্দী-প্রত্যয়ঃ বন্ধ বা গৃহীত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কোমর + বন্দ = কোমরবন্দ

জবান + বন্দী = জবানবন্দী

নজর + বন্দ = নজরবন্দ

বাক্স + বন্দী = বাক্সবন্দী

১৬. নবীশ-প্রত্যয়ঃ অভিজ্ঞ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

হিসাব + নবীশ = হিসাবনবীশ

পত্র + নবীশ = পত্রনবীশ

শিক্ষা + নবীশ = শিক্ষানবীশ

নকল + নবীশ = নকলনবীশ

১৭. নামা-প্রত্যয়ঃ দলিল অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ওকালত + নামা = ওকালতনামা

ওসিয়ত + নামা = ওসিয়তনামা

■ বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

আতর + দান = আতরদান

পাওনা + দার = পাওনাদার

নজর + আনা = নজরানা

গোসল + খানা = গোসলখানা

খবর + দার = খবরদার

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

জেল + খানা = জেলখানা

অংশী + দার = অংশীদার

বিবি + আনা = বিবিয়ানা

ছাপা + খানা = ছাপাখানা

ঠিকা + দার = ঠিকাদার

মোহর + আনা = মোহরানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

মজা + দার = মজাদার

বাতি + দান = বাতিদান

পিল + খানা = পিলখানা

সমঝ + দার = সমঝদার

দপ্তর + খানা = দপ্তরখানা

ডেপুটি + গিরি = ডেপুটিগিরি

চৌকি + দার = চৌকিদার

মুদি + খানা = মুদিখানা

বাজি + গর = বাজিগর ˃ বাজিকর

জমি + দার = জমিদার

পান + দানি = পানদানি

গুরু + গিরি = গুরুগিরি

সুদ + খোর = সুদখোর

বাতি + দান = বাতিদান

কারি + গর = কারিগর

ঘুষ + খোর = ঘুষখোর

পা + দানি = পাদানি

দোকান + দারি = দোকানদারি

মদ + খোর = মদখোর

ফুল + দানি = ফুলদানি

নেতা + গিরি = নেতাগিরি

চশম + খোর = চশমখোর

ছাই + দানি = ছাইদানি

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

তামাক + খোর = তামাকখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

মামলা + বাজ = মামলাবাজ

কেমন + তর = কেমনতর

জুত + সই = জুতসই

উকিল + নবিশ = উকিলনবিশ

বহু + তর = বহুতর

পছন্দ + সই = পছন্দসই

শিক্ষা + নবিশ = শিক্ষানবিশ

চিলম + চি = চিলমচি

প্রমাণ + সই = প্রমাণসই

জমা + নবিশ = জমানবিশ

বাগ + চা = বাগচা ˃ বাগিচা

মানান + সই = মানানসই

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

চাম্ + চা = চামচা

দশা+ সই = দশাসই

মজুদ + দার = মজুতদার

মশাল + চি = মশালচি

ধোঁকা + বাজি = ধোঁকাবাজ

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

নজর + বন্দী = নজনবন্দী

ফাঁকি + বাজ = ফাঁকিবাজ

দখল + নামা= দখলনামা

গৃহ + বন্দী = গৃহবন্দী

চাল + বাজ = চালবাজ

দ্বার + আনা = দারোয়ান

কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়

প্রদত্ত শব্দ প্রকৃতি + প্রত্যয়

প্রত্যয়ের নাম

অংশীদার = অংশী + দার

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

অতিথি = অত + ইথিন্

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অন্তিম = অন্ত + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অভাব = অ + ভূ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অচেনা = অ + চিন + আ

কৃৎ প্রত্যয়

অধ্যয়ন = অধি + ই + অন

কৃৎ প্রত্যয়

অনুজ = অনু + জন্ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অগ্রিম = অগ্র + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অজানা = অ + জান্ + আ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অর্ঘ = অর্ঘ + ষ্ণ্য

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আদুরে = আদর + ইয়া = আদরিয়া ˃ আদুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

আর্থিক = অর্থ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

আড়তদার = আড়ত + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

আঠাল = আঠা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

আধুলি = আধ্ + উলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

আগ্নেয় = অগ্নি + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

আকস্মিক = অকস্মাৎ + ষ্ণিক

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আভিজাত্য = অভিজাত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ই, ঈ

ইতরামি = ইতর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ইচ্ছুক = ইচ্ছা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঈশ্বর = ঈশ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

উপ্ত = বপ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উঠতি = উঠ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উক্ত = বচ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উক্তি = বচ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উড়ন্ত = উড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

উজান = উজ্ + আন

কৃৎ প্রত্যয়

এ, ঐ, ও

এঁটেল = আঠা + ল = আঠাল ˃ এঁটেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

একলা = এক + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐতিহাসিক = ইতিহাস + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐহিক = ইহ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐন্দ্রজালিক = ইন্দ্রজাল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওকালতি = ওকালত + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওড়না = ওড় + না

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঁদুনে = কাঁদ + উনে

তদ্ধিত প্রত্যয়

করমদানি = কলম + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কর্তব্য = কৃ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

কর্তা = কৃ + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

করণীয় = কৃ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

কমতি = কম + তি

কৃৎ প্রত্যয়

করা = কর + আ

কৃৎ প্রত্যয়

কৌশল = কুশল + অ (অণ্)

তদ্ধিত প্রত্যয়

কৌশিক = কুশিক + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ক্রেতা = ক্রী + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁদন = কাঁদ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁন্না = কাঁদ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

কারক = কৃ + অক (নক)

কৃৎ প্রত্যয়

কৃপণ = কৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কৃষক = কৃষ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁসারি = কাঁসা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাব্য = কবি + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

কারিগর = কারি + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরিয়া = কাঠ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরে = কাঠ + উড়িয়া = কাঠুরিয়া ˃ কাঠুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুলীন = কুল + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

কেজো = কাজ + উয়া = কাজুয়া ˃ কেজো

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুঠিয়াল = কুঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

খ্যাতি = খ্যা + তি

কৃৎ প্রত্যয়

খেকো = খা + উকা = খাউকা ˃ খেকো

কৃৎ প্রত্যয়

খোদাই = খোদ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

খাইয়ে = খা + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

খাওয়া = খা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

খেলোয়ার = খেল্ + ওয়াড়

কৃৎ প্রত্যয়

খেলনা = খেল্ + অনা

কৃৎ প্রত্যয়

খেচর = খে + চর

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

গত = গম + ত

কৃৎ প্রত্যয়

গামন = গম্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

গন্তব্য = গম + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

গায়ক = গৈ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

গরিমা = গুরু + ইমন্

তদ্ধিত প্রত্যয়

গারবিনী = গরব্ + ইনী

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাড়োয়ান = গাড়ি + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

গম্য = গম্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

গালিচা = গালা + ইচা

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাইয়ে = গাহ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

গেঁয়ো = গাঁ + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেছো = গাছ + উয়া = গাছুয়া ˃ গেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেলামি = গোলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাছটি = গাছ + টি

তদ্ধিত প্রত্যয়

গণন = গণ + না

কৃৎ প্রত্যয়

গোলাপী = গোলাপ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গোয়াল = গোয়াল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রাম্য = গ্রাম + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রামীণ = গ্রাম + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

গৃহস্থলি = গৃহস্থ + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরামি = ঘর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরোয়া = ঘর + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘাটতি = ঘাট্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাতক = হন্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাপলা = ঘাপ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘুমন্ত = ঘুম + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ঘুষখোর = ঘুষ + খোর

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘেরাও = ঘির + আও

কৃৎ প্রত্যয়

ঘোলাটে = ঘোলা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘামাচি = ঘাম + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটকালি = ঘটক + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটক = ঘট্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

চীনা = চীন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চড়াই = চড় + আই

কৃৎ প্রত্যয়

চড়াও = চড়্ + আও

কৃৎ প্রত্যয়

চলন = চল্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

চলন্ত = চল্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

চলতি = চল্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

চাপাবাজি = চাপা + বাজি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চলনসই = চলন + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালুনি = চাল্ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাকুরি = চাকর + উরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকুরে = চাকর + ইয়া = চাকরিয়া ˃চাকুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামার = চাম + আর

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামড়া = চাম + ড়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাটাই = চাটা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদা = চাঁদ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদিমা = চাঁদ + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদপনা = চাঁদ + পনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকা = চাক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদোয়া = চাঁদ + ওয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালাকি = চালাক + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিরুনি = চির + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাউনি = চাহ্ + অনি

কৃৎ প্রত্যয়

চৈতালি = চৈত + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিন্ময় = চিৎ + ময়

কৃৎ প্রত্যয়

চোরাই = চোর + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চৌকিদার = চৌকি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

চতুরালি = চতুর + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাপাখানা = ছাপা + খানা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছেলেমি = ছেলে + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছুটি = ছুট্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটে = ছটফট্ + ইয়া = ছটফটিয়া ˃ ছটফটে

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটানি = ছটফট্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাউনি = ছা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাত্র = ছত্র + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাঁটাই = ছাঁট + আই

কৃৎ প্রত্যয়

জয়ী = জি + ইন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমাট = জমা + আট্

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাতীয় = জাতি + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্বলন্ত = জল্ব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জীবন্ত = জীব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জয় = জি + অ

কৃৎ প্রত্যয়

জলা = জল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলো = জলা + উয়া = জলোয়া ˃ জলো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলীয় = জল + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জটিল = জটা + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

জনতা = জন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জালিয়া = জাল + ইয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

জেলে = জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমানো = জম + আনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জবানবন্দি = জবান + বন্দি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জুয়াড়ি = জুয়া + আড়ি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্যাঠামি = জ্যাঠা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাঁকাল = জাঁক + আল

কৃৎ প্রত্যয়

জটলা = জট + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমিদার = জমি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝরনা = র্ঝ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঝলক = ঝল্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়ন = ঝাড় + অন

কৃৎ প্রত্যয়

ঝগড়াটে = ঝগড়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝড়ো = ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া ˃ ঝড়ো

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়-দার = ঝাড়- + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝিয়ারি = ঝি + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝুলন = ঝুল্ + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্ঞানী = জ্ঞান + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ট, ঠ, ড, ঢ

টেকো = টেকো + উয়া = টাকুয়া ˃ টেকো

তদ্ধিত প্রত্যয়

টেকসই = টেক + সই

কৃৎ প্রত্যয়

ঠকা = ঠক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঠ্যাঙ্গাড়ে = ঠ্যাঙ্গা + ড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডাকু = ডাক্ + উ

কৃৎ প্রত্যয়

ডাকাত = ডাক্ + আইত = ডাকাইত ˃ ডাকাত

কৃৎ প্রত্যয়

ডাক্তারি = ডাক্তার + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডিঙ্গা = ডিঙ্গি + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডুবুরি = ডুব্ + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ডুবন্ত = ডুব্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ডেকচি = ডেক্ + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকনা = ঢাক্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঢাকনি = ঢাক্ + নি

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালাই = ঢাল্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালু = ঢাল্ + উ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকাই = ঢাকা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত, থ, দ

তবলচি = তবল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

তৈল = তিল + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত্যাগ = ত্যজ্ + অ (ঘঞ)

কৃৎ প্রত্যয়

তামাটে = তামা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

তাত্ত্বিক = তত্ত্ব + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

তালব্য = তালু + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দ্রাঘিমা = দ্রাঘি + ইমন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশি = দিশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দর্পণ = দৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

দৈন্য = দিন + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাতা = দা + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শন = দৃশ্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শনীয় = দৃশ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

দৃশ্য = দৃশ্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দ্রষ্টব্য = দৃশ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শক = দৃশ্ + অক্

কৃৎ প্রত্যয়

দাপট = দাপ + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাগি = দাগ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দামি = দাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দানব = দনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দালালি = দালাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঁতাল = দাঁত + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাবাড়- = দাবা + উড়িয়া = দাবাড়িয়া ˃ দাবাড়-

তদ্ধিত প্রত্যয়

দার্শনিক = দর্শন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দারোয়ান = দ্বার দার + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঙ্গাবাজ = দাঙ্গা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশারী = দিশ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

দুগ্ধ = দুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

দুধাল = দুধ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুধেল = দুধ + আল = দুধাল ˃ দুধেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেনাদার = দেনা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশী = দেশ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানদার = দোকান + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানি = দোকান + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোলনা = দুল্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

দীঘল = দীর্ঘ + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুষ্টামি = দুষ্ট + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

দৈনিক = দিন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দয়ালু = দয়া + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুঃখিত = দুঃখ + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশীয় = দেশ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিব্য = দিব্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দৈত্য = দিতি + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধ, ন

ধার্মিক = ধর্ম + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধারাল = ধার + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধনুরি = ধনু + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ধোঁয়াটে = ধোঁয়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধৈর্য = ধীর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধেনো = ধান + উয়া = ধানুয়া ˃ ধেনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

নোনতা = নুন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নবীন = নব + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নয়ন = নী + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

নায়ক = নী + অক

কৃৎ প্রত্যয়

নেয়ে = নাও + উয়া = নউয়া ˃ নেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাবিক = নৌ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাগরিক = নগর + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাচিয়ে = নাচ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

নেতা = নী + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

নিড়ানি = নিড়্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

নিদ্রালু = নিদ্রা + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

নীলিমা = নীল + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নজরানা = নজর + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নকলনবীশ = নকল + নবীশ

তদ্ধিত প্রত্যয়

নশ্বর = নশ্ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

পা-ব = পা- + অ (অন)

তদ্ধিত প্রত্যয়

পড়-য়া = পড়্ + উয়া

কৃৎ প্রত্যয়

পড়ন্ত = পড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

পশমি = পশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পঙ্কিল = পঙ্ক + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

পথিক = পথ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাঠক = পাঠ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

পানীয় = পান + ঈয়

কৃৎ প্রত্যয়

পার্থিব = পৃথিবী + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পান্তা = পানি + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসা = পানি + সা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসে = পানি + সা = পানসা ˃ পানসে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাওনা = পাও + না

কৃৎ প্রত্যয়

পাথুরে = পাথর + ইয়া = পাথরিয়া ˃ পাথুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পায়া = পা + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাকামো = পাকা + আমো

তদ্ধিত প্রত্যয়

প-িত = প-া + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রচলিত = প্রচলন + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

পিপাসা = পিপাসা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

পাগলামি = পাগল + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজনীয় = পূজ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

পিছল = পিছ্ + অল

কৃৎ প্রত্যয়

পিকদানি = পিক + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রাচ্য = প্রাচ্ + ষ্ণ্য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেনিল = ফেন্ + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেরতা = ফির + তা

কৃৎ প্রত্যয়

ফেরত = ফির + অত

কৃৎ প্রত্যয়

ফুটন্ত = ফুট্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ফোটা = ফুট্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলেল = ফুল + এল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফাটল = ফাট + ল

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলদানি = ফুল + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফলন্ত = ফল + অন্ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোম্বাই = বোম্বে + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বিজ্ঞান = বি + জ্ঞা + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বারমেসে = বারমাস + এ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বক্তব্য = বচ্ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

বক্তা = বচ্ + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

বর্ষণ = বৃষ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বর্গাদার = বর্গা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

বহতা = বহ্ + তা

কৃৎ প্রত্যয়

বড়াই = বড় + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঘা = বাঘ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাটনা = বাট্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজনা = বাজ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজিয়ে = বাজ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধন = বাঁধ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধাই = বাঁধ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁশি = বাঁশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁশরি = বাঁশ + রি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বন্দিনী = বন্দি + নী

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদলা = বাদল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসত = বস + ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুগিরি = বাবু + গিরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদামি = বাদাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাগিচা = বাগ + চা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙ্গাল = বঙ্গ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙালি = বাঙাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাড়ন্ত = বাড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাড়তি = বাড় + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বকুনি = বকা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

বার্ষিক = বর্ষ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁদরামি = বাঁদও + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসতি = বস + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বাছাই = বাছ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুর্চি = বাবু + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাবুয়ানা = বাবু + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাহাদুরি = বাহাদুর + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেগুনে = বেগুন + ইয়া = বেগুনিয়া ˃ বেগুন

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেঙাচি = বেঙ + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈজ্ঞানিক = বিজ্ঞান + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈঠক = বৈঠ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

বৈমাত্রেয় = বিমাতা + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈধ = বিধি + ঞ্চ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈচিত্র্য = বিচিত্র + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেকামি = বোকা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোমারু = বোমা + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

বুনো = বন + উয়া = বনোয়া ˃ বুনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোনাই = বোন + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভিখারি = ভিখ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

ভৌগোলিক = ভূগোল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভোজ্য = ভোজ্ + আমি

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়ামি = ভাড় + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভয় = ভী + অয়

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়াটে = ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাতুরে = ভাত + উড়িয়া = ভাতুরিয়া ˃ ভাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভেতো = ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাজি = ভাজ্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ভাবুক = ভাব + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মানত = মান + ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৃন্ময় = মৃদ্ + ময়

তদ্ধিত প্রত্যয়

মহিমা = মহৎ + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মন্ত্রী = মন্ত্র + ইমন

কৃৎ প্রত্যয়

মড়ক = মড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মোড়ক = মুড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মশারি = মশা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মলাট = মলা + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাংসল = মাংস + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাথাল = মাথা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাধুর্য = মধুর + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানব = মনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানানসই = মানান + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মামলাবাজ = মামলা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মশালচি = মশাল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মুক্ত = মুচ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মুক্তি = মুচ্ + ক্তি

কৃৎ প্রত্যয়

মুগ্ধ = মুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মিশুক = মিশ্ + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মিথ্যুক = মিথ্যা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিশাল = মিশ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

মিতালী = মিতা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিঠাই = মিঠা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেটে = মাটি + ইয়া = মাটিয়া ˃ মেটো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঠো = মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেছো = মাছ + উয়া = মাছুয়া ˃ মেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঘলা = মেঘ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেধাবী = মেধা + বিন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়ে = মা + ইয়া = মইয়া ˃ মেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়েলি = মেয়ে + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মোগলাই = মোগল + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৌখিক = মুখ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

য, র, ল

যাচাই = যাচ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

যৌবন = যুব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

রুষ্ট = রুষ্ + ত (ক্ত)

কৃৎ প্রত্যয়

রোগাটে = রোগা + টিয়া = রোগাটিয়া ˃ রোগাটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাঁধা = রাঁধ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

রাঁধুনি = রাঁধ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

রান্না = রাঁধ + না

কৃৎ প্রত্যয়

রমণীয় = রমণ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাখাল = রাখ্ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

রসাল = রস + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

রেশমি = রেশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

রোগা = রোগ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লঘিমা = লঘু + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

লবণ = লো + অন

কৃৎ প্রত্যয়

লেখক = লিখ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

রাজুক = লাজ + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালচে = লাল + চে

তদ্ধিত প্রত্যয়

লাঠিয়াল = লাঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লেঠেল = লাঠি + আল = লাঠিয়াল ˃ লেঠেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লৌকিক = লোক + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

লোনা = লনু + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালিমা = লাল + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোনা = শোন্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

শয়ন = শে + অনট্

কৃৎ প্রত্যয়

শহুরে = শহর + ইয়া = শহরিয়া ˃ শহুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

শাঁখারি = শাঁখা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্যামলা = শ্যাম + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শীতল = শীত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

শিক্ষক = শিক্ষা + অক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্রবণ = শ্রু + অন

কৃৎ প্রত্যয়

শারীরিক = শরীর + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শৈল্পিক = শিল্প + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোচনীয় = শুচ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

শৈব = শিব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স¤্রাট = সম + রাজ + ক্বিপ

কৃৎ প্রত্যয়

সওদাগার = সাওদা + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

সর্পিল = সর্প + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়ে = সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়িয়া = সাপ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাঁতারু = সাঁতারু + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাধুতা = সাধু + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপ্তাহিক = সপ্তাহ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাংবাদিক = সংবাদ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্য = সাহিত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্যিক = সাহিত্য + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সামাজিক = সমাজ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

সূর্য = সৃ + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌর = সূর্য + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌন্দর্য = সুন্দর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সোনালি = সোনা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেলামি = সেলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেবাইত = সেবা + আইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

সত্তা = সৎ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স্বপ্নিল = স্বপ্ন + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৃষ্টি = সৃজ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

হাঁচি = হাঁচ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হত্যা = হন্ + ক্যাপ

কৃৎ প্রত্যয়

হলদে = হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতল = হাত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতুড়ে = হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাটুরে = হাট + উড়িয়া = হাটুরিয়া ˃ হাটুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাসি = হাস্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হিমেল = হিম + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতানন = হাত + আন

তদ্ধিত প্রত্যয়

উপসর্গ: যে সকল অব্যয়সুচক শব্দাংশ স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না কিন্তু অন্য শব্দের আগে বসে শব্দটির অর্থের পরিবর্তন সাধন করে, তাকে উপসর্গ বলে। উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলে এদের অর্থদ্যোতকাতা বা নতুন শব্দ সৃজনের ক্ষমতা থাকে।

বাংলা ভাষায় তিন প্রকার উপসর্গ আছে:

১. খাটি বাংলা উপসর্গ ২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ ৩. বিদেশী উপসর্গ

খাটি বাংলা উপসর্গ (২১ টি)

২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ (২০ টি)

বিদেশী উপসর্গ (এখনো নির্নীত হয় নি)

অ, অঘা, অজ, অনা

আ, আড়, আন, আব

ইতি, ঊন, কদ, কু

নি, পাতি, বি, ভর

রাম, স, সা, সু

হা = ২১টি

প্র, পরা, অপ, সম্, নি

অব, অনু, নির, দূর, বি

সু, উত্, অধি, পরি, প্রতি

উপ, আ, অপি, অভি, অতি =২০টি

ফারসি উপসর্গ: কার্, দর্, না, নিম্, ফি, বদ্, বে, বর্, ব্, কম্

আরবি উপসর্গ: আম্, খাস, লা, গর্

ইংরেজি উপসর্গ: ফুল, হাফ, হেড, সাব

উর্দু-হিন্দি উপসর্গ: হর

চারটি উপসর্গ যথা: সু, বি, নি, আ খাটি বাংলা এবং তত্সম উভয়ক্ষেত্রে দেখা যায়।

প্রত্যয়: যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দ (প্রাতিপাদিক) এর পর যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার: কৃত্ প্রত্যয় (বাংলা এবং সংস্কৃত) এবং তদ্ধিত প্রত্যয় (বাংলা, সংস্কৃত এবং বিদেশী)।

প্রকৃতি: কোনো মেৌলিক শব্দের যে অংশকে আর কোনোভাবেই বিভক্ত বা বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে। প্রকৃতি দুই প্রকার: যথা: ক্রিয়া প্রকৃতি এবং নাম প্রকৃতি।

পদ প্রকরণ: বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক একটি পদ। বিভক্তিযুক্ত শব্দ এবং ধাতুই পদ। পদ মোট ৫ প্রকার: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া এবং অব্যয়।

চাকুরির প্রস্তুতি

বাংলা ব্যাকরণের উল্লেখযোগ্য কঠিন টপিক গুলোর মধ্যে প্রকৃতি প্রত্যয় অন্যতম। কিন্তু আসলেই কি প্রকৃতি প্রত্যয় কঠিন? উত্তর হচ্ছে প্রকৃতি প্রত্যয় সব থেকে সহজ একটি টপিক। আজকের ব্লগে পুরো বিষয়টি আপনাদের সাথে উদাহরণ এবং ব্যাখ্যা সহ তুলে ধরা হবে। পড়তে থাকুন ইনশা-আল্লাহ।

প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে কি কি শিখবো?

১) প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

২) প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

৩) কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়?

৪) প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

৫) বিগত সালের পরিক্ষায় প্রকৃতি প্রত্যয়

শুরু করার আগে আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ যদি আমাদের লিখা ব্লগ গুলো ভালো লাগে তবে জ্ঞান প্রচারের লক্ষ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

প্রকৃতি প্রত্যয় কি?

ধাতু বা শব্দ যার সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে যে মূল অংশের নাম প্রকৃতি। যেমন: মিঠা + আই = মিঠাই। এখানে ‘মিঠা’ হচ্ছে প্রকৃতি, এর সঙ্গে ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ‘মিঠাই’ শব্দটি গঠিত হয়েছে। এভাবে শব্দের বিশ্লেষণ করলে প্রকৃতি ও প্রত্যয় পাওয়া যায়।

উপরের ব্যাপারটি কঠিন মনে হলে চলেন এইবার একটু ইনফরমাল আলোচনা করা যাক যেন কোন দিন আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় নিয়ে সংশয়ে না পড়েন।

যা মনে রাখবেনঃ

– প্রত্যয় সব সময় শব্দের বা ধাতুর পরে বসে।

– পরে বসে কি করে? নাচানাচি করে কি? না। তা নতুন শব্দ গঠন করে। যেমনঃ শীতল। এটি একটি শব্দ। যার দুটি অংশ আছে। শীত + ল। এখানে পরে কি যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “ল” তাই এটি প্রত্যয়।

এখন “ল” কিসের সাথে যুক্ত হয়েছে? নিশ্চয় “শীত” এর সাথে? তাই এটি প্রকৃতি।

নিচের উদহরণগুলো দেখুনঃ

ক) লাজুক= লাজ+ উক

এখানে “লাজ” হচ্ছে প্রকৃতি এবং “উক” হচ্ছে প্রত্যয়

খ) চলন্ত = চল + অন্ত

এখানে “চল” হচ্ছে প্রকৃতি এবং ” অন্ত ” হচ্ছে প্রত্যয়

এইবার আমরা ধরেই নিতে পারি আপনি প্রকৃতি প্রত্যয় চিনে গেছেন।

প্রকৃতি প্রত্যয় কত প্রকার ও কি কি?

সহজ ভাষায় প্রকৃতি এবং প্রত্যয় উভয়ই দুই প্রকার।

প্রকৃতির প্রকারভেদঃ

১) ক্রিয়া প্রকৃতি

২) নাম প্রকৃতি বা শব্দ প্রকৃতি

প্রত্যয়ের প্রকারভেদঃ

১) কৃৎ প্রত্যয়

২) তদ্ধিত প্রত্যয়

কিভাবে চিনবো প্রকৃতি প্রত্যয়

প্রকৃতি প্রত্যয় চিনার জন্য আপনাকে শব্দটি কে বিশ্লেষন করতে হবে তারপর দেখতে হবে কোন অংশটি আর আগে সেটি হবে প্রকৃতি এবং যে অংশটি পরে সেটি নিশ্চিতভাবেই প্রত্যয়।

প্রকৃতি প্রত্যয়ের উদাহরণ এবং প্রয়োগ

১. অ-প্রত্যয় : ‘প্রবণতা, ঈষদ্ভাব প্রায় কিন্তু পূর্ণ নয়’ এমন ভাব প্রকাশ করতে ধাতুর উত্তর (পরে) অ (উ, ও) প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং দ্বিত্ব প্রয়োগ হয়। যেমন:

√কাঁদ + অ : কাঁদ + অ = কাঁদ কাঁদ

√ডুব + অ : ডুব + অ = ডুব ডুব (ডুবু ডুবু)

√পড় + অ : পড় + অ = পড় পড় (পড়ো পড়ো)

√মার + অ : মার + অ = মার মার

২. আ-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর পরে আ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + আ = ঝরা

√হাস + আ = হাসা

√খা + আ = খাওয়া

√শোন + আ = শোনা

√ভর + আ = ভরা

√কাঁচ + আ = কাঁচা

√কাট + আ = কাটা

√র্ম + আ = মরা

√ছাড় + আ = ছাড়া

√জান + আ = জানা

৩. অন-প্রত্যয় : অন-প্রত্যয়ান্ত শব্দগুলো সাধারণ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√বাঁধ + অন = বাঁধন

√সাজ্ + অন = সাজন

√হাঁট + অন = হাঁটন

√র্ম + অন = মরণ

√নাচ + অন = নাচন

√মাজ + অন = মাজন

√গড় + অন = গড়ন

√জীব + অন = জীবন

√কাঁদ + অন = কাঁদন

৪. অক-প্রত্যয় : অক-প্রতায়ান্ত শব্দ সাধারণত বিশেষ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√ফাট্ + অক =ফাটক

√সড় + অক = সড়ক

√নাট + অক = নাটক

√ঝল + অক = ঝলক

√দুল + অক = দোলক

√ঘট্ + অক = ঘটক

√বৈঠ + অক = বৈঠক

√চট্ + অক = চটক

৫. আই-প্রত্যয় : করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ফাড়্ + আই = ফাড়াই

√ছাঁট্ + আই = ছাঁটাই

√যাচ্ + আই = যাচাই

√খোদ + আই = খোদাই

√ঢাল্ + আই = ঢালাই

√মাড়্ + আই = মাড়াই

√সিল্ + আই = সেলাই

√লড়্ + আই = লড়াই

৬. উয়া-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য ধাতুর উত্তর ‘উয়া’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। উয়া-প্রত্যয় বিকল্পে ও-প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পড়্ + উয়া = পড়-য়া

√চল + উয়া = চলুয়া

√হাল্ + উয়া = হালুয়া

√সাজ + উয়া = সাজুয়া

√খা + উয়া = খাওয়া

√ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া˃ঝড়ো

৭. উ-প্রত্যয় : ‘উ’ প্রত্যয়ান্ত সাধিত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ঢাল্ + উ = ঢালু

√ডাক + উ = ডাকু

√ঝাড় + উ = ঝাড়-

√চাল্ + উ = চালু

√উড় + উ = উড়-

√ডুব + উ = ডুবু

৮. উক-প্রত্যয়ঃ স্বভাব বুঝাতে বিশ্লেষণ পদ গঠনে ‘উক’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√পিট + উক = পেটুক

√মিশ + উক = মিশুক

√খা + উক = খাউক

√হিনস + উক = হিংসুক

√নিন্দা + উক = নিন্দুক

√ভা + উক = ভাবুক

৯. ই-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য, অপাদানবাচ্য, অধিকরণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘ই’ প্রত্যয় হয়। যেমন:

√ঝর + ই = ঝরি

√হাস + ই = হাসি

√কর + ই = করি

√বুল + ই = বুলি

√বেড় + ই = বেড়ি

√হাঁচ + ই = হাঁচি

√খা + ই = খাই

√ভাজ + ই = ভাজি

১০. ইয়া ইয়ে-প্রত্যয় : ‘প্রবীণ বা নিপুণ অর্থে’ কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ইয়া ইয়ে প্রত্যয় হয়। যেমন:

√কাঁদন + ইয়া = কাঁদনিয়া˃কাঁদুনে

√বাজ্ + ইয়ে = বাজিয়ে

√কহ্ + ইয়া = কহহিয়া˃কইয়ে

√খেল + ইয়ে = খেলিয়ে

√গাহ্ + ইয়া = গাহহিয়া˃গাইয়ে

√নাচ + ইয়ে = নাচিয়ে

আবার অসমাপিকা ক্রিয়া বুঝাতেও ‘ইয়া’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পড়্ + ইয়া = পড়িয়া

√বহ্ + ইয়া = বহিয়া

√চল + ইয়া = চলিয়া

√কাঁদ্ + ইয়া = কাঁদিয়া

√হাস + ইয়া = হাসিয়া

√শুন + ইয়া = শুনিয়া

১১. আল-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য ও করণবাচ্যের ধাতুর উত্তর আল-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাখ্ + আল = রাখাল

√মাত্ + আল = মাতাল

√বাচ্ + আল = বাচাল

√ধার + আল = ধারাল

√নাগ্ + আল = নাগাল

√মিশ্ + আল = মিশাল

১২. তি-প্রত্যয়ঃ কর্তৃবাচ্য ও ভাববাছ্যের উত্তর ‘তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কম্ + তি = কমতি

√চল্ + তি = চলতি

√র্ফি + তি = ফিরতি

√উঠ্ + তি = উঠতি

√ঘাট্ + তি = ঘাটতি

√বস্ + তি = বসতি

১৩. না-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘না’ প্রত্যয় যুক্ত হয়্। যেমন:

√শুক + না = শুকনা

√বাট + না = বাটনা

√দুল + না = দোলনা

√ঝর + না = ঝরনা

√রাঁধ + না = রাঁধনা˃রান্না

√ঢাক + না = ঢাকনা

√খেল + না = খেলনা

√মাগ + না = মাগনা

১৪. আনি-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আনি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√রাঙ + আনি = রাঙানি

√খাট + আনি = খাটানি˃খাটুনি

√শাস + আনি = শাসানি

√চির + আনি = চিরণী˃চিরুণী

√শুন + আনি = শুনানি

√জ্বাল + আনি = জ্বালানি

√উড় + আনি = উড়ানি

√হাঁপ + আনি = হাঁপানি

১৫. আরু-প্রত্যয় : কর্তায় দক্ষতা ও পেশা বুঝাতে কর্তৃবাচ্যের ধাতু উত্তর ‘আরু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডুব + আরু = ডুবারু

√সাঁত + আরু = সাঁতারু

√খোঁজ + আরু = খোঁজারু

১৬. আও-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আও’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাঁচ্ + আও = বাঁচাও

√দুল্ + আও = দোলাও˃দুলাও

√চড়্ + আও = চড়াও

√র্ঘি + আও = ঘিরাও

√র্স + আও = সরাও

√পাকড়্ + আও = পাকড়াও

১৭. আনো-প্রত্যয় : ধাতুর উত্তর ‘আনো’ প্রত্যয় যোগে ক্রিয়াবাচক বা বিশ্লেষন পদ গঠিত হয়। যেমন:

√কামড় + আনো = কামড়ানো

√নাচ + আনো = নাচানো

√বাঁধ + আনো = বাঁধানো

√পাল + আনো = পালানো

√কাঁদ + আনো = কাঁদানো

√দৌড় + আনো = দৌড়ানো

১৮. অল-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অল’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√পিছ্ + অল = পিছল

√ফাট + অল = ফাটল

√জী + অল = জীয়ল˃জীওল

১৯. আইত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আইত’ (আত) প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ডাক + আইত = ডাকাইত˃ডাকাত

√সঙ্গ + আইত = সাঙ্গাইত˃সাঙ্গাত

√সেব + আইত = সেবাইত

২০. আন-প্রত্যয় : প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে ‘আন’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√ছোড় + আন = ছোড়ান

√দেখ + আন = দেখান

√গড় + আন = গড়ান

√খা + আন = খাওয়ান

√ঠকা + আন = ঠকান

√জান + আন = জানান

২১. অন্ত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অন্ত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√চল + অন্ত = চলন্ত

√ডুব্ + অন্ত = ডুবন্ত

√ঝুল + অন্ত = ঝুলন্ত

√ঘুম + অন্ত = ঘুমন্ত

√ফুট্ + অন্ত = ফুটন্ত

√ফল + অন্ত = ফলন্ত

২২. তা-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত ঞয়। যেমন:

√পড় + তা = পড়তা

√চল্ + তা = চলতা

√জান্ + তা = জান্তা

√ফির + তা = ফিরতা

২৩. অনা- প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে সাধারণত ধাতুর উত্তর ‘অনা’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বাজ + অনা = বাজনা

√মাগ্ + অনা = মাগনা

√ঝর + অনা = ঝরনা

√খেল্ + অনা = খেলনা

√বঞ্চ + অনা = বঞ্চনা

√দুল্ + অনা = দোলনা

২৪. অত-প্রত্যয় : বিশেষণ পদ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘অত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√বস্ + অত = বসত

√ফির + অত = ফেরত

√মান + অত = মানত

বিদেশী কৃৎ-প্রত্যয় :

ক. সই-প্রত্যয় যোগে; যেমন: মাপ + সই = √মাপসই।

খ. বাজ-প্রত্যয় যোগে; যেমন: চাল + বাজ = √চালবাজ

■ বাংলা কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

কাঁদ্ + অ = কাঁদ

ডুব + আরু = ডুবারু

গুণ্ + তি = গুণতি

সাজ্ + উয়া = সাজোয়া

ডুব্ + অ = ডুব

পড়্ + উয়া = পড়-য়া

নাচ্ + অন = নাচন

গাহ্ + ইয়ে = গাইয়ে

ঝুল + অ = ঝুল

জুত্ + আনো = জুতানো

কাঁদ + অন = কাঁদন

খেল্ + ওয়াড় = খেলোয়ার

নিব্ + অ = নিব

ভাব্ + উক = ভাবুক

খা + অন = খাওন

র্ধ + আ = ধরা

র্ম + অ = মর

বেড়্ + আনো = বেড়ানো

ঝাড়্ + অন = ঝড়ান

পড়্ + আ = পড়া

ছুট + অ = ছুট

ঢাল্ + আই = ঢালাই

কাঁপ + অন = কাঁপন

ঢাল্ + উ = ঢালু

খুঁজ + অন = খোঁজন

যাচ্ + আই = যাচাই

র্ম + অন = মরণ

বাঁধ্ + অন = বাঁধন

চল্ + আ = চলা

সেব্ + আইত = সেবাইত

ফল্ + অন = ফলন

গড়্ + অন = গড়ন

চাহ্ + আ = চাওয়া

পূজ্ + আরী = পূজারী

যোগ্ + অন = যোগান

চাহ্ + নি = চাহনি

পা + আ = পাওয়া

কাঁদ্ + উনে = কাঁদুনে

চড়্ + অক = চড়ক

উড়্ + অন্ত = উড়ন্ত

দেখ্ + আ = দেখা

নাচ্ + ইয়ে = নাচিয়ে

ফাট্ + অক = ফাটক

ভাঙ্ + অন = ভাঙন

ছাড়্ + আ = ছাড়া

মিশ্ + উক = মিশুক

মুড়্ + অক = মোড়ক

ডুব্ + উরী = ডুবুরী

ফুট্ + আ = ফোটা

ঘাট্ + তি = ঘাটতি

ঝল্ + অক = ঝলক

মুচ্ + কি = মুচকি

চুর + ই = চুরি

কুট + না = কুটনা

দে + অনা = দেনা

চাল + আন = চারা

চষ + ই = চষি

জান + আন = জানান

বাজ্ + অনা =বাজনা

উঠ্ + তি = উঠতি

ফির + ই = ফিরি

কাঁদ্ + না = কান্না

পা + অনা = পাওনা

দোল্ + না = দোলনা

হাস্ + ই = হাসি

উড়া + আন = উড়ান

বাট্ + না = বাটনা

ঝলক + আনি = ঝলকানি

কাশ্ + ই = কাশি

ঠকা + আন = ঠকান

খেল্ + না = খেলনা

হিনস্ + উক = হিংসুক

ভাজ্ + ই = ভাজি

কাট্ + আ = কাটা

র্ঝ + ন = ঝরনা

কাচ + আ = কাচা

ডুব্ + উ = ডুবু

বাঁধ + আ = বাধাঁ

কাঁপ্ + অনি = কাঁপনি, কাঁপুনি

ভর + আ = ভরা

র্উ + ও = উড়ো

বাঁচ + ওয়া = বাঁচোয়া

রাঁধ্ + অনি = রাঁধুনি

হাত + আনো = হাতানো

হ + উ = হবু

কাট্ + আরি = কাটারি

ছাঁক্ + অনি = ছাকনি

খুল্ + আ = খোলা

র্ম + ও = মরো

মাজ্ + অন = মাজন

চাল্ + উনি = চালুনি

র্ম + ও = মরো

ঝড়্ + ও = ঝড়ো

টাঙা + আনো = টাঙানো

ছা + উনি = ছাউনি

বাজ্ + ইয়ে = বাজিলে

ভুল্ + ও = ভুলো

চল্ + তি = চলতি

ঝাঁক্ + উনি = ঝাঁকুনি

বাস্ + ই = বাসি

র্ফি + অত = ফিরত

ঝুল + অন = ঝুলন

আট্ + উনি = আঁটুনি

ছাড় + অন = ছাড়ন

মান্ + অত = মানত

খাট্ + ইয়ে = খাটিয়ে

খাট্ + উনি = খাটুনি

কাশ + আ = কাশা

পড়্ + তি = পড়তি

ভাজ + আ = ভাজা

বক্ + উনি = বকুনি

চষ + আ = চষা

কাট্ + তি = কাটতি

ঝাঁক + আ = ঝাঁকা

র্চি + উনি = চিরুনি

পর + আ = পড়া

র্ফি + তি = ফিরতি

ছাঁক + অন = ছাঁকন

বাছ্ + আই = বাছাই

হাস + আ = হাসা

বাড়্ + তি = বাড়তি

ডুব + আ = ডুবা

লড়্ + আই = লড়াই

দেখ + আই = দেখাই

চড়্ +আই = চড়াই

বাঁধ + অন = বাঁধন

জ্বল + অন্ত = জ্বলন্ত

নির + আন = নিড়ান

যাচ্ + আই = যাচাই

খাট + আ = খাটা

জীব্ + অন্ত = জীবন্ত

চড় + আ = চড়া

ডাক্ + আইত = ডাকাত

সাজ + আ = সাজা

মাত্ + আল = মাতাল

ডুব + উরি = ডুবুরি

খুদ + আই = খোদাই

পর + আই = পড়াই

ছাঁট + আই = ছাঁটাই

উড় + আ = উড়া

ঝাল্ + আই = ঝালাই

ভাব + আ = ভাবা

উড়্ + আনি = উড়ানি

ঠক + আ = ঠকা

শুন্ + আনি = শুনানি

নাচ + আ = নাচা

ঝাঁক্ + আনি = ঝাঁকানি

দোল + অন = দোলন

বাঁধ্ + আই = বাঁধাই

ছাড় + অ = ছাড়

চড়্ + আও = চড়াও

মার + অ = মার

ঢাল্ + আও = ঢালাও

বাঁধ + অ = বাঁধ

নিড়্ + আনি = নিড়ানি

বস + অতি = বসতি

সাঁত্ + আরু = সাঁতারু

মান + অত = মানত

জ্বালা + আনি = জ্বালানী

দুল + অ = দোল

পাকড় + আও = পাকড়াও

ঘুর + অন = ঘুরন

খা + ইয়ে = খাইয়ে

সাধ + অন = সাধন

র্ঘি + আও = ঘেরাও

ধর + অন = ধরণ

গাঁথ + অন = গাঁথন

লাঞ্ছ + অনা = লাঞ্ছনা

ভিক্ষ + আরি = তিখারি

পাকড় + আও = পাকড়াও

উঠ + তি = উঠতি

সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়

১. অনট (অন) প্রত্যয় : ‘অনট’ প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘অনট’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথম বর্ণের ‘ঈ’ পরিবর্তন হয় ‘অয়’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ‘ঋ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘অর’ হয়। যেমন:

√কৃ + অনট = করণ

√শী + অনট = শয়ন

√দা + অনট = দান

√গম + অনট = গমন

√স্থান + অনট = স্থান

√পা + অনট = পান

√দৃশ + অনট = দর্শন

√ভ্র + অনট = ভ্রমন

√নী + অনট = নয়ন

√শ্রু + অনট = শ্রবণ

২. ঘঞ (অ) প্রত্যয় : ঘঞ-প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্যে ব্যবহহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘ঘঞ’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথমে বর্ণের ‘অ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘আ’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ধাতুর শেষ বর্ণের ‘চ’ স্থানে ‘ক’, ‘জ, স্থানে ‘গ’ হয়। যেমন:

√শুচ + ঘঞ = শোক

√অদ্ + ঘঞ = ঘা

√ভূ + ঘঞ = ভাব

√বস্ + ঘঞ = বাস

√পচ + ঘঞ = পাক

√তপ + ঘঞ = তাপ

√রুজ + ঘঞ = রোগ

√ত্যজ + ঘঞ = ত্যাগ

৩. তব্য-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষ্যৎ অর্থে কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘তব্য’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√কৃ + তব্য = কর্তব্য

√গম + তব্য = গন্তব্য

√জ্ঞা + তব্য = জ্ঞাতব্য

√বচ + তব্য = বক্তব্য

√দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

√পৌ + তব্য = পঠিতব্য

√দান + তব্য = দাতব্য

√মন + তব্য = মন্তব্য

৪. অল (অ) প্রত্যয় : অল-প্রত্যয় ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য পদ গঠনে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ল’ লোপ পেয়ে ‘অ’ থাকে। যেমন:

√জি + অল = জয়

√ভী + অল = ভয়

√ক্রী + অল = ক্রয়

√লুভ + অল = লোভ

৫. ক্ত (ত) প্রত্যয় : অতীতকালে কাজ হয়েছে এ অর্থ প্রকাশের জন্য ‘ক্ত’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। সাধিত পদগুলো বিশ্লষন হয়ে থাকে। প্রতায়ন্ত পদের শেষে ‘ক’ লোপ পেয়ে শুধু ‘ত’ থাকে। যেমন:

√খ্যা + ক্ত = খ্যাত

√শম + ক্ত = শাক্ত

√পত্ + ক্ত = পতিত

√ঘীন + ক্ত = হীন

√জ্ঞান + ক্ত জ্ঞাত

√ক্লম + ক্ত = ক্লান্ত

√গম + ক্ত = গত

√নন + ক্ত = নষ্ট

√দীপ + ক্ত = দীপ্ত

√কৃ + ক্ত = কৃত

৬. ক্তি (তি) প্রত্যয় : ক্রিয়াবাচক বা ভাববাচ্যক বিশেষ্য অর্থে ধাতুর সঙ্গে ‘ক্তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয় দ্বারা শব্দ গঠন কালে ধাতুর প্রথম বর্ণ সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে এবং দ্বিতীয় বর্ণ লোপ পায়। যেমন:

√মুচ্ + ক্তি = মুক্তি

√দৃশ + ক্তি = দৃষ্টি

√কৃৎ + ক্তি = কীর্তি

√কৃষ + ক্তি = কৃষ্টি

√স্মৃতি + ক্তি = স্মৃতি

√সৃজ + ক্তি = সৃষ্টি

√শম + ক্তি = শান্তি

√বচ্ + ক্তি = উক্তি

√ভী + ক্তি = ভীতি

৭. যৎ (য) প্রত্যয় : কোন কিছু করা উচিত বা করার যোগ্য, এ অর্থে ধাতুর সাথে ‘যৎ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো সাধারণত বিশেষণ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

√পদ্ + যৎ = পদ্য

√জ্ঞান + যৎ = জ্ঞেয়

√সহ্ + যৎ = সহ্য

√দা + যৎ = দেয়

√গ্রহ্ + যৎ = গ্রাহ্য

√মন্ + যৎ = মান্য

√যুজ + যৎ = যোগ্য

√পূজ + যৎ = পূজ্য

√ধূ + যৎ = ধার্য

√পঠ + যৎ = পাঠ্য

৮. শানচ (মান) প্রত্যয় : ক্রিয়ার কাজ চলছে এ অর্থে ধাতুর অর্থে উত্তর কর্তৃ ও কর্মবাচ্যে ‘শানচ’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√চল্ + শানচ = চলমান

√বৃৎ + শানচ = বর্তমান

√বৃধ + শানচ = বর্ধমান

√দীপ + শানচ = দীপ্তমান

√মুহ্ + শানচ = মুহ্যমান

৯. ইষ্ণু-প্রত্যয় : শীলার্থে ধাতুর উত্তর ‘ইষ্ণু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:

√ক্ষি + ইষ্ণু = ক্ষয়িষ্ণু

√সহ্ + উষ্ণু = সহিষ্ণু

√চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

√বধ্ + ইষ্ণু = বর্ধিষ্ণু

১০. ণক (অক) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যে ‘করেন যিনি’ এ অর্থে ধাতুর উত্তর ‘ণক’ (অক) প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ণ’ লোপ পায় এবং ‘অক’ থাকে এবং প্রত্যয়সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + ণক = কারক

√শাস + ণক = শাসক

√পচ + ণক = পাচক

√যুজ + ণক = যোজক

√পো + ণক = পাবক

√দৃশ + ণক = দর্শক

১১. ণ্যৎ (য) প্রত্যয় : ‘উচিত বা যোগ্য অর্থে’ ঋ-কারান্ত ও ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো প্রধানত বিশেষণ (কখনও কখনও বিশেষ্য) হয়। যেমন:

√ত্যজ + ণ্যৎ = ত্যাজা

√লক্ষ + ণ্যৎ = লক্ষ্য

√গম + ণ্যৎ = গম্য

√কৃ + ণ্যৎ = কার্য

√ভজ + ণ্যৎ = ভাজ্য

√ধৃ + ণ্যৎ = ধার্য

১২. তৃচ, তৃণ (তা) প্রত্যয় : শীলার্থে, সম্যক বা জীবিকা অর্থে ধাতুর পরে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√কৃ + তৃচ = কর্তা

√মা + তৃচ = মাতা

√ভ্রাজ + তৃচ = ভাতা

√দা + তৃচ = দাতা

√বচ্ + তৃচ = বক্তা

১৩. অনীয়-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষৎ অর্থে ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর অনীয় প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

√গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

√শুচ + অনীয় = শোচনীয়

√বৃ + অনীয় = বরণীয়

√দুশ + অনীয় = দর্শনীয়

√গুপ্ + অনীয় = গোপনীয়

√স্মৃ + অনীয় = স্মরণীয়

১৪. বর-প্রত্যয় : ‘শীল’ অর্থে কর্তৃবাচ্যের ‘বর’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

√ভাস্ + বর = ভাস্বর

√ঈশ্ + বর = ঈশ্বর

√নশ্ + বর = নশ্বর

√স্থা + বর = স্থাবর

১৫. নিন (ইন) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদ গুলো বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

√দা + নিন = দায়ী

√মন্ত্র + নিন = মন্ত্রী

√বদ + নিন = বাদী

√ত্যাগ + নিন = ত্যাগী

√স্থা + নিন = স্থায়ী

√পা + নিন = পায়ী

১৬. শতৃ (অৎ) প্রত্যয় : বর্তমান কালের কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। বাংলা ভাষায় এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:

√জীব্ + শতৃ = জীবৎ

√অস্ + শতৃ = অসৎ

√জল + শতৃ + জলৎ

√জাগ্ + শতৃ = জাগ্রৎ

√মহ + শতৃ = মহৎ

√চল + শতৃ = চলৎ

■ সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রী + অ = প্রিয়

ভূ + অন = ভবন

গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়

গম্+ তি = গতি

পাল্ + ণক = পালক

বৃৎ + শানচ = বর্তমান

দা + তৃচ = দাতা

যাচ্ + আই = যাচাই

জীব্ + অ = জীব

চর + অন = চরণ

জি + ইন = জয়ী

কৃষ + তি = কৃষ্টি

ধূ + ণক = ধারক

দীপ + শানচ = দীপ্যমান

শ্রু + তৃচ = শ্রতা

হিনস্ + আ = হিংসা

পিপাস + অ = পিপাসা

দ্রু + অন = দ্রবণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাগী

দৃশ + তি = দৃষ্টি

পঠ্ + ণক = পাঠক

চল + শানচ = চলমান

যুধ + তৃচ = যোদ্ধা

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

প্র-শনস্ + আ = প্রশংসা

চুম্ব্ + অন = চুম্বন

যুজ্ + ইন = যোজী

সৃজ + তি = সৃষ্টি

হণ + ণক = ঘাতক

শুভ + শানচ = শোভমান

নী + তৃচ = নেতা

প্রচ্ছ + ন = প্রশ্ন

ভিক্ষ + আ = ভিক্ষা

কৃষ + অন = কর্ষণ

ত্যাজ + ইন = ত্যাজী

শক্ + তি = শক্তি

শাস + ণক = শাসক

গম + তব্য = গন্তব্য

পা + তৃচ = পিতা

কৃ + মন = কর্ম

কথ্ + আ = কথা

শী + অন = শয়ন

দুট্ + ই = দুটি

খ্যা + তি = খ্যাতি

লিখ্ + ণক = লেখক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

লিখ্ + ইত = লিখিত

দৃশ্ + মান = দৃশ্যমান

জন্ + অক = জনক

দা + অন = দান

কৃষ্ + ই = কৃষি

মন + তি = মতি

কৃষ্ + ণক = কৃষক

কৃ + তব্য = কর্তব্য

লভ্ + য = লভ্য

বস্ + ত্র = বস্ত্র

মুড়্ + অক = মোড়ক

জ্ঞা + অন = জ্ঞান

দূষ + ই = দোষী

কৃৎ + তি = কীর্তি

কৃ + ণক = কারক

দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য

বচ্ + য = বাচ্য, বাক্য

বৃৎ + মান = বর্তমান

নি + অক = নায়ক

তপ্ + অন = তপন

দীপ + ত = দীপ্ত

গৈ + তি = গীতি

দৃশ + ণক = দর্শক

মন + তব্য = মন্তব্য

হন্ + য = হত্যা

হন + তৃ = হন্তা

নৃৎ + অক = নর্তক

বদ্ + অন = বদন

রমজ্ + ত = রক্ত

কৃ + তি = কৃতি

গৈ + ণক = গায়ক

বচ্ + তব্য = বক্তব্য

সহ্ + য = সহা

অস + শতৃ = অসৎ

গৈ + অক = গায়ক

দৃশ্ + অন = দর্শন

ধৃ + ত = ধৃত

বচ্ + তি = উক্তি

নশ + ণক = নাশক

কৃ + তৃচ্ = কর্তা

হস্ + য = হাস্য

মহ + শতৃ = মহৎ

কৃ + অক = কারক

নী + অন = নয়ন

হন্ + ত = হত

বুধ + তি = বুদ্ধি

মৃ + অনট্ = মরণ

বচ্ + তৃচ = বক্তা

কৃ + য = কার্য

গৈনী + অন = গান

শী + আন = শয়ন

নী + তি = নীতি

কৃ + ত = কৃত

দা + তৃচ = দাতা

স্মৃ + অনট্ = স্মরণ

দয় + আলু = দয়ালু

বাচ্ + মিন = বাগ্মী

বিদ্ + অন = বেদন

শ্রু + অন = শ্রবণ

পচ্ + ণক = পাচক

গম্ + ত = গত

নী + তৃচ = নেতা

গম্ + অনট্ = গমন

দৃশ + অনীয় = দর্শনীয়

চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

পত + অন = পতন

ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত

ক্লিশ্ + ত = ক্লিষ্ট

যুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা

শ্রু + অনট্ = শ্রবণ

ফল্ + অন্ত = ফলন্ত

সহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

বংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় বহুবিধ। যেমন: অই, অক, অল, আই, আচ, আ, অন, আইত, আরি, আরী, আচি, আর, আরু, আলি, আল, ই, ঈ, ইয়া, (এ), কর, কার, ওয়া, উলি, উকি, গিরি, টিয়া, (ট), টা, জাত, পনা, না, তা, দার, ড়া, ময়, ভর, পানা ইত্যাদি। এগুলো বাংলা মূল শব্দের পরে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

১.অ-প্রত্যয় : অনুকার শব্দের শেষে বা নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা বস্তু বুঝাতে অ-প্রত্যয় হয়। যেমন:

ঢল + অ = ঢল ˃ ঢলো

শিব + অ = শিব ˃ শিবো

মূল + অ = মূল ˃ মূলো

কাল + অ = কাল ˃ কালো

২. আ-প্রত্যয় : স্বার্থে, আছে অর্থে, জাত বা উৎপন্ন অর্থে, অবজ্ঞা প্রকাশার্থে, বৃহদার্থে ও বিশেষণে পরিণত করতে আ-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চাক + আ = চাকা

চাষ + আ = চাষা

ঘোড় + আ = ঘোড়া

জঙ্গ + আ = জঙ্গলা

জ্বল + আ = জ্বলা

শ্যাম + আ = শ্যামা

চাঁদ + আ = চাঁদা

ঠোঙ + আ = ঠোঙা

চীন + আ = চীনা

ফাঁক + আ = ফাঁকা

৩. অই-প্রত্যয় : পাঁচ থেকে আঠার পর্যন্ত তারিখ বুঝাতে অই-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পাঁচ + অই = পাঁচই

আঠার + অই = আঠারই

সাত + অই = সাতই

তের + অই = তেরই

৪. অট (ট), আটিয়া (টিয়া, টে) প্রত্যয় : সংশ্লিষ্ট বস্তু অর্থে বা সাদৃশ্য অর্থে বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মলা + অট = মলাট

রোগ + টে = রোগেটে

তুলা ˃ তুল + অট = তুলট

তামা + টিয়া = তামাটিয়া ˃ তামাটে

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ভরা + অট = ভরাট

লম্বা + টিয়া = লম্বাটিয়া ˃ লম্বাটে

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

৫. আ আনো-প্রত্যয় : আন আনো প্রত্যয়ান্ত শবদটি বিশেষণ হয়। যেমন:

হাত + আন = হাতান ˃ হাতানো

জুত + আন = জুতান ˃ জুতানো

বেত + আন = বেতান ˃ বেতানো

যোগ + আন = যোগান ˃ যোগানো

৬. আনি-প্রত্যয় : ভাবার্থে, কার্যার্থে, স্বার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষ্য হয়। যেমন:

বক বক + আনি = বকবকানি

তল + আনি = তলানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

কাতর + আনি = কাতরানি

হাঁপ + আনি = হাঁপানি

৭. আই-প্রত্যয় : আই-প্রত্যয় বিভিন্নঅর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ক. বিশেষ্য পদ গঠনে (আদরার্থে) :

নিম + আই = নিমাই

বল + আই = বলাই

কান + আই = কানাই

মধু + আই = মাধাই

খ. বিশেষ্য পদ গঠনে (ভাবার্থে) :

লম্ব + আই = লম্বাই

বড় + আই = বড়াই

চড়া + আই = চড়াই

খাড়া + আই = খাড়াই

গ. বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে (কর্ম অর্থে) :

বাঁধ + আই = বাঁধাই

কাম + আই = কামাই

সাফ + আই = সাফাই

চোর + আই = চোরাই

ঘ. বিশেষ্য পদ গঠনে (উৎপন্ন অর্থে)

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ধান + আই = ধানাই

মোগল + আই = মেগলাই

ঙ. বিশেষ্য পদ গঠনে (সম্বন্ধ অর্থে)

বোন + আই = বোনাই

মিঠা + আই = মিঠাই

ননদ + আই = ননদাই

জেঠা + আই = জেঠাই

৮. আমি (মি) প্রত্যয় : ভাব বা কাজ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

পাক্য + আমি = পাকামি

গোঁড়া + আমি = গোঁড়ামি

পাগল + আমি = পাগলামি

ফাজিল + আমি = ফাজলামি

৯. আলি, আলী-প্রত্যয় : সম্বন্ধ বা সাদৃশ্য অর্থে এবং ভাবার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

চতুর + আলী = চতুরালী

ঘটক + আলি = ঘটকালি

সোনা + আলি = সোনালি

ভাটি + আলি = ভাটিয়ালি

মেয়ে + আলী = মেয়েলী

রূপা + আলি = রূপালি

১০. আচ, আচি-প্রত্যয় : এ প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশ্লেষণ হয়। যেমন:

বেঙ + অচি = বেঙাচি

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

ধুনা + আচি = ধুনাচি

কান + আচ = কানাচ

১১. আর, আরি, আরী-প্রত্যয় : ব্যবসা, পেশা বা বৃত্তি বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

সুত + আর = সুতার

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

কাট + আরি = কাটারি

ঝি + আরী = জিয়ারী

রকম + আরি = রকমারি

১২. ইয়া এ-প্রত্যয় : সংযোগ বা সম্বন্ধ বুঝাতে ইয়া এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

মোট + ইয়া = মুটিয়া ˃ মুটে

জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

বালি + ইয়া = বালিয়া ˃ বেলে

পাহাড় + ইয়া = পাহাড়িয়া ˃ পাহারে

আষাঢ় + ইয়া = আষাঢ়িয়া ˃ আষাঢ়ে

১৩. ই, ঈ-প্রত্যয় : ভিন্নার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন-

ক. ভাব অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে ঃ

সওদাগর + ই = সওদাগরি

বাহাদুর + ই = বাহাদুরি

উমেদার + ই = উমেদারি

খ. পেশা বা বৃত্তি অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষণ হয়ঃ

চাষ + ঈ = চাষী

ব্যাপর + ঈ = ব্যাপারী

রাখাল + ঈ = রাখালী

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পোদ্ধার + ঈ = পোদ্ধারী

ডাক্তার + ঈ = ডাক্তারী

গ. জাত, আগত, বা সম্বন্ধ অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে

গুজরাট + ঈ = গুজরাটী

বিলাত = ঈ = বিরাতী

পসার + ঈ = পসারী

পাঞ্জাব + ঈ = পাঞ্জাবী

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রেমম + ঈ = রেশমী

ঘ. মালিক অর্থে

দোকান + ঈ = দোকানী

জমিদার + ঈ = জমিদারী

১৪. উয়া ও-প্রত্যয় : বিশেষণার্থে, সম্বন্ধ বা সংযোগ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষন হয়। যেমন:

পট + উয়া = পটুয়া ˃ পটো

মাছ + উযা = মাছুয়া ˃ মেছো

জড় + উয়া = ঝড়-য়া ˃ ঝড়ো

মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

১৫. উ, উক-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

হিংসা + উক = হিংসুক

সাঁতার + উ = সাঁতারু

ভাব + উক = ভাববুক

নীচু + উ = নীচু

মিশ + উক = মিমুক

১৬. উড়িয়া উড়ে প্রত্যয় : প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:

খেলা + উড়িয়া = খেলুড়িয়া ˃ খেলুড়ে

হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

চাষা + উড়িয়া = চাষাড়িয়া ˃ চাষাড়ে

১৭. বন্ত, মন্ত-প্রত্যয় : আছে অর্থে ও যুক্ত অর্থে বন্ত, মন্ত প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

শ্রী + মন্ত = শ্রীমন্ত

ভাগ্য + বন্ত = ভাগ্যবন্ত

বুদ্ধি = মন্ত = বুদ্ধিমন্ত

গুণ + বন্ত = গুণবন্ত

পয় + মন্ত = পয়মন্ত

১৮. ভর, ভরা-প্রত্যয় : পূর্ণতা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

দিন + বর = দিনভর

গাল + ভরা = গালভরা

রাত + ভর = রাতভর

১৯. ত, তা, তি- প্রত্যয় : আত্মীয় ও ভাবার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খালা + ত = খালাত

সম + তা = সমতা

মামা + ত = মামাত

চাক + তি = চাকতি

ধর + তা = ধরতা

জাল + তি = জালতি

২০. কা-প্রত্যয় : সাদৃশ্য বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ঘাল + কা = হালকা

দম + কা = দমকা

২১. কার-প্রত্যয় : স্বরবর্ণের চিহ্ন বুঝাতে এবং সম্পর্কিত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

আ + কার = আকার

উপর + কার = উপরকার

উ + কার = উকার

ভিতর + কার = ভিতরকার

২২. পানা, পারা-প্রত্যয় : সাদৃশ হতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

লম্বা + পানা = লম্বাপানা

চাঁদ + পারা = চাঁদপারা

চাঁদ + পানা = চাঁদপানা

পাগল + পারা = পাঘলপারা

কুলো + পনা = কুলোপানা

২৩. পনা-প্রত্যয় : ভাব বা আচরণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সতী + পনা = সতীপনা

দুরন্ত + পনা = দুরন্তপনা

গুন + পনা = গুণপনা

বীর + পনা = বীরপনা

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

গৃহিণী + পনা = গৃহিণীপনা

২৪. টা, টি-প্রত্যয় : নির্দিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

নেং + টা = নেংটা

কলম + টি = কলমটি

ডাল + টা = ডালটা

ছিপ্ + টি = ছিপটি

২৫. ন, না-প্রত্যয় : সম্পর্কীয় এবং বিশিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

মিতা + ন = মিতান

ফাৎ + না = ফাৎনা

বেহাই + ন = বেহাইন

দাল + না = দালনা

২৬. উ, উলী-প্রত্যয় : আদর প্রকাশ করতে ও ক্ষুদ্রতা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

খোকা + উ = খুকু

আধ + উলী = আধুলী

দুষ্ট + উ = দুষ্টু

হাঁস + উলী = হাঁসুলী

২৭. স, সী-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও সৌন্দর্য অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ফান + স = ফানুস

রূপ + সী = রূপসী

খোল + স = খোলস

২৮. অল-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও স্বার্থে ‘অল’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

হাত + অল = হাতল

বাদ + অল = বাদল

মাথা + অল = মাথাল

তাত + অল = তাতল

২৯. আইত-প্রত্যয় : আছে অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

পোয়া + আইত = পোয়াইত

সেবা + আইত = সেবাইত

৩০. ময়-প্রতয় :

ঘর + ময় = ঘরময়

গ্রাম + ময় = গ্রামময়

বাড়ি + ময় = বাড়িময়

শহর + ময় = শহরময়

কাদা + ময় = কাদাময়

জল + ময় = জলময়

৩১. ড়, ড়া, ড়ী-প্রত্যয় :

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

খাগ + ড়া = খাগড়া

আছ + ড় = আছড়

চাম + ড়া = চামড়া

পাগ + ড়ী = পাগড়ী

৩২. ওয়া-প্রত্যয় :

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

পর + ওয়া = পরোয়া

চাঁদ + ওয়া = চাঁদোয়া

■ বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

হাত + আ = হাতা

ধ্রুপদ + ঈ = ধ্রুপদী

ভাটি + আল = ভাটিয়াল

ভিখ + আরী = ভিখারী

পো + লা = পোলা

রাজ + ড়া = রাজড়া

পাত = আ = পাতা

চাষ + ঈ = চাষী

বঙ্গ + আল = বাঙ্গাল

ঝি + আরী = ঝিয়ারী

মঘ + লা = মেঘলা

ফর + সা = ফরসা

পাগল + আ = পাগলা

কয়েদ + ঈ = কয়েদী

রস + আল = রসাল

মাঝ + আরি = মাঝারি

কাম + লা = কামলা

গাছ + ড়া = গাছড়া

চাঁদ + আ = চাঁদা

চালাক + ঈ = চালাকী

ধার + আল = ধারাল

দাপ + অট = দাপট

মি + আলী = মিতালী

লাল + চে = লালচে

এক + আ = একা

মরমা + ঈ = মরমী

নাক + আনি = নাকানি

মলা + অট = মলাট

ঘটক + আলি = ঘটকালী

ঘাম + চি = ঘামাচি

রঙ + আ = রাঙা

শিকার + ঈ = শিকারী

আম + আনি = আমানি

শুখা + টি = শুখটি ˃ শুটকি

জল + ওয়া = জলো

বেঙ + চি = বেঙাচি

চাকর + ই = চাকরি

খোকা + উ = খুকু

বড় + আই = বড়াই

নেহ + টা = নেহটা

গাঁ + ওয়া = গাঁওয়া ˃ গেঁয়ো

জন + পিছু = জনপিছু

গোল + ই = গুলি

চাল + উ = চালু

ঢাকা + আই = ঢাকাই

ঘোলা + টে = ঘোলাটে

টাক + ওয়া = টেকো

গো + রু = গোরু

ছোরা + ই = ছুরি

সাঁতার + উ = সাঁতারু

মিঠা + আই = মিঠাই

ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে

ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

বোম + আরু = বোমারু

কাঠ + ই = কাঠি

হাত + অল = হাতল

চোর + আই = চোরাই

খে + টা = খেমটা

বন + উয়া = বুনো

ছাত + আ = ছাতা

চালাক + ই = চালাকি

লাঠি + আল = লাঠিয়াল

আঠার + অই = আঠারই

হিম + এল = হিমেল

লাজ + উক = লাজুক

পিছ + অন = পিছন

বাঙ্গল + ই = বাঙ্গালি

দুধ + আল = দুধাল

পেট + উক = পেটুক

সুর + এলা = সুরেলা

দিন + ভর = দিনভর

এক + হারা = একহারা

পশম + ই = পশমী

আড় + আল = আড়াল

ছেলে + আমি = ছেলেমি

ঝাম + এলা = ঝামেলা

রাত + বর = রাতভর

মানান + সই = মানানসই

পোঁথা + ই = পুঁথি

দাঁত + আল = দাঁতাল

বোকা + আমি = বোকামি

আগ + ল = আগল

পান + ওয়ালা = পানওয়ালা

পাত + লা = পাতলা

দালাল + ই = দালালি

ধার + অল = ধারাল

ঘর + আমি + ঘরামি

হাট + উড়িয়া = হাটুড়িয়া

বাড়ি + ওয়ালা = বাড়িওয়ালা

কোঠ + রী = কোঠরী

জমিদার + ই = জমিদারি

গাজ + অর = গাজর

পাগল + আমি = পাগলামি

সাব + আড় = সাবাড়

শহর + ইয়া বা এ = শহুরে

মাসী + তুত = মাসতুত

ঢাক + ঈ = ঢাকী

পেচা + আন = পেচান

আমোদ + এ = আমুদে

ভাগ + আড় = ভাগাড়

দরদ + ঈ = দরদী

সতী + ন = সতীন

দুষ্ট + আমি = দুষ্টামি

জুতা + আনো = জুতানো

জেঠা + ত = জেঠাত

কাঠ + আমো = কাঠামো

রাখাল + ঈ = রাখালী

মাতা + পিছু = মাথাপিছু

চাম + আর = চামার

ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ

মামা + ত = মামাত

বোমা + আরু = বোমারু

দেশ + ঈ = দেশী

বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা

সোনা + আর = সোনার

সেবা + ইত = সেবাইত

বীর + পনা = বীরপনা

চমক + ইত = মেকিত

করাত + ঈ = করাতী

প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত

ভাঁড় + আর = ভাড়ার

হাত + ইয়ার = হাতিয়ার

ঢোল + ক = ঢোলক

কালা + গোছের = কালাগোছের

দর্শন + ঈ = দর্শনী

দেশ + ময় = দেশময়

সুতা + আর = সুতার

কুঠি + ইয়াল = কুঠিয়াল

দম + কা = দমকা

গুদাম + জাত = গুদামজাত

হিসাব + ঈ = হিসাবী

পেট + রা = পেটরা

কাঁসা + আরী = কাঁসারী

লাঠি + ইয়াল = লাঠিয়াল

ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর

ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া

দোকান + ঈ = দোকানী

তবলা + চী = তবলচী

পূজা + আরী = পূজারী

কুঁচ + কে = কুঁচকে

জুয়া + ড়ি = জুয়াড়ি

বই + ঠা = বইঠা

শান্তিপুর + ঈ = শান্তিপুরী

নেশা + খোর = নেশাখোর

মশা + আরি = মশারী

শত + কিয়া = শতকিয়া

মুখ + স = মুখশ ˃ মুখোশ

চাচা + ত = চাচাত

চাল + তি = চলতি

সওদা + গর = সওদাগর

হুকুম + নামা = হুকুমনামা

বিতর + কার = ভিতরকার

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

ষ, ষিক, ইমন, ইলচ, ইন, ষ্ণীয়, তা, ত্ব, তর, তম, ঈয়স, ইষ্ট, বতুপ, মতুপ, বিন, ও, ষ্ণ্য, লচ, আলু ইত্যাদি প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। এ প্রত্যয়গুলো সংস্কৃত মূল শব্দে পরে বসে। যেমন:

১. ষ (অ) প্রত্যয় : ষ-প্রত্যয় যে শব্দের সাথে যুক্ত হয়, তার মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়:

ক. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘অ’ স্থানে ‘আ’ হয়। যেমন:

বস্তু + ষ্ণ = বাস্তব

মনু + ষ্ণ = মানব

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

যদু + ষ্ণ = যাদব

ভরত + ষ্ণ = ভারত

শরৎ + ষ্ণ = শারদ

খ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ই, ঈ এ স্থানে ঐ হয়। যেমন:

হেম + ষ্ণ = হৈম

স্ত্রী + ষ্ণ = স্ত্রৈণ

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

গ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘ঋ’ স্থানে ‘আর’ হয়। যেমন:

ঋষি + ষ্ণ = আর্য

ঘ. মূল স্বর বৃদ্ধি পেয়ে উ, ঊ , ও স্থানে ঔ হয়। যেমন:

চোর + ষ্ণ = চৌর

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

বুদ্ধ + ষ্ণ = বৌদ্ধ

গরু + ষ্ণ = গৌরব

২. ষ্ণি (ই) প্রত্যয় : ‘ই’ যোগ হয় এবং মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যেমন:

দশরথ + ষ্ণি = দাশরথি (অ-স্থলে আ)

সুমিত্রা + ষ্ণি = সৌমিত্রি (উ-স্থলে ঔ)

৩. ষ্ণিক (ইক) প্রত্যয় : দক্ষ বা সম্বন্ধীয় অর্থে বিশেষ্যের উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ পদ গঠিত হয় এবং মূল স্বর বৃদ্ধি পায়। যেমন:

বেদ + ষ্ণিক = বৈদিক (এ স্থলে ঐ)

বচন + ষ্ণিক = বাচনিক (অ স্থলে আ)

বিমান + ষ্ণিক = বৈমানিক (ই স্থলে ঐ)

বেতন + ষ্ণিক = বৈতনিক (এ স্থলে ঐ)

৪. ইমন (ইমা) প্রত্যয় : ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নীল + ইমন = নীলিমা

কাল + ইমন = কালিমা

চন্দ্র + ইমন = চন্দ্রিমা

রক্ত + ইমন = রক্তিমা

৫. ইন্ (ঈ) প্রত্যয় : সাধারণত বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমণ:

জ্ঞান + ইন্ = জ্ঞানী

গুণ + ইন = গুণী

মান + ইন = মানী

প্রাণ + ইন = প্রণী

বিশেষ দ্রষ্টব্য : কর্তৃকারকের এক বচনে ইন্-প্রত্যয় ‘ঈ’ রূপ গ্রহণ করে।

৬. ষ্ণেয় (এয়) প্রত্যয় : অপত্য ও ভাব অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অগ্নি + ষ্ণেয় = আগ্নেয়

ভাগনী + ষ্ণেয় = ভাগ্নেয়

পথ + ষ্ণেয় = পাথেয়

গঙ্গা + ষ্ণেয় = গাঙ্গেয়

৭. ষ্ণীয় (ঈয়) প্রত্যয় : সম্বন্ধ অর্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

স্বর্গ + ষ্ণীয় = স্বর্গীয়

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

দল + ষ্ণীয় = দলীয়

৮. ইতচ (ইত) প্রত্যয় : ‘আছে’ ও ‘জাত’ অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

মূর্ছা + ইতচ্ = মূর্ছিত

নিদ্রা + ইতচ্ = নিদ্রিত

লজ্জা + ইতচ্ = লজ্জিত

কুসুম + ইতচ্ = কুসুমিত

৯. ইলচ (ইল) প্রত্যয় : উপকরণ জাত অর্থে ইলচ (ইল) প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

সর্প + ইলচ = সর্পিল

উর্মি + ইলচ = উর্মিল

কুট + ইলচ = কুটিল

পঙ্ক + ইলচ = পঙ্কিল

১০. ষ্ণ্য (য) প্রত্যয় : ‘য’ যোগ হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

কুমার + ষ্ণ্য = কৌমার্য (উ স্থলে ঔ)

ধীর + ষ্ণ্য = ধৈর্য (ঈ স্থলে ঐ)

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য (ই স্থলে ঔ)

স্থির + ষ্ণ্য = স্থৈর্য ( ই স্থলে ঐ)

১১.আলু-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে বিশেষ্যের সঙ্গে আলু প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষণ গঠিত হয়। যেমন:

দয়া + আলু = দয়ালু

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

ভাব + আলু = ভাবালু

স্বপ্ন + আলু = স্বপ্নালু

১২. ঈন-প্রত্যয় : ভাব অর্থে ‘ঈন’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

অভ্যন্তর + ঈন = অভ্যন্তরীণ

তৎকাল + ঈন = তৎকালীন

সম্মুখ + ঈন = সম্মুখীন

নব = ঈন = নবীন

১৩. লচ (ল) প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং ‘লচ’ প্রত্যয়ের ‘ল’ যোগ হয়। যেমন:

পিঙ্গ + লচ = পিঙ্গল

শ্যাম + লচ = শ্যামল

কুশ + লচ = কুশল

মাংস + লচ = মাংসল

শীত + লচ = শীতল

বৎস + লচ = বৎসল

১৪. বতুপ, মাতুপ-প্রত্যয় : বতুপ (বৎ) এবং মাতুপ (মৎ) প্রত্যয় প্রথমার একবচনে যথাক্রমে ‘বা’ ও ‘মান’ হয়। বিশেষণ গঠনে বতুপ ও মাতুপ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

ভাগ্য + বতুপ = ভাগ্যবান

বুদ্ধি + বতুপ = বুদ্ধিমান

ধন + বতুপ = ধনবান

শ্রী + মতুপ = শ্রীমান

পুণ্য + বতুপ = পুণ্যবান

শক্তি + মতুপ = শক্তিমান

১৫. তর, তম-প্রত্যয়ঃ অতিশায়নে ‘তর’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমনÑ

প্রিয় + তর = প্রিয়তর

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

অধিক + তম = অধিকতম

১৬. বিন (বী) প্রত্যয়ঃ এ প্রত্যয় বিশেষণ গঠনে যুক্ত হয়। যেমনÑ

মায়া + বিন = মায়াবী

যশস্ + বিন = যশস্বী

তপস্ + বিন = তপস্বী

মেধা + বিন = মেধাবী

তেজস্ + বিন = তেজস্বী

মনস + বিন = মনস্বী

১৭. ঈয়স, ইষ্ঠ-প্রত্যয়ঃ দুয়ের মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ঈয়স’ এবং বহুর মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বোঝাতে ‘ইষ্ঠ’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

লঘু + ঈয়স = লঘীমান

বল + ইষ্ঠ = বলিষ্ঠ

গুরু + ঈয়স = গরীয়ান

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ট

১৮. র-প্রত্যয়ঃ আছে অর্থে ‘র’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রথ্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন

নখ + র = নখর

মুখ + র = মুখর

শিখ + র = শিখর

কুঞ্জ + র = কুঞ্জর

উষ + র = উষরমধু + র = মধুর

১৯. ত্ব-প্রত্যয়ঃ ভাব বা গুণ বুঝাতে বিশেষ্য গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমনÑ

সতী + ত্ব = সতীত্ব

স্বল্প + ত্ব = স্বল্পত্ব

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

মহৎ + ত্ব = মহত্ত্ব

পশু + ত্ব = পশুত্ব

দাস + ত্ব = দাসত্ব

২০. তা-প্রত্যয়: ভাব, গুণ, বৃত্তি অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

জন + তা = জনতা

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সাধু + তা = সাধুতা

অলস + তা = অলসতা

সচল = তা = সচলতা

সৎ + তা = সততা

চঞ্চল + তা = চঞ্চলতা

প্রাচীন + তা = প্রাচীনতা

জটিল + তা = জটিলতা

■ সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়ের উদাহরণ

প্রকৃতি ও প্রত্যয় = শব্দ

মানব + ষ্ণ = মানব

সময় + ষ্ণিক = সাময়িক

পল্লব + ইত = পল্লবিত

দুগিত্ব + ষ্ণ = দৌহিত্র

দেশ + ষ্ণীয় = দেশীয়

ফেন + ইল = ফেনিল

বস্ত + ষ্ণ = বাস্তব

মানস + ষ্ণিক = মানসিক

পঙ্ক + ইল = পঙ্কিল

নিশা + ষ্ণ = নৈশ

ধর্ম + ষ্ণিক = ধার্মিক

অদঃ + তন = অধস্তন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

সময় + ষ্ণক = সাময়িক

ঊর্ধ্ব + তণ = ঊর্ধ্বতন

অলস + ষ্ণ = আলসা

লোক + ষ্ণিক = লৌকিক

পুরা + তন = পুরাতন

বন + ষ্ণ = বন্যা

নীতি + ষ্ণিক = নৈতিক

প্রাক + তন = প্রাক্তন

পুত্র + ষ্ণ = পৌত্র

মানব + ষ্ণিক = মাববিক

বিজ্ঞান + ইক = বৈজ্ঞানিক

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

সাধু + তা = সাধুতা

প্রাচ + যক = প্রাচ্য

যুবন + ষ্ণ = যৌবন

মূর্খ + তা = মূর্খতা

সেনা + য = সৈন্য

গম্ভীর + ষ্ণ = গাম্ভীর্য

মম + তা = মমতা

তালু + যক = তালব্য

সখা + ষ্ণ = সখ্য

অলস + তা = অলসতা

জল + ময় = জলময়

ছাত্র + ষ্ণ = ছাত্র

দৃঢ় + তা = দৃঢ়তা

বাক + ময় = বাক্সময়

মুনি + ষ্ণ = মৌন

বক্তৃ + তা = বক্তৃতা

লৌহ + ময় = লৌহময়

দনু + ষ্ণ = দানব

লঘু + তা = লঘুতা

মৃদ + ময় = মৃন্ময়

সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য

ভদ্র + তা = ভদ্রতা

চিৎ + ময় = চিন্ময়

গ্রাম + ষ্ণ = গ্রাম্য

নীচ + তা = নীচতা

গুণ + ময়ট্ = গুণময়

মধুর + ষ্ণ = মাধুর্য

এক + তা = একতা

তদ্ + ময় = তন্ময়

তিল + ষ্ণ = তৈল

কবি + তা = কবিতা

পথ + এয় = পাথের

বন্ধু + ষ্ণ = বান্ধব

স্বাধীন + তা = স্বাধীনতা

গুরু + ইমন = গরীমা

পৃথিবী + ষ্ণ = পার্থিব

নেতৃ + ত্ব = নেতৃত্ব

লঘু + ইমন = লঘিমা

কিশোর + ষ্ণ = কৈশোর

স্ব + ত্ব = স্বত্ব

নীল + ইমন = নীলিমা

বার্ধক + ষ্ণ = বার্ধক্য

মম + ত্ব = মমত্ব

জ্ঞান + বতুপ = জ্ঞানবান

সভা + ষ্ণ = সভ্য

কৃতি + ত্ব = কৃতিত্ব

বুদ্ধি + মতুপ = বুদ্ধিমান

ভাস্কর + ষ্ণ = ভাস্কর্য

বীর + ত্ব = বীরত্ব

গুণ + বতুপ = গুণবান

দশরথ + ষ্ণ = দাশরথি

এক + ত্ব = একত্ব

শীত + ল = শীতল

লঘু + ষ্ণ = লাঘব

ব্যাক্তি + ত্ব = ব্যক্তিত্ব

নব + ঈন = নবীন

বিদ্যা + ষ্ণ = বৈদ্য

প্রভু + ত্ব = প্রভুত্ব

বিমাতা + ষ্ণেয় = বৈমাত্রেয়

সুজন + ষ্ণ = সৌজন্য

বন্ধু + ত্ব = বন্ধুত্ব

স্ব + ঈয় = স্বীয়

মনু + ষ্ণ = মনুষ্য

বৃহৎ + তর = বৃহত্তর

মধু + র = মধুর

প্রমাণ + ষ্ণ = প্রামাণ্য

লঘু + তর = লঘুতর

আদি + যক = আদ্য

রাবণ + ষ্ণ = রাবণি

উচ্চ + তর = উচ্চতর

আত্ম + বৎ = আত্মবৎ

চক্ষু + ষ্ণ = চাক্ষুস

অন্য + তম = অন্যতম

ক্ষুধা + ইত = ক্ষুধিত

স্থির + ষ্ণ = স্থৈর্য

দ্রুত + তম = দ্রুততম

শ্রেয়স + ইষ্ঠ = শ্রেষ্ঠ

ধীর + ষ্ণ = ধৈর্য

প্রিয় + তম = প্রিয়তম

রোম + শ = রোমশ

সেনা + ষ্ণ = সৈন্য

গ্রাম + ইন = গ্রামীণ

মেধা + বিন = মেধাবী

নগর + ষ্ণিক = নাগরিক

কিম + চিত = কিঞ্চিত

দেহ + ষ্ণীয় = দৈহিক

রোগ + ইন = রোগী

শিশু + ষ্ণ = শৈশব

বর্ষ + ষ্ণীয় = বার্ষিক

পক্ষ + ইন = পক্ষী

গুণ + ইন = গুণী

দেহ + ষ্ণীয় = দৈনিক

কুল + ঈন = পাখি

লজ্জা + ইন = লজ্জিত

ধর্ম + ষ্ণীয় = ধর্মীয়

জটা + ইল = জটিল

মাংসা + ল = মাংসল

লোক + ষ্ণীয় = লৌকিক

রোগ + ইন = রোগী

বল + বাল = বলবান

দীর্ঘ + তম = দীর্ঘতম

গুরু + ইষ্ঠ = গরিষ্ঠ

ক্ষুদ্র + তর = ক্ষুদ্রতর

বৃহৎ + তম = বৃহত্তম

মুখ + র = মুখর

নিদ্রা + আলু = নিদ্রালু

সর্ব + দা = সর্বদা

মধু + র = মধুর

শ্যাম + ল = শ্যামল

দয়া + আলু = দয়ালু

পিতৃ + বৎ = পিতৃব্য

বাঙ্গাল + ই = বাঙ্গালি

রোম + শ = রোমশ

মধ্য + ম = মধ্যম

মনস + ঈষা = মনীষা

কর্ক + শ = কর্কশ

এক + দা = একদা

লঘু + ইষ্ঠ = লঘিষ্ঠ

লোক + শ = লোমশ

আদি + ম = আদিম

বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়

বিদেশী প্রত্যয় বলতে বিশেষত ফারসি ভাষা থেকে আগত প্রত্যয়গুলোকেই বুঝায়। আনা, ওয়ালা, নবীশ, সই, দান (দানী),খানা, আনি, ওয়ান, গিরি, বন্দী, নামা, বাজ, প্রত্যয়সমূহই বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়। নিচে বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ দেওয়া হল ঃ

১. আনা -প্রত্যয়ঃ ভাব বা সম্পর্কীয় মুদ্রা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

গরিব + আনা = গরিবানা

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

মুন্সি + আনা = মুন্সিয়ানা

মালিক + আনা = মালিকানা

নজর + আনা = নজরানা

মোহর + আনা = মোহরানা

২. আনি-প্রত্যয়ঃ ভাব ও কার্য বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কাতর + আনি = কাতরানি

বিবি + আনি = বিবিয়ানি

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

তল + আনি = তলানি

৩. ওয়ান-প্রত্যয়ঃ কার্য বা পেশা বুঝাতে ‘ওয়ান’ প্রত্যয় ব্যহৃত হয়। যেমন:

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

(দ্বার) দার + ওয়ান = দারোয়ান

কোচ + ওয়ান = কোচোয়ান

পাল + ওয়ান = পালোয়ান

৪. ওয়ালা-প্রত্যয়ঃ মালিকানা অর্থে এ প্রত্যয়ের ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চুড়ি + ওয়ালা = চুড়িুয়ালা

দুধ + ওয়ালা = দুধওয়ালা

ফেরি + ওয়ালা = ফেরিওয়ালা

গাড়ি + ওয়ালা = গাড়িওয়ালা

৫. খানা-প্রত্যয়ঃ স্থান বা দোকান বোঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহার হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চিড়িয়া + খানা = চিড়িয়াখানা

কয়েদ + খানা = কয়েদখানা

বৈঠক + খানা = বৈঠকখানা

কসাই + খানা = কসাইখানা

ছাপা + খান = ছাপাখানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

৬. গর-প্রত্যয়ঃ নির্মাণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

সওদা + গর = সওদাগর

বাজি + গর = বাজিগর

কারি + গর = কারিগর

৭. গিরি-প্রত্যয়ঃ ভাব বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

গোয়েন্দা + গিরি = গোয়েন্দাগিরি

বাবু + গিরি = বাবুগিরি

মুটে + গিরি = মুটেগিরি

৮. খোর-প্রত্যয়ঃ নিন্দিত দ্রব্য সেবনকারী বা গ্রহণকারী অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:

নেশা + খোর = নেশাখোর

চশম + খোর = চশমখোর

হারাম + খোর = হারামখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

৯. বাজ, বাজি-প্রত্যয়ঃ অভ্যস্থ বা নিন্দিত কার্য অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:

ধোঁকা + বাজ = ধোঁকাবাজ

গলা + বাজ = গলাবাজ

গল্প + বাজ = গল্পবাজ

আপ্পা + বাজি = ধাপ্পাবাজি

নকল + বাজ = নকলবাজ

গুন্ডা + বাজি = গুন্ডাবাজি

১০. নার, নারি-প্রত্যয়ঃ মালিকানা, ব্যবসায় বা পেশা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা কখনও কখনও বিশেষণও হয়। যেমন:

চৌকি + দার = চৌকিদার

দোকান + দারি = দোকানদারি

চটক + দার = চটকদার

জমি + দারি = জমিদারি

পেশা + দার = পেশাদার

তালুক + দারি = তালুকদারি

১১. চা-প্রত্যয়ঃ ক্ষুদ্র অর্থে ‘চা’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

চাম + চা = চামচা

বাগ + চা = বাগচা

নলি + চা = নলিচা

গালি + চা = গালিচা

১২. চি-প্রত্যয়ঃ আধার অর্থে ‘চি’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

মশাল + চি = মশালচি

ধুনা + চি = ধুনাচি

ধুপ + চি = ধুপচি

কলম + চি = কলমচি

১৩. সই-প্রত্যয়ঃ যোগ্য, উপযুক্ত, প্রমাণ ও পরিমাণ অর্থে ‘সই’-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

চলন + সই = চলনসই

মানান + সই = মানানসই

টেক + সই = টেকসই

মাপ + সই = মাপসই

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘টিপসই’ ও ‘নামসই’ শব্দ দুটির ‘সই’ শব্দটি প্রত্যয় নয়। কারণ এটি সহি (স্বাক্ষর) শব্দ থেকে উৎপন্ন ‘সই’ হয়।

১৪. দান, দানি-প্রত্যয়: আধার অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

ফুল + দানি = ফুলদানি

বাতি + দান = বাতিদান

ছাই + দান = ছাইদান

আতর + দান = আতরদান

পিক + দান = পিকদান

কলম + দান = কলমদান

১৫. বন্দ, বন্দী-প্রত্যয়ঃ বন্ধ বা গৃহীত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

কোমর + বন্দ = কোমরবন্দ

জবান + বন্দী = জবানবন্দী

নজর + বন্দ = নজরবন্দ

বাক্স + বন্দী = বাক্সবন্দী

১৬. নবীশ-প্রত্যয়ঃ অভিজ্ঞ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:

হিসাব + নবীশ = হিসাবনবীশ

পত্র + নবীশ = পত্রনবীশ

শিক্ষা + নবীশ = শিক্ষানবীশ

নকল + নবীশ = নকলনবীশ

১৭. নামা-প্রত্যয়ঃ দলিল অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:

ওকালত + নামা = ওকালতনামা

ওসিয়ত + নামা = ওসিয়তনামা

■ বিদেশী তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দ

বাবু + আনা = বাবুয়ানা

আতর + দান = আতরদান

পাওনা + দার = পাওনাদার

নজর + আনা = নজরানা

গোসল + খানা = গোসলখানা

খবর + দার = খবরদার

বাবু + আনি = বাবুয়ানি

জেল + খানা = জেলখানা

অংশী + দার = অংশীদার

বিবি + আনা = বিবিয়ানা

ছাপা + খানা = ছাপাখানা

ঠিকা + দার = ঠিকাদার

মোহর + আনা = মোহরানা

ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

মজা + দার = মজাদার

বাতি + দান = বাতিদান

পিল + খানা = পিলখানা

সমঝ + দার = সমঝদার

দপ্তর + খানা = দপ্তরখানা

ডেপুটি + গিরি = ডেপুটিগিরি

চৌকি + দার = চৌকিদার

মুদি + খানা = মুদিখানা

বাজি + গর = বাজিগর ˃ বাজিকর

জমি + দার = জমিদার

পান + দানি = পানদানি

গুরু + গিরি = গুরুগিরি

সুদ + খোর = সুদখোর

বাতি + দান = বাতিদান

কারি + গর = কারিগর

ঘুষ + খোর = ঘুষখোর

পা + দানি = পাদানি

দোকান + দারি = দোকানদারি

মদ + খোর = মদখোর

ফুল + দানি = ফুলদানি

নেতা + গিরি = নেতাগিরি

চশম + খোর = চশমখোর

ছাই + দানি = ছাইদানি

কেরানী + গিরি = কেরানীগিরি

তামাক + খোর = তামাকখোর

গাঁজা + খোর = গাঁজাখোর

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

মামলা + বাজ = মামলাবাজ

কেমন + তর = কেমনতর

জুত + সই = জুতসই

উকিল + নবিশ = উকিলনবিশ

বহু + তর = বহুতর

পছন্দ + সই = পছন্দসই

শিক্ষা + নবিশ = শিক্ষানবিশ

চিলম + চি = চিলমচি

প্রমাণ + সই = প্রমাণসই

জমা + নবিশ = জমানবিশ

বাগ + চা = বাগচা ˃ বাগিচা

মানান + সই = মানানসই

গাড়ি + ওয়ান = গাড়োয়ান

চাম্ + চা = চামচা

দশা+ সই = দশাসই

মজুদ + দার = মজুতদার

মশাল + চি = মশালচি

ধোঁকা + বাজি = ধোঁকাবাজ

কিস্তি + বন্দী = কিস্তিবন্দী

নজর + বন্দী = নজনবন্দী

ফাঁকি + বাজ = ফাঁকিবাজ

দখল + নামা= দখলনামা

গৃহ + বন্দী = গৃহবন্দী

চাল + বাজ = চালবাজ

দ্বার + আনা = দারোয়ান

কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয়

প্রদত্ত শব্দ প্রকৃতি + প্রত্যয়

প্রত্যয়ের নাম

অংশীদার = অংশী + দার

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

অতিথি = অত + ইথিন্

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অন্তিম = অন্ত + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অভাব = অ + ভূ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অচেনা = অ + চিন + আ

কৃৎ প্রত্যয়

অধ্যয়ন = অধি + ই + অন

কৃৎ প্রত্যয়

অনুজ = অনু + জন্ + অ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অগ্রিম = অগ্র + ইম

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

অজানা = অ + জান্ + আ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়

অর্ঘ = অর্ঘ + ষ্ণ্য

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আদুরে = আদর + ইয়া = আদরিয়া ˃ আদুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

আর্থিক = অর্থ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

আড়তদার = আড়ত + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

আঠাল = আঠা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

আধুলি = আধ্ + উলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

আগ্নেয় = অগ্নি + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

আকস্মিক = অকস্মাৎ + ষ্ণিক

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

আভিজাত্য = অভিজাত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ই, ঈ

ইতরামি = ইতর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ইচ্ছুক = ইচ্ছা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঈশ্বর = ঈশ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

উপ্ত = বপ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উঠতি = উঠ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উক্ত = বচ্ + ত

কৃৎ প্রত্যয়

উক্তি = বচ্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

উড়ন্ত = উড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

উজান = উজ্ + আন

কৃৎ প্রত্যয়

এ, ঐ, ও

এঁটেল = আঠা + ল = আঠাল ˃ এঁটেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

একলা = এক + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐতিহাসিক = ইতিহাস + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐহিক = ইহ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঐন্দ্রজালিক = ইন্দ্রজাল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওকালতি = ওকালত + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ওড়না = ওড় + না

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঁদুনে = কাঁদ + উনে

তদ্ধিত প্রত্যয়

করমদানি = কলম + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কর্তব্য = কৃ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

কর্তা = কৃ + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

করণীয় = কৃ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

কমতি = কম + তি

কৃৎ প্রত্যয়

করা = কর + আ

কৃৎ প্রত্যয়

কৌশল = কুশল + অ (অণ্)

তদ্ধিত প্রত্যয়

কৌশিক = কুশিক + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ক্রেতা = ক্রী + তৃচ

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁদন = কাঁদ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁন্না = কাঁদ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

কারক = কৃ + অক (নক)

কৃৎ প্রত্যয়

কৃপণ = কৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

কৃষক = কৃষ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

কাঁসারি = কাঁসা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাব্য = কবি + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

কারিগর = কারি + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরিয়া = কাঠ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

কাঠুরে = কাঠ + উড়িয়া = কাঠুরিয়া ˃ কাঠুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুলীন = কুল + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

কেজো = কাজ + উয়া = কাজুয়া ˃ কেজো

তদ্ধিত প্রত্যয়

কুঠিয়াল = কুঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

খ্যাতি = খ্যা + তি

কৃৎ প্রত্যয়

খেকো = খা + উকা = খাউকা ˃ খেকো

কৃৎ প্রত্যয়

খোদাই = খোদ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

খাইয়ে = খা + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

খাওয়া = খা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

খেলোয়ার = খেল্ + ওয়াড়

কৃৎ প্রত্যয়

খেলনা = খেল্ + অনা

কৃৎ প্রত্যয়

খেচর = খে + চর

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

গত = গম + ত

কৃৎ প্রত্যয়

গামন = গম্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

গন্তব্য = গম + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

গায়ক = গৈ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

গরিমা = গুরু + ইমন্

তদ্ধিত প্রত্যয়

গারবিনী = গরব্ + ইনী

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাড়োয়ান = গাড়ি + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

গম্য = গম্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

গালিচা = গালা + ইচা

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাইয়ে = গাহ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

গেঁয়ো = গাঁ + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেছো = গাছ + উয়া = গাছুয়া ˃ গেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

গেলামি = গোলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

গাছটি = গাছ + টি

তদ্ধিত প্রত্যয়

গণন = গণ + না

কৃৎ প্রত্যয়

গোলাপী = গোলাপ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গোয়াল = গোয়াল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রাম্য = গ্রাম + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

গ্রামীণ = গ্রাম + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

গৃহস্থলি = গৃহস্থ + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরামি = ঘর + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘরোয়া = ঘর + উয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘাটতি = ঘাট্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাতক = হন্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঘাপলা = ঘাপ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘুমন্ত = ঘুম + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ঘুষখোর = ঘুষ + খোর

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘেরাও = ঘির + আও

কৃৎ প্রত্যয়

ঘোলাটে = ঘোলা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘামাচি = ঘাম + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটকালি = ঘটক + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঘটক = ঘট্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

চীনা = চীন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চড়াই = চড় + আই

কৃৎ প্রত্যয়

চড়াও = চড়্ + আও

কৃৎ প্রত্যয়

চলন = চল্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

চলন্ত = চল্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

চলতি = চল্ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

চাপাবাজি = চাপা + বাজি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চলনসই = চলন + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালুনি = চাল্ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাকুরি = চাকর + উরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকুরে = চাকর + ইয়া = চাকরিয়া ˃চাকুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামার = চাম + আর

তদ্ধিত প্রত্যয়

চামড়া = চাম + ড়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাটাই = চাটা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদা = চাঁদ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদিমা = চাঁদ + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদপনা = চাঁদ + পনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাকা = চাক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

চাঁদোয়া = চাঁদ + ওয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

চালাকি = চালাক + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিরুনি = চির + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

চাউনি = চাহ্ + অনি

কৃৎ প্রত্যয়

চৈতালি = চৈত + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

চিন্ময় = চিৎ + ময়

কৃৎ প্রত্যয়

চোরাই = চোর + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

চৌকিদার = চৌকি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

চতুরালি = চতুর + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাপাখানা = ছাপা + খানা

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছেলেমি = ছেলে + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছুটি = ছুট্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটে = ছটফট্ + ইয়া = ছটফটিয়া ˃ ছটফটে

কৃৎ প্রত্যয়

ছটফটানি = ছটফট্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাউনি = ছা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

ছাত্র = ছত্র + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ছাঁটাই = ছাঁট + আই

কৃৎ প্রত্যয়

জয়ী = জি + ইন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমাট = জমা + আট্

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাতীয় = জাতি + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্বলন্ত = জল্ব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জীবন্ত = জীব + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

জয় = জি + অ

কৃৎ প্রত্যয়

জলা = জল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলো = জলা + উয়া = জলোয়া ˃ জলো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জলীয় = জল + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

জটিল = জটা + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

জনতা = জন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জালিয়া = জাল + ইয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

জেলে = জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমানো = জম + আনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

জবানবন্দি = জবান + বন্দি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জুয়াড়ি = জুয়া + আড়ি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্যাঠামি = জ্যাঠা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

জাঁকাল = জাঁক + আল

কৃৎ প্রত্যয়

জটলা = জট + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

জমিদার = জমি + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝরনা = র্ঝ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঝলক = ঝল্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়ন = ঝাড় + অন

কৃৎ প্রত্যয়

ঝগড়াটে = ঝগড়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝড়ো = ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া ˃ ঝড়ো

কৃৎ প্রত্যয়

ঝাড়-দার = ঝাড়- + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝিয়ারি = ঝি + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঝুলন = ঝুল্ + অন

তদ্ধিত প্রত্যয়

জ্ঞানী = জ্ঞান + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

ট, ঠ, ড, ঢ

টেকো = টেকো + উয়া = টাকুয়া ˃ টেকো

তদ্ধিত প্রত্যয়

টেকসই = টেক + সই

কৃৎ প্রত্যয়

ঠকা = ঠক + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঠ্যাঙ্গাড়ে = ঠ্যাঙ্গা + ড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডাকু = ডাক্ + উ

কৃৎ প্রত্যয়

ডাকাত = ডাক্ + আইত = ডাকাইত ˃ ডাকাত

কৃৎ প্রত্যয়

ডাক্তারি = ডাক্তার + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডিঙ্গা = ডিঙ্গি + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ডুবুরি = ডুব্ + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ডুবন্ত = ডুব্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ডেকচি = ডেক্ + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকনা = ঢাক্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

ঢাকনি = ঢাক্ + নি

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালাই = ঢাল্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

ঢালু = ঢাল্ + উ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ঢাকাই = ঢাকা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত, থ, দ

তবলচি = তবল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

তৈল = তিল + অ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ত্যাগ = ত্যজ্ + অ (ঘঞ)

কৃৎ প্রত্যয়

তামাটে = তামা + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

তাত্ত্বিক = তত্ত্ব + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

তালব্য = তালু + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দ্রাঘিমা = দ্রাঘি + ইমন + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশি = দিশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দর্পণ = দৃপ্ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

দৈন্য = দিন + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাতা = দা + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শন = দৃশ্ + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শনীয় = দৃশ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

দৃশ্য = দৃশ্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দ্রষ্টব্য = দৃশ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

দর্শক = দৃশ্ + অক্

কৃৎ প্রত্যয়

দাপট = দাপ + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাগি = দাগ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দামি = দাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দানব = দনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দালালি = দালাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঁতাল = দাঁত + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাবাড়- = দাবা + উড়িয়া = দাবাড়িয়া ˃ দাবাড়-

তদ্ধিত প্রত্যয়

দার্শনিক = দর্শন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দারোয়ান = দ্বার দার + ওয়ান

তদ্ধিত প্রত্যয়

দাঙ্গাবাজ = দাঙ্গা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিশারী = দিশ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

দুগ্ধ = দুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

দুধাল = দুধ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুধেল = দুধ + আল = দুধাল ˃ দুধেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেনাদার = দেনা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশী = দেশ + ঈ

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানদার = দোকান + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোকানি = দোকান + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

দোলনা = দুল্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

দীঘল = দীর্ঘ + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুষ্টামি = দুষ্ট + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

দৈনিক = দিন + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

দয়ালু = দয়া + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

দুঃখিত = দুঃখ + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

দেশীয় = দেশ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

দিব্য = দিব্ + য

কৃৎ প্রত্যয়

দৈত্য = দিতি + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধ, ন

ধার্মিক = ধর্ম + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধারাল = ধার + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধনুরি = ধনু + উরি

কৃৎ প্রত্যয়

ধোঁয়াটে = ধোঁয়া + টে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধৈর্য = ধীর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ধেনো = ধান + উয়া = ধানুয়া ˃ ধেনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

নোনতা = নুন + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নবীন = নব + ঈন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নয়ন = নী + অনট

কৃৎ প্রত্যয়

নায়ক = নী + অক

কৃৎ প্রত্যয়

নেয়ে = নাও + উয়া = নউয়া ˃ নেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাবিক = নৌ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাগরিক = নগর + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

নাচিয়ে = নাচ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

নেতা = নী + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

নিড়ানি = নিড়্ + আনি

কৃৎ প্রত্যয়

নিদ্রালু = নিদ্রা + আলু

তদ্ধিত প্রত্যয়

নীলিমা = নীল + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

নজরানা = নজর + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

নকলনবীশ = নকল + নবীশ

তদ্ধিত প্রত্যয়

নশ্বর = নশ্ + বর

কৃৎ প্রত্যয়

পা-ব = পা- + অ (অন)

তদ্ধিত প্রত্যয়

পড়-য়া = পড়্ + উয়া

কৃৎ প্রত্যয়

পড়ন্ত = পড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

পশমি = পশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পঙ্কিল = পঙ্ক + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

পথিক = পথ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাঠক = পাঠ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

পানীয় = পান + ঈয়

কৃৎ প্রত্যয়

পার্থিব = পৃথিবী + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পান্তা = পানি + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসা = পানি + সা

তদ্ধিত প্রত্যয়

পানসে = পানি + সা = পানসা ˃ পানসে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাওনা = পাও + না

কৃৎ প্রত্যয়

পাথুরে = পাথর + ইয়া = পাথরিয়া ˃ পাথুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

পায়া = পা + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

পাকামো = পাকা + আমো

তদ্ধিত প্রত্যয়

প-িত = প-া + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রচলিত = প্রচলন + ইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

পিপাসা = পিপাসা + আ

কৃৎ প্রত্যয়

পাগলামি = পাগল + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজারি = পূজা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

পূজনীয় = পূজ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

পিছল = পিছ্ + অল

কৃৎ প্রত্যয়

পিকদানি = পিক + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

প্রাচ্য = প্রাচ্ + ষ্ণ্য

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেনিল = ফেন্ + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফেরতা = ফির + তা

কৃৎ প্রত্যয়

ফেরত = ফির + অত

কৃৎ প্রত্যয়

ফুটন্ত = ফুট্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

ফোটা = ফুট্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলেল = ফুল + এল

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফাটল = ফাট + ল

কৃৎ প্রত্যয়

ফুলদানি = ফুল + দানি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ফলন্ত = ফল + অন্ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোম্বাই = বোম্বে + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বিজ্ঞান = বি + জ্ঞা + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বারমেসে = বারমাস + এ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বক্তব্য = বচ্ + তব্য

কৃৎ প্রত্যয়

বক্তা = বচ্ + তৃচ্

কৃৎ প্রত্যয়

বর্ষণ = বৃষ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বর্গাদার = বর্গা + দার

তদ্ধিত প্রত্যয়

বহতা = বহ্ + তা

কৃৎ প্রত্যয়

বড়াই = বড় + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঘা = বাঘ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাটনা = বাট্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজনা = বাজ্ + না

কৃৎ প্রত্যয়

বাজিয়ে = বাজ্ + ইয়ে

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধন = বাঁধ + অন

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁধাই = বাঁধ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাঁশি = বাঁশ + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁশরি = বাঁশ + রি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বন্দিনী = বন্দি + নী

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদলা = বাদল + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসত = বস + ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুগিরি = বাবু + গিরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাদামি = বাদাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাগিচা = বাগ + চা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙ্গাল = বঙ্গ + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঙালি = বাঙাল + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাড়ন্ত = বাড়্ + অন্ত

কৃৎ প্রত্যয়

বাড়তি = বাড় + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বকুনি = বকা + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

বার্ষিক = বর্ষ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাঁদরামি = বাঁদও + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বসতি = বস + তি

কৃৎ প্রত্যয়

বাছাই = বাছ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

বাবুর্চি = বাবু + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাবুয়ানা = বাবু + আনা

তদ্ধিত প্রত্যয়

বাহাদুরি = বাহাদুর + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেগুনে = বেগুন + ইয়া = বেগুনিয়া ˃ বেগুন

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেঙাচি = বেঙ + আচি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈজ্ঞানিক = বিজ্ঞান + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈঠক = বৈঠ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

বৈমাত্রেয় = বিমাতা + ষ্ণেয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈধ = বিধি + ঞ্চ

তদ্ধিত প্রত্যয়

বৈচিত্র্য = বিচিত্র + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

বেকামি = বোকা + মি

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোমারু = বোমা + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

বুনো = বন + উয়া = বনোয়া ˃ বুনো

তদ্ধিত প্রত্যয়

বোনাই = বোন + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভিখারি = ভিখ্ + আরি

কৃৎ প্রত্যয়

ভৌগোলিক = ভূগোল + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভোজ্য = ভোজ্ + আমি

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়ামি = ভাড় + আমি

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভয় = ভী + অয়

কৃৎ প্রত্যয়

ভাড়াটে = ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাতুরে = ভাত + উড়িয়া = ভাতুরিয়া ˃ ভাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভেতো = ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো

তদ্ধিত প্রত্যয়

ভাজি = ভাজ্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

ভাবুক = ভাব + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মানত = মান + ত

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৃন্ময় = মৃদ্ + ময়

তদ্ধিত প্রত্যয়

মহিমা = মহৎ + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মন্ত্রী = মন্ত্র + ইমন

কৃৎ প্রত্যয়

মড়ক = মড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মোড়ক = মুড়্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

মশারি = মশা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মলাট = মলা + ট

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাংসল = মাংস + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাথাল = মাথা + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

মাধুর্য = মধুর + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানব = মনু + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মানানসই = মানান + সই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মামলাবাজ = মামলা + বাজ

তদ্ধিত প্রত্যয়

মশালচি = মশাল + চি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মুক্ত = মুচ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মুক্তি = মুচ্ + ক্তি

কৃৎ প্রত্যয়

মুগ্ধ = মুহ্ + ক্ত

কৃৎ প্রত্যয়

মিশুক = মিশ্ + উক

কৃৎ প্রত্যয়

মিথ্যুক = মিথ্যা + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিশাল = মিশ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

মিতালী = মিতা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মিঠাই = মিঠা + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেটে = মাটি + ইয়া = মাটিয়া ˃ মেটো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঠো = মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেছো = মাছ + উয়া = মাছুয়া ˃ মেছো

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেঘলা = মেঘ + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেধাবী = মেধা + বিন

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়ে = মা + ইয়া = মইয়া ˃ মেয়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

মেয়েলি = মেয়ে + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

মোগলাই = মোগল + আই

তদ্ধিত প্রত্যয়

মৌখিক = মুখ + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

য, র, ল

যাচাই = যাচ্ + আই

কৃৎ প্রত্যয়

যৌবন = যুব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

রুষ্ট = রুষ্ + ত (ক্ত)

কৃৎ প্রত্যয়

রোগাটে = রোগা + টিয়া = রোগাটিয়া ˃ রোগাটে

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাঁধা = রাঁধ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

রাঁধুনি = রাঁধ + উনি

কৃৎ প্রত্যয়

রান্না = রাঁধ + না

কৃৎ প্রত্যয়

রমণীয় = রমণ + ঈয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

রাখাল = রাখ্ + আল

কৃৎ প্রত্যয়

রসাল = রস + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

রেশমি = রেশম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

রোগা = রোগ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লঘিমা = লঘু + ইমন

তদ্ধিত প্রত্যয়

লবণ = লো + অন

কৃৎ প্রত্যয়

লেখক = লিখ্ + অক

কৃৎ প্রত্যয়

রাজুক = লাজ + উক

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালচে = লাল + চে

তদ্ধিত প্রত্যয়

লাঠিয়াল = লাঠি + আল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লেঠেল = লাঠি + আল = লাঠিয়াল ˃ লেঠেল

তদ্ধিত প্রত্যয়

লৌকিক = লোক + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

লোনা = লনু + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

লালিমা = লাল + ইমা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোনা = শোন্ + আ

কৃৎ প্রত্যয়

শয়ন = শে + অনট্

কৃৎ প্রত্যয়

শহুরে = শহর + ইয়া = শহরিয়া ˃ শহুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

শাঁখারি = শাঁখা + আরি

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্যামলা = শ্যাম + লা

তদ্ধিত প্রত্যয়

শীতল = শীত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

শিক্ষক = শিক্ষা + অক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শ্রবণ = শ্রু + অন

কৃৎ প্রত্যয়

শারীরিক = শরীর + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শৈল্পিক = শিল্প + ইক

তদ্ধিত প্রত্যয়

শোচনীয় = শুচ্ + অনীয়

কৃৎ প্রত্যয়

শৈব = শিব + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স¤্রাট = সম + রাজ + ক্বিপ

কৃৎ প্রত্যয়

সওদাগার = সাওদা + গর

তদ্ধিত প্রত্যয়

সর্পিল = সর্প + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়ে = সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপুড়িয়া = সাপ + উড়িয়া

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাঁতারু = সাঁতারু + আরু

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাধুতা = সাধু + তা

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাপ্তাহিক = সপ্তাহ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাংবাদিক = সংবাদ + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্য = সাহিত + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সাহিত্যিক = সাহিত্য + ষ্ণিক (ইক)

তদ্ধিত প্রত্যয়

সামাজিক = সমাজ + ষ্ণিক

তদ্ধিত প্রত্যয়

সূর্য = সৃ + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌর = সূর্য + ষ্ণ

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৌন্দর্য = সুন্দর + য

তদ্ধিত প্রত্যয়

সোনালি = সোনা + আলি

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেলামি = সেলাম + ই

তদ্ধিত প্রত্যয়

সেবাইত = সেবা + আইত

তদ্ধিত প্রত্যয়

সত্তা = সৎ + আ

তদ্ধিত প্রত্যয়

স্বপ্নিল = স্বপ্ন + ইল

তদ্ধিত প্রত্যয়

সৃষ্টি = সৃজ + তি

কৃৎ প্রত্যয়

হাঁচি = হাঁচ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হত্যা = হন্ + ক্যাপ

কৃৎ প্রত্যয়

হলদে = হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতল = হাত + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতুড়ে = হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাটুরে = হাট + উড়িয়া = হাটুরিয়া ˃ হাটুরে

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাসি = হাস্ + ই

কৃৎ প্রত্যয়

হিমেল = হিম + ল

তদ্ধিত প্রত্যয়

হাতানন = হাত + আন

তদ্ধিত প্রত্যয়

উপসর্গ: যে সকল অব্যয়সুচক শব্দাংশ স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না কিন্তু অন্য শব্দের আগে বসে শব্দটির অর্থের পরিবর্তন সাধন করে, তাকে উপসর্গ বলে। উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলে এদের অর্থদ্যোতকাতা বা নতুন শব্দ সৃজনের ক্ষমতা থাকে।

বাংলা ভাষায় তিন প্রকার উপসর্গ আছে:

১. খাটি বাংলা উপসর্গ ২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ ৩. বিদেশী উপসর্গ

খাটি বাংলা উপসর্গ (২১ টি)

২. তত্সম (সংস্কৃত) উপসর্গ (২০ টি)

বিদেশী উপসর্গ (এখনো নির্নীত হয় নি)

অ, অঘা, অজ, অনা

আ, আড়, আন, আব

ইতি, ঊন, কদ, কু

নি, পাতি, বি, ভর

রাম, স, সা, সু

হা = ২১টি

প্র, পরা, অপ, সম্, নি

অব, অনু, নির, দূর, বি

সু, উত্, অধি, পরি, প্রতি

উপ, আ, অপি, অভি, অতি =২০টি

ফারসি উপসর্গ: কার্, দর্, না, নিম্, ফি, বদ্, বে, বর্, ব্, কম্

আরবি উপসর্গ: আম্, খাস, লা, গর্

ইংরেজি উপসর্গ: ফুল, হাফ, হেড, সাব

উর্দু-হিন্দি উপসর্গ: হর

চারটি উপসর্গ যথা: সু, বি, নি, আ খাটি বাংলা এবং তত্সম উভয়ক্ষেত্রে দেখা যায়।

প্রত্যয়: যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দ (প্রাতিপাদিক) এর পর যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার: কৃত্ প্রত্যয় (বাংলা এবং সংস্কৃত) এবং তদ্ধিত প্রত্যয় (বাংলা, সংস্কৃত এবং বিদেশী)।

প্রকৃতি: কোনো মেৌলিক শব্দের যে অংশকে আর কোনোভাবেই বিভক্ত বা বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে। প্রকৃতি দুই প্রকার: যথা: ক্রিয়া প্রকৃতি এবং নাম প্রকৃতি।

পদ প্রকরণ: বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক একটি পদ। বিভক্তিযুক্ত শব্দ এবং ধাতুই পদ। পদ মোট ৫ প্রকার: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া এবং অব্যয়।

  • IT Maintenance & services solutions

    1. Visual identity graphic design A brand is a relationship between a business or organization and its audience. A brand identity is how the organization communicates its personality, tone and essence, as well as memories, emotions and experiences. Visual identity graphic design is exactly that: the visual elements of brand identity that act as the…

  • hhhhhhhhhhhh hhhhhhhh

    hhhhhhhhhhhh hhhhhhhh

    tgbtrtr trtr It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem Ipsum is that it has a more-or-less normal distribution of letters, as opposed to using ‘Content here, content here’, making it look like readable…

  • The Benefits of Using a Blogging Site for Your Business

    The Benefits of Using a Blogging Site for Your Business

    In today’s digital age, having an online presence is crucial for businesses of all sizes. One way to establish and maintain this presence is by using a blogging site. Blogging has become increasingly popular over the years, and for good reason. It offers numerous benefits that can help your business grow and succeed. One of…

  • The Benefits of Blogging on ATMTIT.com

    Are you looking for a platform to share your thoughts, ideas, and experiences with the world? Look no further than ATMTIT.com, a blogging site that offers numerous benefits for both seasoned bloggers and beginners. One of the key advantages of blogging on ATMTIT.com is the opportunity to reach a wide audience. With millions of users…

  • The Benefits of Blogging on ATMTIT.com

    Welcome to ATMTIT.com! Are you looking for a platform to express your thoughts and ideas? Look no further! ATMTIT.com is the perfect blogging site for you. In this blog post, we will discuss the numerous benefits of blogging on ATMTIT.com. 1. Wide Reach When you publish your blog posts on ATMTIT.com, you have the opportunity…

  • Hello world!

    Welcome to WordPress. This is your first post. Edit or delete it, then start writing!

Got any book recommendations?